বিদ্যুৎ ভবনের পেছনে স্টাফ কোয়ার্টার, কোয়ার্টারের সীমানা ঘিরে জরাজীর্ণ ১২ ফুট প্রাচীন দেয়াল, দেয়ালের পাশে ৮ ফুট সরু রাস্তা। এ রাস্তা দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা। যাতায়াত করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছাড়াও এলাকাবাসী। গত বছর হঠাৎ মধ্য রাতে ভেঙে যায় পূর্ব দিকের প্রাচীর, উত্তর ও দক্ষিণ পাশের বাকি অংশ ভেঙে পড়তে পারে যে কোনো সময়। এরকম অবস্থায় ঝুঁকিতে চলছেন হেতেম খাঁ এলাকার মানুষ।
গত বছর এক মধ্যরাতে স্টাফ কোয়ার্টারের পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীর হঠাৎই ভেঙে পড়ে রাস্তার ওপর। দেয়ালের পূর্ব পাশের অংশটি পুনর্নির্মাণ হলেও থেকে গেছে পুরনো দেয়ালটির উত্তর ও দক্ষিণ দিকের বাকি অংশ। বিদ্যুৎ ভবনের কোয়ার্টারও এক সময়ের পুরনো বিল্ডিং। সেটিকে সংস্কার করা হয়েছে, করা হয়েছে চাকচিক্যময় আধুনিকায়ন। প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ বিভাগে দেয়ালটি সংস্কারে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন। মৌখিক অনুরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু স্টাফ কোয়ার্টার ভবনটির আধুনিকায়ন হলেও নজর দেওয়া হয়নি সীমানা দেয়ালটিতে।
রাজশাহী নগরীর হেতেম খাঁ কলাবাগান এলাকার নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ইউনিট-৪ এর কার্যালয় স্টাফ কোয়ার্টারের পেছনে। স্টাফ কোয়ার্টারের জরাজীর্ণ পুরনো সীমানা দেয়ালের পাশ দিয়েই সরু রাস্তাটি। ওই রাস্তা দিয়ে যেতে হয় হেতেম খাঁ আজিজর রহমান খলিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের।হেতেম খাঁ আজিজর রহমান খলিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. রিমা স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার কথা জানিয়ে ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগে লিখিত আবেদন করেন। তিনি বলেন, স্টাফ কোয়ার্টারের উত্তর পাশের সীমানা প্রাচীরটি ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শিশুরা দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক সৈয়দ আহমেদ জাকি বলেন, ‘বহুবার নেসকোকে বলেও কোনো সুফল পাইনি, ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি, কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস আলী সরদার বলেন, ‘দেয়ালটি নেসকোর। এটি শিশুসহ সবার জন্যই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। নেসকো কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেও কাজ হয়নি। আমি নিজেও কয়েকবার তাদের বলেছি। তারা বিষয়টি এখনো আমলে নেয়নি।’ নেসকো রাজশাহীর ইউনিট-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অনিত কুমার রায় বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পর আমাদের বিদ্যুৎ ভবনের সিভিল দফতরে নোট দিয়েছি, অফিশিয়ালি কাজ এগোচ্ছে। হয়তো অফিশিয়াল প্রসিডিওর শেষ হলেই কাজটি করা হবে।’