শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ আপডেট:

বুড়ো বয়সে ব্যবসা শুরু তারপর বিশ্বজয়

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
বুড়ো বয়সে ব্যবসা শুরু তারপর বিশ্বজয়

কেএফসি মালিকের জীবন কাহিনি

সাফল্যের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স। বিশ্বের প্রথম বড় ফ্রাইড চিকেন ‘কেএফসি’র মালিক তিনি। জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি ব্যর্থতা আর গ্লানির মাঝে কাটালেও নিজের অদম্য ইচ্ছা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে দীর্ঘ ৬০ বছর বয়সে সফলতা লাভ করেন।

পুরো নাম কর্নেল হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স। জন্ম ১৮৯০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের হেনরিভ্যালিতে। বাবা উইলবার ডেভিড এবং মা মার্গারেট অ্যানে স্যান্ডার্স। তিন সন্তানের মধ্যে স্যান্ডার্স সবার বড়। বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ৮০ একর জমির ওপর নির্মিত একটি ফার্মে তিনি কৃষি কাজ করতেন। আর তাতেই সংসারটি কোনো রকমে চলে যেত স্যান্ডার্সদের। কিন্তু হঠাৎ দুর্ঘটনায় স্যান্ডার্সের জীবনের ছন্দপতন ঘটে। ১৮৯৩ সালে ফার্মে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় বাবা উইলবার ডেভিডের পা ভেঙে যায়। দুর্ঘটনার দুই বছর পর যখন স্যান্ডার্সের বয়স মাত্র পাঁচ বছর তখন বাবা উইলবার ডেভিড মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর মা মার্গারেট অ্যানে ১৯০২ সালে আবার বিয়ে করেন। সৎ বাবার পরিবার ভালো লাগত না স্যান্ডার্সের। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর স্যান্ডার্স ও তাদের পরিবার ইন্ডিয়ানার গ্রিনউডে চলে আসেন।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান বলে অর্থাভাবে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ঘর ছাড়েন। স্কুল থেকে ঝরে পড়েন তারও আগে। শুরু করেন খামারে কৃষকের কাজ। কিন্তু কিশোর বয়সে স্যান্ডার্সের কৃষি কাজ ভালো লাগত না। এরপর ইন্ডিয়ানা পুলিশের ঘোড়ার গাড়ি রং করার চাকরি নেন। এটাও ছেড়ে ১৪ বছর বয়সে আবারও খামারে খেতমজুরের কাজ শুরু করেন। এরপর ১৯০৬ সালে ইন্ডিয়ানার নিউ আলবানিতে গাড়ির কন্ডাক্টরের চাকরি করেন। মাত্র বছরখানেক করেছিলেন সেই চাকরি। এরপর কামারশালায় লোহা পেটানোর কাজ নেন। কিন্তু এখানেও মন টিকে না স্যান্ডার্সের। এবার কয়লাচালিত ট্রেনের ছাইয়ের টাংকি পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন। ১৬ বছর বয়সে কাজ পান স্টেশনের ফায়ারম্যানের। এক সময় নর্থফোক ও ওয়েস্টার্ন রেলস্টেশনে দিনমজুরের কাজও করেন। কর্নেল স্যান্ডার্স এক জায়গায় বেশি দিন কাজ করতে পারতেন না। দুই বছর পর আবার তিনি ফিরে যান ইলিনয় সেন্ট্রাল রেলরোডে। শুরু করেন ফায়ারম্যানের কাজ। ১৭ বছরের মাথায় মোট চারবার চাকরি হারিয়েছিলেন স্যান্ডার্স। এরপর এক্সটেনশন ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে লিটল রক নামের প্রতিষ্ঠানে বছর তিনেক প্রশিক্ষণ শেষে অর্থ উপার্জন শুরু করেন। এখানেও তার বাধার শেষ ছিল না। মাথা গরম প্রকৃতির স্যান্ডার্স ক্লায়েন্টের সঙ্গে আদালত পাড়ায় ঝগড়া করেই আইন পেশার সমাপ্তি ঘটান। অর্থাভাবে কিছু দিন পর নিজে আইন পেশাকে বিদায় জানান। সেখান থেকে ফিরে পেনসিলভানিয়ায় চাকরি নেন রেলস্টেশনে। এখানেও খুব বেশি দিন না থেকে ১৯১৬ সালের দিকে পরিবার নিয়ে জেফারসনভাইলে চলে আসেন এবং বীমা কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। স্যান্ডার্স কোথাও স্থায়ী হতে পারতেন না। কারণ, তিনি ছিলেন রাগী প্রকৃতির। তাই বীমার চাকরি হারিয়ে সেলসম্যানের কাজ করেন। করেছেন স্টোর ক্লার্কের কাজও। ১৯১৮ সালে ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এবং ১৯ বছর বয়সেই বাবা হন। কিন্তু ২০ বছর বয়সে তার স্ত্রী তাকে ফেলে রেখে কন্যাসন্তানটিকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান। ১৯২০ সালে তিনি নৌকার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। স্যান্ডার্স এখানে ডিঙি নৌকা তৈরি করে তা বিক্রি করতেন। এক সময় কোম্পানির ভবিষ্যৎ আরও বড় পরিসরে করার জন্য কোম্পানির নামে শেয়ারও চালু করেন। যার বেশির ভাগ মালিক ছিলেন স্যান্ডার্স নিজেই এবং পরবর্তীতে স্যান্ডার্স নিজেই কোম্পানির সচিব নির্বাচিত হন। এটাই ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম সফলতা। ১৯২২ সালে ইন্ডিয়ানার কলম্বাসে চেম্বার অব কমার্স নামের একটি কোম্পানিতে সচিবের চাকরি নেন। সেই চাকরিটিও ভালো না লাগায় এক সময় চাকরি ছেড়ে দেন। শুধু তাই নয়, তার ডিঙি নৌকার কোম্পানিটিও ৩২ হাজার ডলারে বিক্রি করে দেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৩ লাখ ৯ হাজার ডলার। সেই অর্থ দিয়ে হাইড্রোকার্বন গ্যাসের বাতি উৎপাদনকারী কোম্পানি চালু করেন। তার বৈদ্যুতিক বাতির কোম্পানিটিও বেশি দিন টিকেনি। কলোনিল স্যান্ডার্স বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হন।

নানা ব্যর্থতার বেড়াজাল পেরিয়ে স্যান্ডার্স কেন্টাকির উইনচেস্টারে চলে আসেন। সেখানে তিনি ম্যাচিলিন নামের একটি টায়ার কোম্পানিতে সেলসম্যানের চাকরি নেন। ১৯২৪ সালে কোম্পানিটি বন্ধ হলে নিকোলাসভ্যালির এক স্টেশনে চাকরি নেন এবং অদ্ভুত ব্যাপার হলো ১৯৩০ সালে স্টেশনটিও বন্ধ হয়ে যায়। একই বছরে ক্যান্টাকির নর্থ ক্যারোলাইনা এলাকায় শেল অয়েল কোম্পানি তাকে স্টেশনের কর্মীদের জন্য খাবার সার্ভিসের প্রস্তাব করে। সেখানে তাকে কোনো জায়গা ভাড়া দিতে হতো না। বিনিময়ে বিক্রি করা খাবারের লভ্যাংশের সামান্য অংশ দিলেই যথেষ্ট। সেখানে ফ্রাইড চিকেনসহ বিভিন্ন ফাস্টফুড সার্ভিস দিতেন স্যান্ডার্স। স্যান্ডার্সের খাবারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ক্যান্টাকির অলি-গলিতে। ১৯৩৯ সালে নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যাশেভ্যালিতে মোটেল নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও এখানেও বাধা পান। তবুও স্যান্ডার্স পিছপা হননি। ১৯৪০ সালে ১৪০ আসনের রেস্টুরেন্ট খুলে স্পেশাল ফ্রাইড চিকেন বিক্রি শুরু করেন। নতুন স্বাদের চিকেন জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। ১৯৫২ সালে স্যান্ডার্স ‘চিকেন ফ্রাই’ ধারণাটিকে আয়ের উৎসে পরিণত করার পর থেকে ‘ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন’ বিশ্বের প্রথম বড় ফ্রাইড চিকেন কোম্পানি হয়ে ওঠে। প্রাচীন রেস্তোরাঁটিই আজকের ‘কেএফসি’। যার রয়েছে ৬০০টি শাখা। ১৯৭০ সালে স্যান্ডার্স আমেরিকান কোম্পানির কাছে রেস্তোরাঁটি ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন। ১৯৮০ সালে ৯০ বছর বয়সে জীবনে ব্যর্থতার পর সফলতা নিয়ে স্যান্ডার্স পরলোকগমন করেন।

 

ফ্রাইড চিকেন দিয়ে শুরু

১৯৩০ সালে স্যান্ডার্স ক্যান্টাকিতে গ্যাস স্টেশনের ভিতরে খাবারের ব্যবসা শুরু করেন। জরাজীর্ণ রুমে সামান্য টেবিলই ছিল সম্বল। স্টেশনের ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য স্যান্ডার্স দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতেন। ফ্রাইড চিকেনই একমাত্র খাবারের আইটেম ছিল, যা তৈরি করতে অনেক সময় লাগত। এর বাইরেও তার তৈরি হ্যাম ও স্টিক ডিনার ছিল বেশ জনপ্রিয়। স্যান্ডার্স রেস্তোরাঁ খুলে চিকেন ফ্রাই ও আয়রন স্কিলেট বিক্রি করতেন। সময়ের তালে তালে ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই রেস্তোরাঁটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৩৫ সালে আবারও ব্যবসা শুরু করেন। স্টেশনের ড্রাইভার ছাড়াও স্যান্ডার্স বাইরে অর্ডারে চিকেন ফ্রাইড সরবরাহ করতেন। এবারও ভাগ্য পাশে ছিল না। ১৯৩৯ সালে স্যান্ডার্স নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যাশেভ্যালিতে মোটেল খোলেন। মোটেল ব্যবসায়ে আগুন লেগে বন্ধ হয়ে যায়। আবারও গ্যাস স্টেশনে ট্রাক ড্রাইভারদের খাবারের ব্যবসা শুরু করেন স্যান্ডার্স। এবার ১৪০ আসনের রেস্তোরাঁ নেন এবং ১৯৪০ সালের জুলাইয়ে তার রেস্টুরেন্টে স্পেশাল ফ্রাইড চিকেন বিক্রি শুরু করেন। নতুন স্বাদের চিকেন ফ্রাই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। ‘ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন’ বিশ্বের প্রথম বড় পরিসরের ফ্রাইড চিকেন কোম্পানি। প্রাচীন এ রেস্তোরাঁটিই আজকের জনপ্রিয় ‘কেএফসি’। ১৯৫৫ সাল থেকে মাত্র দশ বছরে এর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে যায় সমগ্র বিশ্বে। এখন কেএফসির ৬০০টির বেশি শাখা কিন্তু শুরুটা হয়েছিল সামান্য একটি গ্যাস স্টেশন থেকেই।

 

মিলিটারি কর্নেল নন!

