মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতা দূর করতে স্থায়ী পরিকল্পনা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

জলাবদ্ধতা দূর করতে স্থায়ী পরিকল্পনা

ভারী বর্ষণে রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু এলাকায় হাঁটুপানি জমে। অল্প সময়ের মধ্যে সেই পানি নেমে গেলেও সাময়িক দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। আর এ সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে সমাধানে কর্মকৌশল নির্ধারণসহ স্থায়ী নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। সিটি করপোরশেন সূত্র জানায়, ভারী বর্ষণ হলেই মহানগরীর অন্তত ১৭টি পয়েন্টে অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কলাবাগান, হেতেম খাঁ, ঝাউতলা, উপশহর, লক্ষ্মীপুর, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, কাদিরগঞ্জ, টিকাপাড়া, হড়গ্রামসহ কিছু এলাকার রাস্তা হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। এর ফলে সাময়িক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন নগরবাসী। নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন পথচারীরাও।

রাসিক সূত্র জানায়, নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০ বছরব্যাপী মাস্টারপ্ল্যান ছিল। সেখানে সরকার তিন মেয়াদে অর্থ বরাদ্দ দেয়। প্রায় দেড় শ কোটি টাকার মাস্টারপ্ল্যানের মেয়াদ ছিল ২০২০ পর্যন্ত। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে গত বছর ও তার আগের বছর ড্রেনের কাদামাটি উত্তোলনের কাজ হয়েছে। মধ্যে প্রায় ১০ বছর এ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ কারণে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনগুলো পরিষ্কারে গুরুত্ব দিয়েছে রাসিক। এরই মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে জলাবদ্ধতা নিরসনে মাসব্যাপী প্রাইমারি ড্রেনের কাদামাটি অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু জানান, ভারী বর্ষণে নগরীর নিম্নাঞ্চলে অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মহানগরীর কলাবাগান এলাকায় সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এখান থেকে মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা এলাকায় সমস্যা কিছুটা বেশি। সেখানে ড্রেনের কাদামাটি অপসারণসহ ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলছে। এর সুফল এ বছরের মাঝামাঝি থেকে পাওয়া যাবে। সরিফুল ইসলাম আরও জানান, নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০ বছর মেয়াদের মাস্টারপ্ল্যানের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন নতুন করে একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা মুক্ত করতে প্রায় ৫০ ফুট চওড়া ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।

সর্বশেষ খবর