শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাশিয়ায় জারদের শাসন

তানভীর আহমেদ

রাশিয়ায় জারদের শাসন

তিন মহাদেশজুড়ে রুশ সাম্রাজ্য

তৃতীয় ইভান রুশ সাম্রাজ্যের ভিত মজবুত করতে যুদ্ধ শুরু করেন সুইডিস ও পোলিশদের বিপক্ষে। রুশ জার বা সম্রাটদের আধিপত্য বিস্তার, রাজ্য দখল, যুদ্ধের ইতিহাস এখান থেকেই লেখা হয়।

রুশ জার মানে রুশ সম্রাট। রাজতন্ত্রে পরিচালিত রুশ সাম্রাজ্যের মানচিত্র ছিল গোটা বিশ্বব্যাপী। তিনটি মহাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল রুশ সাম্রাজ্য। ইউরোশিয়া, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ- কোথায় নয়! মানব ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম এই সাম্রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন বেশ কয়েকজন জার বা সম্রাট। এক সময় মঙ্গোলরা রুশ অঞ্চলে হামলা চালাত। সেই বিদ্রোহ ঠেকাতেই সংগঠিত হয় রুশরা। কয়েক শ বছর রুশ জারদের মোকাবিলা করতে হয়েছে সুইডিস, পোলিশ, লিথুনিয়ান সম্রাটদের। ইউরোপে নেপলিয়নের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও রুখতে হয়েছে রুশ জারদের। রুশদের মঙ্গোলিয়ানদের হাত থেকে আত্মপরিচয়ে, স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন গ্র্যান্ড ডিউক ইভান। তার বংশেই শাসক হিসেবে এসেছিলেন তৃতীয় ইভান। ১৯৩৩ সালে তৃতীয় ইভানের শাসন শুরু হয়। ১৫৪৭ সালে তার শাসনামলেই রুশ সাম্রাজ্যে ‘জার’ শব্দের প্রচলন। তৃতীয় ইভান নিজেকে রুশ জার হিসেবে রুশ সাম্রাজ্যকে বিস্তৃত ও সামরিকভাবে শক্তিশালী করেছিলেন। তৃতীয় ইভান রুশ সাম্রাজ্যের ভিত মজবুত করতে যুদ্ধ শুরু করেন সুইডিস ও পোলিশদের বিপক্ষে। রুশ জার বা সম্রাটদের আধিপত্য বিস্তার, রাজ্য দখল, যুদ্ধের ইতিহাস এখান থেকেই লেখা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তৃতীয় ইভান রুশ জারের সামরিক উচ্চাভিলাষ ছিল। রুশ সাম্রাজ্যে যোগ করেন সাইবেরিয়া। ইউরোপে রুশদের দাপট দেখা যায়। তৃতীয় ইভানের পর একেক জারের হাতে রুশ সাম্রাজ্য একেক পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে যায়। কখনো হানাহানি, কখনো অর্থনৈতিক দুরবস্থা। আবার কখনো যুদ্ধজয়ে রুশদের নামে কাঁপত গোটা পৃথিবী। রুশ সাম্রাজ্যকে শক্ত ভিত গড়ে দেন ১৬ বছরের এক তরুণ জার মিখাইল রোমানভ। সামরিক সুব্যবস্থাপনা, রাজ্য ভাগ করে শাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শত্রু রাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ মীমাংসা করেছিলেন তিনি। রুশ সেনাদের অপ্রতিরোধ্য করেছিলেন তিনি।

 

শেষ জার দ্বিতীয় নিকোলাস

১৯০৫ সালে জাপানের সঙ্গে রুশরা যুদ্ধে জড়ালে তার ফলাফল যায় জাপানের পক্ষে। জার দ্বিতীয় নিকোলাসের এই সামরিক দুর্বলতা টের পায় বিশ্ববাসী। দ্বিতীয় নিকোলাসের বিদায় ঘণ্টায় প্রথম বাড়ি লাগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে

রোমান সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট দ্বিতীয় নিকোলাস। উচ্চাভিলাষী দ্বিতীয় নিকোলাসের সমর জ্ঞানের দুর্বলতা ও সাধারণ জনগণের মনের কথা বুঝতে না পারার চরম খেসারত দিতে হয়েছিল তাকে। জার শাসনের সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে শেষ হুঙ্কার দিয়েছিলেন তিনি। ১৮৯৪ সালে তৃতীয় আলেক্সান্ডারের পর সম্রাটের সিংহাসনে বসেন তিনি। আগের সম্রাটের দুর্বল শাসন ও কৃষিক-শ্রমিকদের কোণঠাসা করে রাজ্য পরিচালনার সুযোগ নিয়েছিল বিদ্রোহী ও শত্রুপক্ষ। অতিমাত্রায় রক্ষণশীল হওয়া ও শাসনব্যবস্থায় রুশীয়করণের কারণে বিদ্রোহীরা বহুদিন ধরেই ক্ষোভের আগুনে পুড়ছিল। বিদ্রোহের মূল জ্বালানি আসে কৃষকদের মধ্য থেকে। দ্বিতীয় আলেক্সান্ডারের সার্ফ প্রথার ত্রুটি তত দিনে বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছিল। যদিও দ্বিতীয় আলেক্সান্ডারের সার্ফ প্রথা কৃষকদের জমি ক্রয় ও ফসল তোলার সুযোগ তৈরি করেছিল, তার সুফল পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় নিকোলাসের সামরিক উচ্চাভিলাষ রুখে দিয়েছিল জাপান। ১৯০৫ সালে জাপানের সঙ্গে রুশরা যুদ্ধে জড়ালে তার ফলাফল যায় জাপানের পক্ষে। জার দ্বিতীয় নিকোলাসের এই সামরিক দুর্বলতা টের পায় বিশ্ববাসী। দ্বিতীয় নিকোলাসের বিদায় ঘণ্টায় প্রথম বাড়ি লাগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। জার্মানির বিশাল সেনাবাহিনীর সঙ্গে রুশ সৈন্যরা দীর্ঘদিন কেবল আত্মাহুতি দেওয়া ছাড়া তেমন কিছুই করতে পারেননি। প্রাপ্তবয়ষ্ক পুরুষদের সেনায় যোগ দিতে বাধ্য করা, যুদ্ধে বিশাল প্রাণক্ষয়ে রুশদের সামরিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো প্রায় ভেঙে পড়ে। তার শাসনামলে সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান থেকে জন্ম নেওয়া ক্ষোভ ছড়িয়ে যায় সাধারণ শ্রমিক-কৃষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে।

 

যুদ্ধের পর যুদ্ধে নড়বড়ে শাসন

রাশিয়ার জারদের শাসনের ইতিহাস যুদ্ধের ইতিহাস। ইউরোপের জারদের আধিপত্য বিস্তারের মানচিত্র দেখলে স্পষ্ট হয়, রাশিয়ার সম্রাটরা বার বার যুদ্ধে জড়িয়েছে। কখনো সাম্রাজ্য ছড়িয়ে দিতে, কখনো বিদ্রোহীদের দমন করতে। রুশ সাম্রাজ্য পরিচালনায় জাররা বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। শুরুর দিকে স্রেফ রাজার আঙ্গুলের ইশারায় সাম্রাজ্য পরিচালনায় ঝোঁক থাকলেও, পোলিশদের বিদ্রোহ রুশ জারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। এ ছাড়া রাজ্য বিস্তারে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে সামরিক অভিযান চালিয়েছিল রুশ জাররা। মঙ্গোলদের পরাজিত করে তৃতীয় ইভান জারদের গোড়াপত্তন করেছিলেন। সুইডিস ও পোলিশদের হটিয়ে দখল করে রুশ সাম্রাজ্য ছড়িয়ে দেন তিনি। তার মৃত্যুর পরই রুশ সাম্রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বহু জাতি-ধর্মের রুশ সাম্রাজ্যে তাই একনায়ক মিখাইল রোমানভের আবির্ভাব ঘটে। এই তরুণ তার সাম্রাজ্যকে ভাগ করে রাজ্য পরিচালক বসিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর কয়েকজন শাসকের পর প্রথম পিটারের হাতে যখন ক্ষমতা আসে তিনি ইউরোপের দিকে নজর দেন। লিথুনিয়া তত দিনে রুশদের দখলে। তুর্কিদের বিরুদ্ধে রুশ জারের আগ্রাসন শুরু হয়। প্রথম পিটার রুশদের সামরিক অবস্থান সুদৃঢ় করেছিলেন। তার পরবর্তী জারদের মধ্যে জার এনা রুশ সাম্রাজ্য ডেনিশ পর্যন্ত বিস্তৃত করতে পেরেছিলেন। ইতিহাসের পালাবদলে ইউরোপে রুশদের আধিপত্যে প্রথম ধাক্কা লাগে ফরাসি বিপ্লবের পর। ফরাসি বিপ্লবীদের বিপক্ষে লড়তে গিয়ে পরাজিত হয় রুশরা। ফ্রান্সে নেপোলিয়নের অবিশ্বাস্য উত্থান রুশদের হতভম্ব করে দেয়। রুশরা ফিনল্যান্ড ও সুইডেন আক্রমণ করেন। নেপোলিয়ন রুশদের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। রাশিয়া পরাজিত হলেও নেপোলিয়ন হার মানের ব্রিটেন ও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর কাছে। রাশিয়া এরপর দখল করে নেয় পোল্যান্ড,

লিথুনিয়া, আর্মেনিয়া, চেচনিয়া, আজারবাইজান। পরে রুশ জার প্রথম নিকোলাস তুর্কি অটোমানদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ান। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সহায়তায় তুর্কিদের পরাজিত করে রুশ সাম্রাজ্য আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। প্রথম নিকোলাসের এই শৌর্যের পরই রুশ জারদের জন্য অপেক্ষা করছিল যুদ্ধের পর যুদ্ধের অন্তিম পরিণতি।

 

কেন পতনের দিকে ছুটে যাওয়া

রুশ সাম্রাজ্য যত বড় হচ্ছিল জারদের আধিপত্য তত বাড়ছিল। এই অহমিকা কেবল সামরিক ক্ষেত্রে ছিল তা নয়। জার মানে সম্রাটদের পরিবারতন্ত্র ক্ষমতার চর্চা করত অনৈতিকভাবে। হাতে গোনা কয়েকজন সম্রাটবাদে  অন্য রুশ জারগণ কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ক্রীতদাস প্রথার চর্চা করেছিলেন। ক্রীতদাসের ছেলে ক্রীতদাস হবে- এই পরম্পরায়

কৃষকরা সব সময়ই নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। যে কারণে ক্ষোভ সব সময়ই সুপ্ত ছিল রুশ সাম্রাজ্যে। পোলিশরা রুশ সাম্রাজ্যের সাধারণ

কৃষক-শ্রমিকদের ওপর চালানো এই নিষ্ঠুরতা ভালো মতোই কাজে লাগিয়েছিল। যুদ্ধের পর যুদ্ধে রুশ জারগণ ব্যস্ত থাকলেও কৃষকদের উন্নয়নে তাদের গাফিলতি মোটা দাগে ছিল। ৩০০ বছরের বেশি শাসনামলে জারগণ রুশ সাম্রাজ্য যেখানে যতদূর নিয়ে গেছেন সেখানেই

কৃষক-শ্রমিকদের বেদনা পৌঁছেছিল। মিখাইল রোমানভ, প্রথম পিটার, প্রথম আলেক্সান্ডারসহ বেশ কয়েকজন রুশ জার ইউরোপসহ রুশ সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সফল হয়েছিলেন। সে সময় অবকাঠামো নির্মাণে তারা মনোযোগী ছিলেন। তবে একের পর এক যুদ্ধ সব সময়ই প্রজাদের ভুগিয়েছে।

 

ব্লাডি সানডে

জাপানের সঙ্গে পরাজিত রুশরা। সাল ১৯০৫। অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েছে রুশ সাম্রাজ্য। দরিদ্রতার সঙ্গে খাবার সংকট। একের পর এক যুদ্ধে কেবল প্রাণক্ষয়। সব মিলিয়ে জার দ্বিতীয় নিকোলাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে রাজপথে নামে সাধারণ কৃষক-শ্রমিকরা। জারের প্রাসাদ উইন্টার প্যালেস অভিমুখী সেই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফাদার গ্যাপন। জার দ্বিতীয় নিকোলাস সেনাবাহিনীকে বললেন মিছিলে গুলি ছুড়তে। বেসরকারি হিসাব মতে, প্রায় ৪ হাজার বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই নিষ্ঠুর, নির্মম হত্যাযঙ্গের দিনটিকে ডাকা হয় ব্লাডি সানডে। রুশ জারের এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের পরই বলতে গেলে রুশ বিপ্লবের বীজ বপন হয়েছিল।

 

রাসপুতিনে সর্বনাশ

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পক্ষে গোপন অবস্থান ছিল রাসপুতিনের। অথচ দ্বিতীয় নিকোলাসের প্রাসাদে বসেই নাড়তেন কলকাঠি। ভ-গুরু রাসপুতিনের প্রভাব এতটাই ছিল যে, নিজের সেনাবাহিনী জারের অবাধ্য হয়ে পড়েছে সেটাও টের পাননি দ্বিতীয় নিকোলাস। এর প্রমাণ মেলে ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের সময়। জার দম্পতিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ফেলেছিলেন ভ- ধর্মগুরু রাসপুতিন। যার মাশুল প্রাণ দিয়ে মেটাতে হয়েছিল দ্বিতীয় নিকোলাসকে।

জার শাসনের পতনে তার নামও তাই চলে আসে।

 

 

সৈন্যরাও যোগ দিলেন বিদ্রোহে

ফেব্রুয়ারি বিপ্লব নামে পরিচিত এই বিদ্রোহে জার দ্বিতীয় নিকোলাস সিংহাসন ছাড়তে বাধ্য হন। বিদ্রোহীদের সামাল দিতে যে দ্যুামো পরিষদ গঠন করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। রাজ্যে খাদ্য সংকট, দরিদ্রতা। সঙ্গে রাসপুতিনের সঙ্গে স্ত্রীর প্রেমের গুজব। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পক্ষে রাসপুতিন আর জারের স্ত্রীর সমর্থন ছিল, সব মিলিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার স্লোগান গিয়ে ঠেকল ‘জারের পতন চাই।’ ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারির ঘটনা। কৃষক-শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে শিক্ষার্থী বিদ্রোহীরা। জার দ্বিতীয় নিকোলাস সৈন্যদের বললেন, ‘যাও বিদ্রোহীদের ঠেকাও।’ সৈন্যরা এবার আর জারের কথা শোনেনি। সৈন্যরাও যোগ দিল বিদ্রোহীদের সঙ্গে। কার্যত ক্ষমতাশূন্য হয়ে পড়লেন রুশ জার দ্বিতীয় নিকোলাস।

 

 

বিপ্লবী লেনিনের হাতেই জারদের পতন

ভ্লাদিমির লেনিন ছিলেন কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ ও মার্কসবাদী রুশ বিপ্লবী। গণমানুষের অধিকার আদায়ের নেতা হিসেবে তিনি কিংবদন্তি তার ভক্তদের কাছে। ১৯১৭ সালের অক্টোবর। ফেব্রুয়ারিতে জার দ্বিতীয় নিকোলাসের পতন ঘটান এই নেতা। রাশিয়ার শাসন ব্যবস্থার ছক তখনো পুরোপুরি আঁকা হয়নি। বিদ্রোহীদের নিয়ে সশস্ত্র বলশেভিক বিপ্লব দেখল বিশ্ববাসী। বলশেভিকদের প্রধান নেতা লেনিনের রেড আর্মি তখন পুরো পিটার্সবার্গে আধিপত্য ছড়িয়েছে। মার্কসবাদী লেনিন সাধারণ কৃষক-শ্রমিকদের ভিতর সাম্যবাদ ও বিপ্লবের চেতনা জাগিয়েছিলেন। সে বছরই ৭ নভেম্বর লেনিনের রেড আর্মি সরকারি বাসভবন দখল করে ফেলে। পরের দিন পেত্রাগ্রেড বা উইন্টার প্যালেস দখল করে জার শাসকদের চূড়ান্ত পরিণতি রচনা করেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হন লেনিন। ১৯১৮ সালে রুশ জার দ্বিতীয় নিকোলাস এবং তার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। শেষ হয় রুশ জারদের দম্ভ।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর