শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

প্রকৃতি মানুষ ছাড়া খুব ভালো বাঁচতে পারে

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
প্রকৃতি মানুষ ছাড়া খুব ভালো বাঁচতে পারে

কথাসাহিত্যিক ও প্রকৃতিসংবেদী বিপ্রদাশ বড়ুয়া (১৯৪০) সমকালীন ও চিরায়ত বিচিত্র বিষয় নিয়ে গল্পের ভুবন নির্মাণ করেন, উপন্যাস রচনা করেন বড়-ছোট সবার জন্য। তিনি গল্প, উপন্যাস, নিসর্গ, গবেষণা, ভ্রমণ, জীবনী ও পাঠ্যপুস্তকসহ ১৪০টিরও বেশি বই লিখেছেন। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি, একুশে পদকসহ একাধিক পুরস্কার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন—শেখ মেহেদী হাসান

 

আপনি লেখক হলেন কেন? চাবিকাঠি কি?

পাড়াগাঁয়ে ছেলেবেলা কেটেছে, কিন্তু অজপাড়াগাঁ নয়। গ্রামে একটি পাঠাগার ছিল, আমার জন্মের আগে থেকেই। নাম ইচ্ছামতী জ্ঞানদায়িনী পাঠাগার। গ্রামের নামও পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উত্পন্ন ইচ্ছামতী নদীর নাম। এছাড়া কর্ণফুলী ও সুন্দরী খাল তো আছেই।

প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘরে ওই পাঠাগার। বিদ্যালয়ের জায়গাও দিয়েছেন বাবা ডা. অরুণ কুমার বড়ুয়া। ঠাকুদাও ডাক্তার ছিলেন। দুজনেই কলকাতা থেকে পাস করে এসেছেন। ওই পাঠাগারে কলকাতায়পড়ুয়া গ্রামের ছাত্ররা নিয়মিত পত্রিকা ও বই পাঠাতেন।  সে সব বই গোগ্রাসে গিলতাম। প্রিয় ছিল গল্পের বই। শিশু-কিশোর উপন্যাস। কী সব দুর্দান্ত রোমাঞ্চকর নাম— যখের ধন, আবার যখের ধন, ছিন্নমস্তার মন্দির, মিসরের মমি ইত্যাদি ভয়ঙ্কর সুন্দর বই। ওই পড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেলা কেটেছে। শীতের দিনে ধান ও খড়ের পালায় চাদর গায়ে রোদের  দিকে পিঠ রেখে পড়তাম। একটুখানি খসখস শব্দেও আঁেক উঠতাম বইয়ের ভূতের ভয়ে।

প্রাথমিক থেকে উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করতে করতে পাঠাগারের প্রায় বই গিলে খেয়েছি। বাকি বই ম্যাট্রিক শেষ করে। তার মধ্যে প্রবন্ধ ও উচ্চতর বইপত্র বাদ। ততদিনে পাঠাগারের সম্পাদক হয়ে শেষের কবিতা, পথের পাঁচালি, উদভ্রান্ত প্রেম, চন্দ্রশেখর প্রভৃতি বড়দের বই গিলে খেয়েছি। অসাধারণ আরও বইয়ের মধ্যে ছিল ম্যাক্সিম গর্কির নবজাতক। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার আগে কিছু সময় বঙ্গোপসাগরের এক মৎস্য কোম্পানির শেয়ার বিক্রির কাজও করেছি। সেই থেকে বঙ্গোপসাগরের প্রতি প্রেম। তারপর কী করে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছি সে শুধু আমার গল্প-কবিতা লেখার প্রেরণাই জানে।

 

আপনি কলেজের শিক্ষকতা করতেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে যোগ দিলেন কেন?

চট্টগ্রামের পটিয়া সালেহ নূর ডিগ্রি কলেজে বাংলা পড়াতাম। ১৯৭৫ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছি। তারপর তো অ্যাড-হকে সরকারি কলেজে নিচ্ছে। জানিও না কীভাবে নেয়? কে ঘুরবে? দূর। শেষে বুঝলাম, গ্রামে থাকা যাবে না। এখানে মন বসছে না। ঢাকায় চলে যেতে হবে। ঢাকায় এসে ব্র্যাকে চাকরি পেয়ে এক বছর চাকরি করেছি। ‘গণকেন্দ্র’ বলে ওদের একটি পত্রিকা ছিল। স্টাফ রাইটার ছিলাম। ততদিনে একজন গল্পকার ও শিশু পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হলেও ছিল সম্পাদকের সবই দায়িত্ব। ততদিনে মুক্তিযুদ্ধ পেরিয়ে এসেছি। তারপর বখে যেতে বসা এই আমির পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি... শুধু চলা চলা চলা। এর মাঝে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলো। পত্রিকায় লোক নিয়োগের বিজ্ঞাপন ছাপল। ইন্টারভিউ দিয়ে টিকে গিয়েছি। তারপর বহু বছর শিশু একাডেমিতে কাজ করেছি। ১৯৯৭ সালে অবসর নিয়েছি। আমাদের হাতেই এটি গড়ে উঠেছে।

শিশু একাডেমির প্রকাশনা বিভাগ আপনি সমৃদ্ধ করেছেন।

আমি যদিও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান ছিলাম, লাইব্রেরিটি আমার অধীনে ছিল, বাগানও ছিল। শিশু একাডেমির বাগান নিজের পরিকল্পনায় করা। অবশ্য অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার সহযোগিতা নিয়েছি। বিভিন্ন রকমের গাছ লাগিয়েছি। আমি, নাসরীন জাহান আর সৈয়দ ইকবাল তিনজনে চালতাগাছ রোপণ করেছি। কুর্চিও রোপণ করেছি। এটি বুনো গাছ। পার্বত্য চট্টগ্রামে থরে থরে স্থানীয় কুর্চি আছে, এইটুকু হয়, কাটে, জুম চাষ করে আবার ওঠে। প্রথম কুর্চি দেখেছিলাম রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে। বাগানের জন্য বলধায় আমাজন লিলি আনতে গিয়েছি। ওরা বলে, দেওয়া যাবে না, আমরা বীজ দিই না, ডালও দিই না। কোথায় যাব? বলল, অ্যাগ্রিকালচার অফিসে। গেলাম, আমাকে তো চিনে ফেলেছে, বলল, চিঠি দিন। প্যাড নিয়ে, চিঠি লিখে দিয়েছি, তারপর বীজ দিয়েছে। শিশু একাডেমির মাঠের সামনে, ইট ভেজানোর জন্য দুই হাত গভীর গর্তে বাঁশ কিনে এনে চারদিকে বেড়া বানিয়ে ঘেরাও করে লিলি রোপণ করলাম। পরে ছবি তুলে পত্রিকায় দিয়েছি। সে ছবি দেখে কেরানীগঞ্জ থেকে এক লোক এসে বলল, ভাই, আমাজন লিলি কোথায় ফুটেছে? দেখালাম। বেড়া তো দুই বছর পর ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। মানে আমি চেষ্টা করেছি; কিন্তু ওরা সেভাবে টিকিয়ে রাখেনি।

 

আপনি সারা দেশে বেশ ঘুরেছেন। কেন?

গ্রামের পাঠাগারের পূর্বসূরি সাহিত্যিকদের বই পড়ে হাতে তুলে নিয়েছি রিলে রেসের মায়াবী কাঠি। এবার দরকার ওই কাঠি হাতে নিজের দেশ দেখা। ততদিনে দৈনিক ভোরের কাগজ নামজাদা খবরের কাগজ। কার্জন হলে সাদা মাদার ফুল দেখে বিস্মিত ও বিভ্রান্ত আমি। জন্ম থেকে ভিটেয় দেখা মাদার ও পলতে মাদার চিনি।  একি বিস্ময়। লেগে গেলাম সুলুক সন্ধানে। পেয়ে গেলাম। দু’কলম লিখে দৈনিক বাংলায় দিলাম। ছবিসহ ছাপা হল প্রথম পৃষ্ঠায় প্রথম কলামে। আমি বিস্মিত।

