শিরোনাম

দুই বাংলার সংবাদপত্র

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
দুই বাংলার সংবাদপত্র

৭ মার্চ, ১৯৭১। ঢাকার বিশাল জনসভায় দাঁড়িয়ে অত্যাচারী পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই খবরও পাকিস্তান ভারতবর্ষে আসতে দেয়নি। তখন সংবাদমাধ্যম ছিল একমাত্র রেডিও। আমার স্পষ্ট মনে আছে, অফিসে সম্পাদকের ঘরে দলবদ্ধ হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই উদাত্ত আহ্বান শুনেছি। রেডিওর প্রচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুহূর্তের মধ্যে বস আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, যাও আকাশবাণীতে গিয়ে বক্তৃতাটা নিয়ে এসো। পরদিন আমরাও সেই বক্তৃতা আট কলাম ব্যানার হেডলাইনে বের করেছিলাম। সেই যাত্রা শুরু হলো। কয়েকদিনের মধ্যে আমরা দেখতে পেলাম পূর্ব পাকিস্তানের নম্বর প্লেট লাগানো কয়েকশ গাড়ি কলকাতায় এসে গেছে। সেই গাড়িতে এসেছে বঙ্গবন্ধুর দেশের মানুষ, ভারতের সাহায্য চাইতে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্পাদকের নির্দেশ এলো, সীমান্তে চলে যাও। সেখান থেকে রিপোর্ট কর। ৯ মাস স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৪ পাতার কাগজের ৯০ শতাংশ ধরেই থাকত মুক্তিযুদ্ধের খবর। নানা সীমান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঙালিদের রক্ষার শপথ নেওয়া হয়েছিল। কলকাতার সব কাগজ দিল্লির কাছে পৌঁছে দিচ্ছিল খান সেনাদের হত্যালীলার খবর। এপার বাংলার সংবাদপত্রগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। কে কত খবর করতে পারে। সেদিন দেখেছি নিরাশ্রয়, সম্বলহীন, হাত-পা কাটা লাখ লাখ মানুষ এপার বাংলায় চলে এসেছে। তাদের দুর্দশার কথা এ বাংলায় সংবাদপত্রের পাতার পর পাতা ধরে ছাপা হতো।

৪৬ বছর আগের সেই ঘটনা এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। শিউরে ওঠি। কী দেখেছি, আর এখন কী ঘটছে। এত বছর পর দুই বাংলার মধ্যে যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তাতে অবিশ্বাস, আস্থার অভাব প্রকট হয়েছে। সুস্থ ও স্বাভাবিক ধারণাগুলো যেন গুলিয়ে গেছে। সেই বছরই ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালির নিজস্ব একটি দেশের জন্ম হলো। আহ্লাদে আটখানা এপার বাংলার সংবাদপত্র জগতই নয়, গোটা বিশ্ব। সবাই প্রত্যক্ষ করল বাঙালিরা কী করতে পারে। ১৭৫৭ সালে সিরাজউদ্দৌলা ব্রিটিশদের কাছে হেরে যাওয়ার পর অবিভক্ত বাংলার বাঙালিরা আবার শিরদাঁড়া সোজা করে উঠে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বর্তমান যে অবস্থা, বিশ্বাসের অভাব তা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। সংবাদমাধ্যম কার্যত বন্দী হয়ে গেছে। সরকারি নিয়মকানুন কার্যত হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। তাই সংবাদপত্রের যে ভূমিকা ৪৬ বছর আগে দেখা গিয়েছিল, সেটা এখন ইতিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। ঢাকার হলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার খবর, বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার হত্যা, এপার বাংলার খাগড়াগড় কাণ্ডের খবর দুই দেশের কাগজে প্রকাশিত হলেও পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের কাগজগুলো সেভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে পারছে না। কেন পারছে না, সরকারের দাপট? না নিয়মের কড়াকড়ি?

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় ভারতে ছিল জরুরি অবস্থা এবং সংবাদপত্রের ওপর সেন্সরশিপ। পশ্চিমবঙ্গের তখন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। তিনি ছিলেন বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মমতা ব্যানার্জির সমতুল্য। তার আমলে শুধু সেন্সরশিপই ছিল না। তখন ভারতের তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী ছিলেন বিদ্যাচরণ শুক্লা। আনন্দবাজার পত্রিকাকে অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব দিয়ে বিদ্যাচরণকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে চিঠি লিখতেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। তখন দিল্লিতে এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অফিসার ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের মোস্তাক মোর্শেদ। তিনি আমাদের প্রিয় বন্ধু ছিলেন। যে চিঠি তিনি পেতেন, তার কপি আমাদের দিয়ে দিতেন। জরুরি অবস্থার ছয় মাস পর ১৯৭৬-এর জানুয়ারি মাসে গভীর রাতে ফোন করে মোস্তাক আমাকে বলেন, আমি আমার মন্ত্রীর তাগিদে আর ফাইল আটকে রাখতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওই ফাইলে সুপারিশ ছিল— সিদ্ধার্থ শঙ্করের সহপাঠী তৎকালীন পুলিশপ্রধান রঞ্জিত গুপ্তকে সম্পাদক করে তার বশংবদ কয়েকজনকে সেখানে বসানো।     

খবরটি আমি বর্তমান সম্পাদক অরূপ সরকারকে ওই রাতেই জানিয়ে দিয়েছিলাম। অরূপ বাবুর সঙ্গে মোস্তাকের ব্যক্তিগত সম্পর্কও ছিল। দুজনেই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তন সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। অরূপ বাবু আমাকে পাল্টা ফোন করে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী বরকত গণিখান চৌধুরী যেখানেই থাকুন, তাকে খবরটা দিয়ে দিন। বরকত সাহেবকে ভোরবেলা খবর দিতেই শঙ্কিত হয়ে তিনি বলেন, চলুন বিকালের ফ্লাইটে ইন্দিরা গান্ধীর কাছে যাই। তাই হলো। তখন জরুরি অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাও কঠোর। রাত ৮টায় তার বাড়িতে গিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে বরকত চিৎকার করতে থাকেন। তুমি কেন আনন্দবাজারকে টেক-ওভার করছ? আগে ওই কাগজের দুজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছ। তাতে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ইন্দিরা গান্ধী তো অবাক। তিনি বললেন, তুমি কী বলছ আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। এরপর ইন্দিরার ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধীকে সঙ্গে নিয়েই ফাইল খুঁজতে শুরু করেন বরকত। টেবিলে ফাইলটি খুঁজে পেয়ে সেটি সবার সামনেই টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। সে সময় ইন্দিরা গান্ধী বলেন, তুমি উত্তেজিত হচ্ছ কেন? আনন্দবাজার আমি টেক-ওভার করছি না। তোমরা আমার এখানে ডিনার করে নাও। যদি মোস্তাক সাহেব আগাম খবর না দিতেন, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার আনন্দবাজার অধিগ্রহণ করে দিত। বাকি ছিল ইন্দিরার একটা সই।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটার পর একটা বাধা এসেছে। এই বাধার সৃষ্টি করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। নির্বাচনের আগে নেতারা রিপোর্টারদের পেছনে পেছনে ঘোরেন, আর তাদের প্রচারের জন্য তদবির করে থাকেন। আর ক্ষমতায় এসেই তাদের মনঃপূত না হলেই নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষায় সংবাদপত্র হলো গণশত্রু। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, সংবাদমাধ্যম হলো গণশত্রু। অতএব সংবাদমাধ্যমকে বিষের মতো পরিত্যাগ করতে হবে। গণশত্রু, অর্থাৎ প্রশ্নকর্তা সাংবাদিকদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। হিটলার বা মুসোলিনির আমলে এই গণশত্রু (অর্থাৎ এনিমি অব দ্য পিপল) কথাটি বলেই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সমালোচকদের হত্যা করার ব্যবস্থা ছিল। এ শব্দটি উচ্চারিত হলেও গোটা বিশ্ব এক লহমায় বুঝতে পারত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কী পরিণাম হতে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কি আবার সেই ট্র্যাডিশন ফিরিয়ে আনতে চাইছেন? ঠিক একইভাবে তার দলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও পররাষ্ট্র সচিব হেনরি কিসিঞ্জার সাতের দশক ধরে এ উপমহাদেশে তাদের অঙ্গুলিহেলনে অনেক নেতানেত্রীকে হত্যা করেছেন। ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পরই কনসাসে এক ভারতীয় ছাত্রকে জাতি বিদ্বেষে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তবে মোদির অন্য মন্ত্রীরা নিয়ম করে সংবাদমাধ্যমের ওপর রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। কতদিন দেখাবেন তা তারাই জানেন। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ব্যাপারে সংবাদপত্রের ভূমিকা পশ্চিমবঙ্গের কাগজে যে আজকাল দেখা যায় না, এ কথা স্পষ্টভাবে বলা যেতে পারে।

দুই বাংলাতেই এমন অজস্র ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে, যা দুই দেশের সংবাদপত্রেই গুরুত্ব সহকারে স্থান পেতে পারে। দুই দেশের সাধারণ মানুষের প্রচুরতর মতামত আছে। কিন্তু তা কোনো দেশেই সেভাবে গুরুত্ব পায় না। তার একটা অন্যতম বড় কারণ অবশ্যই দুই দেশের রাজনীতি। ভারত ও বাংলাদেশের শাসকশ্রেণিরই ঠিক করার কথা প্রতিবেশী বঙ্গভাষী দুটি অঞ্চলের পরিণতি কী হবে। এখানে সাধারণ মানুষ বা বৃহত্তর সমাজের তেমন বড় কোনো ভূমিকা থাকার কথা নয়। নেইও। যেটুকু যোগাযোগ রয়েছে তা রয়েছে সাহিত্য ও শিল্পের নিজস্ব তাগিদে। কিন্তু তার বাইরেও এমন কিছু বিষয় থেকে যায়, যা দুই দেশের পাঠকের কাছেই অত্যন্ত জরুরি, অন্তত প্রাথমিক তথ্য হিসেবে তো বটেই। যেমন আঞ্চলিক নিরাপত্তা। দুটি দেশেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে শাসক ও বিরোধী শিবিরে প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম কোনো স্বার্থান্বেষী শিবির। অপ্রিয় হলেও এ কথা সত্য। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার খাতিরেও সংবাদ আদান-প্রদান জরুরি। বিষয়টি আরও ঘোলাটে হয়ে রয়েছে বিকল্প সংবাদসূত্র ইন্টারনেটের কারণেই। সর্বত্রগামী ইন্টারনেট ব্যবস্থা এখন সব খবরই চোখের সামনে তুলে ধরে। ফলে অজানা কিছুই থাকে না। অভাব খানিকটা রয়েছে বিশ্লেষণের। সেখানে গণতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে দুই দেশের সংবাদপত্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। তা ছাড়া ইন্টারনেট সবার নেই। গ্রামগঞ্জে এ ধারণা স্পষ্ট নয়। ফলে দুই দেশের সংবাদমাধ্যমের আদান-প্রদান অত্যন্ত জরুরি। যেটা বঙ্গবন্ধুর আমলে ছিল। ভিসার আদান-প্রদানও সহজ-সরল করা প্রয়োজন। কারণ জরুরি ভিত্তিতে সীমান্ত পারি দিতে হলে দুই দেশের মানুষই প্রচুর দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়। এখানেও প্রধান বাধা ‘নিরাপত্তা’। যেখানে নিরাপত্তার এত গুরুত্ব, সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের গয়ংগচ্ছ মনোভাব সত্যিই পীড়াদায়ক। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ব্যাপারে অবনতির অন্যতম একটি কারণ ফারাক্কার জল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে সামরিক কর্তৃপক্ষ উভয় দেশের জনগণের মধ্যে বিষ ছড়িয়েছে। যার ফলে আস্থা, বিশ্বাস সবই নষ্ট হয়েছে। ফারাক্কা মিটে গেলেও মমতার জেদের ফলে বাংলাদেশ স্বভাবতই জলের অভাবে ভুগছে। বাংলাদেশের মানুষ ন্যায্যভাবেই তাদের জন্য জলের দাবি করতে পারে। কীভাবে এ বিষ ছড়ানো হয়েছে?

বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে বই লেখার অপরাধে আমার সে দেশে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১২ সালে আমার জন্মস্থান ঝালকাঠিতে গিয়েছিলাম। খবর পেয়ে ঝালকাঠির কয়েকজন যুবক আমাকে এসে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারা কেন আমাদের তিস্তার জল দিচ্ছেন না। আমি তাদের শান্ত করার জন্য বলেছিলাম, আমি রাজনীতিক নই। আমি জন্মস্থানে বেড়াতে এসেছি। তখনই বুঝেছিলাম এ ধরনের প্রচার দুই দেশের সম্পর্ককে কতটা বিষাক্ত করে তুলতে পারে। ফিরে এসে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংকে বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। এটা আমার দুর্ভাগ্য। আন্তর্জাতিক নদী আইনে আছে, নদীর উৎস যে দেশে সেই নদীর ওপর ওই দেশের অধিকার আছে। কিন্তু নিচের দেশগুলোকে জল দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও আছে। সেক্ষেত্রে কোনো একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চাপের মুখে নতিস্বীকার করা ভারতের বিদেশনীতির পক্ষে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। উভয় দেশের স্বার্থেই, আমার মনে হয়, যাতায়াত ব্যবস্থা। উভয় দেশের মধ্যে সেমিনার, আলোচনা বেশি করে হওয়া দরকার। পাশাপাশি নানা বিষয় নিয়েও মিডিয়ায় ক্রমাগত প্রচার করা দরকার, যাতে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রা কমানো যায়।

এপার বাংলার সংবাদমাধ্যমের যে ভূমিকা ১৯৭১ সালে দেখা গিয়েছিল, তা থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে এখন মমতা ব্যানার্জির বন্দনায় মুখর। বাংলাদেশ যে বাংলা ভাষা এবং বাঙালির জন্য আপ্রাণ লড়াই করেছিল, তারা আমাদের শত্রু হতে পারে না। প্রসঙ্গত মমতার একটি ঘটনা উল্লেখ করছি। বছর চারেক আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণ স্বাধীনতা দিবসের চা-চক্রে কয়েকজন প্রবীণ সাংবাদিককে আমন্ত্রণ করেছিলেন। মনে রাখতে হবে আমন্ত্রণ করেছিলেন রাজ্যপালই। মমতা চিৎকার করে তার সহকর্মীদের বলেছিলেন, এই হাসিনার দালাল দুটো এখানে কী করে এলো? প্রতিবাদে রাজ্যপালকে বলে আমি ও আমার সহকর্মী ওই চা-চক্র থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। এ ধরনের মনোভাব যদি অঙ্গরাজ্যের কোনো মুখ্যমন্ত্রীর হয়, তাহলে পাশের সার্বভৌম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন কীভাবে হবে? এ প্রশ্নই এখন অঙ্গরাজ্যজুড়ে তোলপাড়। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এপার বাংলার বুদ্ধিজীবীরাও নীরব। এ বুদ্ধিজীবীদের একাংশকে ‘বঙ্গশ্রী’ ‘বঙ্গবিভূষণ’ ইত্যাদি পুরস্কার দিয়ে কার্যত কিনে রেখেছেন মমতা ব্যানার্জি। এ ছাড়া নানা ধরনের উপঢৌকন তো আছেই। ফলে দুই বাংলার সম্পর্ক নিয়ে যারা সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হতে পারতেন তারা এখন ঠুঁটো জগন্নাথ।

মমতা ব্যানার্জি যে কতটা হিংস্র হতে পারেন তার ভূরি ভূরি প্রমাণ রয়েছে। বামফ্রন্ট আমল থেকে তার আমলের প্রথম ৬ মাস আনন্দবাজার গোষ্ঠী এবং সিপিএমের গণশক্তি পত্রিকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছেন। পত্রিকার পক্ষ থেকে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করা হলে আদালত বকেয়া টাকা এবং বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের কপি নিয়ে তার তথ্যসচিব মমতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি কোর্টের রায়টি ফেলে দিয়ে বলেন, আমি দেব না, দেব না, দেব না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলিও করে দেওয়া হয় ওই তথ্যসচিবকে।

এখন দূতের মাধ্যমে তিনি শর্ত পাঠাচ্ছেন, বামপন্থি এবং কংগ্রেসের কোনো খবর প্রকাশ করা যাবে না। প্রতিদিন কাগজে তার ছবি প্রকাশ করতে হবে। যেমন রাজ্যের সর্বত্র সরকারি খরচে তিনি তার ছবি লাগিয়েছেন। উভয় দেশের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান প্রজন্মকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার করা যায়। নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে এতটুকু ওয়াকিবহাল নয়। ইতিহাসের পড়ুয়ারা জানেন না বাংলাদেশ কীভাবে জন্মেছিল। তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। সদ্য প্রকাশিত কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর বইটি মমতা সরকারের দায়িত্বে মাদ্রাসা ও মসজিদে বিলি করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য— ভোটব্যাংক তৈরি করা। সুতরাং যারা রাস্তায় নেমে বাঙালিদের পেছনে দাঁড়াবে তারা আজ বেকার। তাই অসামাজিক কাজের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকারই। এ ব্যাপারে দায়িত্ব সংবাদমাধ্যমের যেমন আছে, তেমন পাঠকদেরও আছে। আনন্দবাজারের প্রাক্তন সম্পাদক অশোক সরকার আমাদের প্রায়ই বলতেন— কোন নেতা, কোন ব্যবসায়ী কে কী বলছে সেদিকে কান দেবেন না। আপনারা আমার কাছেও দায়বদ্ধ নন। আপনারা দায়বদ্ধ পাঠকের কাছে। পাঠকদের কাছে সত্যি খবরটা তুলে ধরুন। বিচারের ভার তাদের। এ যেন এক অঘোষিত জরুরি অবস্থার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গবাসী বাস করছেন। আমরা দেখেছি প্রফুল্ল সেন থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা বিকাল ৫টায় সাংবাদিক বৈঠক করতেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটিও হতো। কিন্তু এখন ঠিক তার উল্টো হয়েছে। সম্প্রতি তার তিন-চারজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, মমতাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হোক। তিনি নোবেল পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদি এবং তার সরকার যে জঘন্যতম কুৎসায় মেতে উঠেছেন, তার পাশে দাঁড়িয়েছে কিছু কিছু মিডিয়া এবং সামান্য কয়েকজন বুদ্ধিজীবী। মমতা এ ব্যাপারে এ পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের সমর্থনে একটা কথাও বলেননি। পাছে দিল্লির সরকার তার ওপর চটে যায়। অপরদিকে তার দলই তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ করে বসে আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প, নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা ব্যানার্জি অহম-রোগে আক্রান্ত। তাই ট্রাম্পের সাহস হয় হোয়াইট হাউস থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়ার। নরেন্দ্র মোদি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনই বোধ করেন না। ঠিক যেভাবে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় সংবাদপত্রের ওপর সেন্সরশিপ এনেছিলেন।

৭৬ সালের ডিসেম্বরে যেদিন জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হলো, তার পরদিন শান্তিনিকেতনের সমাবর্তনে ভাষণ দিতে এসেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আমি কভার করতে যাচ্ছি শুনে, বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে সম্পাদক বলেছিলেন, আপনি ইন্দিরা গান্ধীকে প্রশ্ন করেন, সেন্সরশিপ কবে উঠবে? সাংবাদিক বৈঠকে প্রথমে প্রশ্ন করেছিলাম সেন্সরশিপ কবে উঠাবেন? তিনি জিভ কেটে বললেন, আই অ্যাম সরি। আজই দিল্লি গিয়ে সেন্সরশিপ প্রত্যাহার করে নেব। আমার প্রশ্ন শুনেই অপর একটি কাগজের সাংবাদিক এবং শিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় চিৎকার করে বলেছিলেন, ম্যাডাম সেন্সরশিপ প্রত্যাহার করবেন না। ইন্দিরা গান্ধী সেইদিন তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি।

এখন প্রশ্ন হলো, উভয় দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের ব্যাপারে সংবাদপত্রের ভূমিকা কী হতে পারে। শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমের কর্ণধাররা সেদিকে কতটা সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারেন। সংবিধানে সংবাদমাধ্যমের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে যা বলা হয়েছে সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা কতটা সফল হবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে এ প্রশ্নটির ওপর। আর তার ওপরই নির্ভর করছে দুই দেশের সম্পর্ক।

বাংলাদেশ প্রতিদিন সাত বছর পার করে আট বছরে পা দিচ্ছে। নতুন বছরে যাওয়ার শুভেচ্ছা তো আছেই, সেই সঙ্গে এই আশাটাও আছে তাদের কাছে, ভারত যাতে ১৯৭১ সালের মতোই আবার কোনো সংশয় ছাড়াই বাংলাদেশের কাছাকাছি আসতে পারে, এখন লক্ষ্য সেটাই।

 লেখক : প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা