শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ আপডেট:

বুড়ো বয়সে ব্যবসা শুরু তারপর বিশ্বজয়

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
বুড়ো বয়সে ব্যবসা শুরু তারপর বিশ্বজয়

কেএফসি মালিকের জীবন কাহিনি

সাফল্যের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স। বিশ্বের প্রথম বড় ফ্রাইড চিকেন ‘কেএফসি’র মালিক তিনি। জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি ব্যর্থতা আর গ্লানির মাঝে কাটালেও নিজের অদম্য ইচ্ছা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে দীর্ঘ ৬০ বছর বয়সে সফলতা লাভ করেন।

পুরো নাম কর্নেল হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স। জন্ম ১৮৯০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের হেনরিভ্যালিতে। বাবা উইলবার ডেভিড এবং মা মার্গারেট অ্যানে স্যান্ডার্স। তিন সন্তানের মধ্যে স্যান্ডার্স সবার বড়। বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ৮০ একর জমির ওপর নির্মিত একটি ফার্মে তিনি কৃষি কাজ করতেন। আর তাতেই সংসারটি কোনো রকমে চলে যেত স্যান্ডার্সদের। কিন্তু হঠাৎ দুর্ঘটনায় স্যান্ডার্সের জীবনের ছন্দপতন ঘটে। ১৮৯৩ সালে ফার্মে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় বাবা উইলবার ডেভিডের পা ভেঙে যায়। দুর্ঘটনার দুই বছর পর যখন স্যান্ডার্সের বয়স মাত্র পাঁচ বছর তখন বাবা উইলবার ডেভিড মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর মা মার্গারেট অ্যানে ১৯০২ সালে আবার বিয়ে করেন। সৎ বাবার পরিবার ভালো লাগত না স্যান্ডার্সের। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর স্যান্ডার্স ও তাদের পরিবার ইন্ডিয়ানার গ্রিনউডে চলে আসেন।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান বলে অর্থাভাবে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ঘর ছাড়েন। স্কুল থেকে ঝরে পড়েন তারও আগে। শুরু করেন খামারে কৃষকের কাজ। কিন্তু কিশোর বয়সে স্যান্ডার্সের কৃষি কাজ ভালো লাগত না। এরপর ইন্ডিয়ানা পুলিশের ঘোড়ার গাড়ি রং করার চাকরি নেন। এটাও ছেড়ে ১৪ বছর বয়সে আবারও খামারে খেতমজুরের কাজ শুরু করেন। এরপর ১৯০৬ সালে ইন্ডিয়ানার নিউ আলবানিতে গাড়ির কন্ডাক্টরের চাকরি করেন। মাত্র বছরখানেক করেছিলেন সেই চাকরি। এরপর কামারশালায় লোহা পেটানোর কাজ নেন। কিন্তু এখানেও মন টিকে না স্যান্ডার্সের। এবার কয়লাচালিত ট্রেনের ছাইয়ের টাংকি পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন। ১৬ বছর বয়সে কাজ পান স্টেশনের ফায়ারম্যানের। এক সময় নর্থফোক ও ওয়েস্টার্ন রেলস্টেশনে দিনমজুরের কাজও করেন। কর্নেল স্যান্ডার্স এক জায়গায় বেশি দিন কাজ করতে পারতেন না। দুই বছর পর আবার তিনি ফিরে যান ইলিনয় সেন্ট্রাল রেলরোডে। শুরু করেন ফায়ারম্যানের কাজ। ১৭ বছরের মাথায় মোট চারবার চাকরি হারিয়েছিলেন স্যান্ডার্স। এরপর এক্সটেনশন ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে লিটল রক নামের প্রতিষ্ঠানে বছর তিনেক প্রশিক্ষণ শেষে অর্থ উপার্জন শুরু করেন। এখানেও তার বাধার শেষ ছিল না। মাথা গরম প্রকৃতির স্যান্ডার্স ক্লায়েন্টের সঙ্গে আদালত পাড়ায় ঝগড়া করেই আইন পেশার সমাপ্তি ঘটান। অর্থাভাবে কিছু দিন পর নিজে আইন পেশাকে বিদায় জানান। সেখান থেকে ফিরে পেনসিলভানিয়ায় চাকরি নেন রেলস্টেশনে। এখানেও খুব বেশি দিন না থেকে ১৯১৬ সালের দিকে পরিবার নিয়ে জেফারসনভাইলে চলে আসেন এবং বীমা কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। স্যান্ডার্স কোথাও স্থায়ী হতে পারতেন না। কারণ, তিনি ছিলেন রাগী প্রকৃতির। তাই বীমার চাকরি হারিয়ে সেলসম্যানের কাজ করেন। করেছেন স্টোর ক্লার্কের কাজও। ১৯১৮ সালে ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এবং ১৯ বছর বয়সেই বাবা হন। কিন্তু ২০ বছর বয়সে তার স্ত্রী তাকে ফেলে রেখে কন্যাসন্তানটিকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান। ১৯২০ সালে তিনি নৌকার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। স্যান্ডার্স এখানে ডিঙি নৌকা তৈরি করে তা বিক্রি করতেন। এক সময় কোম্পানির ভবিষ্যৎ আরও বড় পরিসরে করার জন্য কোম্পানির নামে শেয়ারও চালু করেন। যার বেশির ভাগ মালিক ছিলেন স্যান্ডার্স নিজেই এবং পরবর্তীতে স্যান্ডার্স নিজেই কোম্পানির সচিব নির্বাচিত হন। এটাই ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম সফলতা। ১৯২২ সালে ইন্ডিয়ানার কলম্বাসে চেম্বার অব কমার্স নামের একটি কোম্পানিতে সচিবের চাকরি নেন। সেই চাকরিটিও ভালো না লাগায় এক সময় চাকরি ছেড়ে দেন। শুধু তাই নয়, তার ডিঙি নৌকার কোম্পানিটিও ৩২ হাজার ডলারে বিক্রি করে দেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৩ লাখ ৯ হাজার ডলার। সেই অর্থ দিয়ে হাইড্রোকার্বন গ্যাসের বাতি উৎপাদনকারী কোম্পানি চালু করেন। তার বৈদ্যুতিক বাতির কোম্পানিটিও বেশি দিন টিকেনি। কলোনিল স্যান্ডার্স বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হন।

নানা ব্যর্থতার বেড়াজাল পেরিয়ে স্যান্ডার্স কেন্টাকির উইনচেস্টারে চলে আসেন। সেখানে তিনি ম্যাচিলিন নামের একটি টায়ার কোম্পানিতে সেলসম্যানের চাকরি নেন। ১৯২৪ সালে কোম্পানিটি বন্ধ হলে নিকোলাসভ্যালির এক স্টেশনে চাকরি নেন এবং অদ্ভুত ব্যাপার হলো ১৯৩০ সালে স্টেশনটিও বন্ধ হয়ে যায়। একই বছরে ক্যান্টাকির নর্থ ক্যারোলাইনা এলাকায় শেল অয়েল কোম্পানি তাকে স্টেশনের কর্মীদের জন্য খাবার সার্ভিসের প্রস্তাব করে। সেখানে তাকে কোনো জায়গা ভাড়া দিতে হতো না। বিনিময়ে বিক্রি করা খাবারের লভ্যাংশের সামান্য অংশ দিলেই যথেষ্ট। সেখানে ফ্রাইড চিকেনসহ বিভিন্ন ফাস্টফুড সার্ভিস দিতেন স্যান্ডার্স। স্যান্ডার্সের খাবারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ক্যান্টাকির অলি-গলিতে। ১৯৩৯ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যাশেভ্যালিতে মোটেল নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও এখানেও বাধা পান। তবুও স্যান্ডার্স পিছপা হননি। ১৯৪০ সালে ১৪০ আসনের রেস্টুরেন্ট খুলে স্পেশাল ফ্রাইড চিকেন বিক্রি শুরু করেন। নতুন স্বাদের চিকেন জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। ১৯৫২ সালে স্যান্ডার্স ‘চিকেন ফ্রাই’ ধারণাটিকে আয়ের উৎসে পরিণত করার পর থেকে ‘ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন’ বিশ্বের প্রথম বড় ফ্রাইড চিকেন কোম্পানি হয়ে ওঠে। প্রাচীন রেস্তোরাঁটিই আজকের ‘কেএফসি’। যার রয়েছে ৬০০টি শাখা। ১৯৭০ সালে স্যান্ডার্স আমেরিকান কোম্পানির কাছে রেস্তোরাঁটি ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন। ১৯৮০ সালে ৯০ বছর বয়সে জীবনে ব্যর্থতার পর সফলতা নিয়ে স্যান্ডার্স পরলোকগমন করেন।

 

ফ্রাইড চিকেন দিয়ে শুরু

১৯৩০ সালে স্যান্ডার্স ক্যান্টাকিতে গ্যাস স্টেশনের ভিতরে খাবারের ব্যবসা শুরু করেন। জরাজীর্ণ রুমে সামান্য টেবিলই ছিল সম্বল। স্টেশনের ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য স্যান্ডার্স দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতেন। ফ্রাইড চিকেনই একমাত্র খাবারের আইটেম ছিল, যা তৈরি করতে অনেক সময় লাগত। এর বাইরেও তার তৈরি হ্যাম ও স্টিক ডিনার ছিল বেশ জনপ্রিয়। স্যান্ডার্স রেস্তোরাঁ খুলে চিকেন ফ্রাই ও আয়রন স্কিলেট বিক্রি করতেন। সময়ের তালে তালে ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই রেস্তোরাঁটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৩৫ সালে আবারও ব্যবসা শুরু করেন। স্টেশনের ড্রাইভার ছাড়াও স্যান্ডার্স বাইরে অর্ডারে চিকেন ফ্রাইড সরবরাহ করতেন। এবারও ভাগ্য পাশে ছিল না। ১৯৩৯ সালে স্যান্ডার্স নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যাশেভ্যালিতে মোটেল খোলেন। মোটেল ব্যবসায়ে আগুন লেগে বন্ধ হয়ে যায়। আবারও গ্যাস স্টেশনে ট্রাক ড্রাইভারদের খাবারের ব্যবসা শুরু করেন স্যান্ডার্স। এবার ১৪০ আসনের রেস্তোরাঁ নেন এবং ১৯৪০ সালের জুলাইয়ে তার রেস্টুরেন্টে স্পেশাল ফ্রাইড চিকেন বিক্রি শুরু করেন। নতুন স্বাদের চিকেন ফ্রাই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। ‘ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন’ বিশ্বের প্রথম বড় পরিসরের ফ্রাইড চিকেন কোম্পানি। প্রাচীন এ রেস্তোরাঁটিই আজকের জনপ্রিয় ‘কেএফসি’। ১৯৫৫ সাল থেকে মাত্র দশ বছরে এর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে যায় সমগ্র বিশ্বে। এখন কেএফসির ৬০০টির বেশি শাখা কিন্তু শুরুটা হয়েছিল সামান্য একটি গ্যাস স্টেশন থেকেই।

 

মিলিটারি কর্নেল নন!

ক্যান্টাকির বাসিন্দা না হলে এমন ভুল করাটাই স্বাভাবিক। যেমন অনেকেই মনে করেন কর্নেল স্যান্ডার্স নিশ্চয় কোনো এক সময় মিলিটারি দলের কর্তা ছিলেন। আসল ঘটনাটি হলো ক্যান্টাকির সাধারণ মানুষ তো বটেই, বড় বড় আমলা স্যান্ডার্সকে সম্মান দিয়ে কর্নেল বলে সম্বোধন করতেন। আর স্যান্ডার্স নিজেকে গড়ে তোলার জন্য এই নামটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু এ নামটির পেছনেও রয়েছে একটি ইতিহাস। স্যান্ডার্স জীবনের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে সফল হন। ‘কর্নেল’ উপাধি পান ১৯৩৫ সালে, যখন গ্যাস স্টেশনের ভিতরের জরাজীর্ণ রুমে ‘স্যান্ডার্স ক্যাফে’ খুলে খাবারের ব্যবসা করেন। কিন্তু ১৯৪৯ সালে স্যান্ডার্স সনদপত্র আকারে কর্নেল খেতাব গ্রহণ করেন। এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন ক্যান্টাকির তৎকালীন গভর্নর। ১৯৫০ সালে স্যান্ডার্স নিজেকে সবার সামনে সভ্য এবং ক্যান্টাকির কর্নেল হিসেবে উপস্থাপন করা শুরু করলেন। সাদা দাড়ি, স্ট্রিং টাই এবং সাদা ওয়েস্ট কোটে নিজেকে অনন্য মানুষ হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করতেন স্যান্ডার্স। আর ব্যবসায়ের সফলতা সারা বিশ্বে এর ব্যাপ্তির কারণে কর্নেল নামটি সবার মুখে মুখে, যা স্যান্ডার্সকে শেষ বয়সে করেছে সম্মানিত। মুরগির স্বাদ বদলে দেওয়া স্যান্ডার্স ১৯৫০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নিজের রেসিপি বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন। তার ব্যবসা ও নতুন স্বাদের খাবারে বিমোহিত হয়ে ক্যান্টাকির সাধারণ মানুষ তাকে কর্নেল বলে সম্বোধন করতেন।

 

 মাসে ১০৫ ডলারের বিনিময়ে প্রথম ফ্রাঞ্চাইজি

স্যান্ডার্স নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরও আশাহত হননি। ১৯৫২ সালে ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেনের শুরু করেছিলেন শুধু ফ্রাইড চিকেন দিয়ে। পরবর্তীতে এর সঙ্গে যুক্ত করেন ফাস্টফুড খাবারের আইটেম। তখন কেএফসির প্রথম ফ্রাঞ্চাইজি হয়েছিলেন স্যান্ডার্সের বন্ধু পিট হারমান। পিট হারমান উতাহে বিশাল রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতেন। বন্ধু পিট স্যান্ডার্সের কেএফসির স্বাদের ভূয়সী প্রশংসায় উৎসাহিত হয়ে সল্টলেক সিটিতে নতুন শাখা চালু করেন। পিট হারমানই হলেন কেএফসির প্রথম ফাঞ্চাইজ আর উতাহেই কেএফসির প্রথম চেইন শপ চালু হয়েছিল। জোশ ওজারস্কির মতে, ‘স্যান্ডার্স স্টেশনের পাশে রেস্তোরাঁয় দারুণ ব্যবসা করেন। এক সময় ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য নতুন ব্রাঞ্চ খোলার জন্য বন্ধু পিটকে সঙ্গে নেন। পিট মোনিকাকে সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টাকি আসেন। তখন কেএফসির খাবার পরিবেশনের বালতি আকারের বাক্সটি দেখতে অন্যরকম লাগত। স্যান্ডার্সের কেএফসির সঙ্গে পিট হারমান মাসে ১০৫ ডলারের বিনিময়ে ফ্রাঞ্চাইজ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে এই ছোট্ট রেস্তোরাঁটি ১৯৪২টি নতুন ফ্রাঞ্চাইজের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় দেশ-দেশান্তরে। বর্তমানে ৬০০টি শাখা রয়েছে কেএফসির।

 

মাথা গরম স্যান্ডার্সের কান্ড

স্যান্ডার্স জীবনের শুরু থেকে হোঁচট খেয়ে খেয়ে বাস্তবতা শেখেন। নানা বাধা-বিপত্তি সামলে এগিয়ে চলেন গন্তব্যের দিকে। কিন্তু স্যান্ডার্স নিজে একটু রগচটা ও মাথা গরম প্রকৃতির ছিলেন। তাই হয়তো কখনোই ঝামেলা থেকে পরিত্রাণ পাননি বা বার বার ঝামেলাই এসে জুটত তার কাছে। এর প্রমাণ মেলে তার শেল তেল গ্যাস স্টেশন ‘হেলস হাফ একর’ ঘরটিতে ঘুরপাক খাওয়া ঘটনা। স্যান্ডার্স নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক প্রকার উদ্বিগ্ন। নিজ ব্যবসাকে কীভাবে বড় পরিসরে আনা যায় তা নিয়ে হরহামেশাই চিন্তা করতেন। তার বিশালাকার ফাস্টফুডের ব্যাপক প্রচারণার চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তার দিকে ছুড়ে দেওয়া হলো একটি আক্রমণাত্মক মার্কেটিং কৌশল। এই কৌশলের পরিচালনা করেন শেল অয়েল গ্যাস স্টেশনের কাছাকাছি একটি স্ট্যান্ডার্ড অয়েল গ্যাস স্টেশনের পরিচালক ম্যাট স্টুয়ার্ট। স্যান্ডার্সকে সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ‘স্টুয়ার্ট স্যান্ডার্সের ব্যবসায়ে প্রচারণা ব্যর্থ করতে জালিয়াতির পথ বেছে নেয়। বিষয়টি স্যান্ডার্স অবগত হওয়ার পর স্টুয়ার্টের ওপর চড়াও হন। জোশ অজারস্কির লেখা ‘কর্নেল স্যান্ডার্স অ্যান্ড দ্য আমেরিকান ড্রিম’ বই থেকে পাওয়া যায় একটি হত্যার ঘটনা। স্যান্ডার্সের সুনাম স্টুয়ার্ট নষ্ট করতে না পেরে স্টুয়ার্ট শেল গ্যাস স্টেশনের ম্যানেজার রবার্ট গিবসনকে গুলি করে মারাত্মক জখমে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে আটক করে এবং এ কারণে স্টুয়ার্টকে ১৮ বছর জেলে থাকতে হয়। কিন্তু স্টুয়ার্ট আটক হওয়ার পরও স্যান্ডার্সকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।’

 

কর্নেলের অভিশাপ!

৫০ বছর ধরে বেসবল খেলায় ব্যর্থ হয়ে আসছিল হ্যানসিন টাইগারদের বোস্টন রেড সক্স। এর খরা কাটে ২০০৪ সালে। ঘটনাটি সত্যিই আশ্চর্যজনক ছিল! ১৯৮৫ সালে হ্যানসিন টাইগাররা ইতিহাসে প্রথম জাপান সিরিজ জয় করেছিল। হ্যানসিন টাইগাররা জাপানের বেসবল দল ওসাকাকে হারিয়ে এই সিরিজ জিতে। খেলা শেষে বাধে বিপত্তি। ওসাকার সমর্থকরা তখন দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। সমর্থকরা পাশের ফুড মাসকটের বাইরে অবস্থিত কেএফসি শপে স্যান্ডার্সের মূর্তিকে দোষারোপ করে। তাদের ধারণা স্যান্ডার্সের অভিশাপে ওসাকার হার হয়। বিদ্রƒপকারীরা শপের ভিতর থেকে স্যান্ডার্সের মূর্তি ওসাকার ডোন্টোবোরি নদীর ইবিসুর সেতুতে জড়ো হয় এবং তাদের খেলোয়াড়ের সম্মানে মূর্তিগুলো নদীতে ফেলে দেয়। কর্নেলের অভিশাপকে তারা তাদের দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্য হারানোর মূল কারণ বলে আখ্যায়িত করে। মূর্তিগুলো উদ্ধার না করা পর্যন্ত দল জিতবে না বলেও কিছু কিছু ভক্ত কুসংস্কার ছড়াতে থাকে। এ ঘটনার আগের বছর ২০০৩ এবং পরের বছর ২০০৫ সালে দলটি সিরিজ হেরে যায়। ২০০৯ সালে ডোন্টোবোরি নদী থেকে কর্নেল স্যান্ডার্সের মূর্তিটি উদ্ধার করা হলেও ২০১৪ সালের হার আসলে কিসের ইঙ্গিত করে!

 

বিক্রির পরেও ১২২ মিলিয়ন ডলারের মামলা

কর্নেল স্যান্ডার্স ১৯৬৪ সালে ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন বিক্রি করতেন। কিন্তু বিক্রি না করে পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের দিকে মার্কিন এক কোম্পানির কাছে ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ক্যান্টাকির কর্নেল ‘কেএফসি’ ও তার মালিকদের ‘শ্বাসরুদ্ধকারী গোষ্ঠী’ হিসেবে উপহাস করতে শুরু করে। কিন্তু কিছুকাল আগেও এই ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেনের সুনাম ছিল মানুষের মুখে মুখে। তবে তখনো কোম্পানির একজন সাধারণ গ্রাহক হিসেবে স্যান্ডার্স ‘কেএফসি’র খাবার অপছন্দ করতেন। তার কষ্টের শেষ ছিল না। কারণ এই কোম্পানিটি গড়ে তুলতে এবং এর উন্নতি সাধনে তিনি অনেক ভূমিকা রেখেছিলেন। ‘দ্য কর্নেল লেডি ডিনার হাউস’ নামের রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধন করেন তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। এই রেস্টুরেন্ট অবশ্য বাজারে আসে ‘কেএফসি’র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই। তবে এ পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ান সে সময়ের ‘কেএফসি’র মুখপাত্র হিউবিলেন। তখন স্যান্ডার্স ১২২ মিলিয়ন দাবি করে একটি মামলা ঠুঁকে দেন। যদিও পরবর্তীতে এর মীমাংসা হয় মাত্র এক মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে। বিশাল এই সুনামের অক্ষুণ্ণতার জন্য এ অর্থদন্ড ছিল নিতান্তই কম। তবে শর্ত ছিল ‘কেএফসি’র কিচেনে স্যান্ডার্স রান্না করার সুবিধা করে দেওয়া। ফলে স্যান্ডার্সও ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেনের বিরুদ্ধে প্রচারণাও বন্ধ করে দেন। এরপর খোলা হয় ক্লাউডিয়া স্যান্ডার্স ডাইনিং হাউস। সেই হাউস এখনো আমেরিকার ভোজনরসিকদের সুস্বাদু হরেক রকমের খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে সুনামের সঙ্গে।

 

ছবিতে সেই কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স

এই বিভাগের আরও খবর
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
ফিরে গিয়ে সিলভা আর যোগাযোগ রাখেননি
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
বিয়ে করতে সিলেটে উড়ে এলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
হোগল-রহিমার অবাক প্রেমে মুগ্ধ সবাই
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
পোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
সর্বশেষ খবর
গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস
গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস

১ মিনিট আগে | রাজনীতি

আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস
আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল

২৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে
যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ
চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ

৫১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫
পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান
কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার
গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহামেডানের দরকার ৪৩
মোহামেডানের দরকার ৪৩

মাঠে ময়দানে