শুরু হলো ভোরের কাগজে পেছনের পৃষ্ঠায় লেখা। ছবিসহ ছাপা হতে লাগল। নাম ‘নগরে নিসর্গ’। সেই থেকে দেশের যেখানে যাই তার প্রকৃতি ও গাছপালা নিয়ে লিখি। একটা ক্যামেরা আছে, ছবি তুলি। প্রকৃতি যে খবরের বিষয় হতে পারে, সাহিত্যের অংশ এবং শুধু সংবাদ নয় তার জয়গান শুরু করলাম। ‘নগরে নিসর্গ’ ও ‘পথে পথে’— দুটি কলাম ছাপা হতে থাকে। সুন্দরবন থেকে তেঁতুলিয়া, থেগায় সেখানে কর্ণফুলী নদী প্রবেশ করেছে, চাকমা লোককবি চান্দবির ঘাট থেকে কুতুবদিয়া-টেকনাফ ঘুরে ঘুরে লিখছি। শিশু একাডেমি থেকে অবসর পাওয়ার পর বাংলাদেশ ঘোরাই আমার পেশা হয়ে গেল। এমনকি দৈনিক পত্রিকায়ও চাকরি নিলাম না। গল্প-উপন্যাসের সঙ্গে হাত ধরে চলল প্রকৃতি। কুড়িটির বেশি প্রকৃতি বিষয়ক বইয়ের দুর্দান্ত মালিক আমি। প্রকৃতিও চর্চার বিষয়। প্রকৃতি মানুষ ছাড়া খুব ভালো বাঁচতে পারে, কিন্তু মানুষ একটুও পারে না। এজন্যই কি মানুষ প্রকৃতির উপর এত হৃদয়হীন নিষ্ঠুর!

সারা বিশ্ব আমি দেখতে পারব না, সেই সংগতি আমার নেই। এই ব্যর্থতাও হয়তো দেশের আনাচ-কানাচের প্রকৃতি অন্বেষণের জন্য দায়ী।  বাংলাদেশে অরণ্য যে লুপ্ত হয়ে গেছে তাও এজন্য জানা হয়ে যায়। আমাদের বন, বনখণ্ড বা অরণ্যের ছাইপাশ আছে মাত্র।

 

প্রকৃতি বিষয়ক কুড়িটির অধিক বই লিখেছেন। কেন জানাবেন কি? আপনি কি মনে করেন এতে মানুষ প্রকৃতি সচেতন হয়েছেন?

আমি নিজেকে প্রকৃতির সন্তান মনে করি। আমাদের প্রিয় বাসভূমি পৃথিবী ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বিশ্বপ্রকৃতির ছড়ানো জাল বলে আমি বিশ্বাস করি। এই জালের কোনো একটি সুতো ছিঁড়ে গেলে তা মানুষকেই বুনে নিতে হবে। কারণ পশুপাখি, গাছপালা বা ব্রহ্মাণ্ডের কোনো প্রাণী এই জাল ছিন্ন করে না, কাজেই তাদের দায়িত্বও নয় তা বুনে নেওয়ার। জীবনীশক্তির মূল ধাত্রী সূর্য। সূর্যের আলোককর্ণিকা তরুর মাধ্যমে শর্করা হয়ে আমাদের শরীরে এলে তবেই আমাদের বাঁচা। এর মধ্যে লুকিয়ে আছে সময় জীবজগতের প্রাণরহস্য। যে অক্সিজেন আমাদের শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োজন তারও জোগানদার ওই উদ্ভিদকুল। জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অজস্র আচার-অনুষ্ঠানেও বৃক্ষই একমাত্র সম্বল। কোনো দিন বিজ্ঞান যদি বৃক্ষের উপর আমাদের নির্ভরতার অবসান ঘটাতে পারে তখনও বৃক্ষ থাকবে। বৃক্ষ সেদিন থাকবে সৌন্দর্যের আনন্দের, ভাবনা ও প্রশান্তির এবং মনের মুক্তির অনাবিল উৎস হয়ে।

বৃক্ষের সুষমা কোনো দিন শেষ হবে না। বৃক্ষের কোনো বিকল্প কোনো দিন পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য শিল্পসাহিত্যে প্রাচীনকাল থেকে এত বৃক্ষবন্দনা, ফুল-পাখি-সমীরণ নিয়ে এত উৎসবের আয়োজন, ঋতু নিয়ে এত মাতামাতি। এ জন্য আমাদের পূর্বপুরুষেরা সেই সুপ্রাচীন কালে বলে গেছেন, ‘মানবজাতির মাতৃস্বরূপা হে তরু স্বাগত!’ প্রাচীন সেই কথাগুলো বর্তমানেও এত প্রয়োজনীয় যে তার জয়গান এখনো অপরিহার্য। এসব কথা আমার প্রকৃতি-বিষয়ক গ্রন্থে পুনর্কথিত হয়েছে নানা অনুষঙ্গে, সমকালের নিক্তিতে। আবার সৌন্দর্যের জয়গান গাওয়া নতুন করে, শিল্পকলা-সাহিত্য-সংগীত-সিনেমায় পাচ্ছে নব নব রূপ। আমি যতটুকু পারি অঞ্জলি ভরে পাঠিকা-পাঠকদের কাছে নিবেদন করে চলেছি। আমার এ চলা গল্প-উপন্যাসে, আমার চলা ফুলের ধারায়। প্রকৃতি সমগ্র প্রথম ও দ্ব্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ খণ্ডের প্রস্তুতি চলছে। এই যাত্রা আমার থামবার নয় বোধ করি।

 

আপনি গ্রহনক্ষত্র নিয়ে একটি বই লিখেছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহ কী করে হলো।

১৯৬৭ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড থেকে ‘তারা-পরিচিতি’ বই প্রকাশিত হয়। লেখক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার। দাম মাত্র ১৬ টাকা। প্রাতঃস্মরণীয় এই গ্রন্থাকারের আর একটি আকর গ্রন্থ ‘প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞান’। ছেলেবেলায় মা-ঠাকুরমার কোলে বসে শুকতারার টিপ পরেছি। সাত ভাই চম্পার গল্প পড়েছি। বই দুটি আমাকে গল্প-উপন্যাসের মতো হাতে ধরে নিয়ে চলল বৃষ, মেষ, তুলা, কুম্ভ প্রভৃতির আকাশ-রাজ্যে।

ছাদে পাটি পেতে শুয়ে, টর্চ ও বইয়ের তারার ছবি দেখে আকাশের সঙ্গে মেলাতে শুরু করলাম। আমার দরকার তারাদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আক্রমণাত্মক আকর্ষণীয় কাহিনী। এর সঙ্গে ফরহাদ খানের ‘প্রতীচ্য পুরাণ’ বইয়ের কাহিনীজুড়ে আপন ভুবন সৃষ্টি করে নিলাম। গ্রিস-মিসর, আরব ও বাংলার কালপুরুষ নিয়ে কী সব আশ্চর্য সুন্দর কাহিনী। ২০১১ সালে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হলো ‘গ্রহ-নক্ষত্রের হাতছানি’।

শিশুদের  জন্য একটি উপন্যাস প্রকাশিত হলো ‘রাতের রেলগাড়িতে ছায়াপথে ভ্রমণ’। কল্পবিজ্ঞান ও আকাশ নিয়ে আরও বই আছে। পড়তে পড়তে চলে আসে গল্পের কাহিনী। স্বপ্নেও হানা দেয়। কল্পবিজ্ঞান নিয়ে সিনেমা তো আছেই। ‘কল্পবিজ্ঞান ও রহস্য গল্প’, ‘রোবট ও ফুল ফোটানোর রহস্য’ সব আমার আচাচারণের কাহিনী। গল্পও আছে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড প্রকৃতির অংশ, কোন সুদূরে সাত বোন কৃত্তিকা বা সেভেন সিসটার্স আছে, তারা একের অপরে বেশি সুন্দরী। ঊষা দেবী অনিন্দ্যসুন্দরী। বীর পারপিয়াস বা কালপুরুষ— ওদের আকর্ষণ আমি অবহেলা করি কী করে! এজন্যই গল্পের সৃষ্টি, শিল্প-সাহিত্যের উদ্ভব। আমি ডুবে থাকি।

 

বঙ্গোপসাগর নিয়ে আপনার অনেক গল্প ও একটি বিখ্যাত উপন্যাস আছে। বাংলা সাহিত্যে অবহেলিত বঙ্গোপসাগরকে এত মায়া কেন!

আমার বাড়ি থেকে কর্ণফুলী হয়ে ৩০ মাইল দূরে বঙ্গোপসাগর। ছেলেবেলা থেকে জোয়ার-ভাটা, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে না দেখা বঙ্গোপসাগরকে চিনি। বড় হয়ে জেলে নৌকোয় করে জেলেদের সঙ্গে পাতা জাল থেকে মাছ আনতে গেছি। গাঙচিলের গূহ্য কথা শিখিয়েছে জেলে মনীন্দ্র ও তার ভাই চন্অ বাঁশি।

বঙ্গোপসাগর আমাকে কতভাবেই না উজাড় করে দেয়। স্বপ্ন দেখায়। ১৯৮৯ সালের গোড়ায় বঙ্গোপসাগর আমাকে দুটি ছোট উপন্যাস রচনায় উসকানি দেয়। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয় ‘আমি তোমার কাছে সমুদ্রের একটি ঢেউ জমা রেখেছি’। আরেকটি গল্প-বইয়ের নাম ‘স্বপ্ন সমুদ্রে বনদেবীরা আছে’। অন্যটির নাম ‘বঙ্গোপসাগর আমার শত্রু’। ১৯৮৯ সালে লেখা শুরু করি ‘সমুদ্রচর ও বিদ্রোহীরা’, ১৯৯৯ সালে তিন পর্বে একত্রে প্রকাশিত। বাংলা সাহিত্যে একেবারেই নতুন। এমনিতেও বাংলা সাহিত্যে সমুদ্র গল্প-উপন্যাস-কবিতা খুব কম। কেন? বাঙালি কি সমুদ্রভীড় বা সমুদ্রবিদ্বেষী।

১৯৭৬ সালে ‘সমুদ্র সওয়ার’, তারপর ‘সমুদ্র সম্ভোগ’ থেকে ‘মৃত মানুষের ডায়েরী থেকে’ বা ‘১৯৭০ ঝড়ের আগে’। আমার চার শতাধিক গল্পের সিংহভাগ সমুদ্র তীরবর্তী মানুষের কাহিনীতে ভরপুর। সুযোগ পেলেই স্টিমার ও লঞ্চে করে কুতুবদিয়া, হাতিয়া বা কক্সবাজার, মহেশখালী, সুন্দরবন চলে গেছি। গল্পের নামের হিসাব দেওয়া কঠিন। আমার গল্পের সর্বশেষ ভঙ্গি ‘আমি গল্প’ এখানে দল মেলেছে। সেখানেও দরিয়া।

 

আদিবাসীদের নিয়ে গল্প-উপন্যাস এত নগণ্য কেন? আপনি কী করছেন।

হ্যাঁ, বেদনাদায়ক কম। গুন্টার গ্রাস বাংলাদেশে এসে এ নিয়ে আক্ষেপ করেছেন তাও আমরা দৈনিক পত্রিকায় তার মুখে শুনেছি। উপন্যাস-গল্প কোথাও সগৌরবে তাদের উপস্থিতি নেই। আদিবাসীরা এখন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হয়ে গেছেন। তেমনি খ্রিস্টানদের জনজীবনও উঠে আসেনি সাহিত্যে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর এই অনীহা কাম্য হওয়া উচিত হতে পারে না। সাহিত্যে চাকমা, মারমা, মুরং, মনিপুরী বা গারো, হাজংরা কোথায়!

আমার ছয়টি উপন্যাস নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদি জনগোষ্ঠীর একটি সংকলন খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। একটি গল্প সংকলনের পাণ্ডুলিপিও তৈয়ার করছি।

 

সুন্দরবন কি ধ্বংস হয়ে যাবে?

সুন্দরবনের প্রতি আমাদের ভালোবাসা মুখেই সীমাবদ্ধ। অরণ্য বলতে আমাদের অবশিষ্ট আছে সুন্দরবন। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমি অরণ্য খুঁজে পাইনি, বনখণ্ড আছে। কাচলং, মাচলং বা কোথাও সংরক্ষিত অরণ্য আমি পাইনি, আছে ঝোঁপঝাড়। একমাত্র পরিত্রাতা প্রেম সুন্দরবন। তাও কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে আস্তে আস্তে সুন্দরবন স্বপ্ন হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ বা সবরকম সতর্কতা কি নদী-নালা-বন ঘেরা অঞ্চলে সম্ভব! আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে সুরক্ষা দিয়ে রেখেছে সুন্দরবন, তাকে এই একটি কাজই করতে দেওয়া উচিত কর্ম হওয়া জরুরি প্রয়োজন।

 

আপনার পরিবারের কথা জানতে চাই।

১৯৭৪ সালে সত্যিই প্রেমে পড়ি রুবী বড়ুয়ার। সে কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে বেড়াতে এলো। তখন কলেজে পড়ে। প্রথম দেখাতেই কুপোকাত। ওর মা-বাবা সঙ্গে এসেছিলেন, এক মাস থেকে তারা চলে গেলেন। আসলে আমাদের একই গ্রাম। ওর বাবাকে চিনি, কিন্তু ও থাকে কলকাতায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে এমএ পড়ে। বাবার ব্রিটিশ সরকারের চাকরিসূত্রে ওখানে গিয়ে ওরা থেকে গেল। ১৯৭৭ সালে বিয়ে করে ফেললাম। বউ ভাবল, চলে যাওয়াই ভালো। ওখানে সে লেখাপড়া করে। ভাবলাম, থাকুক কলকাতায়, অসুবিধা কী? দুনিয়া তো অন্য রকম হয়ে গেছে। রুবী শিক্ষকতা করত, এখন করে না, ৬০ বছর হয়ে গেছে। আগে খ্রিস্টান স্কুলে পড়াত। যারা ফাদার হন, তাদের বাংলা শেখাত। কলকাতায় ঠাকুর পুকুরের পরে জেসুইট মিশনারি স্কুলে বহু বছর কাজ করেছে। আমাদের দুই সন্তান। মেঘনা বড়ুয়া বড় আর তূর্য বড়ুয়া ছোট। মেঘনা এমএসসি পাস করে পশ্চিমবঙ্গে চাকরি করে। ছেলে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছে। তারপর চলে এসেছে। বলে, বিদেশে থাকব না।

 

সাম্প্রতিক সময়ে কি লিখছেন।

অনুস্মৃতি! ফেলে আসা জীবনের মধুর স্মৃতি ‘জোনাকির ঝিকিমিকি’ নামের গ্রন্থে ধরার চেষ্টা করছি। আর আমার গল্পের সঙ্গে বহু দূর যাওয়ার অভিলাষী। ভবিষ্যৎ বংশদরের কাছে সুন্দরবন ও আমাকে সমর্পণ করতে চাই।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
নতুন ইকোসিস্টেম উন্মোচন করেছে ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’
নতুন ইকোসিস্টেম উন্মোচন করেছে ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’

এই মাত্র | কর্পোরেট কর্নার

এসএসসি: লালমনিরহাটে তিন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
এসএসসি: লালমনিরহাটে তিন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শাবিপ্রবিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘রেইজ ফর জাস্টিস’ ম্যারাথন, চলছে রেজিস্ট্রেশন
শাবিপ্রবিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘রেইজ ফর জাস্টিস’ ম্যারাথন, চলছে রেজিস্ট্রেশন

২৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মোংলায় বাঘের আক্রমণে গরুর মৃত্যু
মোংলায় বাঘের আক্রমণে গরুর মৃত্যু

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি
ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ বলে ৫ উইকেট, ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার
৫ বলে ৫ উইকেট, ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এসএসসির ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু
এসএসসির ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৫ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি
৫ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা
বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা
রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ
এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি
একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু
রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি
সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব
মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে
ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব
খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল
পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি
ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল
ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ
মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী
১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা
রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া
এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস
৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন
‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি
দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ
জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৩.৬০, কমেছে ১৬ শতাংশ
কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৩.৬০, কমেছে ১৬ শতাংশ

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা