তুরস্কের আয়শা এখন ময়মনসিংহের নববধূ
সুদূর তুরস্ক থেকে প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসেছেন এক প্রেমিকা। তার নাম আয়শা ওজতেকিন। বাংলাদেশের হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এই তুর্কি তরুণী। হুমায়ুনের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর শহরের লক্ষ্মীখলা এলাকায়। বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসান আলী ও মা হোসনে আরা বিউটি। হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ২০১০ সালে ক্যাডেট কলেজ থেকে সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে তুরস্কে যাই। সেখানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চাকরির সুবাদে ২০১৮ সালে আয়শার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকেই মূলত আমাদের দুজনের মাঝে ভালোবাসার সম্পর্কের শুরু। আমাদের সম্পর্কের চার বছরের মাথায় ঠিক করি আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হব। আমাদের ইচ্ছা ছিল দেশে এসে বিয়ে করার। কিন্তু আমি ডাক্তার হওয়ায় কভিড-১৯ এর কারণে আমরা দেশে আসতে পারছিলাম না। এখন কভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় দেশে এসে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।
এদিকে আয়শা ওজতেকিনের বাবা মাহমুদ নামিক ওজতেকিন ও মা সেভদা ওজতেকিন। আয়শা গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাবা প্রথমে রাজি ছিলেন না এ সম্পর্কে। কিন্তু পরে সবাই বিয়েতে সম্মতি দেন। ও আমার অনেক কেয়ার করে। তার গুণ বলে শেষ করা যাবে না। আমি একটু একটু বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। এখানকার মানুষ খুব ভালো।
পরিবারের সবাই খুব খুশি এই বিয়েতে। হুমায়ুনের এক মামা বলেন, এটা শুধু বিবাহ নয়; তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি মেলবন্ধন বলা যেতে পারে। দুটি পরিবারের সম্মতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে তারা। আয়শা সবার সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। জয় করে নিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মন।
রবিউল হাসান রোমনের জন্য মেক্সিকান তরুণী
ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে প্রেমের টানে অনেক ঘটনাই ঘটিয়েছেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের রবিউল হাসানের জীবনে। তার জন্য সুদূর মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন তরুণী। তার নাম গ্লাডির্স নাইলি ট্রোরেবিয়ো মোরালিয়াস’। ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশি ছেলে রবিউল হাসান রোমনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের টানে মেক্সিকোর ওই তরুণী বাংলাদেশে চলে আসেন। রোমন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। সমাজে ভালোবাসার টানে ঘর ছাড়ার ঘটনা অহরহ ঘটলেও প্রেমের টানে দেশ ছাড়ার ঘটনা এ যুগে বিরল। রবিবার সকালে মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন নাইলি। পরে রোমনের পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আদালতে তাদের বিয়ে হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মেক্সিকোর এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম হয় নাইলির। মেক্সিকো ইউনিভার্সিটি থেকে সাইনোক্লোজি বিষয়ের ওপর পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে ফুড ব্যবসায়ী হিসেবে বিজনেস করেন। তার পিতা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোমনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রেমের টানে সবকিছু ছেড়ে তিনি চলে আসেন বাংলাদেশে। পরে তিনি শরিয়ত মোতাবেক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ঢাকা জজ কোর্টের মাধ্যমে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ১ লাখ টাকার কাবিনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কাজ শেষে পরিবারের লোকজন তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এতে তার পরিবারের সবাই বেশ খুশি।
চাঁদপুরের শাহাদাতের জন্য আমেরিকান জিইনাবচন
তরুণীর নাম জিইনাবচন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে প্রেমের টানে ছুটে এসেছেন চাঁদপুরে। এখানকার বাসিন্দা শাহাদাতের জন্যই নিজের দেশ ছাড়েন জিইনাবচন। শাহাদাতের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ২ নম্বর আশিকাটি ইউনিয়নের রালদিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. কামাল উদ্দিন প্রধানিয়া। আশিকাটির রালদিয়া নিজ বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে আমেরিকার নাগরিক প্রেমিকা জনস জিইনাবচনের সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় শাহাদাত হোসেন ও নববধূ জনস জিইনাবচন বলেন, আমাদের ভালোবাসা বহু বছরের। আমরা বিবাহবন্ধনে জড়িয়েছি। আমাদের আগামী দিনগুলো যেন সুখের হয়। এ জন্য আমাদের দোয়া করবেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠে স্বাভাবিকভাবেই। একই সঙ্গে তাদের এক নজর দেখার জন্য বিয়েবাড়িতে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা। বিষয়টি তাদের জন্য অতুতপূর্ব। শুধু প্রেমের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে আসা প্রেমিকা জিইনাবচন সত্যিই অনন্য নজির স্থাপন করেন।
অস্ট্রেলিয়া থেকে বরিশাল
প্রেমের টানে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে সপরিবারে বরিশালে এসে ধর্মান্তরিত হয়ে প্রেমিককে বিয়ে করার অনন্য নজির স্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার তরুণী এমিলি পার। মনের মানুষকে পেতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বরিশালের সাইদুল আলম রুমানের স্ত্রী এমিলি পার থেকে হয়ে যান এমিলি আলম। বরিশাল মহানগরীর আলেকান্দা এলাকার মরহুম শামছুল আলম বাবুলের ছেলে সাইদুল আলম রুমানকে বিয়ে করতে পরিবারের ১৮ সদস্য নিয়ে বাংলাদেশে আসেন এমিলি। এমিলির পিতা-মাতা, ভাই-বোন, খালা-খালু, ফুফু-ফুফাসহ ১৮ জন বরিশালে আসার পরপরই মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। নগরীর আলেকান্দা বায়তুল মেহেদী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল হালিম এমিলিকে কলেমা পাঠ করান। এ সময় দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন সবাই উপস্থিত ছিলেন। পরে এমিলি রেবেকা পার থেকে নাম পরিবর্তন করে হন এমিলি আলম। এর আগে নগরীর হোটেল এরিনা থেকে রিকশায় চড়ে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে যান বধূ সাজে এমিলি। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঝিনাইদহে
ভালোবাসার টানে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছী গ্রামে মিঠুন বিশ্বাসের বাড়িতে ছুটে আসেন মার্কিন তরুণী এলিজাবেথ এসলিক। বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগোলিক দূরত্ব ঘুচিয়ে, প্রেমের সাগরে ডুবে যুগলবন্দী হন তারা। এলিজাবেথের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ওরিয়েন্ট এলাকায়। ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসী আছে, এমন ভয় ছিল। এসে দেখি নেই। বাংলাদেশ ভালো, বিশ্বের যে কোনো দেশের মানুষের চেয়ে আতিথেয়তায় সেরা। ভালোবাসার টানে নিজের মাতৃভূমি ছেড়েছি।’ গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া ভালোবাসার মানুষের কাছে ছুটে আসা এলিজাবেথ এসলিক। খ্রিস্টান ধর্মের বিধান অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এলিজাবেথ ও মিঠুন। এলিজাবেথ গণমাধ্যমে আরও বলেন, ‘সত্য ভালোবাসা সীমানা মানে না। মানে না জাত, ধর্ম, বর্ণ। ভালোবাসার জন্য মরণও আনন্দের। প্রেম মানুষকে মহান করে তোলে। সত্যিকারের মানুষ হতে শিক্ষা দেয়।’ ওয়াশিংটনে থাকেন এলিজাবেথের বাবা রয় এসলিক ও মা সনিয়া এসলিক। পরিবারে আরও দুই ভাই আছে। ২০১৫ সালের মে মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে মিঠুন ও এলিজাবেথের পরিচয় হয়।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যাথরিনা
অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার সুবাদে বাংলাদেশি কাজী মারুফুজ্জামান চন্দনের সঙ্গে অস্ট্রেলীয় নারী ক্যাথরিনার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রেম এবং প্রেমের টানেই সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে মাগুরায় এসে সংসার পাতেন ক্যাথরিনা নামের এই নারী। মাগুরা শহরের কাজী মারুফুজ্জামান চন্দনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই নারী।
বিয়ের সময় মেলবোর্নের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পারিবারিকভাবে সবাই তাকে ক্যাথি বলেই ডাকেন। আনন্দঘন পরিবেশে তারা বধূবরণ অনুষ্ঠান করেন। ক্যাথরিনা বলেন, ‘এ দেশে এসে আমি খুব খুশি হয়েছি।’
মালয়েশিয়ার ফাতেমা
ভালোবাসার জন্য মালয়েশিয়ার মেয়ে ফাতেমা বিনতে আবদুর রহমান বাংলাদেশে আসেন। আশিকুর রহমান আশিকের সঙ্গে মালয়েশিয়ান তরুণী ফাতেমা হাজির হন ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান রানার চেম্বারে বিয়ের উদ্দেশ্যে।
ফাতেমাকে দেখে উপস্থিত অনেকে প্রথমে মনে করেছিলেন তিনি হয়তো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেয়ে।
আশিকের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার মন্দিবাগে। ফাতেমাকে সেখানেও নিয়ে যান আশিক। বিয়ের সময় ফাতেমা কুয়ালালামপুরের একটি কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
ভিয়েতনাম থেকে চাঁদপুর
প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসেন ভিয়েতনামি তরুণী। প্রেমিক চাঁদপুরের যুবক আলমগীর। ভিয়েতনামি এই কন্যা বাংলাদেশি যুবক আলমগীরকে ভালোবেসে এ দেশে সংসার পাতেন। ভালোবাসার সূচনা হয়েছিল মালয়েশিয়ায়। আর এর বাস্তবে পরিণতি ঘটে বাংলাদেশের মাটিতে।
মানুষের বিড়ম্বনা এড়াতে দীর্ঘদিন থাকেন তারা লোকচক্ষুর আড়ালে। পরবর্তীতে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে এই দম্পতি নিজেদের এলাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লদেরবাড়ির মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ১৩ বছর আগে জীবিকার প্রয়োজনে মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে পাড়ি জমান। সেখানে এক চাইনিজ কোম্পানিতে চাকরি করেন। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বাকান থানার ওয়েন তোং মহল্লায় টিউ থিতুর জন্ম। সেখানে বাবা মৃত চি ইউ তাই আর মা টিউ থিতু নিয়াত এবং চার ভাই, তিন বোনের মাঝে থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা শেষ করেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের ইফা
আয়ারল্যান্ডের ডাক্তার ইফা। ভালোবাসার টানে সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে বিয়ানীবাজারে ছুটে আসেন ডা. ইফা রায়ান। যথারীতি বাঙালি নারীর বেশেই লাল বেনারসি শাড়ি পরে বসেন বিয়ের পিঁড়িতে।
বিয়ানীবাজার উপজেলার ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা তাজ উদ্দিনের পুত্র মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে তার এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে আয়ারল্যান্ড থেকে আসেন ইফার মা ক্যাটরিনা রায়ান, বাবা জন রায়ান ও ভাই অউন রায়ান। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা ও আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার পর ডা. ইফা রায়ানের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
ব্রাজিল থেকে রাজবাড়ী
ব্রাজিল কন্যা জেইসা ওলিভেরিয়া সিলভার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় অতঃপর প্রেম হয় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সঞ্জয়ের। ভালোবাসার টানে সিলভা ব্রাজিল থেকে চলে আসেন প্রেমিকের বাড়িতে। এর আগে প্রায় দেড় বছর ধরে ফেসবুকে চলত তাদের যোগাযোগ। বাংলাদেশে আসার পর বিমানবন্দর থেকে সঞ্জয় তাকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে ব্রাজিলিয়ান তরুণীকে এক নজর দেখার জন্য নারী-পুরুষসহ অনেকে ভিড় জমান।
সিলভা ব্রাজিলের সাও পাওলোর বাসিন্দা। তিনি সেখানে সরকারি চাকরি করেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সঞ্জয় ঘোষ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বাজার এলাকার বালাই ঘোষের ছেলে। সঞ্জয় শ্যামলী পরিবহনের ঢাকা-কলকাতা সার্ভিসে কর্মরত বলে জানা যায়।
রাশিয়া থেকে শেরপুর
প্রেমের টানে শেরপুরে ছুটে আসেন রাশিয়ান এক তরুণী। প্রেমিকের নাম ধর্মকান্ত সরকার। রাশিয়ান ওই তরুণীর নাম সিভেতলেনা। ধর্মকান্ত সরকার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সন্ন্যাসীভিটা গ্রামের ধীরেন্দ্র কান্ত সরকারের ছেলে। সনাতন ধর্ম মতে, যজ্ঞ সম্পাদন করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকনের শেরপুর শাখার সদস্যরা। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের লোকজন, বন্ধু-বান্ধব ও ইসকন ভক্তসহ চার শতাধিক অতিথি। তাদের খাবারের তালিকায় ছিল পুষ্প অন্ন, ভুনা খিচুড়ি, সয়াবিনের রসাসহ ১৪ ধরনের নিরামিষ। ধর্মকান্ত সরকারের পরিবার ও ইসকন মন্দির সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে এইচএসসি পাসের পর উচ্চশিক্ষার জন্য ধর্মকান্ত সরকার চলে যান রাশিয়ায়। ভর্তি হন মস্কোর আছরাখান টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে। ধর্মকান্ত সরকার রাশিয়া থাকতেই তাদের মাঝে পরিচয়, অতঃপর প্রেম এবং পরিণয়।
মালয়েশিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গা
প্রেম মানে না বয়স। কথাটা সত্যি প্রমাণ করে দিয়ে প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মালয়েশিয়ান ইসহারি নামের চল্লিশোর্ধ এক নারী।
তিনি বাংলাদেশে এসে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের বাড়িতে ওঠেন। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
জানাজানি হলে এলাকাবাসী ওই মালয়েশিয়ান নারীকে দেখতে জহুরুলের বাড়িতে ভিড় করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার বছরখানেক আগে তারা বিয়ে করেন।
পোল্যান্ড থেকে রাজারবাগ
ক্যাটরিনা স্যান্ড্রা পোল্যান্ডের অধিবাসী। চাকরির সুবাদে থাকেন লন্ডনে। বাবা মারা গেছেন। মা থাকেন পোল্যান্ডে। তার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে পড়তে আসা শামীম আহম্মদের সঙ্গে। তার পৈতৃক বাড়ি রাজারবাগে। বাবা সরকারি চাকরিজীবী। শামীম লন্ডনে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থাতেই ফেসবুকে পরিচয় হয় ক্যাটরিনার সঙ্গে। তারা শুধুই বন্ধু। তখনো কেউ কাউকেই দেখেননি। এদিকে শামীমের জন্য লন্ডনে এভাবে লুকিয়ে থাকা বিনা চাকরিতে আর সম্ভব হচ্ছিল না। তাই তিনি দেশে ফেরার জন্য ওখানকার পুলিশের কাছে ধরা দেন। এরপর ক্যাটরিনার চেষ্টায় শামীমকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কথা ছিল ক্যাটরিনা বাংলাদেশে আসবেন। কিন্তু তখন না আসায় সবাই ভেবেছিল ক্যাটরিনা আর আসবেন না। পরবর্তীতে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। শামীমের সঙ্গে ক্যাটরিনা স্যান্ড্রার বিয়ে হয় মুসলিম রীতিতে।