ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম।
আজ রবিবার সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শত শত বীর শহীদ ও আহত সহস্র যোদ্ধার প্রতি গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে। বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশ গড়তে যে সকল ছাত্র-জনতা আত্মত্যাগ করেছেন, যারা আহত হয়েছেন এবং যারা নিপীড়িত হয়েছেন গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম সে সকল বীর অকুতোভয় সৈনিককে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করছে।
বীর ছাত্রদের আত্মাহুতি ও ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ গঠনে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব ড.মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম প্রাণঢালা অভিনন্দন ও গভীর সন্তোষ ব্যক্ত করছে।
গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম মনে করে, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রাপ্ত বাংলাদেশকে একটি বৈষম্য ও বঞ্চনামুক্ত, শোষণহীন ও দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনে তার নেতৃত্ব ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে।
বিগত দুঃস্বপ্নের দিনগুলোতে রাষ্ট্রব্যবস্থায় স্বৈরাচার ও লুটেরা গোষ্ঠী জনসাধারণের ন্যায্য অধিকার হরণ করে এক বিভীষিকাময় ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে। স্বৈরাচার গোষ্ঠী ও তার দোসররা সরকারের আইসিটি খাতকে দুর্নীতির একটি প্রধান খাতে পরিণত করে। অপ্রয়োজনীয় ও অকার্যকর প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, যা বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নে ও সুশাসনে কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী আইসিটি গ্রাজুয়েটদের অপকৌশলে বস্তুত অকার্যকর করে রাখা হয়েছে।
গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম বিশ্বাস করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার অবসান ঘটবে এবং বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পাবে। বাংলাদেশ এক নতুন দেশ রূপে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে যেখানে জ্ঞান, দক্ষতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিই হবে সকল অন্যায় অপশাসনের একমাত্র সমাধান।
দেশের আইসিটি নির্ভর সকল পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সরকারের আইসিটি জনবলের সংগঠন “গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম” দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অবহেলাকে উপেক্ষা করে নতুন দেশ গড়তে আইসিটি সেক্টরের সংস্কার ও কল্যাণ সাধণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছে। গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম বিশ্বাস করে বৈষম্যমুক্ত টেকনোলজি নির্ভর সমাজ গঠনে আইসিটি ক্যাডার সার্ভিস প্রবর্তন ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আইসিটি কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অবহেলাসহ সকল বৈষম্যের নিরসন ঘটবে। বীর শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদশ হোক প্রযুক্তিনির্ভর শোষণহীন বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