শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১৬

লিভিং লিজেন্ড সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
লিভিং লিজেন্ড সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

সমাজে এমন কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ করেন, যাদের কাজ ও চিন্তার বহুমুখিতা অনুকরণীয়। আজীবন শিক্ষাব্রতী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তেমনি একজন মানুষ। বিত্তবৈভব, ক্ষমতার মোহ তাকে কখনো স্পর্শ করেনি। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করে আজও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন। গবেষণা, লেখালেখি, পত্রিকা সম্পাদনা, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অদ্বিতীয় কাণ্ডারি তিনি। মৃদুভাষী, নিরহঙ্কারী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রুচি ও ব্যক্তিত্বের এক অনন্য উদাহরণ। এই জনবুদ্ধিজীবী আজ আশি বছরে পদার্পণ করছেন।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন— শেখ মেহেদী হাসান

 

আপনার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে রাজশাহী, কলকাতা ও ঢাকায়। মনে পড়ে পুরনো দিনের কথা।

আমাদের গ্রামের বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর। আমার শৈশবের প্রথম দিকটা কেটেছে গ্রামের বাড়িতে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। বাবা বদলি হয়ে রাজশাহী, কলকাতা, ময়মনসিংহ এবং এক সময় ঢাকায় আসেন। সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করি ১৯৫০ সালে। ওই সময় সেন্ট গ্রেগরি স্কুলটা কলেজ হয়ে গেল, আমি সেখানেই ভর্তি হলাম। কলেজটা পরে নটর ডেম হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। ছেলেবেলায় আমি যেখানেই থেকেছি সেখানে নদী পেয়েছি। নদীর সঙ্গে আমার শৈশবের সম্পর্কটা মধুর। 

 

ভাষা আন্দোলনে তো আপনার সম্পৃক্ততা ছিল। ওই সময়ের কথা যদি বলেন।

১৯৫২ সালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হই। আমাদের বাসা ছিল বেগমবাজারে। আমরা রমনা দিয়েই যাতায়াত করতাম। একুশের আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি, বিক্ষোভ হয়েছে। ’৫২-তে এসে এটা প্রবল আকার ধারণ করে। একুশে ফেব্রুয়ারির আগে যে মিছিল হয়েছিল তাতে আমি অংশ নিয়েছিলাম। তখন আমি কলেজে পড়ি। ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত পর্বে ঢাকা মেডিকেলের আউটডোরের সামনে আমতলায় যে জমায়েত হয়েছিল সেখানেও আমি গিয়েছি। পুলিশ ছাত্রদের ওপর কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ল, যে অভিজ্ঞতা আগে কখনো আমাদের ছিল না। পুকুরের পানিতে রুমাল ভিজিয়ে চোখ মুছে আমতলার পেছনের রেললাইন দিয়ে আমরা বাসায় চলে যাই। ওইদিন গুলিতে কয়েকজন ভাষাসংগ্রামী শহীদ হন। আমরা মিছিল নিয়ে সদরঘাটে গিয়ে দেখি সাধারণ মানুষ মর্নিং নিউজ অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। একটা অভূতপূর্ব ঘটনা। ঢাকা শহরে এ রকম কখনো ঘটেনি। একুশে ফেব্রুয়ারির আগে পুরান ঢাকার মানুষ এ আন্দোলনে যোগ দেয়নি। এ আন্দোলন ছিল রমনা ও বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। কিন্তু পুলিশের গুলি চালানোর পর আবহাওয়াটা বদলে গেল। আমরা দেখলাম পুরান ঢাকার মানুষ এ আন্দোলনে আসছে। তারা নানাভাবে ছাত্রদের সাহায্য করছে। একুশের ঘটনায় নবাববাড়ী মুসলিম লীগের যে ঘাঁটি সেই ব্যবধানটা ভেঙে গেল। এটা মধ্যবিত্তেরই আন্দোলন।

 

