মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় ফিরেছে প্রকৃতির প্রাণ

তা ন ভী র আ হ মে দ

করোনায় ফিরেছে প্রকৃতির প্রাণ

করোনা ঠেকাতে মানুষ থেকেছে ঘরবন্দী। সামাজিক দূরত্ব মেনে লকডাউন থেকে অনেকেই কাজে ফিরতে শুরু করেছে। দেশে দেশে কয়েক মাস ধরে চলেছে লকডাউন, জরুরি অবস্থা, কারফিউ। যান চলাচল বন্ধ ছিল। জনশূন্য হয়ে পড়ে জনপ্রিয় সব পর্যটনকেন্দ্র। মহামারী করোনা আতঙ্কে মানুষ যখন ঘরে বন্দী তখন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে প্রকৃতি। নাগরিক দৃশ্যপট থেকে যেসব পশুপাখি বহুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল তারা আবার নিজেদের জায়গায় ফিরতে শুরু করেছে। মানুষের মৃত্যু বিষাদের মধ্যে যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি। পরিবেশে কমেছে দূষণের মাত্রা। সমুদ্রসৈকতে দলবেঁধে জলকেলি করছে ডলফিন। সৈকতে নিশ্চিন্তে ডিম পাড়ছে লাখ লাখ অলিভ রিডলে কচ্ছপ। জনমানবশূন্য রাস্তায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে বুনো হরিণ, নীলগাই ও বিরল প্রজাতির সিভেট।

 

বিশুদ্ধ বাতাস, বড় শহরে ঝকঝকে নীল আকাশ

কয়েক মাস আগেও ধুলোয় ধূসর ছিল দিল্লি আর বেইজিংসহ বহু বড় শহরের আকাশ। মারাত্মক বায়ুদূষণে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। করোনায় কল-কারাখানাগুলো বন্ধ থাকায় বাতাসে ধূলিকণাসহ বিষাক্ত সব পদার্থের উপস্থিতি কমেছে। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতেও ধরা পড়েছে এই পার্থক্য। সুইস সংস্থা আইকিউ এয়ার ভিসুয়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ পর্যন্ত পর পর দুই বছর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল দিল্লি। কিন্তু মার্চের ২২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের ২৫ দিনের মধ্যেই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে রাজধানীর বাতাসে। শুধু দিল্লি নয়, লকডাউনের জেরে ভারতের ৯০টি শহরে ব্যাপক হারে দূষণের মাত্রা কমেছে। দিল্লি কিংবা মুম্বাইয়ের মতো জায়গায় দূষণ কমার পরিসংখ্যান থেকে অবাক হয়ে গিয়েছেন পরিবেশবিদরাও। ঝকঝকে নীল এখন দিল্লির আকাশ। চীন একাই ২০ শতাংশ কম গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করছে। কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নিউইয়র্কেও কার্বন নিঃসরণ কমেছে ১০ শতাংশ। কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠিন নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে গৃহবন্দী জীবন কাটায় ইউরোপিয়ানরাও। সড়কে গাড়ির পরিমাণ হাতে গোনা, ব্যবসায়িক কর্মকা-ও নেই। এতে ইউরোপের বাতাসও বিশুদ্ধ হয়ে ওঠে। ইউরোপের অধিকাংশ শহরে বায়ুদূষণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। বাতাসে কমেছে দূষিত পদার্থের পরিমাণও। ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ছবিতে তার প্রমাণ মিলেছে। করোনার সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন তারা বিশ্বের সব থেকে বিশুদ্ধ বাতাসের খোঁজ পেয়েছেন। আটলান্টিক মহাসাগরে এই বিশুদ্ধ বায়ুস্তরের অবস্থান বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানকার বাতাস এখনো মানুষের দ্বারা সৃষ্ট দূষণে নষ্ট হয়নি। গত বছরের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি ছিল সবচেয়ে ধূষিত বায়ুর শহর। বায়ুদূষণের তালিকায় বেশ কয়েক বছর ধরে শীর্ষে ছিল ভারতের রাজধানী। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে শহরটির বায়ুমানের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনের কারণেই দিল্লির বাতাসের এমন পরিবর্তন। লকডাউনের কারণে শুধু গাড়ি চলাচলই করেনি, তা নয়; সব ধরনের শিল্প কারখানাও বন্ধ ছিল। এমনকি মানুষও করোনার ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে কম। এক মাসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, গ্রিস, ইতালিসহ আরও বেশক’টি দেশের বায়ুদূষণের মাত্রা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। হংকং জানিয়েছে, কারখানাগুলো বন্ধের কারণে বাতাসের গুণমানের উন্নতি হয়েছে ২১.৫ শতাংশ। চীনের বায়ুদূষণের প্রভাবের শিকার হয়ে থাকে দক্ষিণ কোরিয়াও। ফলে এ মুহূর্তে দ. কোরিয়ার বায়ুও অনেক নির্মল।

 

কার্বন নিঃসরণ কমেছে বিশ্বব্যাপী

বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণের শতকরা ৩০ ভাগের জন্য দায়ী চীন। চীনের বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের বিশুদ্ধ বায়ুর মাত্রা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। কারণ দেশটির বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লার ব্যবহারই কমেছে ৩৬ শতাংশ। মহাকাশ সংস্থা নাসা বলছে, পূর্ব ও কেন্দ্রীয় চীনে সাধারণত যে পরিমাণ নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি দেখা যায়, তার পরিমাণ এখন ১০-৩০ শতাংশ কমে এসেছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি ক্লিন ওয়াটারের বিশ্লেষক লরি মিলিভারতার মতে, চীনে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই নিঃসরণের পরিমাণ হ্রাস পায় ২৫%। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের উহানের বায়ুতেও পরিবর্তন লক্ষণীয়। বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমে যাওয়ায় বেইজিংয়ে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে দূষণ। চীনের এক আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। এখন রাতের বেলায় আকাশে তারা দেখা যায়। এটা মানুষের মনে এক ধরনের পরিবর্তন এনেছে, যা ভাইরাসটিকে মোকাবিলায় কাজ করবে।’ পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, লকডাউনের কারণে মানুষের আচরণ পাল্টানোয় এ উন্নতি দেখা যাচ্ছে। নিউইয়র্কের সমীক্ষা বলছে, বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মতো গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমে গেছে ৫০ শতাংশ। ইতালিতেও বন্ধ ছিল যানবাহনসহ সব কল-কারখানা। লকডাউনের সময় মিলান এবং উত্তর ইতালির বেশ কিছু অংশে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে এসেছে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। পরিষ্কার হতে শুরু করে ধূষিত ভেনিস। কোপারনিকাস আবহাওয়া সার্ভিসের পরিচালক ভিনসেন্ট হেনরি জানান, বিষাক্ত গ্যাসের নিঃসরণের পরিমাণ আগে কখনোই এতটা কম দেখা যায়নি। গত বছরের তুলনায় নিউইয়র্কে বর্তমানে যানবাহনের চলাচল ৩৫% কমে গেছে। যাতায়াত বন্ধ থাকায় কার্বন মনোক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ কমে এসেছে ৫০ শতাংশ। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, এরই মধ্যে এই শহরের বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

অধ্যাপক রইসিন কমেনের মতে, সাধারণত মার্চ মাসে যে নিউইয়র্ককে দেখা যায়, সে তুলনায় এ মুহূর্তে শহরটিকে অনেক বেশি ঝকঝকে ও পরিষ্কার মনে হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণের এই পতন বিশ্বজুড়ে পরিবেশের জন্য ইতিবাচক এক অনন্য পরিবর্তন। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী ইতালি এবং ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে লক্ষণীয়ভাবে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমে গেছে।

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানুয়ারি ও মার্চ-২০২০ সালের দুটি ছবি প্রকাশ করেছে। ছবি দুটিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের এই লকডাউন সময়ে কী পরিমাণ নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমানো সম্ভব হয়েছে।

 

বড় শহরে পশু-পাখিদের মহানন্দ

জাপানের রাস্তায় সিকা হরিণ

জাপানের নারা পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ফাঁকা রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে একপাল হরিণকে। বিরল প্রজাতির সিকা হরিণের বাসস্থান জাপানের এই নারা পার্কে। তাদের দীর্ঘদিনের বাস এখানে। এই মুক্ত চিড়িয়াখানা দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরাও। করোনার কারণে দর্শকশূন্য হয়েছে জাপানের চিড়িয়াখানা। মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় এখানকার হরিণদের নিয়মিত খাবার দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। তাই খাবারের খোঁজে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সিকা হরিণের দল।

 

গ্যাংটক শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিমালয়ের ভাল্লুক

উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ ভেঙে হিমালয়ের ভাল্লুক এসে ঢুকে পড়ে গ্যাংটকের বিএসএনএলের কার্যালয়ে। ভোর সোয়া ৪টা নাগাদ একটা আওয়াজ শুনে আশপাশের মানুষ জেগে ওঠে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল হয়তো কোনো ডাকাতির চেষ্টা হচ্ছে। উঠে এসে লোকজন গেটের ভিতরে একটি ভাল্লুক দেখতে পায়। ওই অফিস বাড়িটির প্রায় গা-ঘেঁষে রয়েছে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। দুই বাড়ির দেয়ালের মধ্যে ভাল্লুকটি প্রায় ফাঁদে পড়ার মতো আটকে যায়। পরে দুপুর ২টার দিকে বন বিভাগের কর্মীরা এসে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে নিস্তেজ করে ভাল্লুকটিকে উদ্ধার করে।

 

থাইল্যান্ডে শপিং মলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হনুমানের দল

পানামার সান পেলিপে শহরের সমুদ্রসৈকতের তীরে ঘুরে বেড়াচ্ছে মাংশাশী প্রাণী রিকনের একটি দল। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ওকল্যান্ডের একটি স্কুলের মাঠে টার্কি মুরগির ঝাঁককে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। করোনা আতঙ্কে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল। আর ফাঁকা পড়ে থাকা স্কুলের মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে বন্য টার্কির (পাখি) দল। থাইল্যান্ডের লোপবুড়ি শহরের বন্ধ স্কুল, শপিং মলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হনুমানের দল। দেশে দেশে বড় ফাঁকা রাস্তা-ঘাটে দেখা মিলছে অনেক নাম নাজানা পরিযায়ী পাখির। জাপান ও থাইল্যান্ডে বানর ও হরিণ দিব্বি ঘুরে   বেড়াচ্ছে। দূষণমুক্ত পরিবেশে বাংলাদেশের কক্সবাজারে ভেসে উঠেছে ডলফিন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় রাস্তায় বিশ্রাম নেয় সিংহের দল

গোটা বিশ্বের অনেক শহরেই ফাঁকা রাস্তায় বন্যপ্রাণীদের ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক সংলগ্ন একটি রাস্তায় সিংহের একটি দলকে দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই। ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের পক্ষ থেকে সেই অভাবনীয় দৃশ্যের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। ওই অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, সিংহের এই দলটি ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের অধীনস্থ কেম্পিয়ানা কন্ট্র্যাকচুয়াল পার্কে থাকে। সাধারণত পর্যটকদের ওই এলাকায় যেতে দেওয়া হয় না। লকডাউনে মানুষের আনাগোনা বন্ধ থাকায় ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের বাইরে একটি ফাঁকা রাস্তার ওপর সিংহগুলো দীর্ঘক্ষণ বিশ্রাম করে। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, দলটিতে আটটি সিংহ ছিল। গত ১৫ এপ্রিল বিকালে এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়। সিংহদের মতোই মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওই অভয়ারণ্যের অন্য প্রাণীরাও। যেমন হরিণের একটি দলকে একটি গল্ফ কোর্সে ঘুরে দিব্যি ঘাস, গাছপালা খেতে দেখা যায়।

ভেনিসে মাছ, ডলফিনের খেলা

লকডাউন চলাকালে জনশূন্য হয়ে পড়ে পর্যটন শহর ভেনিস। যে ভেনিস ক্যানালে নৌকা আর পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকত, সেখানেই ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজহাঁস। মহানন্দে খেলা করছে তারা। এভাবেই ইতালিজুড়ে প্রাণীরা মেতে উঠেছে। ভেনিসের সব ক্যানেলের জল এখন স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ। স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে মাছ। জলে ঘুরতে দেখা গেছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছকে। ডলফিনও এসেছে খালে। সব সময় জনসমাগমে মুখর ভেনিস এখন পর্যটকহীন। লকডাউনে বাসিন্দারা নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তখন থেকেই শহরের ক্যানেলগুলোতে বন্ধ থাকে নৌকা চলাচল। ফলে কমেছে পানিদূষণ।

মাছের পাশাপাশি বন্দর থেকেই খালের জলে চোখ পড়েছে হাঁস ও ডলফিন। নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় পানির উপরের পৃষ্ঠে পলিমাটি জমছে না। আবহাওয়ার উন্নতিতে প্রাণ ফিরিয়েছে ওখানে। মানুষ না থাকলেও, নানান প্রজাতির পাখি ফিরে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। 

 

সেরে উঠেছে ওজোন স্তরের ক্ষত

পৃথিবী নিজেই সারিয়ে নিল ওজোন স্তরের বড় ক্ষত। উত্তর মেরুর আর্কটিক অঞ্চলের আকাশে বায়ুম-লের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় সেখানকার পোলার ভর্টেক্স অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটিতে বায়ুম-লে ক্লোরিন ও ব্রোমাইনের মতো বিষাক্ত কেমিক্যালের উপস্থিতিও বেড়ে যায়। যা ওজোন স্তরকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। গত বছর মার্চে বিজ্ঞানীরা দেখেন উত্তর মেরু ওজোন স্তরে বড় ক্ষত। এত বড় ক্ষত এই অঞ্চলে এর আগে  দেখা যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছিল। ওজোন স্তর পৃথিবীর পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মিসহ একাধিক ক্ষতিকর রশ্মি আটকে যায় ওজন স্তরে। ১০ লাখ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল গর্ত যে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এ পৃথিবী নিজেকে নিজেই রক্ষা করতে পারে, যার প্রমাণ মিলল ফের। বরফে ঢাকা উত্তর মেরুর আকাশে ওজোন স্তরে ১০ লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছিল।

 

 

 

সর্বশেষ খবর