ক্যান্টাকির বাসিন্দা না হলে এমন ভুল করাটাই স্বাভাবিক। যেমন অনেকেই মনে করেন কর্নেল স্যান্ডার্স নিশ্চয় কোনো এক সময় মিলিটারি দলের কর্তা ছিলেন। আসল ঘটনাটি হলো ক্যান্টাকির সাধারণ মানুষ তো বটেই, বড় বড় আমলা স্যান্ডার্সকে সম্মান দিয়ে কর্নেল বলে সম্বোধন করতেন। আর স্যান্ডার্স নিজেকে গড়ে তোলার জন্য এই নামটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু এ নামটির পেছনেও রয়েছে একটি ইতিহাস। স্যান্ডার্স জীবনের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে সফল হন। ‘কর্নেল’ উপাধি পান ১৯৩৫ সালে, যখন গ্যাস স্টেশনের ভিতরের জরাজীর্ণ রুমে ‘স্যান্ডার্স ক্যাফে’ খুলে খাবারের ব্যবসা করেন। কিন্তু ১৯৪৯ সালে স্যান্ডার্স সনদপত্র আকারে কর্নেল খেতাব গ্রহণ করেন। এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন ক্যান্টাকির তৎকালীন গভর্নর। ১৯৫০ সালে স্যান্ডার্স নিজেকে সবার সামনে সভ্য এবং ক্যান্টাকির কর্নেল হিসেবে উপস্থাপন করা শুরু করলেন। সাদা দাড়ি, স্ট্রিং টাই এবং সাদা ওয়েস্ট কোটে নিজেকে অনন্য মানুষ হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করতেন স্যান্ডার্স। আর ব্যবসায়ের সফলতা সারা বিশ্বে এর ব্যাপ্তির কারণে কর্নেল নামটি সবার মুখে মুখে, যা স্যান্ডার্সকে শেষ বয়সে করেছে সম্মানিত। মুরগির স্বাদ বদলে দেওয়া স্যান্ডার্স ১৯৫০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নিজের রেসিপি বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন। তার ব্যবসা ও নতুন স্বাদের খাবারে বিমোহিত হয়ে ক্যান্টাকির সাধারণ মানুষ তাকে কর্নেল বলে সম্বোধন করতেন।

 

 মাসে ১০৫ ডলারের বিনিময়ে প্রথম ফ্রাঞ্চাইজি

স্যান্ডার্স নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরও আশাহত হননি। ১৯৫২ সালে ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেনের শুরু করেছিলেন শুধু ফ্রাইড চিকেন দিয়ে। পরবর্তীতে এর সঙ্গে যুক্ত করেন ফাস্টফুড খাবারের আইটেম। তখন কেএফসির প্রথম ফ্রাঞ্চাইজি হয়েছিলেন স্যান্ডার্সের বন্ধু পিট হারমান। পিট হারমান উতাহে বিশাল রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতেন। বন্ধু পিট স্যান্ডার্সের কেএফসির স্বাদের ভূয়সী প্রশংসায় উৎসাহিত হয়ে সল্টলেক সিটিতে নতুন শাখা চালু করেন। পিট হারমানই হলেন কেএফসির প্রথম ফাঞ্চাইজ আর উতাহেই কেএফসির প্রথম চেইন শপ চালু হয়েছিল। জোশ ওজারস্কির মতে, ‘স্যান্ডার্স স্টেশনের পাশে রেস্তোরাঁয় দারুণ ব্যবসা করেন। এক সময় ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য নতুন ব্রাঞ্চ খোলার জন্য বন্ধু পিটকে সঙ্গে নেন। পিট মোনিকাকে সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টাকি আসেন। তখন কেএফসির খাবার পরিবেশনের বালতি আকারের বাক্সটি দেখতে অন্যরকম লাগত। স্যান্ডার্সের কেএফসির সঙ্গে পিট হারমান মাসে ১০৫ ডলারের বিনিময়ে ফ্রাঞ্চাইজ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে এই ছোট্ট রেস্তোরাঁটি ১৯৪২টি নতুন ফ্রাঞ্চাইজের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় দেশ-দেশান্তরে। বর্তমানে ৬০০টি শাখা রয়েছে কেএফসির।

 

মাথা গরম স্যান্ডার্সের কান্ড

স্যান্ডার্স জীবনের শুরু থেকে হোঁচট খেয়ে খেয়ে বাস্তবতা শেখেন। নানা বাধা-বিপত্তি সামলে এগিয়ে চলেন গন্তব্যের দিকে। কিন্তু স্যান্ডার্স নিজে একটু রগচটা ও মাথা গরম প্রকৃতির ছিলেন। তাই হয়তো কখনোই ঝামেলা থেকে পরিত্রাণ পাননি বা বার বার ঝামেলাই এসে জুটত তার কাছে। এর প্রমাণ মেলে তার শেল তেল গ্যাস স্টেশন ‘হেলস হাফ একর’ ঘরটিতে ঘুরপাক খাওয়া ঘটনা। স্যান্ডার্স নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক প্রকার উদ্বিগ্ন। নিজ ব্যবসাকে কীভাবে বড় পরিসরে আনা যায় তা নিয়ে হরহামেশাই চিন্তা করতেন। তার বিশালাকার ফাস্টফুডের ব্যাপক প্রচারণার চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তার দিকে ছুড়ে দেওয়া হলো একটি আক্রমণাত্মক মার্কেটিং কৌশল। এই কৌশলের পরিচালনা করেন শেল অয়েল গ্যাস স্টেশনের কাছাকাছি একটি স্ট্যান্ডার্ড অয়েল গ্যাস স্টেশনের পরিচালক ম্যাট স্টুয়ার্ট। স্যান্ডার্সকে সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ‘স্টুয়ার্ট স্যান্ডার্সের ব্যবসায়ে প্রচারণা ব্যর্থ করতে জালিয়াতির পথ বেছে নেয়। বিষয়টি স্যান্ডার্স অবগত হওয়ার পর স্টুয়ার্টের ওপর চড়াও হন। জোশ অজারস্কির লেখা ‘কর্নেল স্যান্ডার্স অ্যান্ড দ্য আমেরিকান ড্রিম’ বই থেকে পাওয়া যায় একটি হত্যার ঘটনা। স্যান্ডার্সের সুনাম স্টুয়ার্ট নষ্ট করতে না পেরে স্টুয়ার্ট শেল গ্যাস স্টেশনের ম্যানেজার রবার্ট গিবসনকে গুলি করে মারাত্মক জখমে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে আটক করে এবং এ কারণে স্টুয়ার্টকে ১৮ বছর জেলে থাকতে হয়। কিন্তু স্টুয়ার্ট আটক হওয়ার পরও স্যান্ডার্সকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।’

 

কর্নেলের অভিশাপ!

৫০ বছর ধরে বেসবল খেলায় ব্যর্থ হয়ে আসছিল হ্যানসিন টাইগারদের বোস্টন রেড সক্স। এর খরা কাটে ২০০৪ সালে। ঘটনাটি সত্যিই আশ্চর্যজনক ছিল! ১৯৮৫ সালে হ্যানসিন টাইগাররা ইতিহাসে প্রথম জাপান সিরিজ জয় করেছিল। হ্যানসিন টাইগাররা জাপানের বেসবল দল ওসাকাকে হারিয়ে এই সিরিজ জিতে। খেলা শেষে বাধে বিপত্তি। ওসাকার সমর্থকরা তখন দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। সমর্থকরা পাশের ফুড মাসকটের বাইরে অবস্থিত কেএফসি শপে স্যান্ডার্সের মূর্তিকে দোষারোপ করে। তাদের ধারণা স্যান্ডার্সের অভিশাপে ওসাকার হার হয়। বিদ্রƒপকারীরা শপের ভিতর থেকে স্যান্ডার্সের মূর্তি ওসাকার ডোন্টোবোরি নদীর ইবিসুর সেতুতে জড়ো হয় এবং তাদের খেলোয়াড়ের সম্মানে মূর্তিগুলো নদীতে ফেলে দেয়। কর্নেলের অভিশাপকে তারা তাদের দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্য হারানোর মূল কারণ বলে আখ্যায়িত করে। মূর্তিগুলো উদ্ধার না করা পর্যন্ত দল জিতবে না বলেও কিছু কিছু ভক্ত কুসংস্কার ছড়াতে থাকে। এ ঘটনার আগের বছর ২০০৩ এবং পরের বছর ২০০৫ সালে দলটি সিরিজ হেরে যায়। ২০০৯ সালে ডোন্টোবোরি নদী থেকে কর্নেল স্যান্ডার্সের মূর্তিটি উদ্ধার করা হলেও ২০১৪ সালের হার আসলে কিসের ইঙ্গিত করে!

 

বিক্রির পরেও ১২২ মিলিয়ন ডলারের মামলা

কর্নেল স্যান্ডার্স ১৯৬৪ সালে ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেন বিক্রি করতেন। কিন্তু বিক্রি না করে পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের দিকে মার্কিন এক কোম্পানির কাছে ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ক্যান্টাকির কর্নেল ‘কেএফসি’ ও তার মালিকদের ‘শ্বাসরুদ্ধকারী গোষ্ঠী’ হিসেবে উপহাস করতে শুরু করে। কিন্তু কিছুকাল আগেও এই ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেনের সুনাম ছিল মানুষের মুখে মুখে। তবে তখনো কোম্পানির একজন সাধারণ গ্রাহক হিসেবে স্যান্ডার্স ‘কেএফসি’র খাবার অপছন্দ করতেন। তার কষ্টের শেষ ছিল না। কারণ এই কোম্পানিটি গড়ে তুলতে এবং এর উন্নতি সাধনে তিনি অনেক ভূমিকা রেখেছিলেন। ‘দ্য কর্নেল লেডি ডিনার হাউস’ নামের রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধন করেন তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। এই রেস্টুরেন্ট অবশ্য বাজারে আসে ‘কেএফসি’র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই। তবে এ পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ান সে সময়ের ‘কেএফসি’র মুখপাত্র হিউবিলেন। তখন স্যান্ডার্স ১২২ মিলিয়ন দাবি করে একটি মামলা ঠুঁকে দেন। যদিও পরবর্তীতে এর মীমাংসা হয় মাত্র এক মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে। বিশাল এই সুনামের অক্ষুণ্ণতার জন্য এ অর্থদন্ড ছিল নিতান্তই কম। তবে শর্ত ছিল ‘কেএফসি’র কিচেনে স্যান্ডার্স রান্না করার সুবিধা করে দেওয়া। ফলে স্যান্ডার্সও ক্যান্টাকি ফ্রাইড চিকেনের বিরুদ্ধে প্রচারণাও বন্ধ করে দেন। এরপর খোলা হয় ক্লাউডিয়া স্যান্ডার্স ডাইনিং হাউস। সেই হাউস এখনো আমেরিকার ভোজনরসিকদের সুস্বাদু হরেক রকমের খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে সুনামের সঙ্গে।

 

ছবিতে সেই কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স

এই বিভাগের আরও খবর
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
মূল্যবান যা কিছু...
মূল্যবান যা কিছু...
রহস্যময় গোপন স্থান
রহস্যময় গোপন স্থান
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
সর্বশেষ খবর
স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ
স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ
একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাঝেও রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা অব্যাহত
যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাঝেও রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা অব্যাহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দৃঢ়চিত্ত ড. ইউনূস
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দৃঢ়চিত্ত ড. ইউনূস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেজগাঁও বিভাগে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫৬
তেজগাঁও বিভাগে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫৬

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গরু চরাতে গিয়ে গ্রেনেডের খোঁজ
গরু চরাতে গিয়ে গ্রেনেডের খোঁজ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ আগস্ট)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অনন্য উদ্যোগ
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অনন্য উদ্যোগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসে ফটোওয়াক ও ফটো আড্ডা
জয়পুরহাটে বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসে ফটোওয়াক ও ফটো আড্ডা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় দুলাভাই-শ্যালিকা নিহত
রংপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় দুলাভাই-শ্যালিকা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়লে সহজ হবে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন
রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়লে সহজ হবে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গ্রিসে খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া মাহফিল
গ্রিসে খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া মাহফিল

৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বুড়িচং থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত
বুড়িচং থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে পৃথক দুই জায়গায় পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু
বরিশালে পৃথক দুই জায়গায় পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ভবিষ্যতের উদ্ভাবক বিষয়ক প্রদর্শনী
রূপগঞ্জে ভবিষ্যতের উদ্ভাবক বিষয়ক প্রদর্শনী

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাবনার চতরা বিলে গোপন অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ২
পাবনার চতরা বিলে গোপন অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ২

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিনাধান নিয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ
কুমিল্লায় বিনাধান নিয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনের দাবি জামায়াতের

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘নির্বাচনের আগে ব্যাংকিং সেক্টরে সাইবার নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ’
‘নির্বাচনের আগে ব্যাংকিং সেক্টরে সাইবার নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘কিছু নাবালক অবুঝ শিশুরা বলে বেড়াচ্ছে নির্বাচন হবে না’
‘কিছু নাবালক অবুঝ শিশুরা বলে বেড়াচ্ছে নির্বাচন হবে না’

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সীতাকুণ্ডে উল্টে যাওয়া তুলাবোঝাই ট্রাক সরাতে ১৩ ঘণ্টার ভোগান্তি
সীতাকুণ্ডে উল্টে যাওয়া তুলাবোঝাই ট্রাক সরাতে ১৩ ঘণ্টার ভোগান্তি

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতায় পানিবন্দী পরিবারদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতায় পানিবন্দী পরিবারদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যশোরে স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
যশোরে স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে অন্তত ২৫ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা: তারেক রহমান
ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে অন্তত ২৫ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা: তারেক রহমান

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রম দেখতে কানাডা যাচ্ছেন সিইসি
প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রম দেখতে কানাডা যাচ্ছেন সিইসি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুপার কাপের ফাইনালে রোনালদোর আল নাসর, বিদায় বেনজেমার ইত্তিহাদ
সুপার কাপের ফাইনালে রোনালদোর আল নাসর, বিদায় বেনজেমার ইত্তিহাদ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেটাকে শিশুদের জন্য সংবেদনশীল চ্যাটবট সরানোর আহ্বান ব্রাজিলের
মেটাকে শিশুদের জন্য সংবেদনশীল চ্যাটবট সরানোর আহ্বান ব্রাজিলের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিস্ফোরক মন্তব্য
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিস্ফোরক মন্তব্য

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ভারত মার্সিডিজ হলে, পাকিস্তান পাথর বোঝাই ডাম্পার ট্রাক’
‘ভারত মার্সিডিজ হলে, পাকিস্তান পাথর বোঝাই ডাম্পার ট্রাক’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১,০০০ ফুট উঁচু সুনামির আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
১,০০০ ফুট উঁচু সুনামির আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

১৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

চীনের যে কাল্পনিক জায়গায় পুরুষ প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
চীনের যে কাল্পনিক জায়গায় পুরুষ প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছাড় দিতে হবে : মার্কো রুবিও
শান্তির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছাড় দিতে হবে : মার্কো রুবিও

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা থামিয়ে পুতিনকে ফোন ট্রাম্পের
ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা থামিয়ে পুতিনকে ফোন ট্রাম্পের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের উপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল চীন
ভারতের উপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল চীন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, বাসার কাজের ছেলের হাতে খুন স্কুলছাত্র
১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, বাসার কাজের ছেলের হাতে খুন স্কুলছাত্র

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই : আইন উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই : আইন উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরওয়ের রাজকুমারীর ছেলের বিরুদ্ধে চারটি ধর্ষণসহ ৩২টি মামলা
নরওয়ের রাজকুমারীর ছেলের বিরুদ্ধে চারটি ধর্ষণসহ ৩২টি মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের সাহস আছে কি না দেখা যাবে, কেন বললেন ফিনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট
পুতিনের সাহস আছে কি না দেখা যাবে, কেন বললেন ফিনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৬ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র: নেপথ্যে প্রথম আলো?
ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র: নেপথ্যে প্রথম আলো?

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে যা হলো
ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে যা হলো

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড, মালয়েশিয়ার রাজ্যে নতুন আইন
জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড, মালয়েশিয়ার রাজ্যে নতুন আইন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াইট হাউসে বৈঠকে যা বললেন ইউরোপীয় নেতারা
হোয়াইট হাউসে বৈঠকে যা বললেন ইউরোপীয় নেতারা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অতিরিক্ত এসপি হাফিজ আল ফারুক বরখাস্ত
অতিরিক্ত এসপি হাফিজ আল ফারুক বরখাস্ত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দলীয় প্রতীক থাকছে না স্থানীয় সরকার নির্বাচনে, অধ্যাদেশ জারি
দলীয় প্রতীক থাকছে না স্থানীয় সরকার নির্বাচনে, অধ্যাদেশ জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনে কাজ শুরু করেছি : ট্রাম্প
পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনে কাজ শুরু করেছি : ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাজ ফার্মায় নকল ওষুধ, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
লাজ ফার্মায় নকল ওষুধ, ৫ লাখ টাকা জরিমানা

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ আগস্ট)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নতুন হুমকি দিলেন কিম জং উন
পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নতুন হুমকি দিলেন কিম জং উন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন আনোয়ার হোসেন
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন আনোয়ার হোসেন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন সচিব পেল তিন মন্ত্রণালয়
নতুন সচিব পেল তিন মন্ত্রণালয়

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্পেনে তাপপ্রবাহে ১৬ দিনে সাড়ে ১১শ’ মানুষের মৃত্যু
স্পেনে তাপপ্রবাহে ১৬ দিনে সাড়ে ১১শ’ মানুষের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে আরও এক হাজার সৈন্যের মরদেহ ফেরত দিল রাশিয়া
ইউক্রেনকে আরও এক হাজার সৈন্যের মরদেহ ফেরত দিল রাশিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ একঝাঁক তারকা
ভারতের এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ একঝাঁক তারকা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ভবনের ছাদে মিললো শটগান
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ভবনের ছাদে মিললো শটগান

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
৬২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প
৬২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ইউরোপে
ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ইউরোপে

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্যাসচোরেরা কাজ করছে মিলেমিশে
গ্যাসচোরেরা কাজ করছে মিলেমিশে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মালিকদের চাপে সংশোধন হচ্ছে আইন
মালিকদের চাপে সংশোধন হচ্ছে আইন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের টাকা লুট করে বিদেশে শীর্ষ ধনী
দেশের টাকা লুট করে বিদেশে শীর্ষ ধনী

প্রথম পৃষ্ঠা

বাস্তবায়নের পথ পাচ্ছে না কমিশন
বাস্তবায়নের পথ পাচ্ছে না কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশিসহ ৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল
বাংলাদেশিসহ ৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাঙা রেললাইনে ‘বস্তা গুঁজে’ চালানো হচ্ছে ট্রেন
ভাঙা রেললাইনে ‘বস্তা গুঁজে’ চালানো হচ্ছে ট্রেন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত জামায়াতের
বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত জামায়াতের

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী
সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদে কিছু ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে বিএনপি
জুলাই সনদে কিছু ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মনোনয়নের লড়াইয়ে বিএনপির দুই আছেন জামায়াতের প্রার্থীও
মনোনয়নের লড়াইয়ে বিএনপির দুই আছেন জামায়াতের প্রার্থীও

নগর জীবন

ইসলামি দলগুলোকে এক হতে হবে
ইসলামি দলগুলোকে এক হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের তিনটি দফা নিয়ে আপত্তি আছে
জুলাই সনদের তিনটি দফা নিয়ে আপত্তি আছে

প্রথম পৃষ্ঠা

স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খবর অসত্য
স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খবর অসত্য

নগর জীবন

যুবকের সাত বছর কারাদণ্ড
যুবকের সাত বছর কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেট এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে আমেরিকা প্রবাসীরা
সিলেট এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে আমেরিকা প্রবাসীরা

নগর জীবন

ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেরা সচিব-ডিসিদের পাশে বসে তদবিরে ব্যস্ত
ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেরা সচিব-ডিসিদের পাশে বসে তদবিরে ব্যস্ত

নগর জীবন

চট্টগ্রামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক
চট্টগ্রামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক

নগর জীবন

আন্তর্জাতিক মানের ভোট করতে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ
আন্তর্জাতিক মানের ভোট করতে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশু হত্যা
মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশু হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস
চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস

নগর জীবন

বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য
বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য

নগর জীবন

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন

নগর জীবন

রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়লে সহজ হবে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন
রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়লে সহজ হবে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন

প্রথম পৃষ্ঠা

শেবাচিমের শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত
শেবাচিমের শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত

নগর জীবন

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন কাল
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন কাল

নগর জীবন

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে