পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কিছু বিখ্যাত চত্বর রয়েছে; যা পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। সেগুলোর বিখ্যাত হওয়ার পেছনে রয়েছে নানা ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দেশীয় সংস্কৃতির গল্প। এমনই কয়েকটি চত্বর নিয়ে আজকের আয়োজন-
টাইমস স্কয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র টাইমস স্কয়ার। নিউইয়র্ক সিটির কেন্দ্রস্থল ম্যানহাটনে এর অবস্থান। গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিকে ‘পৃথিবীর সড়ক সংযোগস্থল’ বলা হয়। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত পথচারী সংযোগস্থল ও বিশ্ব বিনোদনের প্রধান কেন্দ্র এটি। এলাকাটি রং-বেরঙের আলোকসজ্জা ও প্রোজ্জ্বল সাইনবোর্ডের কারণে বিখ্যাত। ইংরেজি নতুন বছর বরণের জন্যও বিখ্যাত এ স্কয়ার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান। ৪২তম ও ৪৭তম স্ট্রিটের মধ্যে পাঁচ ব্লক লম্বা একটি বো-টাই আকৃতির প্লাজা এটি। বিশ্বের ব্যস্ততম পথচারী মোড়গুলোর অন্যতম এ স্কয়ারটি ব্রডওয়ে থিয়েটার জেলার কেন্দ্রস্থল। টাইমস স্কয়ার বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক পরিদর্শন করা পর্যটন স্থান। বার্ষিক আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন দর্শনার্থী সেখানে যান। প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ টাইমস স্কয়ার দিয়ে যাতায়াত করেন। তাদের অনেকেই পর্যটক। ব্যস্ততম দিনগুলোতে ৪ লাখ ৬০ হাজারও বেশি পথচারী টাইমস স্কয়ার দিয়ে হেঁটে যান। টাইমস স্কয়ারের ৪২তম স্ট্রিট ও ৪২তম স্ট্রিট-পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনাল স্টেশনগুলো ধারাবাহিকভাবে নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ে সিস্টেমের ব্যস্ততম স্থান। টাইমস স্কয়ারের নামকরণ করা হয় ১৯০৪ সালে। তখন নিউইয়র্ক টাইমসের সদর দপ্তরটি তখনকার নবনির্মিত টাইমস বিল্ডিংয়ে ছিল। বর্তমানে ওয়ান টাইমস স্কয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়। এটি বার্ষিক নববর্ষের আগের বল ড্রপের স্থান; যা ১৯০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর শুরু হয়। টাইমস স্কয়ার মোটরচালিত যানবাহনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সড়কপথ। টাইমস স্কয়ারকে কখনো কখনো বিশ্বের ক্রসরোড, মহাবিশ্বের কেন্দ্র ও গ্রেট হোয়াইট ওয়ের হৃদয় হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
গ্র্যান্ড প্লেস
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের অন্যতম আকর্ষণ ও বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্কয়ার গ্র্যান্ড প্লেস স্কয়ার। জায়গাটি স্থানীয়দের কাছে ‘গ্রেট মার্কেট’ হিসেবেও পরিচিত। চত্বরটির চারপাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি ঐশ্বর্যমণ্ডিত গিল্ড হাউস, ঐতিহাসিক ভবন, টাউন হল ও মিউজিয়াম। এর সামনে রয়েছে ঐতিহাসিক ফ্লেমিশ ভবন। ১৯৯৮ সালে চত্বরটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করে। প্রতি দুই বছর অন্তর আগস্টের মাঝামাঝি এখানে বিশালাকার ফুলের কার্পেট তৈরি করা হয়। গ্র্যান্ড প্লেসের নির্মাণকাজ ১১ শতকে শুরু হয়। ১৭ শতকের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়। ১৬৯৫ সালে ৯ বছরের যুদ্ধের সময় ফরাসি সৈন্যদের ব্রাসেলসের বোমাবর্ষণের সময় স্কয়ারের বেশির ভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। শুধু টাউন হলের সম্মুখ ভাগ ও টাওয়ার অক্ষত থাকে। এগুলো কামানের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কাজ করত। এ ছাড়া কিছু পাথরের দেয়াল আগুনের গোলাগুলিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে গ্র্যান্ড প্লেসকে ঘিরে থাকা বাড়িগুলো পুনর্র্নিমাণ করা হয়। ফলে স্কয়ারটি তার বর্তমান চেহারা ফিরে পায়। যদিও পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে সেগুলো প্রায়ই পরিবর্তন করা হয়েছিল। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে স্কয়ারের ঐতিহ্যবাহী অংশমূল পুনঃ আবিষ্কৃত হয়। স্কয়ারটি প্রায়ই উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এটি শহরের বৃহত্তম বাজারও স্থাপন করেছিল। ১৪ শতকের পর থেকে গ্র্যান্ড প্লেসের উন্নতি স্থানীয় বণিক ও ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব বৃদ্ধির লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধনী বণিক ও ব্রাসেলসের ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী গিল্ডরা স্কয়ারের চারপাশে ঘর-বাড়ি তৈরি করে। গ্র্যান্ড প্লেস তার ইতিহাসে অনেক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী ছিল। ১৫২৩ সালে প্রথম প্রোটেস্ট্যান্ট শহীদ জান ভ্যান এসেন ও হেন্ড্রিক ভোসকে ইনকুইজিশন স্কয়ারে পুড়িয়ে হত্যা করে। ৪০ বছর পর ১৫৬৮ সালে দুই রাষ্ট্রনায়ক ল্যামোরাল কাউন্ট অব এগমন্ট ও ফিলিপ ডি মন্টমোরেন্সি কাউন্ট অব হর্ন স্প্যানিশের শির-েদ করা হয়। এটি স্প্যানিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের সূচনা করে। যার নেতৃত্ব দেন অরেঞ্জের উইলিয়াম। ১৭১৯ সালে সেন্ট ক্রিস্টোফার জাতির ডিন ফ্রাঁসোয়া অ্যানেসেনসের পালা আসে। যাকে গ্র্যান্ড প্লেসেই শির-েদ করা হয়।
রেড স্কয়ার
ঐতিহাসিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যে সমৃদ্ধ পর্যটন কেন্দ্র মস্কোর রেড স্কয়ার বা লাল চত্বর। রাশিয়ার রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে চৌরাস্তাটি অবস্থিত। রেড স্কয়ারের প্রতিটি ভবন সুউচ্চ, স্থাপত্যশৈলী, শৈল্পিক কারুকার্য সজ্জিত ও নান্দনিক সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়ানো। একসময় এটি ছিল মস্কোর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। বর্তমানে ঐতিহাসিক রেড স্কয়ার রাশিয়া তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র। এটি মস্কোর চতুর্দিকে সব রাস্তার মিলনস্থলরূপে বিবেচ্য। প্রায়ই এটি মস্কোর কেন্দ্রীয় চত্বর হিসেবে পরিগণিত হয়। রাশিয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা হিসেবে এটি ব্যাপকভাবে পর্যটন আকর্ষণে সক্ষমতা অর্জন করেছে। যোসেফ স্টালিনের লাশ রেড স্কয়ারের কাছাকাছি সংরক্ষিত ছিল। লেনিনের লাশও সেখানেই ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা স্থানান্তর করা হয়। ইটের রং বা সমাজতন্ত্র ও এর লাল রঙের মধ্যকার সম্পর্কের জন্যই রেড স্কয়ার শব্দের প্রবর্তন বলে ধারণা করা হয়। তবে ইটের রঙের বিষয় নিয়ে ইতিহাসবেত্তারা দ্বিমত পোষণ করেন। কেননা, ওই সময় সেখানে সাদা রঙের প্রচলন ছিল। ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়, চত্বরটি তার বর্তমান নামে পরিচিতি পায় সপ্তদশ শতকে। অনেক প্রাচীন রুশ শহর তাদের প্রধান চত্বরের নামকরণ করে ‘ক্রাজনায়া প্লোশচাদ’ নামে। প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে রেড স্কয়ারের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এগুলো বিভিন্ন চিত্রকর্ম বিশেষ করে ভাসিলি সুরিকভ, কনস্ট্যানটাইন যুন ও অন্য অনেক চিত্রকরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। চত্বরটি প্রধানত মস্কোর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া এখানে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানাদি, বিক্ষোভ-সমাবেশ ও রাশিয়ার জারের শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে রুশ সরকারের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডও উদ্যাপন করা হয় এখানে।
পিৎজা সান মারকো
ইতালির ভেনিসে পিৎজা সান মারকো চত্বর পর্যটকদের কাছে ভীষণ প্রিয়। জায়গাটির পরিচিতি মূলত অন্য নামে। লোকে বলে, ইউরোপের ড্রয়িং রুম বা অভ্যর্থনা কক্ষ। চত্বরটি সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয়ভাবে আলাদা গুরুত্ব বহন করে। স্থানীয় প্রাচীন চার্চের কারণে এখানে শত শত বছর ধরে মানুষের জমায়েত ও চলাচল রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা জেগে থাকে এ জায়গাটি। ঐতিহাসিক স্থাপনা, দালানের চূড়ায় ঘড়ি, শহরঘেঁষা নদী-লেক সবমিলিয়ে চত্বরটি বেশ আকর্ষণীয়। এটি প্রায়ই ‘সেন্ট মার্কস স্কয়ার’ নামে পরিচিত। ইতালির ভেনিসের প্রধান পাবলিক স্কয়ার এটি। আঞ্চলিকভাবে এটি সাধারণত ‘লা পিয়াজ্জা’ নামে পরিচিত। বর্গক্ষেত্রটির পূর্ব প্রান্তে সেন্ট মার্ক্স ব্যাসিলিকা প্রাধান্য পেয়েছে। এর পশ্চিম দিকের সম্মুখভাগে রয়েছে বিশাল খিলান ও মার্বেল অলঙ্করণ। কেন্দ্রীয় প্রবেশপথের চারপাশে রোমানেস্ক খোদাই করা। চারটি ঘোড়া পুরো পিয়াজার নেতৃত্ব দিচ্ছে। এগুলো ভেনিসে গর্ব ও শক্তির প্রতীক। ৪০০ বছর পর নেপোলিয়ন ভেনিস জয় করার পর সেগুলো নামিয়ে প্যারিসে পাঠান। পিয়াজ্জেটা দেই লিওনসিনি গির্জার উত্তর দিকের একটি খোলা জায়গা। যার নামকরণ করা হয়েছে দুটি মার্বেল সিংহের নামে। ব্যাসিলিকাসংলগ্ন পূর্বদিকের নব্য-ধ্রুপদি ভবনটি হলো পালাজ্জো প্যাট্রিয়ারকেল। যা ভেনিসের প্যাট্রিয়ার্কের আসন। এর ওপরে সেন্ট মার্কের ক্লক টাওয়ার রয়েছে। যা ১৪৯৯ সালে সম্পন্ন হয়। উঁচু খিলানপথের ওপরে শহরের একটি প্রধান সড়ক। রাস্তাটি শপিং স্ট্রিটগুলোর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক ও আর্থিক কেন্দ্র রিয়াল্টোতে নিয়ে যায়। ক্লক টাওয়ারের ডানদিকে সান বাসোর বন্ধ গির্জা। যা বালদাসারে লংহেনা দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি কখনো কখনো প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত থাকে। বামে পিয়াজার উত্তর দিকে লম্বা তোরণ। এ পাশের ভবনগুলো প্রোকিউরেটি ভেচি নামে পরিচিত। ভেনিস প্রজাতন্ত্রের সময় রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সেন্ট মার্কের প্রকিউরেটরদের বাড়ি ও অফিস ছিল। এগুলো ষোড়শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নির্মিত হয়। তোরণটি স্থল স্তরে দোকান ও রেস্তোরাঁ দিয়ে সারিবদ্ধ। যার ওপরে অফিস রয়েছে। রেস্তোরাঁগুলোর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ক্যাফে কোয়াড্রি। ১৯ শতকে অস্ট্রিয়া কর্তৃক ভেনিস শাসিত হওয়ার সময় অস্ট্রিয়ানদের পৃষ্ঠপোষকতা করত এগুলো। ভেনিসিয়ানরা পিয়াজার অন্য পাশে ফ্লোরিয়ানদের পছন্দ করত। বামে মোড় নিলে তোরণটি পিয়াজার পশ্চিম প্রান্ত বরাবর এগিয়ে যায়। নেপোলিয়ন ১৮১০ সালের দিকে এটি পুনর্র্নির্মাণ করেন। তাই ‘আলা নেপোলিয়নিকা’ বা ‘নেপোলিয়নিক শাখা’ নামে পরিচিতি পায়।
ট্রাফালগার স্কয়ার
আগে চত্বরটির নাম ছিল চেরিং ক্রস; এখন লোকে ট্রাফালগার স্কয়ার নামে চেনে। লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এ চত্বরে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এর কেন্দ্রস্থলে রয়েছে নেলসনস কলাম। চারপাশের চারটি সিংহের ভাস্কর্য সবাইকে চমকে দেয়। মূর্তি ও ভাস্কর্যে সাজানো স্থানটি রাজনৈতিক সমাবেশ, আন্দোলন, সামাজিক মিলনমেলা ও নববর্ষ উদ্যাপনে সারা বছর মুখর থাকে। পর্যটকরা এখানে কবুতরের সঙ্গে ছবি তুলতে ও তাদের খাওয়াতে পছন্দ করেন। ইংল্যান্ডের সেন্ট্রাল লন্ডনে অবস্থিত সাধারণ জনগণের মিলনস্থল ও পর্যটক আকর্ষণ সৃষ্টিকারী স্থান হিসেবে এর খ্যাতি সর্বত্র। এটি একসময় পায়রার জন্য বিখ্যাত ছিল। এদের খাবার দেওয়া ছিল অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। ১৮০৫ সালে সংঘটিত ব্রিটিশ নৌবাহিনী ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিখ্যাত ট্রাফালগারের যুদ্ধে বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে এ নামকরণ করা হয়। এ চত্বরের প্রকৃত নাম ছিল ‘কিং উইলিয়াম দ্য ফোর্থস? স্কয়ার’। কিন্তু জর্জ ল্যাডওয়েল টেলর ‘ট্রাফালগার স্কয়ার’ নাম পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করেন। ১৮২০ সালে চতুর্থ জর্জ স্থপতি জন ন্যাশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এ চত্বরের মানোন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। ন্যাশ তার চেরিং ক্রস ইম্প্রুভমেন্ট স্কিমের অধীনে চত্বর সংস্কারে অগ্রসর হন। স্কয়ারের বর্তমান অবকাঠামোটি ১৮৪৫ সালে স্যার চার্লস ব্যারি কর্তৃক পূর্ণাঙ্গতা পায়। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে স্কয়ারের দক্ষিণ দিকে বিল্ডিংয়ের কাজ আন্তগ্লাসিয়াল সময়কালের চিহ্ন প্রকাশ করে। এর মধ্যে ছিল সিংহ, গন্ডার, সোজা হাতি ও জলহস্তীর দেহাবশেষ। ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে এ স্থানটি উল্লেখযোগ্য। প্রথম এডওয়ার্ডের শাসনামলে এটি কিংস মেউস আয়োজন করেছিলেন; যা দক্ষিণে টি-জংশন থেকে উত্তরে চ্যারিং ক্রস পর্যন্ত চলে। যেখানে শহরের স্ট্র্যান্ড ওয়েস্টমিনস্টার থেকে উত্তরে আসা হোয়াইটহলের সঙ্গে মিলিত হয়। দ্বিতীয় রিচার্ডের শাসনামল থেকে হেনরি সপ্তম পর্যন্ত মিউজগুলো স্ট্র্যান্ডের পশ্চিম প্রান্তে ছিল। ‘রয়্যাল মিউজ’ নামটি এসেছে এখানে বাজপাখি রাখার অভ্যাস থেকে। ১৫৩৪ সালে অগ্নিকাণ্ডের পর মেউগুলোকে আস্তাবল হিসেবে পুনর্র্নির্মাণ করা হয়।