শিরোনাম

দুই বাংলার সংবাদপত্র

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
দুই বাংলার সংবাদপত্র

৭ মার্চ, ১৯৭১। ঢাকার বিশাল জনসভায় দাঁড়িয়ে অত্যাচারী পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই খবরও পাকিস্তান ভারতবর্ষে আসতে দেয়নি। তখন সংবাদমাধ্যম ছিল একমাত্র রেডিও। আমার স্পষ্ট মনে আছে, অফিসে সম্পাদকের ঘরে দলবদ্ধ হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই উদাত্ত আহ্বান শুনেছি। রেডিওর প্রচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুহূর্তের মধ্যে বস আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, যাও আকাশবাণীতে গিয়ে বক্তৃতাটা নিয়ে এসো। পরদিন আমরাও সেই বক্তৃতা আট কলাম ব্যানার হেডলাইনে বের করেছিলাম। সেই যাত্রা শুরু হলো। কয়েকদিনের মধ্যে আমরা দেখতে পেলাম পূর্ব পাকিস্তানের নম্বর প্লেট লাগানো কয়েকশ গাড়ি কলকাতায় এসে গেছে। সেই গাড়িতে এসেছে বঙ্গবন্ধুর দেশের মানুষ, ভারতের সাহায্য চাইতে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্পাদকের নির্দেশ এলো, সীমান্তে চলে যাও। সেখান থেকে রিপোর্ট কর। ৯ মাস স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৪ পাতার কাগজের ৯০ শতাংশ ধরেই থাকত মুক্তিযুদ্ধের খবর। নানা সীমান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঙালিদের রক্ষার শপথ নেওয়া হয়েছিল। কলকাতার সব কাগজ দিল্লির কাছে পৌঁছে দিচ্ছিল খান সেনাদের হত্যালীলার খবর। এপার বাংলার সংবাদপত্রগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। কে কত খবর করতে পারে। সেদিন দেখেছি নিরাশ্রয়, সম্বলহীন, হাত-পা কাটা লাখ লাখ মানুষ এপার বাংলায় চলে এসেছে। তাদের দুর্দশার কথা এ বাংলায় সংবাদপত্রের পাতার পর পাতা ধরে ছাপা হতো।

৪৬ বছর আগের সেই ঘটনা এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। শিউরে ওঠি। কী দেখেছি, আর এখন কী ঘটছে। এত বছর পর দুই বাংলার মধ্যে যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তাতে অবিশ্বাস, আস্থার অভাব প্রকট হয়েছে। সুস্থ ও স্বাভাবিক ধারণাগুলো যেন গুলিয়ে গেছে। সেই বছরই ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালির নিজস্ব একটি দেশের জন্ম হলো। আহ্লাদে আটখানা এপার বাংলার সংবাদপত্র জগতই নয়, গোটা বিশ্ব। সবাই প্রত্যক্ষ করল বাঙালিরা কী করতে পারে। ১৭৫৭ সালে সিরাজউদ্দৌলা ব্রিটিশদের কাছে হেরে যাওয়ার পর অবিভক্ত বাংলার বাঙালিরা আবার শিরদাঁড়া সোজা করে উঠে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বর্তমান যে অবস্থা, বিশ্বাসের অভাব তা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। সংবাদমাধ্যম কার্যত বন্দী হয়ে গেছে। সরকারি নিয়মকানুন কার্যত হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। তাই সংবাদপত্রের যে ভূমিকা ৪৬ বছর আগে দেখা গিয়েছিল, সেটা এখন ইতিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। ঢাকার হলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার খবর, বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার হত্যা, এপার বাংলার খাগড়াগড় কাণ্ডের খবর দুই দেশের কাগজে প্রকাশিত হলেও পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের কাগজগুলো সেভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে পারছে না। কেন পারছে না, সরকারের দাপট? না নিয়মের কড়াকড়ি?

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় ভারতে ছিল জরুরি অবস্থা এবং সংবাদপত্রের ওপর সেন্সরশিপ। পশ্চিমবঙ্গের তখন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। তিনি ছিলেন বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মমতা ব্যানার্জির সমতুল্য। তার আমলে শুধু সেন্সরশিপই ছিল না। তখন ভারতের তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী ছিলেন বিদ্যাচরণ শুক্লা। আনন্দবাজার পত্রিকাকে অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব দিয়ে বিদ্যাচরণকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে চিঠি লিখতেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। তখন দিল্লিতে এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অফিসার ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের মোস্তাক মোর্শেদ। তিনি আমাদের প্রিয় বন্ধু ছিলেন। যে চিঠি তিনি পেতেন, তার কপি আমাদের দিয়ে দিতেন। জরুরি অবস্থার ছয় মাস পর ১৯৭৬-এর জানুয়ারি মাসে গভীর রাতে ফোন করে মোস্তাক আমাকে বলেন, আমি আমার মন্ত্রীর তাগিদে আর ফাইল আটকে রাখতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওই ফাইলে সুপারিশ ছিল— সিদ্ধার্থ শঙ্করের সহপাঠী তৎকালীন পুলিশপ্রধান রঞ্জিত গুপ্তকে সম্পাদক করে তার বশংবদ কয়েকজনকে সেখানে বসানো।     

খবরটি আমি বর্তমান সম্পাদক অরূপ সরকারকে ওই রাতেই জানিয়ে দিয়েছিলাম। অরূপ বাবুর সঙ্গে মোস্তাকের ব্যক্তিগত সম্পর্কও ছিল। দুজনেই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তন সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। অরূপ বাবু আমাকে পাল্টা ফোন করে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী বরকত গণিখান চৌধুরী যেখানেই থাকুন, তাকে খবরটা দিয়ে দিন। বরকত সাহেবকে ভোরবেলা খবর দিতেই শঙ্কিত হয়ে তিনি বলেন, চলুন বিকালের ফ্লাইটে ইন্দিরা গান্ধীর কাছে যাই। তাই হলো। তখন জরুরি অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাও কঠোর। রাত ৮টায় তার বাড়িতে গিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে বরকত চিৎকার করতে থাকেন। তুমি কেন আনন্দবাজারকে টেক-ওভার করছ? আগে ওই কাগজের দুজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছ। তাতে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ইন্দিরা গান্ধী তো অবাক। তিনি বললেন, তুমি কী বলছ আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। এরপর ইন্দিরার ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধীকে সঙ্গে নিয়েই ফাইল খুঁজতে শুরু করেন বরকত। টেবিলে ফাইলটি খুঁজে পেয়ে সেটি সবার সামনেই টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। সে সময় ইন্দিরা গান্ধী বলেন, তুমি উত্তেজিত হচ্ছ কেন? আনন্দবাজার আমি টেক-ওভার করছি না। তোমরা আমার এখানে ডিনার করে নাও। যদি মোস্তাক সাহেব আগাম খবর না দিতেন, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার আনন্দবাজার অধিগ্রহণ করে দিত। বাকি ছিল ইন্দিরার একটা সই।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটার পর একটা বাধা এসেছে। এই বাধার সৃষ্টি করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। নির্বাচনের আগে নেতারা রিপোর্টারদের পেছনে পেছনে ঘোরেন, আর তাদের প্রচারের জন্য তদবির করে থাকেন। আর ক্ষমতায় এসেই তাদের মনঃপূত না হলেই নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষায় সংবাদপত্র হলো গণশত্রু। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, সংবাদমাধ্যম হলো গণশত্রু। অতএব সংবাদমাধ্যমকে বিষের মতো পরিত্যাগ করতে হবে। গণশত্রু, অর্থাৎ প্রশ্নকর্তা সাংবাদিকদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। হিটলার বা মুসোলিনির আমলে এই গণশত্রু (অর্থাৎ এনিমি অব দ্য পিপল) কথাটি বলেই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সমালোচকদের হত্যা করার ব্যবস্থা ছিল। এ শব্দটি উচ্চারিত হলেও গোটা বিশ্ব এক লহমায় বুঝতে পারত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কী পরিণাম হতে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কি আবার সেই ট্র্যাডিশন ফিরিয়ে আনতে চাইছেন? ঠিক একইভাবে তার দলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও পররাষ্ট্র সচিব হেনরি কিসিঞ্জার সাতের দশক ধরে এ উপমহাদেশে তাদের অঙ্গুলিহেলনে অনেক নেতানেত্রীকে হত্যা করেছেন। ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পরই কনসাসে এক ভারতীয় ছাত্রকে জাতি বিদ্বেষে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তবে মোদির অন্য মন্ত্রীরা নিয়ম করে সংবাদমাধ্যমের ওপর রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। কতদিন দেখাবেন তা তারাই জানেন। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ব্যাপারে সংবাদপত্রের ভূমিকা পশ্চিমবঙ্গের কাগজে যে আজকাল দেখা যায় না, এ কথা স্পষ্টভাবে বলা যেতে পারে।

দুই বাংলাতেই এমন অজস্র ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে, যা দুই দেশের সংবাদপত্রেই গুরুত্ব সহকারে স্থান পেতে পারে। দুই দেশের সাধারণ মানুষের প্রচুরতর মতামত আছে। কিন্তু তা কোনো দেশেই সেভাবে গুরুত্ব পায় না। তার একটা অন্যতম বড় কারণ অবশ্যই দুই দেশের রাজনীতি। ভারত ও বাংলাদেশের শাসকশ্রেণিরই ঠিক করার কথা প্রতিবেশী বঙ্গভাষী দুটি অঞ্চলের পরিণতি কী হবে। এখানে সাধারণ মানুষ বা বৃহত্তর সমাজের তেমন বড় কোনো ভূমিকা থাকার কথা নয়। নেইও। যেটুকু যোগাযোগ রয়েছে তা রয়েছে সাহিত্য ও শিল্পের নিজস্ব তাগিদে। কিন্তু তার বাইরেও এমন কিছু বিষয় থেকে যায়, যা দুই দেশের পাঠকের কাছেই অত্যন্ত জরুরি, অন্তত প্রাথমিক তথ্য হিসেবে তো বটেই। যেমন আঞ্চলিক নিরাপত্তা। দুটি দেশেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে শাসক ও বিরোধী শিবিরে প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম কোনো স্বার্থান্বেষী শিবির। অপ্রিয় হলেও এ কথা সত্য। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার খাতিরেও সংবাদ আদান-প্রদান জরুরি। বিষয়টি আরও ঘোলাটে হয়ে রয়েছে বিকল্প সংবাদসূত্র ইন্টারনেটের কারণেই। সর্বত্রগামী ইন্টারনেট ব্যবস্থা এখন সব খবরই চোখের সামনে তুলে ধরে। ফলে অজানা কিছুই থাকে না। অভাব খানিকটা রয়েছে বিশ্লেষণের। সেখানে গণতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে দুই দেশের সংবাদপত্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। তা ছাড়া ইন্টারনেট সবার নেই। গ্রামগঞ্জে এ ধারণা স্পষ্ট নয়। ফলে দুই দেশের সংবাদমাধ্যমের আদান-প্রদান অত্যন্ত জরুরি। যেটা বঙ্গবন্ধুর আমলে ছিল। ভিসার আদান-প্রদানও সহজ-সরল করা প্রয়োজন। কারণ জরুরি ভিত্তিতে সীমান্ত পারি দিতে হলে দুই দেশের মানুষই প্রচুর দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়। এখানেও প্রধান বাধা ‘নিরাপত্তা’। যেখানে নিরাপত্তার এত গুরুত্ব, সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের গয়ংগচ্ছ মনোভাব সত্যিই পীড়াদায়ক। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ব্যাপারে অবনতির অন্যতম একটি কারণ ফারাক্কার জল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে সামরিক কর্তৃপক্ষ উভয় দেশের জনগণের মধ্যে বিষ ছড়িয়েছে। যার ফলে আস্থা, বিশ্বাস সবই নষ্ট হয়েছে। ফারাক্কা মিটে গেলেও মমতার জেদের ফলে বাংলাদেশ স্বভাবতই জলের অভাবে ভুগছে। বাংলাদেশের মানুষ ন্যায্যভাবেই তাদের জন্য জলের দাবি করতে পারে। কীভাবে এ বিষ ছড়ানো হয়েছে?

বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে বই লেখার অপরাধে আমার সে দেশে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১২ সালে আমার জন্মস্থান ঝালকাঠিতে গিয়েছিলাম। খবর পেয়ে ঝালকাঠির কয়েকজন যুবক আমাকে এসে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারা কেন আমাদের তিস্তার জল দিচ্ছেন না। আমি তাদের শান্ত করার জন্য বলেছিলাম, আমি রাজনীতিক নই। আমি জন্মস্থানে বেড়াতে এসেছি। তখনই বুঝেছিলাম এ ধরনের প্রচার দুই দেশের সম্পর্ককে কতটা বিষাক্ত করে তুলতে পারে। ফিরে এসে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংকে বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। এটা আমার দুর্ভাগ্য। আন্তর্জাতিক নদী আইনে আছে, নদীর উৎস যে দেশে সেই নদীর ওপর ওই দেশের অধিকার আছে। কিন্তু নিচের দেশগুলোকে জল দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও আছে। সেক্ষেত্রে কোনো একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চাপের মুখে নতিস্বীকার করা ভারতের বিদেশনীতির পক্ষে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। উভয় দেশের স্বার্থেই, আমার মনে হয়, যাতায়াত ব্যবস্থা। উভয় দেশের মধ্যে সেমিনার, আলোচনা বেশি করে হওয়া দরকার। পাশাপাশি নানা বিষয় নিয়েও মিডিয়ায় ক্রমাগত প্রচার করা দরকার, যাতে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রা কমানো যায়।

এপার বাংলার সংবাদমাধ্যমের যে ভূমিকা ১৯৭১ সালে দেখা গিয়েছিল, তা থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে এখন মমতা ব্যানার্জির বন্দনায় মুখর। বাংলাদেশ যে বাংলা ভাষা এবং বাঙালির জন্য আপ্রাণ লড়াই করেছিল, তারা আমাদের শত্রু হতে পারে না। প্রসঙ্গত মমতার একটি ঘটনা উল্লেখ করছি। বছর চারেক আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণ স্বাধীনতা দিবসের চা-চক্রে কয়েকজন প্রবীণ সাংবাদিককে আমন্ত্রণ করেছিলেন। মনে রাখতে হবে আমন্ত্রণ করেছিলেন রাজ্যপালই। মমতা চিৎকার করে তার সহকর্মীদের বলেছিলেন, এই হাসিনার দালাল দুটো এখানে কী করে এলো? প্রতিবাদে রাজ্যপালকে বলে আমি ও আমার সহকর্মী ওই চা-চক্র থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। এ ধরনের মনোভাব যদি অঙ্গরাজ্যের কোনো মুখ্যমন্ত্রীর হয়, তাহলে পাশের সার্বভৌম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন কীভাবে হবে? এ প্রশ্নই এখন অঙ্গরাজ্যজুড়ে তোলপাড়। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এপার বাংলার বুদ্ধিজীবীরাও নীরব। এ বুদ্ধিজীবীদের একাংশকে ‘বঙ্গশ্রী’ ‘বঙ্গবিভূষণ’ ইত্যাদি পুরস্কার দিয়ে কার্যত কিনে রেখেছেন মমতা ব্যানার্জি। এ ছাড়া নানা ধরনের উপঢৌকন তো আছেই। ফলে দুই বাংলার সম্পর্ক নিয়ে যারা সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হতে পারতেন তারা এখন ঠুঁটো জগন্নাথ।

মমতা ব্যানার্জি যে কতটা হিংস্র হতে পারেন তার ভূরি ভূরি প্রমাণ রয়েছে। বামফ্রন্ট আমল থেকে তার আমলের প্রথম ৬ মাস আনন্দবাজার গোষ্ঠী এবং সিপিএমের গণশক্তি পত্রিকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছেন। পত্রিকার পক্ষ থেকে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করা হলে আদালত বকেয়া টাকা এবং বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের কপি নিয়ে তার তথ্যসচিব মমতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি কোর্টের রায়টি ফেলে দিয়ে বলেন, আমি দেব না, দেব না, দেব না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলিও করে দেওয়া হয় ওই তথ্যসচিবকে।

এখন দূতের মাধ্যমে তিনি শর্ত পাঠাচ্ছেন, বামপন্থি এবং কংগ্রেসের কোনো খবর প্রকাশ করা যাবে না। প্রতিদিন কাগজে তার ছবি প্রকাশ করতে হবে। যেমন রাজ্যের সর্বত্র সরকারি খরচে তিনি তার ছবি লাগিয়েছেন। উভয় দেশের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান প্রজন্মকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার করা যায়। নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে এতটুকু ওয়াকিবহাল নয়। ইতিহাসের পড়ুয়ারা জানেন না বাংলাদেশ কীভাবে জন্মেছিল। তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। সদ্য প্রকাশিত কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর বইটি মমতা সরকারের দায়িত্বে মাদ্রাসা ও মসজিদে বিলি করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য— ভোটব্যাংক তৈরি করা। সুতরাং যারা রাস্তায় নেমে বাঙালিদের পেছনে দাঁড়াবে তারা আজ বেকার। তাই অসামাজিক কাজের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকারই। এ ব্যাপারে দায়িত্ব সংবাদমাধ্যমের যেমন আছে, তেমন পাঠকদেরও আছে। আনন্দবাজারের প্রাক্তন সম্পাদক অশোক সরকার আমাদের প্রায়ই বলতেন— কোন নেতা, কোন ব্যবসায়ী কে কী বলছে সেদিকে কান দেবেন না। আপনারা আমার কাছেও দায়বদ্ধ নন। আপনারা দায়বদ্ধ পাঠকের কাছে। পাঠকদের কাছে সত্যি খবরটা তুলে ধরুন। বিচারের ভার তাদের। এ যেন এক অঘোষিত জরুরি অবস্থার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গবাসী বাস করছেন। আমরা দেখেছি প্রফুল্ল সেন থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা বিকাল ৫টায় সাংবাদিক বৈঠক করতেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটিও হতো। কিন্তু এখন ঠিক তার উল্টো হয়েছে। সম্প্রতি তার তিন-চারজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, মমতাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হোক। তিনি নোবেল পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদি এবং তার সরকার যে জঘন্যতম কুৎসায় মেতে উঠেছেন, তার পাশে দাঁড়িয়েছে কিছু কিছু মিডিয়া এবং সামান্য কয়েকজন বুদ্ধিজীবী। মমতা এ ব্যাপারে এ পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের সমর্থনে একটা কথাও বলেননি। পাছে দিল্লির সরকার তার ওপর চটে যায়। অপরদিকে তার দলই তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ করে বসে আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প, নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা ব্যানার্জি অহম-রোগে আক্রান্ত। তাই ট্রাম্পের সাহস হয় হোয়াইট হাউস থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়ার। নরেন্দ্র মোদি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনই বোধ করেন না। ঠিক যেভাবে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় সংবাদপত্রের ওপর সেন্সরশিপ এনেছিলেন।

৭৬ সালের ডিসেম্বরে যেদিন জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হলো, তার পরদিন শান্তিনিকেতনের সমাবর্তনে ভাষণ দিতে এসেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আমি কভার করতে যাচ্ছি শুনে, বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে সম্পাদক বলেছিলেন, আপনি ইন্দিরা গান্ধীকে প্রশ্ন করেন, সেন্সরশিপ কবে উঠবে? সাংবাদিক বৈঠকে প্রথমে প্রশ্ন করেছিলাম সেন্সরশিপ কবে উঠাবেন? তিনি জিভ কেটে বললেন, আই অ্যাম সরি। আজই দিল্লি গিয়ে সেন্সরশিপ প্রত্যাহার করে নেব। আমার প্রশ্ন শুনেই অপর একটি কাগজের সাংবাদিক এবং শিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় চিৎকার করে বলেছিলেন, ম্যাডাম সেন্সরশিপ প্রত্যাহার করবেন না। ইন্দিরা গান্ধী সেইদিন তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি।

এখন প্রশ্ন হলো, উভয় দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের ব্যাপারে সংবাদপত্রের ভূমিকা কী হতে পারে। শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমের কর্ণধাররা সেদিকে কতটা সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারেন। সংবিধানে সংবাদমাধ্যমের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে যা বলা হয়েছে সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা কতটা সফল হবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে এ প্রশ্নটির ওপর। আর তার ওপরই নির্ভর করছে দুই দেশের সম্পর্ক।

বাংলাদেশ প্রতিদিন সাত বছর পার করে আট বছরে পা দিচ্ছে। নতুন বছরে যাওয়ার শুভেচ্ছা তো আছেই, সেই সঙ্গে এই আশাটাও আছে তাদের কাছে, ভারত যাতে ১৯৭১ সালের মতোই আবার কোনো সংশয় ছাড়াই বাংলাদেশের কাছাকাছি আসতে পারে, এখন লক্ষ্য সেটাই।

 লেখক : প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
কোটচাঁদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১
কোটচাঁদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করলেন সেনাবাহিনী প্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করলেন সেনাবাহিনী প্রধান

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

চীন-নেপাল সীমান্তে ভয়াবহ বন্যা, নিখোঁজ ২৮
চীন-নেপাল সীমান্তে ভয়াবহ বন্যা, নিখোঁজ ২৮

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইছামতি নদীর তীরে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
ইছামতি নদীর তীরে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আকস্মিক বন্যায় নেপালে নিখোঁজ ১৮ জন
আকস্মিক বন্যায় নেপালে নিখোঁজ ১৮ জন

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উইম্বলডনে শেষ আটে আলকারাস ও সাবালেঙ্কা
উইম্বলডনে শেষ আটে আলকারাস ও সাবালেঙ্কা

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

টিসিবি কার্ডসহ বিভিন্ন দাবিতে রংপুরে ভূমিহীনদের মিছিল সমাবেশ
টিসিবি কার্ডসহ বিভিন্ন দাবিতে রংপুরে ভূমিহীনদের মিছিল সমাবেশ

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু ২৪ জুলাই, পিএসসির ৪ নির্দেশনা
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু ২৪ জুলাই, পিএসসির ৪ নির্দেশনা

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

আমরা এখনও স্বপদে বহাল, বহিষ্কারের এখতিয়ার নেই : আনিসুল মাহমুদ
আমরা এখনও স্বপদে বহাল, বহিষ্কারের এখতিয়ার নেই : আনিসুল মাহমুদ

২৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে দুই লাখ তাল গাছ গেল কই
রংপুরে দুই লাখ তাল গাছ গেল কই

৩৭ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ভারতীয় পেসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
ভারতীয় পেসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পাঁচ তারকাকে ছাড়াই বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান
পাঁচ তারকাকে ছাড়াই বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই স্মরণে তরুণদের অংশগ্রহণে আইডিয়া প্রতিযোগিতা
জুলাই স্মরণে তরুণদের অংশগ্রহণে আইডিয়া প্রতিযোগিতা

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ায় প্রাইভেট কারে মিলল হেরোইন, গ্রেপ্তার ৩
বগুড়ায় প্রাইভেট কারে মিলল হেরোইন, গ্রেপ্তার ৩

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আন্তর্জাতিক আম্পায়ার শিনওয়ারি আর নেই
আন্তর্জাতিক আম্পায়ার শিনওয়ারি আর নেই

৫৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

৫৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছে চট্টগ্রাম
নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছে চট্টগ্রাম

৫৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১১০ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১১০ মামলা

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে প্রকৌশলী হত্যা মামলায় তিনজন গ্রেফতার
চট্টগ্রামে প্রকৌশলী হত্যা মামলায় তিনজন গ্রেফতার

৫৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ম্যাচের সূচি প্রকাশ
টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ম্যাচের সূচি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আশুগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত ৩ চীনা নাগরিক জামিনে মুক্ত
আশুগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত ৩ চীনা নাগরিক জামিনে মুক্ত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ
পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪ প্রবাসী রিমান্ডে
মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪ প্রবাসী রিমান্ডে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪২৫
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪২৫

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

উখিয়ায় যুবলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
উখিয়ায় যুবলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দাবিতে বগুড়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
বিভিন্ন দাবিতে বগুড়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট
চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট
চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক
নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক

১৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা
চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

১২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে
পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে

খবর

ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

মাঠে ময়দানে

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার
কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার

মাঠে ময়দানে

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

ব্রাজিলের শেষ আশা ফ্লুমিনেন্স
ব্রাজিলের শেষ আশা ফ্লুমিনেন্স

মাঠে ময়দানে