দীর্ঘ ৭০ দিন জীবনের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে চলে গেলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদ। গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহত কাউসার চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী ছিলেন। কাউসার মাহমুদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ সড়কে থাকতেন। রবিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট আহত হন কাউসার। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ওইদিন রাত ১০টায় সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি। জানা গেছে, সংঘর্ষে আহত কাউসারকে প্রথমে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ২২ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে থাকাকালীন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম সেনানিবাসকে বিষয়টি জানানো হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল পেজে জানানো হয়, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কাউসারকে চমেক থেকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে আর্মি অ্যাভিয়েশনের হেলিকপ্টারে ওইদিনই তাকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ জানান, গতকাল দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাউসারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর তার লাশ চট্টগ্রামে আনা হয়। গতকাল এশার নামাজের পর আগ্রাবাদ এলাকার চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় আবদুর রহমান মাতব্বর জামে মসজিদের পাশের এক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।