রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

হুমায়ূনের নন্দিত জীবন

তানভীর আহমেদ

হুমায়ূনের নন্দিত জীবন

বাংলাদেশের লেখালেখির ভুবনে হুমায়ূন আহমেদের আত্মপ্রকাশ ১৯৭২ সালে ‘নন্দিত নরক’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে। তরুণ হুুমায়ূন আহমেদের মাঝে অমিত সম্ভাবনা তখনই টের পেয়েছিলেন প্রখ্যাত লেখক-সমালোচক আহমদ শরীফ।  এক গদ্যের মাধ্যমে তিনি হুমায়ূন আহমেদকে অভিনন্দিত করেছিলেন...

কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর ডাকনাম কাজল। বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। বাবার কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকতে হয়েছে তাঁকে। শৈশবে তাই দেশের নানা স্কুলে পড়েছেন। তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ছিল দিনাজপুরের জগদ্দল। কারণ তাঁরা যেখানে থাকতেন এর আশপাশে কোনো স্কুল ছিল না। স্কুলে যেতে ভালো না লাগলেও পড়াশোনায় তিনি খুব ভালো ছিলেন। এসএসসি পরীক্ষায় তিনি সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হন। ১৯৬৫ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে  এসএসসি ও ১৯৬৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এইচএসসি পরীক্ষায়ও তিনি মেধা তালিকায় জায়গা করে নেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। ১৯৭২ সালে রসায়ন বিভাগ থেকে  স্নাতকোত্তর পাস করেন। ভালো রেজাল্টের গুণে তিনি একই বিভাগের প্রভাষক হিসেবেও নিয়োগ পান। শুরু হয় তাঁর শিক্ষক জীবন। ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে প্রফেসর জোসেফ এডওয়ার্ড গ্লাসের তত্ত্বাবধানে পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। বাংলাদেশের লেখালেখির ভুবনে হুমায়ূন আহমেদের আত্মপ্রকাশ ১৯৭২ সালে ‘নন্দিত নরক’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে। তরুণ হুুমায়ূন আহমেদের মাঝে অমিত সম্ভাবনা তখনই টের পেয়েছিলেন প্রখ্যাত লেখক-সমালোচক আহমদ শরীফ। এক গদ্যের মাধ্যমে তিনি হুমায়ূন আহমেদকে অভিনন্দিত করেছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর জাদুকরী লেখনীতে পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন। উপন্যাসের ক্যানভাসে মধ্যবিত্ত জীবন রচনার পাশাপাশি অসাধারণ সব সায়েন্স ফিকশন, ছোট গল্প, কবিতা, গান, নাটক লিখেছেন তিনি। প্রায় তিন শতাধিক বই প্রকাশ পেয়েছে এই কালজয়ী লেখকের। তৈরি করেছেন হিমু ও মিসির আলির মতো জনপ্রিয় সব চরিত্র। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে হিমু সংক্রান্ত বই রয়েছে ২৯টি, মিসির আলি সংক্রান্ত বই রয়েছে ২২টি এবং আত্মজীবনীমূলক বই রয়েছে ১৯টি। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য বইসমূহের মধ্যে রয়েছে মধ্যাহ্ন, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্প, এপিটাফ, কে কথা কয়, মেঘ বলেছে যাব যাব, অপেক্ষা, বাদশাহ নামদার ইত্যাদি। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে লেখালেখি, নাটক নির্মাণ এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে সম্পূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর তৈরি চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্রাবণ মেঘের দিন, আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, আমার আছে জল ইত্যাদি। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রীর নাম গুলতেকিন আহমেদ। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তাঁদের তিন মেয়ে এবং এক ছেলে জš§গ্রহণ করেন। তিন মেয়ে হলেন- বিপাশা আহমেদ, নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ এবং ছেলের নাম নুহাশ আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী ও পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তাঁদের দুই ছেলে। প্রথম ছেলের নাম নিষাদ হুমায়ূূন ও দ্বিতীয় ছেলের নাম নিনিত হুমায়ূন। কিংবদন্তি এই লেখকের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর, নেত্রকোনা জেলার কুতুবপুরে। আজ তাঁর জন্মদিন।

 

তাঁর কথা

♦ মানব জাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিরাপদ মনে করে...

♦ জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও না। কারণ, যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে। সবাই তোমাকে কষ্ট দেবে, তোমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে যার দেওয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে...

♦ জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর! এত বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।

♦ মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।

♦ ভালোবাসাবাসির ব্যাপারটা হাততালির মতো। দুটো হাত লাগে। এক হাতে তালি বাজে না। অর্থাৎ একজনের ভালোবাসায় হয় না।

 

তাঁর জাদু জগৎ

হুমায়ূন আহমেদ নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ব্যক্তিজীবনে জাদু নিয়ে তাঁর আগ্রহের কমতি ছিল না। তাঁর লেখা বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, নাটক ও চলচ্চিত্রে জাদুর উপস্থিতি প্রমাণ করে তিনি কতটা জাদুমুগ্ধ ছিলেন। অতিবাস্তব চরিত্রায়ণ ও উপস্থাপনায় মুনশিয়ানার পাশাপাশি জাদুর প্রতি তাঁর আগ্রহ পাঠক ও সাধারণ ভক্তদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে আছে আজও। জাদুর প্রতি তাঁর প্রথম ভালো লাগা শুরু শৈশবেই। স্থান সিলেটের মীরাবাজার। দুরন্ত শৈশবে ঘুরে বেড়াতেন এখানেই। সময় পেলেই মীরাবাজারে ছুটে যেতেন। সঙ্গী কেউ ছিল না। একা একা ঘুরে বেড়াতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। এক দিন দিলশাদ সিনেমা হলে টাঙানো পোস্টার দেখতে গিয়ে ভিড় লক্ষ্য করেন তিনি। সিনেমা হলের সামনে একজন জাদুকর ম্যাজিক দেখাচ্ছিলেন। অদ্ভুত সব জাদু তাঁকে মুগ্ধ করে। জাদুটা ছিল অনেকটা এ রকম- কাঠের একটি তক্তার সঙ্গে গা লাগিয়ে এক বালিকা দাঁড়িয়ে আছে। তার থেকে ১০-১২ ফুট দূরত্বে চোখ বাঁধা অবস্থায় দাঁড়িয়ে জাদুকর বালিকাটির দিকে ছুরি ছুড়ে মারছেন। কিন্তু একটি ছুরিও বালিকার গায়ে লাগছে না। জাদুর এই অদ্ভুত রোমাঞ্চে হুমায়ূন আহমেদ জাদুর প্রেমে পড়ে যান। অবশ্য জাদুবিদ্যায় তাঁর হাতেখড়ি ১৯৬৫ সালে। তখন তিনি সবেমাত্র ঢাকা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়েছেন। এবার ঢাকার পথে ঘুরতে গিয়ে এক দিন দেখা পেয়ে গেলেন এক হকার ম্যাজিশিয়ানের। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে উৎসুক মানুষের সঙ্গে জাদুকরের মনভোলানো জাদু দেখতে থাকলেন। জাদু শেষ হলে সবাই যার যার পথে চলে গেলেও দাঁড়িয়ে রইলেন হুমায়ূন। তিনি তখনই হকার ম্যাজিশিয়ানের কাছে জাদু শেখার ইচ্ছার কথা জানান। জাদুকরও কিছু টাকার বিনিময়ে কয়েকটি জাদুর কৌশল তাঁকে শেখান। জাদুমুগ্ধতা যেন আরও বেড়ে গেল তাঁর। যে কয়টা জাদুর কৌশল শিখেছেন সে কয়টা বারবার অনুশীলন করে চললেন। হুমায়ূন আহমেদের জাদুগুরু সেই হকার ম্যাজিশিয়ান বেশির ভাগই জাদু দেখাতেন চানখাঁর পুলের এক বস্তিতে। চানখাঁর পুলের সেই বস্তিতে হুমায়ূন আহমেদ ছুটে যেতেন তাঁর জাদুগুরুর কাছে। শুধু অবাক বিস্ময়ে জাদু দেখতেনই না, পাশাপাশি তিনি আরও জাদুর কৌশল রপ্ত করতে শুরু করেন। এমনও হয়েছে টিফিন না খেয়ে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে তিনি হকার ম্যাজিশিয়ানের কাছ থেকে ছোট ছোট ম্যাজিকের সরঞ্জাম কিনতেন। জাদুবিদ্যায় তাঁর হাতেখড়ি হওয়ার পর জাদুর প্রতি ভালোবাসা বেড়েই চলল। জাদুর নতুন সব কৌশল আয়ত্ত করার প্রতি তিনি আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। নতুন নতুন জাদুর কৌশল সম্পর্কে জানার জন্য তিনি জাদু বিষয়ে বিভিন্ন বই সংগ্রহ করতে শুরু করেন। দেশে তো বটেই বিদেশ ভ্রমণে গেলেও তিনি জাদুর সামগ্রী বিক্রি হয় এমন দোকান বা জার্নালের খোঁজ নিতেন। তাঁর সংগ্রহে জাদু সম্পর্কিত বহু বই ছিল। জাদুবিদ্যায় প্লানচেট দিয়ে আত্মা আনার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। কথিত আছে, হুমায়ূন আহমেদ তাঁর সংগ্রহে থাকা প্লানচেট দিয়ে মৃত আত্মার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। প্লানচেট ব্যবহার করে তিনি বেশ বিপদেও পড়েছিলেন বলে জানা যায়। হুমায়ূন আহমেদ জাদু কৌশল রপ্ত করার জন্য প্রায়শই জাদু প্রদর্শন করতেন। নিকটজনদের তিনি বিভিন্ন সময় জাদু দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি কলেজ ও ইউনিভার্সিটির লম্বা ছুটি কাটাতে যখন পরিবারের সদস্যদের কাছে আসতেন তখন তাঁর সঙ্গী ছিল জাদু দেখানোর সহজ-সরল সরঞ্জামগুলো। এ ছাড়া কৌশলী জাদু দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিস্মিত করতেন। লেখালেখির পাশাপাশি যখন হুমায়ূন আহমেদ নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণের দিকে ঝুঁকে গেলেন, তখনো তাঁর জাদুপ্রীতি এতটুকু কমেনি। তিনি তাঁর নাটক ও চলচ্চিত্র ইউনিটের লোকজনের সামনে, বন্ধুমহলে ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সামনে শখের বশে জাদু দেখিয়ে আনন্দ পেতেন। জাদু দেখিয়ে মানুষকে চমকে দেওয়াটাকে বেশ উপভোগ করতেন তিনি। স্বনামধন্য লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক আড্ডায় জাদু দেখিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই আড্ডার একপর্যায়ে হুমায়ূন আহমেদ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেন, অ্যাশ-ট্রে থেকে একটু ছাই তুলে নিতে। তারপর তুলে নেওয়া ছাই অন্য হাতের পিঠে ঘষে ঘষে মিলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। তাঁর কথামতো তাই করলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ পর তাঁর সেই হাত উল্টে দেখতে বললেন কলম জাদুকর। হাত উল্টে দেখতেই সেখানে উপস্থিত সবাই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল। কারণ হাতের পিঠের ছাই হাত ভেদ করে তালুতে চলে গেছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রীতিমতো ভিরমি খেলেন তাঁর জাদুতে। হুমায়ূন আহমেদ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁর খুব কাছের মানুষদের এভাবে জাদু দেখিয়ে বিস্মিত করতে পছন্দ করতেন। সবাই মিলে বসে আড্ডা দেওয়ার একপর্যায়ে তিনি হুট করেই জাদু দেখিয়ে বসতেন। মুহূর্তেই সবাইকে হতবাক করে দিতে তিনি সিদ্ধহস্ত। ইন্টারন্যাশনাল ব্রাদারহুড অব ম্যাজিশিয়ান্স বিশ্বজুড়ে জাদুশিল্পীদের সর্ববৃহৎ জাদু সংগঠন। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন এই আন্তর্জাতিক জাদু সংগঠনের একজন সম্মানিত সদস্য। কলম জাদুকরের জাদুমুগ্ধতা ছিল অকৃত্রিম, অনন্য।

 

কয়েকটি উৎসর্গপত্র

হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত অসংখ্য বই থেকে কয়েকটি  উৎসর্গপত্র পাঠকের কাছে তুলে ধরা হলো-

 

নন্দিত নরকে

নন্দিত নরকবাসী মা-বাবা, ভাইবোনদের।

 

বহুব্রীহি

জনাব আবুল খায়ের

অভিনয় যাঁর প্রথম সত্তা

অভিনয় যাঁর দ্বিতীয় সত্তা। 

 

মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই

তিনি সব সময় হাসেন।

যতবার তাঁকে দেখেছি, হাসিমুখ দেখেছি।

আমার জানতে ইচ্ছা করে জীবনে কঠিন দুঃসময়ে তিনি যখন কলম হাতে নিয়েছিলেন তখনো কি তাঁর মুখে হাসি ছিল?

সর্বজনপ্রিয় আমাদের রাবেয়া খাতুন।

 

রূপার পালঙ্ক

একবার একজন লেখক আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। আমাদের তিন কন্যা যে যেখানে ছিল, লেখকের নাম শুনে উঠে চলে এলো। আমার মেজো মেয়ে বলল, এত বড় লেখকের সামনে সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। তার না-কি পা ঝিমঝিম করছে। আমি তখন লেখককে দেখছিলাম না, মুগ্ধ হয়ে আমার তিন কন্যার উচ্ছ্বাস দেখছিলাম।

সেই লেখকের নাম- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

 

হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস

ভালোবেসে যদি সুখ নাহি তবে কেন,

তবে কেন মিছে ভালোবাসা

গুলতেকিন-কে।

 

দিঘির জলে কার ছায়া গো

কন্যা লীলাবতীকে। এই উপন্যাসের নায়িকা লীলা। আমার মেয়ে লীলাবতীর নামে নাম। লীলাবতী কোনো দিন বড় হবে না। আমি কল্পনায় তাকে বড় করেছি। চেষ্টা করেছি ভালোবাসায় মাখামাখি একটি জীবন তাকে দিতে।

মা লীলাবতী : নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে।

 

কালো জাদুকর

জুয়েল আইচ

জাদুবিদ্যার এভারেস্টে যিনি উঠেছেন। এভারেস্টজয়ীরা শৃঙ্গ বিজয়ের পর নেমে আসেন। ইনি নামতে ভুলে গেছেন।

 

ফাউন্টেনপেন

ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান।

ব্যক্তিগতভাবে আমি এই তরুণকে চিনি না।

কিন্তু মুগ্ধ হয়ে তাঁর ক্রিকেট খেলা দেখি। তাঁর কাছে আমার একটি প্রশ্ন আছে। দশজন কিংবা বারোজন না হয়ে ক্রিকেট কেন এগারোজনের খেলা?

 

যদিও সন্ধ্যা

বইটা অভিনেতা আহমেদ রুবেলকে

অভিনেতা হিসেবে A+, মানুষ হিসেবে A++

 

হিমুর আছে জল

একজন মানুষকে চেনা যায় যুদ্ধক্ষেত্র এবং ছবির আউটডোর শুটিংয়ে। নিষাদের প্রিয় দাড়িওয়ালা মামাকে।

তারিক আনাম খান।

 

হিমু রিমান্ডে

জগতের সর্বকনিষ্ঠ হিমু নিষাদ হুমায়ূনকে হাঁটি হাঁটি পা পা (হিমুর মতো) যেখানে ইচ্ছা সেখানে যা।

 

আজ হিমুর বিয়ে

উৎসর্গ করার মতো কাউকে পাচ্ছি না। সরি।

মিসির আলি! আপনি কোথায়?

কিছু লেখা আছে কাউকে উৎসর্গ করতে মন চায় না। এই লেখাটি সেরকম। কাজেই উৎসর্গপত্রে কেউ নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর