শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ আপডেট:

বুড়ো বয়সে ব্যবসা শুরু তারপর বিশ্বজয়

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
বুড়ো বয়সে ব্যবসা শুরু তারপর বিশ্বজয়

কেএফসি মালিকের জীবন কাহিনি

সাফল্যের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স। বিশ্বের প্রথম বড় ফ্রাইড চিকেন ‘কেএফসি’র মালিক তিনি। জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি ব্যর্থতা আর গ্লানির মাঝে কাটালেও নিজের অদম্য ইচ্ছা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে দীর্ঘ ৬০ বছর বয়সে সফলতা লাভ করেন।

পুরো নাম কর্নেল হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স। জন্ম ১৮৯০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের হেনরিভ্যালিতে। বাবা উইলবার ডেভিড এবং মা মার্গারেট অ্যানে স্যান্ডার্স। তিন সন্তানের মধ্যে স্যান্ডার্স সবার বড়। বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ৮০ একর জমির ওপর নির্মিত একটি ফার্মে তিনি কৃষি কাজ করতেন। আর তাতেই সংসারটি কোনো রকমে চলে যেত স্যান্ডার্সদের। কিন্তু হঠাৎ দুর্ঘটনায় স্যান্ডার্সের জীবনের ছন্দপতন ঘটে। ১৮৯৩ সালে ফার্মে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় বাবা উইলবার ডেভিডের পা ভেঙে যায়। দুর্ঘটনার দুই বছর পর যখন স্যান্ডার্সের বয়স মাত্র পাঁচ বছর তখন বাবা উইলবার ডেভিড মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর মা মার্গারেট অ্যানে ১৯০২ সালে আবার বিয়ে করেন। সৎ বাবার পরিবার ভালো লাগত না স্যান্ডার্সের। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর স্যান্ডার্স ও তাদের পরিবার ইন্ডিয়ানার গ্রিনউডে চলে আসেন।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান বলে অর্থাভাবে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ঘর ছাড়েন। স্কুল থেকে ঝরে পড়েন তারও আগে। শুরু করেন খামারে কৃষকের কাজ। কিন্তু কিশোর বয়সে স্যান্ডার্সের কৃষি কাজ ভালো লাগত না। এরপর ইন্ডিয়ানা পুলিশের ঘোড়ার গাড়ি রং করার চাকরি নেন। এটাও ছেড়ে ১৪ বছর বয়সে আবারও খামারে খেতমজুরের কাজ শুরু করেন। এরপর ১৯০৬ সালে ইন্ডিয়ানার নিউ আলবানিতে গাড়ির কন্ডাক্টরের চাকরি করেন। মাত্র বছরখানেক করেছিলেন সেই চাকরি। এরপর কামারশালায় লোহা পেটানোর কাজ নেন। কিন্তু এখানেও মন টিকে না স্যান্ডার্সের। এবার কয়লাচালিত ট্রেনের ছাইয়ের টাংকি পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন। ১৬ বছর বয়সে কাজ পান স্টেশনের ফায়ারম্যানের। এক সময় নর্থফোক ও ওয়েস্টার্ন রেলস্টেশনে দিনমজুরের কাজও করেন। কর্নেল স্যান্ডার্স এক জায়গায় বেশি দিন কাজ করতে পারতেন না। দুই বছর পর আবার তিনি ফিরে যান ইলিনয় সেন্ট্রাল রেলরোডে। শুরু করেন ফায়ারম্যানের কাজ। ১৭ বছরের মাথায় মোট চারবার চাকরি হারিয়েছিলেন স্যান্ডার্স। এরপর এক্সটেনশন ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে লিটল রক নামের প্রতিষ্ঠানে বছর তিনেক প্রশিক্ষণ শেষে অর্থ উপার্জন শুরু করেন। এখানেও তার বাধার শেষ ছিল না। মাথা গরম প্রকৃতির স্যান্ডার্স ক্লায়েন্টের সঙ্গে আদালত পাড়ায় ঝগড়া করেই আইন পেশার সমাপ্তি ঘটান। অর্থাভাবে কিছু দিন পর নিজে আইন পেশাকে বিদায় জানান। সেখান থেকে ফিরে পেনসিলভানিয়ায় চাকরি নেন রেলস্টেশনে। এখানেও খুব বেশি দিন না থেকে ১৯১৬ সালের দিকে পরিবার নিয়ে জেফারসনভাইলে চলে আসেন এবং বীমা কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। স্যান্ডার্স কোথাও স্থায়ী হতে পারতেন না। কারণ, তিনি ছিলেন রাগী প্রকৃতির। তাই বীমার চাকরি হারিয়ে সেলসম্যানের কাজ করেন। করেছেন স্টোর ক্লার্কের কাজও। ১৯১৮ সালে ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এবং ১৯ বছর বয়সেই বাবা হন। কিন্তু ২০ বছর বয়সে তার স্ত্রী তাকে ফেলে রেখে কন্যাসন্তানটিকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান। ১৯২০ সালে তিনি নৌকার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। স্যান্ডার্স এখানে ডিঙি নৌকা তৈরি করে তা বিক্রি করতেন। এক সময় কোম্পানির ভবিষ্যৎ আরও বড় পরিসরে করার জন্য কোম্পানির নামে শেয়ারও চালু করেন। যার বেশির ভাগ মালিক ছিলেন স্যান্ডার্স নিজেই এবং পরবর্তীতে স্যান্ডার্স নিজেই কোম্পানির সচিব নির্বাচিত হন। এটাই ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম সফলতা। ১৯২২ সালে ইন্ডিয়ানার কলম্বাসে চেম্বার অব কমার্স নামের একটি কোম্পানিতে সচিবের চাকরি নেন। সেই চাকরিটিও ভালো না লাগায় এক সময় চাকরি ছেড়ে দেন। শুধু তাই নয়, তার ডিঙি নৌকার কোম্পানিটিও ৩২ হাজার ডলারে বিক্রি করে দেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৩ লাখ ৯ হাজার ডলার। সেই অর্থ দিয়ে হাইড্রোকার্বন গ্যাসের বাতি উৎপাদনকারী কোম্পানি চালু করেন। তার বৈদ্যুতিক বাতির কোম্পানিটিও বেশি দিন টিকেনি। কলোনিল স্যান্ডার্স বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হন।

নানা ব্যর্থতার বেড়াজাল পেরিয়ে স্যান্ডার্স কেন্টাকির উইনচেস্টারে চলে আসেন। সেখানে তিনি ম্যাচিলিন নামের একটি টায়ার কোম্পানিতে সেলসম্যানের চাকরি নেন। ১৯২৪ সালে কোম্পানিটি বন্ধ হলে নিকোলাসভ্যালির এক স্টেশনে চাকরি নেন এবং অদ্ভুত ব্যাপার হলো ১৯৩০ সালে স্টেশনটিও বন্ধ হয়ে যায়। একই বছরে ক্যান্টাকির নর্থ ক্যারোলাইনা এলাকায় শেল অয়েল কোম্পানি তাকে স্টেশনের কর্মীদের জন্য খাবার সার্ভিসের প্রস্তাব করে। সেখানে তাকে কোনো জায়গা ভাড়া দিতে হতো না। বিনিময়ে বিক্রি করা খাবারের লভ্যাংশের সামান্য অংশ দিলেই যথেষ্ট। সেখানে ফ্রাইড চিকেনসহ বিভিন্ন ফাস্টফুড সার্ভিস দিতেন স্যান্ডার্স। স্যান্ডার্সের খাবারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ক্যান্টাকির অলি-গলিতে। ১৯৩৯ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যাশেভ্যালিতে মোটেল নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও এখানেও বাধা পান। তবুও স্যান্ডার্স পিছপা হননি। ১৯৪০ সালে ১৪০ আসনের রেস্টুরেন্ট খুলে স্পেশাল ফ্রাইড চিকেন বিক্রি শুরু করেন। নতুন স্বাদের চিকেন জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। ১৯৫২ সালে স্যান্ডার্স ‘চিকেন ফ্রাই’ ধারণাটিকে আয়ের উৎসে পরিণত করার পর থেকে ‘ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন’ বিশ্বের প্রথম বড় ফ্রাইড চিকেন কোম্পানি হয়ে ওঠে। প্রাচীন রেস্তোরাঁটিই আজকের ‘কেএফসি’। যার রয়েছে ৬০০টি শাখা। ১৯৭০ সালে স্যান্ডার্স আমেরিকান কোম্পানির কাছে রেস্তোরাঁটি ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন। ১৯৮০ সালে ৯০ বছর বয়সে জীবনে ব্যর্থতার পর সফলতা নিয়ে স্যান্ডার্স পরলোকগমন করেন।

 

ফ্রাইড চিকেন দিয়ে শুরু

১৯৩০ সালে স্যান্ডার্স ক্যান্টাকিতে গ্যাস স্টেশনের ভিতরে খাবারের ব্যবসা শুরু করেন। জরাজীর্ণ রুমে সামান্য টেবিলই ছিল সম্বল। স্টেশনের ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য স্যান্ডার্স দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতেন। ফ্রাইড চিকেনই একমাত্র খাবারের আইটেম ছিল, যা তৈরি করতে অনেক সময় লাগত। এর বাইরেও তার তৈরি হ্যাম ও স্টিক ডিনার ছিল বেশ জনপ্রিয়। স্যান্ডার্স রেস্তোরাঁ খুলে চিকেন ফ্রাই ও আয়রন স্কিলেট বিক্রি করতেন। সময়ের তালে তালে ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই রেস্তোরাঁটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৩৫ সালে আবারও ব্যবসা শুরু করেন। স্টেশনের ড্রাইভার ছাড়াও স্যান্ডার্স বাইরে অর্ডারে চিকেন ফ্রাইড সরবরাহ করতেন। এবারও ভাগ্য পাশে ছিল না। ১৯৩৯ সালে স্যান্ডার্স নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যাশেভ্যালিতে মোটেল খোলেন। মোটেল ব্যবসায়ে আগুন লেগে বন্ধ হয়ে যায়। আবারও গ্যাস স্টেশনে ট্রাক ড্রাইভারদের খাবারের ব্যবসা শুরু করেন স্যান্ডার্স। এবার ১৪০ আসনের রেস্তোরাঁ নেন এবং ১৯৪০ সালের জুলাইয়ে তার রেস্টুরেন্টে স্পেশাল ফ্রাইড চিকেন বিক্রি শুরু করেন। নতুন স্বাদের চিকেন ফ্রাই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। ‘ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন’ বিশ্বের প্রথম বড় পরিসরের ফ্রাইড চিকেন কোম্পানি। প্রাচীন এ রেস্তোরাঁটিই আজকের জনপ্রিয় ‘কেএফসি’। ১৯৫৫ সাল থেকে মাত্র দশ বছরে এর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে যায় সমগ্র বিশ্বে। এখন কেএফসির ৬০০টির বেশি শাখা কিন্তু শুরুটা হয়েছিল সামান্য একটি গ্যাস স্টেশন থেকেই।

 

মিলিটারি কর্নেল নন!

ক্যান্টাকির বাসিন্দা না হলে এমন ভুল করাটাই স্বাভাবিক। যেমন অনেকেই মনে করেন কর্নেল স্যান্ডার্স নিশ্চয় কোনো এক সময় মিলিটারি দলের কর্তা ছিলেন। আসল ঘটনাটি হলো ক্যান্টাকির সাধারণ মানুষ তো বটেই, বড় বড় আমলা স্যান্ডার্সকে সম্মান দিয়ে কর্নেল বলে সম্বোধন করতেন। আর স্যান্ডার্স নিজেকে গড়ে তোলার জন্য এই নামটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু এ নামটির পেছনেও রয়েছে একটি ইতিহাস। স্যান্ডার্স জীবনের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে সফল হন। ‘কর্নেল’ উপাধি পান ১৯৩৫ সালে, যখন গ্যাস স্টেশনের ভিতরের জরাজীর্ণ রুমে ‘স্যান্ডার্স ক্যাফে’ খুলে খাবারের ব্যবসা করেন। কিন্তু ১৯৪৯ সালে স্যান্ডার্স সনদপত্র আকারে কর্নেল খেতাব গ্রহণ করেন। এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন ক্যান্টাকির তৎকালীন গভর্নর। ১৯৫০ সালে স্যান্ডার্স নিজেকে সবার সামনে সভ্য এবং ক্যান্টাকির কর্নেল হিসেবে উপস্থাপন করা শুরু করলেন। সাদা দাড়ি, স্ট্রিং টাই এবং সাদা ওয়েস্ট কোটে নিজেকে অনন্য মানুষ হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করতেন স্যান্ডার্স। আর ব্যবসায়ের সফলতা সারা বিশ্বে এর ব্যাপ্তির কারণে কর্নেল নামটি সবার মুখে মুখে, যা স্যান্ডার্সকে শেষ বয়সে করেছে সম্মানিত। মুরগির স্বাদ বদলে দেওয়া স্যান্ডার্স ১৯৫০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নিজের রেসিপি বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন। তার ব্যবসা ও নতুন স্বাদের খাবারে বিমোহিত হয়ে ক্যান্টাকির সাধারণ মানুষ তাকে কর্নেল বলে সম্বোধন করতেন।

 

 মাসে ১০৫ ডলারের বিনিময়ে প্রথম ফ্রাঞ্চাইজি

স্যান্ডার্স নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরও আশাহত হননি। ১৯৫২ সালে ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেনের শুরু করেছিলেন শুধু ফ্রাইড চিকেন দিয়ে। পরবর্তীতে এর সঙ্গে যুক্ত করেন ফাস্টফুড খাবারের আইটেম। তখন কেএফসির প্রথম ফ্রাঞ্চাইজি হয়েছিলেন স্যান্ডার্সের বন্ধু পিট হারমান। পিট হারমান উতাহে বিশাল রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতেন। বন্ধু পিট স্যান্ডার্সের কেএফসির স্বাদের ভূয়সী প্রশংসায় উৎসাহিত হয়ে সল্টলেক সিটিতে নতুন শাখা চালু করেন। পিট হারমানই হলেন কেএফসির প্রথম ফাঞ্চাইজ আর উতাহেই কেএফসির প্রথম চেইন শপ চালু হয়েছিল। জোশ ওজারস্কির মতে, ‘স্যান্ডার্স স্টেশনের পাশে রেস্তোরাঁয় দারুণ ব্যবসা করেন। এক সময় ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য নতুন ব্রাঞ্চ খোলার জন্য বন্ধু পিটকে সঙ্গে নেন। পিট মোনিকাকে সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টাকি আসেন। তখন কেএফসির খাবার পরিবেশনের বালতি আকারের বাক্সটি দেখতে অন্যরকম লাগত। স্যান্ডার্সের কেএফসির সঙ্গে পিট হারমান মাসে ১০৫ ডলারের বিনিময়ে ফ্রাঞ্চাইজ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে এই ছোট্ট রেস্তোরাঁটি ১৯৪২টি নতুন ফ্রাঞ্চাইজের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় দেশ-দেশান্তরে। বর্তমানে ৬০০টি শাখা রয়েছে কেএফসির।

 

মাথা গরম স্যান্ডার্সের কান্ড

স্যান্ডার্স জীবনের শুরু থেকে হোঁচট খেয়ে খেয়ে বাস্তবতা শেখেন। নানা বাধা-বিপত্তি সামলে এগিয়ে চলেন গন্তব্যের দিকে। কিন্তু স্যান্ডার্স নিজে একটু রগচটা ও মাথা গরম প্রকৃতির ছিলেন। তাই হয়তো কখনোই ঝামেলা থেকে পরিত্রাণ পাননি বা বার বার ঝামেলাই এসে জুটত তার কাছে। এর প্রমাণ মেলে তার শেল তেল গ্যাস স্টেশন ‘হেলস হাফ একর’ ঘরটিতে ঘুরপাক খাওয়া ঘটনা। স্যান্ডার্স নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক প্রকার উদ্বিগ্ন। নিজ ব্যবসাকে কীভাবে বড় পরিসরে আনা যায় তা নিয়ে হরহামেশাই চিন্তা করতেন। তার বিশালাকার ফাস্টফুডের ব্যাপক প্রচারণার চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তার দিকে ছুড়ে দেওয়া হলো একটি আক্রমণাত্মক মার্কেটিং কৌশল। এই কৌশলের পরিচালনা করেন শেল অয়েল গ্যাস স্টেশনের কাছাকাছি একটি স্ট্যান্ডার্ড অয়েল গ্যাস স্টেশনের পরিচালক ম্যাট স্টুয়ার্ট। স্যান্ডার্সকে সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ‘স্টুয়ার্ট স্যান্ডার্সের ব্যবসায়ে প্রচারণা ব্যর্থ করতে জালিয়াতির পথ বেছে নেয়। বিষয়টি স্যান্ডার্স অবগত হওয়ার পর স্টুয়ার্টের ওপর চড়াও হন। জোশ অজারস্কির লেখা ‘কর্নেল স্যান্ডার্স অ্যান্ড দ্য আমেরিকান ড্রিম’ বই থেকে পাওয়া যায় একটি হত্যার ঘটনা। স্যান্ডার্সের সুনাম স্টুয়ার্ট নষ্ট করতে না পেরে স্টুয়ার্ট শেল গ্যাস স্টেশনের ম্যানেজার রবার্ট গিবসনকে গুলি করে মারাত্মক জখমে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে আটক করে এবং এ কারণে স্টুয়ার্টকে ১৮ বছর জেলে থাকতে হয়। কিন্তু স্টুয়ার্ট আটক হওয়ার পরও স্যান্ডার্সকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।’

 

কর্নেলের অভিশাপ!

৫০ বছর ধরে বেসবল খেলায় ব্যর্থ হয়ে আসছিল হ্যানসিন টাইগারদের বোস্টন রেড সক্স। এর খরা কাটে ২০০৪ সালে। ঘটনাটি সত্যিই আশ্চর্যজনক ছিল! ১৯৮৫ সালে হ্যানসিন টাইগাররা ইতিহাসে প্রথম জাপান সিরিজ জয় করেছিল। হ্যানসিন টাইগাররা জাপানের বেসবল দল ওসাকাকে হারিয়ে এই সিরিজ জিতে। খেলা শেষে বাধে বিপত্তি। ওসাকার সমর্থকরা তখন দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। সমর্থকরা পাশের ফুড মাসকটের বাইরে অবস্থিত কেএফসি শপে স্যান্ডার্সের মূর্তিকে দোষারোপ করে। তাদের ধারণা স্যান্ডার্সের অভিশাপে ওসাকার হার হয়। বিদ্রƒপকারীরা শপের ভিতর থেকে স্যান্ডার্সের মূর্তি ওসাকার ডোন্টোবোরি নদীর ইবিসুর সেতুতে জড়ো হয় এবং তাদের খেলোয়াড়ের সম্মানে মূর্তিগুলো নদীতে ফেলে দেয়। কর্নেলের অভিশাপকে তারা তাদের দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্য হারানোর মূল কারণ বলে আখ্যায়িত করে। মূর্তিগুলো উদ্ধার না করা পর্যন্ত দল জিতবে না বলেও কিছু কিছু ভক্ত কুসংস্কার ছড়াতে থাকে। এ ঘটনার আগের বছর ২০০৩ এবং পরের বছর ২০০৫ সালে দলটি সিরিজ হেরে যায়। ২০০৯ সালে ডোন্টোবোরি নদী থেকে কর্নেল স্যান্ডার্সের মূর্তিটি উদ্ধার করা হলেও ২০১৪ সালের হার আসলে কিসের ইঙ্গিত করে!

 

বিক্রির পরেও ১২২ মিলিয়ন ডলারের মামলা

কর্নেল স্যান্ডার্স ১৯৬৪ সালে ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন বিক্রি করতেন। কিন্তু বিক্রি না করে পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের দিকে মার্কিন এক কোম্পানির কাছে ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ক্যান্টাকির কর্নেল ‘কেএফসি’ ও তার মালিকদের ‘শ্বাসরুদ্ধকারী গোষ্ঠী’ হিসেবে উপহাস করতে শুরু করে। কিন্তু কিছুকাল আগেও এই ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেনের সুনাম ছিল মানুষের মুখে মুখে। তবে তখনো কোম্পানির একজন সাধারণ গ্রাহক হিসেবে স্যান্ডার্স ‘কেএফসি’র খাবার অপছন্দ করতেন। তার কষ্টের শেষ ছিল না। কারণ এই কোম্পানিটি গড়ে তুলতে এবং এর উন্নতি সাধনে তিনি অনেক ভূমিকা রেখেছিলেন। ‘দ্য কর্নেল লেডি ডিনার হাউস’ নামের রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধন করেন তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। এই রেস্টুরেন্ট অবশ্য বাজারে আসে ‘কেএফসি’র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই। তবে এ পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ান সে সময়ের ‘কেএফসি’র মুখপাত্র হিউবিলেন। তখন স্যান্ডার্স ১২২ মিলিয়ন দাবি করে একটি মামলা ঠুঁকে দেন। যদিও পরবর্তীতে এর মীমাংসা হয় মাত্র এক মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে। বিশাল এই সুনামের অক্ষুণ্ণতার জন্য এ অর্থদন্ড ছিল নিতান্তই কম। তবে শর্ত ছিল ‘কেএফসি’র কিচেনে স্যান্ডার্স রান্না করার সুবিধা করে দেওয়া। ফলে স্যান্ডার্সও ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেনের বিরুদ্ধে প্রচারণাও বন্ধ করে দেন। এরপর খোলা হয় ক্লাউডিয়া স্যান্ডার্স ডাইনিং হাউস। সেই হাউস এখনো আমেরিকার ভোজনরসিকদের সুস্বাদু হরেক রকমের খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে সুনামের সঙ্গে।

 

ছবিতে সেই কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স

এই বিভাগের আরও খবর
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা
হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা
সর্বশেষ খবর
৫০০ ধরনের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার
৫০০ ধরনের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাইবান্ধায় বিল থেকে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধায় বিল থেকে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে ডেঙ্গুতে নববধূর মৃত্যু
রাজশাহীতে ডেঙ্গুতে নববধূর মৃত্যু

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইউপি সদস্যকে বাড়ির উঠানে কুপিয়ে হত্যা
ইউপি সদস্যকে বাড়ির উঠানে কুপিয়ে হত্যা

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে ভ্যানচুরিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
গোপালগঞ্জে ভ্যানচুরিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকের সামনে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যার চেষ্টা
প্রেমিকের সামনে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যার চেষ্টা

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্ট পালিত হবে ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’
৫ আগস্ট পালিত হবে ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বরগুনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি
বরগুনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেরিন ড্রাইভে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত
মেরিন ড্রাইভে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের
সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

আমিরাতে হাটহাজারী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠিত
আমিরাতে হাটহাজারী সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠিত

৩৮ মিনিট আগে | পরবাস

সাতজন উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিল প্রাইম ব্যাংক
সাতজন উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিল প্রাইম ব্যাংক

৪২ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ধর্ষককে গণপিটুনি, হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু
ধর্ষককে গণপিটুনি, হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুরাদনগরের অপকর্মে আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত : রিজভী
মুরাদনগরের অপকর্মে আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত : রিজভী

৪৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

ভারতে রথযাত্রায় পদদলিত হয়ে তিনজনের প্রাণহানি
ভারতে রথযাত্রায় পদদলিত হয়ে তিনজনের প্রাণহানি

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সস্তায় ফ্ল্যাট ভাড়ার নামে প্রতারণা: দুবাইতে ভুয়া এজেন্ট গ্রেপ্তার
সস্তায় ফ্ল্যাট ভাড়ার নামে প্রতারণা: দুবাইতে ভুয়া এজেন্ট গ্রেপ্তার

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসপাতালে ভর্তি, তবুও পরীক্ষা দিলেন নুরে জান্নাত
হাসপাতালে ভর্তি, তবুও পরীক্ষা দিলেন নুরে জান্নাত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেস্টিভ্যাল অব অস্ট্রেলিয়া-তে উদ্যোক্তা চ্যালেঞ্জের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
ফেস্টিভ্যাল অব অস্ট্রেলিয়া-তে উদ্যোক্তা চ্যালেঞ্জের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

রাজধানীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল একই পরিবারের তিনজনের
রাজধানীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল একই পরিবারের তিনজনের

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মোংলায় কাস্টমসের কমপ্লিট শাটডাউনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মানববন্ধন
মোংলায় কাস্টমসের কমপ্লিট শাটডাউনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা নির্বাচিত
শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা নির্বাচিত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঠাকুরগাঁওয়ে ৩০০ বছরের সূর্যপুরী আমগাছে ফলন ১৫০ মণ
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩০০ বছরের সূর্যপুরী আমগাছে ফলন ১৫০ মণ

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুই বাইক আরোহীর মৃত্যু
রাজধানীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুই বাইক আরোহীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল সার্বিয়া
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল সার্বিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকার ব্যর্থ, জুলাই ঘোষণাপত্র ৩ আগস্টে দেবে এনসিপি : নাহিদ
সরকার ব্যর্থ, জুলাই ঘোষণাপত্র ৩ আগস্টে দেবে এনসিপি : নাহিদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতেই জুলাই সনদে স্বাক্ষরের আশা ছিল : আলী রীয়াজ
আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতেই জুলাই সনদে স্বাক্ষরের আশা ছিল : আলী রীয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছে: ইরান
এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছে: ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়া প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বে রানু-কালাম
বগুড়া প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বে রানু-কালাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল
প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫
নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’
ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর
জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা
ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিডিয়াই আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছেড়ে যেতে চাই না
মিডিয়াই আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছেড়ে যেতে চাই না

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প
এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা
আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ
এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় : সালাহউদ্দিন
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় : সালাহউদ্দিন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল
ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই আনিসা আজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন
সেই আনিসা আজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ
কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা

১৯ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভেনিসে রাজকীয় আয়োজনে জেফ বেজোসের বিয়ে
ভেনিসে রাজকীয় আয়োজনে জেফ বেজোসের বিয়ে

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইতিহাসের পাতায় ইরান
ইতিহাসের পাতায় ইরান

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিমানবন্দরে ভাল্লুকের তাণ্ডব: ফ্লাইট বাতিল, রানওয়ে বন্ধ
বিমানবন্দরে ভাল্লুকের তাণ্ডব: ফ্লাইট বাতিল, রানওয়ে বন্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সড়ক ভবন লুটেছে ১৫ ঠিকাদার
সড়ক ভবন লুটেছে ১৫ ঠিকাদার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি তিন বিলিয়ন ডলার
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি তিন বিলিয়ন ডলার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোড়া গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট
পোড়া গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনকে শোকজ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনকে শোকজ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মধ্যরাতে রাজধানীর সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ
মধ্যরাতে রাজধানীর সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন
সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪৯.২ ডিগ্রি তাপদাহের মধ্যেই আরব আমিরাতে শিলাবৃষ্টি!
৪৯.২ ডিগ্রি তাপদাহের মধ্যেই আরব আমিরাতে শিলাবৃষ্টি!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিল পেতে চাও যদি দাও ঘড়ি কিংবা নারী
বিল পেতে চাও যদি দাও ঘড়ি কিংবা নারী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নির্বাচনি কৌশল চূড়ান্ত
বিএনপির নির্বাচনি কৌশল চূড়ান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

দরজা বন্ধ বাংলাদেশিদের
দরজা বন্ধ বাংলাদেশিদের

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কেমন প্রভাব পড়বে?
ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কেমন প্রভাব পড়বে?

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবরুদ্ধ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবরুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

অচল ব্যবসাবাণিজ্য
অচল ব্যবসাবাণিজ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে ব্যবসায়ীদের
পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগে নারীর মামলা
দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগে নারীর মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে গাড়িমেলা
আইসিসিবিতে গাড়িমেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রয়োজনে আবারও লড়াইয়ে নামব
প্রয়োজনে আবারও লড়াইয়ে নামব

প্রথম পৃষ্ঠা

সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

মৌর ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’
মৌর ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’

শোবিজ

‘কাঁটা লাগা গার্ল’র ভাগ্য বদলে ছিল যেভাবে...
‘কাঁটা লাগা গার্ল’র ভাগ্য বদলে ছিল যেভাবে...

শোবিজ

ভেজাল খাদ্যে বাড়ছে মরণব্যাধি
ভেজাল খাদ্যে বাড়ছে মরণব্যাধি

নগর জীবন

হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’

সম্পাদকীয়

চ্যালেঞ্জের মুখে রাজস্ব অর্জন
চ্যালেঞ্জের মুখে রাজস্ব অর্জন

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজায় নিহত লাখের বেশি ট্রাম্প বললেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি
গাজায় নিহত লাখের বেশি ট্রাম্প বললেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুরি দেখিয়ে হুমকি প্রধান উপদেষ্টাকে অবশেষে গ্রেপ্তার
ছুরি দেখিয়ে হুমকি প্রধান উপদেষ্টাকে অবশেষে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

গুরু-শিষ্যের লড়াই ক্লাব বিশ্বকাপে
গুরু-শিষ্যের লড়াই ক্লাব বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

জাপানে সেরা রুনার ‘নীলপদ্ম’
জাপানে সেরা রুনার ‘নীলপদ্ম’

শোবিজ

তারকাদের ভিন্ন প্রতিভা
তারকাদের ভিন্ন প্রতিভা

শোবিজ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই ইচ্ছাটি এখনো কষ্ট দেয় - সৈয়দ আবদুল হাদী
সেই ইচ্ছাটি এখনো কষ্ট দেয় - সৈয়দ আবদুল হাদী

শোবিজ

প্যাডেল স্ল্যাম-২৫
প্যাডেল স্ল্যাম-২৫

মাঠে ময়দানে

ফুটবলে অন্যরকম দিন
ফুটবলে অন্যরকম দিন

মাঠে ময়দানে

রাশেদ-অমিও জিতেছেন মুয়েথাই বেল্ট
রাশেদ-অমিও জিতেছেন মুয়েথাই বেল্ট

মাঠে ময়দানে

মারা গেলেন কিশোরগঞ্জের সেই গোরখোদক মনু মিয়া
মারা গেলেন কিশোরগঞ্জের সেই গোরখোদক মনু মিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন
নাজমুলের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

বিশ্বাস করি বাংলাদেশও টেস্টে এগোবে
বিশ্বাস করি বাংলাদেশও টেস্টে এগোবে

মাঠে ময়দানে