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আপনি জয়ী হয়েছিলেন?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আমি নতুন জীবন পেয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাটা ছিল একেবারে খোলামেলা। আমরা হেঁটে হেঁটে ক্লাস করতে যেতাম। এত সুন্দর গাছপালা। গাড়িঘোড়ার ভিড় নেই। আমাদের জীবনটা খুব আনন্দের ছিল। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। আমরা আজিমপুর কলোনিতে ছাত্রসংঘ এবং একটি পাঠাগার গড়ে তুলি। মধ্যবিত্তের আকাঙ্ক্ষাটা ছিল একেবারে লেখাপড়াকেন্দ্রিক। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে নিয়মিত নির্বাচন হতো। আমি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ওই ইলেকশনে দাঁড়িয়ে গেলাম। নিয়ম ছিল, ছাত্র সংসদের সদস্য হবে ফার্স্ট ইয়ার থেকে। হল সংসদ নির্বাচনে রাজনীতি চলে এলো। এর আগে হল নির্বাচন হতো পারস্পরিক চেনাজানা, জেলার আনুগত্যের ভিত্তিতে। একদিকে মুসলিম লীগের পক্ষের ছাত্র এবং তার বিরুদ্ধের ছাত্র। ওই সময় সলিমুল্লাহ হলে গণতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট গড়ে ওঠে। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন তখন গঠিত হয়েছে মাত্র। আমরা বলে থাকি, যুক্তফ্রন্টের ধারণাটা এখান থেকে তৈরি হয়। আমি এই ধারার সঙ্গে ছিলাম। অন্যদিকে নির্বাচনে আমরা বিপুল ভোটে জিতলাম। সভাপতি হলেছিলেন শামছুল হক [বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভায় পাটমন্ত্রী]। ওই সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানে মাইক্রোফোনে চেঁচামেচি, লিফলেট ছাপানো, বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া ইত্যাদি। মেয়েদের সংখ্যা কম ছিল, তাদের কোনো হল ছিল না। মেয়েরা বর্তমান প্রেসক্লাবের পাশে অবস্থিত চামেলি হাউসে থাকত। তারা বিভিন্ন হলের সঙ্গে অনাবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। তখন একটা রাজনৈতিক মেরুকরণ হলো। আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছে। আবার ’৫৪ নির্বাচন হবে এ রকম সম্ভাবনা। আমরা চমৎকার একটি সাংস্কৃৃতিক জীবন পেয়েছিলাম।

 

আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হলেন কবে?

১৯৫৬ সালে আমি এমএ পরীক্ষা দিয়েই মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে চাকরি পেয়ে গেলাম। সপ্তাহে ছয় দিন সেখানে থাকতাম। সপ্তাহশেষে চলে আসতাম বাসায়। ওখানে খুব ভালোই কাটত। তারপর কিছুদিন জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা করি। আমাদের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন ছিল। চাকরির পদের সংখ্যা খুব সীমিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক যদি পদত্যাগ, অবসর বা পরলোগ গমন করতেন তখন আমরা সুযোগ পেতাম। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলাম ১৯৫৭ সালে। তখন কোনো কোনো শিক্ষক কিছুদিন শিক্ষকতা করে সিভিল সার্ভিসে চলে যেতেন। এর ফলে বিভাগে পদশূন্য হতো। তা ছাড়া সিভিল সার্ভিস অনেক আকর্ষণীয় ছিল। ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মুজিবুল হক সিভিল সার্ভিসে যাওয়ায় তার স্থলে যোগ দিলেন কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ। তিনি আমার দুই বছরের সিনিয়র।  কয়েক মাস পর তিনিও সিভিল সার্ভিসে চলে যান। তখন তার জায়গায় আমি ঢুকতে পারলাম। দুটো কারণে এই চাকরিটা আমি পছন্দ করেছিলাম। আমার বাবা সব বাবার মতো চাইতেন, আমি সিভিল সার্ভিসে যাব। আমাদের সময় ওটাই নিয়ম ছিল। আমার শিক্ষকতার মূল কারণ ছিল এ চাকরির কোনো বদলি নেই। দ্বিতীয় আকর্ষণ ছিল গ্রন্থাগারটা। তখন ঢাকার সব পাড়ায় পাড়ায় গ্রন্থাগার ছিল। আর ছেলেবেলা থেকে পড়াশোনা আমার ভালো লাগে। আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেই শিক্ষকতা জীবন খুব উপভোগ করছিলাম।

 

 

উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গেলেন কবে?

১৯৫৯ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তি পেয়ে আমি ইংল্যান্ড গেলাম। দশ মাসের বৃত্তি নিয়ে গেলাম ইংল্যান্ডের লিডস শহরে। এই প্রথম বাড়ি থেকে প্রকৃত অর্থে বিচ্ছিন্ন হলাম। ওখানে একটা পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা করে দেশে ফিরে আসি। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার বিচ্ছিন্নতা তৈরি হলো ১৯৬৫ সালে। কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে গেলাম ইংল্যান্ডের লেস্টারে। সেবার দুই বছর আট মাস ছিলাম। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি জীবন শুরু করে ২০০২ সালে অবসর নিলাম। এই দীর্ঘ সময় আমি ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। এই সময়টা খুব উপভোগ্য ছিল আমার জন্য। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।

 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অধ্যাপক হিসেবে আবার ফিরে এলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

২০০২ সালে কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর আমরা ‘সমাজ রূপান্তর অধ্যয়ন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করলাম। আমাদের লক্ষ্য হলো, এটি গবেষণাকেন্দ্র হবে, পত্রিকা প্রকাশনা করব এবং বইও প্রকাশ করব। আমরা সে কাজটি করছি। এর মাঝে মঞ্জুরি কমিশন অধ্যাপকশিপ তৈরি হলো। আমি আবার চার বছরের জন্য যোগ দিলাম। তারপর কিছুদিন অনারারি অধ্যাপক থাকলাম। ২০০৮ সাল থেকে ইমেরিটাস অধ্যাপক হয়েছি। সুতরাং আমার কর্ম ও শিক্ষাজীবনে একটা ধারাবাহিকতা ছিল।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তনগুলো আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়?

আমাদের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংখ্যা কম ছিল, শিক্ষকও কম ছিল। আমরা শিক্ষকরা অন্য বিভাগের শিক্ষকদের সম্পর্কেও জানতাম। হল জীবনটা বেশ প্রাণবন্ত ছিল। হলে নাটক হতো, ডিবেট হতো সেখানে শিক্ষকরা যেতেন। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিচারক হয়ে যেতেন। শিক্ষকদের সঙ্গে আদান-প্রদানটা কেবল ক্লাসেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য সভা, আলোচনা অনুষ্ঠান হতো। শিক্ষকদের জন্য আজকের মতো এত সুযোগ ছিল না। কনসালটেন্সি, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, বিদেশ যাওয়া খুব কমই ছিল। শিক্ষকরা সব সময় ক্যাম্পাসে থাকতেন। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগটা খুব প্রত্যক্ষ ছিল। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ভালো ছিল। ছাত্ররা শিক্ষকদের সঙ্গে মিশত। আবার ছাত্ররা শিক্ষদের শ্রদ্ধাও করত। তাদের জ্ঞানানুশীলন ছিল। তখন সিগারেট খাওয়াটা একটা সাধারণ অভ্যাস ছিল। দুরন্ত ছেলেদেরও দেখেছি, তারা শিক্ষকদের দেখলে সিগারেট লুকিয়ে ফেলত এবং সংকোচবোধ করত। বলা যেতে পারে একটা সামন্ততান্ত্রিক ছিল। সবার মধ্যে বেশ অন্তরঙ্গতা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমাগত বড় হতে থাকল এবং এসব নৈর্ব্যক্তিক হতে থাকল। একটি জিনিস মনে পড়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটা সামাজিক সাম্য ছিল। ধরা যাক স্কুলে যখন পড়ি, তখন পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনের ছেলে আনোয়ারুল আমিন আমাদের সঙ্গে পড়ত। সেও পাবলিক বাসে যাতায়াত করত। গাড়ি নিয়ে স্কুলে যাবে এ ধারণাই ছিল না। অনেক ছাত্র-ছাত্রীর হয়তো গাড়ি ছিল, তারপরও তারা গাড়ি বাইরে রেখে নেমে হেঁটে আসত। শিক্ষকদের মধ্যে মজহারুল হক সাহেবের পুরনো একটি ফোর্ড গাড়ি ছিল। আর কারও কোনো গাড়ি ছিল না। আইয়ুব খান আসার পরে আমাদের সামাজিক ছবিটা বদলে গেল। নানা রকম অর্থ উপার্জনের সুযোগ আইয়ুব খান তৈরি করে দিল। ওই সময় শিক্ষকরা যারা বিদেশ যেতেন তারা সঙ্গে করে একটি গাড়ি নিয়ে আসতেন। গাড়ি আনতে কোনো ট্যাক্স দিতে হতো না। শিক্ষকরা গাড়ি নিয়ে আসতেন ঠিকই কিন্তু তারা কিছুদিন ব্যবহার করে বেশি দামে গাড়ি বিক্রি করে দিতেন।

 

আমাদের দেশে পুঁজিবাদের বিকাশটা কখন হলো?

পিএইচডি শেষে ১৯৬৮ সালে দেশে ফিরে দেখি একটা বিকৃত পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, বিলাসিতা বাড়ছে। মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বেড়ে গেছে। মোনায়েম খানের অত্যন্ত অকল্পনীয় বর্বরতার কাহিনী শুনলাম। তারপর ধীরে ধীরে ঘটনাগুলো ১৯৬৯ এর অভ্যুত্থানের দিকে গেল। অভ্যুত্থানের পর সমাজের চেহারা বদলে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা বদলে গেল। মোনায়েম খানের গুন্ডা-বাহিনীর কেউ খুন হলো, কেউ গুম হলো, কেউ উধাও হয়ে গেল। তার সময় কার্জন হলের সামনে দিয়ে মেয়েরা যেতে পারত না। বিশ্ববিদ্যালয়টা তারা অনিরাপদ করে তুলল। আমরা দেখলাম যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া একেবারে বদলে গেছে। ঊনসত্তরের পর একাত্তরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছিল সবচাইতে নিরাপদ। কিন্তু ২৫ মার্চ রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় সবচাইতে অনিরাপদ হয়ে গেল। ওই সময় ভয়ঙ্কর রকম একটা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এলাকায় পরিণত হলো ক্যাম্পাস।

 

মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বড় বিপদের সময়। ২৩ মার্চ বাংলা একাডেমিতে ভবিষ্যতের বাংলা সম্পর্কে সভা করি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সভা করি, মিছিলে যাই ইত্যাদি। আমাদের একটা সংগঠন ছিল সংগ্রামী লেখক শিবির। এর পক্ষ থেকে আমরা সভা-সমিতি করতাম। ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে ইকবাল হলের ছেলেরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এসে বলল, পাকিস্তান আর্মি চলে এসেছে, মনে হয় ভয়ঙ্কর কোনো ঘটনা ঘটবে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমি তখন জগন্নাথ হলের উল্টো দিকে কোয়ার্টারে থাকি। রাতের জগন্নাথ হলের ছাত্রদের কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, সলিমুল্লাহ হলের ছাত্রদের কীভাবে হত্যা করা হয়েছে এসব কাহিনী আসতে থাকল। ছেলেরা কেউ কেউ আমাদের বাসায় এসে আশ্রয় নিল। ২৬ মার্চ সকালে কারফিউ দিল। পরে ২৭ তারিখ কারফিউ ভাঙলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। আমরা নানা জায়গায় থেকেছি। এ জন্য বেঁচে গেছি। আর্মিরা আমার ঠিকানা জানত না। আর্মিদের হত্যার তালিকায় আমারও নাম ছিল। আমার এক আত্মীয় ছিলেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে। তিনি আমাকে সতর্ক করেছিলেন। টিক্কা খান যাওয়ার আগে আমাদের ছয়জন শিক্ষকের নামে চিঠি দিয়ে গেলেন। সেখানেও আমাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তখন বুঝতে পারি, দেশ স্বাধীন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আসা হবে না। ৭ ডিসেম্বর ওয়ারীতে এসে আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। ১৪ ডিসেম্বর এখানে কি কাণ্ড ঘটেছে সেটা আমি জানিই না। কিন্তু ওই দিন এ জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। ওই কয়েক দিন বেশ উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিল। তারপর ১৬ ডিসেম্বর স্যারেন্ডার হলো। ১৭ তারিখ এক সহকর্মী বললেন, আপনি বেঁচে আছেন এখনো! স্বাধীনতা যখন পেলাম তখন একটা মিশ্র অভিজ্ঞতা হলো। আমার অনেক পরিচিত চেনা-জানা মানুষ মারা গেছেন। বিজয়ের পর মনে হলো অনেকটা যেন রোগমুক্তি। যেন বিরাট অসুখ থেকে আমরা সেরে উঠলাম।

 

স্বাধীনতা-উত্তর কোন কোন ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে বলে আপনি মনে করেন?

স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলল। সদ্য স্বাধীন দেশ। আমাদের অনেক আকাঙ্ক্ষা। আমাদের বিভাগের কথা যদি ধরি, ড. খান সারওয়ার মুর্শিদ ছিলেন, উনি চলে গেলেন রাজশাহীতে ভিসি হয়ে। আমি রিডার থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান হয়ে গেলাম। যেটা আমার ধারণার মধ্যে ছিল না। এই জাগতিক উন্নতিটা আমাদের হলো। আমাদের পদ খুলে যাচ্ছে, আমরা প্রফেসর হচ্ছি, আমাদের বাসাগুলো বড় হচ্ছে। শহীদ মিনারের উল্টো দিকে যে বাসা আমি পেলাম তা কখনো আমার পাওয়ার কথা না। এগুলো ছিল সবচেয়ে বড় বাসা, যা তৈরি হয়েছিল বিদেশি শিক্ষকদের জন্য। কাজেই ওই বাসা একটা পেয়ে গেলাম। এগুলো আমাদের প্রাপ্তি। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা বের করলাম। চতুর্দিকে বিশৃঙ্খলা। নানাজনরা দখল করে নিচ্ছে। রাজনৈতিক জীবনে একদলীয় শাসনের দিকে চলে যাচ্ছিল। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন এসেছে। নারীর অপূর্ব জাগরণ হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল শোষণমুক্ত সমাজ। শোষণমুক্ত সমাজ ও সামষ্টিক উন্নয়নে আমরা পিছিয়ে।

 

শুনেছি দুবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন?

১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি অধ্যাদেশ পেলাম। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্বায়ত্তশাসন চলে এলো। নির্বাচন চলে এলো। আমার অবস্থানটা বরাবরই ছিল প্রতিষ্ঠানবিরোধী। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আমার আনুগত্য ছিল না। আমি কখনো চিন্তাই করিনি উপাচার্য হব। আমরা সিনেট, সিন্ডিকেট ইলেকশনে দাঁড়িয়েছি। সিনেট তিনজনের ভিসি প্যানেল দেয়, আমার নামও আসছে। আমি নির্বাচিত হয়েছি। তিনজনের প্যানেলের মধ্যে আমি সর্বোচ্চ ভোট পাই। তখন প্রশ্ন এলো আমি কী সত্যি সত্যি উপাচার্য হতে চাই? এরশাদের শাসনামলে আমি কি পারব? সেটা কি শোভন হবে? আমার স্ত্রী তখন জীবিত। তার ধারণা ছিল, এই পদটা আমার না। পরে আরও একটি সুযোগ আসে। কিন্তু আমি লেখাপড়া করতে চেয়েছিলাম, প্রশাসনিক কাজ করতে চাইনি।

 

‘বাঙালির জাতীয়তাবাদ’ এবং ‘জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি’ নামে আপনার দুটি বিখ্যাত বই আছে।

‘বাঙালির জাতীয়তাবাদ’-এ বাঙালির জাতীয়তাবাদের চরিত্র, ধরন ও বিকাশের ওপরে ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং শ্রেণি সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সূচনাকাল থেকে। আর ‘জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি’ বইতে ১৯০৫-১৯৪৭ পর্যন্ত বাংলা তথা ভারতের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের চরিত্র, সবলতা ও দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যার মূল দৃষ্টিভঙ্গি ‘জনগণের মুক্তি’।

 

নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে আপনি যুক্ত আছেন, এ আন্দোলনের অর্জন কতটুকু।

ওসমানী উদ্যানে গাছ কেটে ফেলছিল। পুরান ঢাকার মানুষেরা সেখানে হাঁটে। তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও বাম সংগঠনের কিছু ছাত্র এর প্রতিবাদ করি। ওই প্রতিবাদ বেশ সরব হয়ে ওঠে এবং মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিজয় হয়। আমরা এটাকে মানুষের অধিকারের প্রতীক হিসেবে ধরি। লালনের আখড়া রক্ষার জন্যও আমরা চেষ্টা করেছিলাম, সফল হয়নি।

 

আপনার পরিবারের কথা একটু জানতে চাই।

আমাদের দুটি মেয়ে রওনাক আরা চৌধুরী ও শারমীন চৌধুরী। রওনাক সমাজবিজ্ঞান থেকে পাস করেছে। ১৯৮৯ সালে ওর মা অধ্যাপক নাজমা জেসমিন চৌধুরী যখন মারা গেল তখনো সে ছাত্রী। এর মধ্যেই ওর বিয়ে হয়েছে। তারপর তো আমাদের দেখাশোনা, পারিবারিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে। তাই আর পেশাগত জীবনযাপন করতে পারেনি, স্বামীর ঘর-সংসার করে। শারমীন ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি করেছে, সে বুয়েটের মানববিদ্যা বিভাগের ইংরেজি শাখার সহকারী অধ্যাপক।

আপনাকে ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ।

এই বিভাগের আরও খবর
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
সর্বশেষ খবর
জবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, আটক ১
জবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, আটক ১

২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সালমান-আনিসুল-মামুন ফের রিমান্ডে
সালমান-আনিসুল-মামুন ফের রিমান্ডে

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

২২ মিনিট আগে | বাণিজ্য

চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে যৌন নিপীড়ন, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চেহারায় পরিবর্তন আনতে গিয়ে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলীয় টিকটকারের জীবন
চেহারায় পরিবর্তন আনতে গিয়ে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলীয় টিকটকারের জীবন

২৭ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুবাইয়ে ভালোবাসায় সিক্ত ‘ক্যাফে ২১’
দুবাইয়ে ভালোবাসায় সিক্ত ‘ক্যাফে ২১’

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মে দিবসে বন্ধ থাকবে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল
মে দিবসে বন্ধ থাকবে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল

৫৩ মিনিট আগে | বাণিজ্য

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে ‘বৈশাখের পঙক্তিমালা’
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে ‘বৈশাখের পঙক্তিমালা’

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গরমে শরীরে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না যেভাবে বুঝবেন
গরমে শরীরে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না যেভাবে বুঝবেন

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সুশান্তের মৃত্যুর পর যে কঠিন সময় পার করেছেন রিয়া
সুশান্তের মৃত্যুর পর যে কঠিন সময় পার করেছেন রিয়া

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আবারও সক্রিয় স্বপন-আমিন চক্র
আবারও সক্রিয় স্বপন-আমিন চক্র

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিম্বাবুয়েকে কত রানের লিড দিতে চায় বাংলাদেশ?
জিম্বাবুয়েকে কত রানের লিড দিতে চায় বাংলাদেশ?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন আদেশের অপেক্ষায় বাদী
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন আদেশের অপেক্ষায় বাদী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু
কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ঝড়ের আভাস, ১১ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
ঝড়ের আভাস, ১১ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বাড়তে পারে গরম
রাজধানীতে বাড়তে পারে গরম

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

শ্রমিকদের মানবাধিকার নিশ্চিতের দাবি ব্রিটিশ এমপি আফসানার
শ্রমিকদের মানবাধিকার নিশ্চিতের দাবি ব্রিটিশ এমপি আফসানার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুমিনের জীবনে প্রকৃত সুখ ও সফলতা
মুমিনের জীবনে প্রকৃত সুখ ও সফলতা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সর্বাধিক পঠিত
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি
কাশ্মীর ইস্যু: প্রতিশোধ নিতে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে যে সতর্কবার্তা দিলেন এরদোয়ান
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে যে সতর্কবার্তা দিলেন এরদোয়ান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল
অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে: মির্জা ফখরুল

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, আবারও আমেরিকা থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করল চীন

২০ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক
পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করল তুরস্ক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’
‘ঢাকার প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না’

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের, সীমান্তে উত্তেজনা
ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের, সীমান্তে উত্তেজনা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের
খোঁজ নেই টাঙ্গাইলের সেই নাজিরের, চিন্তায়-অস্থিরতায় দিন কাটছে পরিবারের

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনাকন্যা পুতুলের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ
হাসিনাকন্যা পুতুলের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন ভারতের
সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন ভারতের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ এখন আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব
‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস
ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি ইতিহাস

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা : ইমরান খানের মুক্তি চেয়ে ঐক্যের আহ্বান জানাল পিটিআই
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা : ইমরান খানের মুক্তি চেয়ে ঐক্যের আহ্বান জানাল পিটিআই

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতে ঝুঁকিতে ১২-১৭ বছরের কিশোরীরা, চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা
আমিরাতে ঝুঁকিতে ১২-১৭ বছরের কিশোরীরা, চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত
মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে জিতেই ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনে জিতেই ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে উজ্জীবিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে উজ্জীবিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেমন আছে কাশ্মীর?
কেমন আছে কাশ্মীর?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