গাজীপুরে রেললাইনের ওপর কিংবা রেললাইনের পাশে ঝুঁকি নিয়ে কেনাবেচা করছেন কাঁচামাল দোকানিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। একদল দখলবাজ রেলের জায়গা দখল করে এমনকি রেললাইনের ওপর দোকান বসিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে। ফলে অনেকেই দুর্ঘটনায় পড়ছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রেলের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাজার ও স্থাপনা। এমনকি রেললাইনের ওপর দোকান বসিয়েও চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে টঙ্গী বৌবাজার, মধুমিতা, নতুন বাজার রেলগেট, রেলস্টেশন, বনমালা, হায়দরাবাদ, পূবাইল, জয়দেবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দখলরাজত্ব বহাল রয়েছে। তবে টঙ্গী বৌবাজার ও জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে ভয়াবহ অবস্থা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দখলদাররা রেলের উভয়পাশে ও রেলওয়ের জায়গা দখল করে বাজার ও দোকান বসিয়ে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নিয়মিত চাঁদা তুলছে। টঙ্গী বাজার গরুর হাটসংলগ্ন কবরস্থানের পাশে রেলের জায়গায় দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়কারী আবু মাদবর বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের জায়গা দখলে নিয়েছে, কিন্তু আমাদের বিল পরিশোধ না করায় আমরা দখল করে খাচ্ছি। আরও কিছু জানতে চাইলে স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলেন। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, কারও কোনো বিল বকেয়া নেই। এ বিষয়ে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কবির বেপারী বলেন, আমার লোকজন কিছু দোকান থেকে টাকা তোলে, তবে সব দোকান থেকে নয়। এ ব্যাপারে রেলের ঢাকা বিভাগীয় সম্পত্তি কর্মকর্তা বলছেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা অনেকেই আবার স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় দখলে মেতে উঠেছে।
