রাজশাহী নগরীর তালাইমারী থেকে বিনোদপুর পর্যন্ত ফুটপাতের ওপর অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে। কোথাও বাঁশের বেড়া দিয়ে দখলও করা হচ্ছে। বিনোদপুর বাজারে ফুটপাত দখল করে বিএনপির কার্যালয়ও বানানো হয়েছে। তালাইমারী থেকে বিনোদপুর পর্যন্ত দুই পাশে ফুটপাত দখল হওয়ায় মানুষ মূল সড়ক দিয়ে হাঁটছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নগরীর প্রবেশপথ এ রাস্তার ফুটপাত দখলমুক্ত করা দরকার। প্রয়োজনে পুরনো ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘মাঝখানে কিছুদিন পুলিশের সেভাবে সাপোর্ট ছিল না। এ কারণে বের হতে পারিনি। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। খুব দ্রুতই ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে।’
রাজশাহীর তালাইমারী মোড় থেকে কাটাখালী বাজার পর্যন্ত সড়কটি নগরীর প্রধান প্রবেশদ্বার। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের এ ৪ দশমিক ১০ কিলোমিটার অংশ ছয় লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। সাড়ে ৯৩ কোটি টাকায় কাজটি ২০২১ সালের অক্টোবরে শুরু হয়। রাস্তার কাজ পুরো শেষ না হলেও ফুটপাত দখল শুরু হয়েছে। নগরীর তালাইমারী থেকে রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত দখল করা হয়েছে। তবে রাস্তার উত্তর পাশে দখলের পরিমাণ বেশি। তালাইমারী সংলগ্ন রুয়েট এলাকায় ফুটপাতের ওপর একাধিক চায়ের দোকান, নার্সারি, ভাঙারির দোকান, ট্রাক ভাড়া দেওয়ার দোকান বসানো হয়েছে। কাজলা এলাকায়ও ফুটপাত ঘেঁষে ব্যবসা করা দোকানিরা ফুটপাত দখলেই রাখছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ও ফটকের পূর্ব পাশ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস স্টাডিজ বিভাগ পর্যন্ত উত্তর পাশের ফুটপাত দখলে নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় ফুটপাতে সবজি, মাছ, মাংসের বাজার, চায়ের দোকান, খাবার দোকান, সাইকেল-ভ্যান-মোটরসাইকেল সারানোর দোকান, বাস কাউন্টারের দোকান বসানো হয়েছে। কেউ কেউ বাঁশ দিয়ে জায়গা দখলেও রেখেছে।
সম্প্রতি নগরীর বিনোদপুর এলাকায় বিএনপির কার্যালয় বসানো হয়েছে। ফুটপাতের ওপর কার্যালয় লেখা একটি বিশাল ব্যানার দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যানারে শহীদ জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর ছবিও দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী বলেন, ফুটপাতে কার্যালয় করার বিষয়টি তার জানা নেই। অনেক আগে বিনোদপুরে একটি কার্যালয় ছিল। হয়তো অনেকেই দোকান বসিয়েছে। তার সঙ্গে কার্যালয় হয়তো বসিয়েছে। ফুটপাতে কোনো কার্যালয় থাকবে না।