চট্টগ্রাম নগরের নতুন ব্রিজ মোড়। এ মোড় থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় অধিকাংশ যানবাহন ছাড়ে। এখান থেকে যাত্রীরা গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু যেখানে বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করে, সড়কের দুই পাশে একটু বৃষ্টি হলেই কুচকুচে কালো পানি জমে থাকে। পানি মাড়িয়েই যাত্রীদের বাসে উঠতে হয়। এর ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে।
নগরের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম কেন্দ্র ওয়াসার মোড়। এখানে আছে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ। আছে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান কার্যালয়, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি সিএনজি স্টেশন। কিন্তু এ মোড়েও বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। এ সময় পথচারী চলাচল করাও দায় হয়ে পড়ে। ফলে সবাইকে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
এভাবে কেবল ওয়াসা বা নতুন ব্রিজ মোড় নয়, নগরের অনেক মোড়েরই এমন বেহাল দশা। নগরের কালামিয়া বাজার মোড়, রাহাত্তার পুল মোড়, বহদ্দারহাট মোড়, মুরাদপুর, চকবাজার কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন মোড়ে এমন দুর্বিষহ চিত্র দেখা যায়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের এসব সমস্যা সমাধান করে।
কালামিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা সাকিব মাহমুদ বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এখানে জমে যায় পানি। পানি অসম্ভব কালো ও ময়লাযুক্ত। হাঁটাও দায় হয়ে পড়ে। এ সময় নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক দিন ধরে এটি চলে এলেও এ বিষয়টি নিয়ে চসিক বা স্থানীয় কেউ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
চসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, নগরের বিভিন্ন মোড়ে পানি জমে থাকার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ওইসব মোড়ের পাশের নালা মাটিতে ভরাট বা বর্জ্যরে কারণে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ইতোমধ্যে অনেক মোড়ে এমন সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। খবর পেলেই আমরা প্রয়োজনীয় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করছি।
জানা যায়, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ৪১ জন সাধারণ এবং ১৪ জন সংরক্ষিত নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। নির্বাচিত কাউন্সিলররা স্থানীয় এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করতেন। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর কাউন্সিলরদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ওয়ার্ডভিত্তিক কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। তবে চসিক নাগরিক সমস্যা সমাধানে ১৩ জন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু তাদের পক্ষে নিয়মিত কাজের বাইরে এমন সব নাগরিক দুর্ভোগ ভোগান্তির বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে নাগরিকদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ মাড়িয়েই দিন পার করতে হয়।