কুড়িগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ও বিধ্বস্ত সড়কই এখন এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। গারুহারা এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ও সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সদরের যাত্রাপুর, পাঁচগাছী, উলিপুরের বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহনের। এ ছাড়া প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও কষ্টে এখান দিয়ে চলাচল করেন। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। সরেজমিন দেখা যায়, সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় থেকে ওয়াপদা বাজার পর্যন্ত সড়ক ভাঙাচোরা। গারুহারা এলাকায় ডোবার ওপর দীর্ঘ ২০ বছর আগে নির্মিত ব্রিজের দুই দিকের রেলিং ভেঙে গেছে। কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে ব্রিজের পাটাতনের ঢালাই। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে অনেক যানবাহন। প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এ ব্রিজ প্রায় ১০ বছর থেকে এ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। সংস্কারে নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পদক্ষেপ। চরম দুর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসী। সদর ও উলিপুর উপজেলার শতশত যানবাহনসহ লক্ষাধিক মানুষ এ সড়কে চলাচল করেন। এখন ভোগান্তিতে এসব মানুষ। সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় এলাকার আবু মিয়া জানান, খুব কষ্ট নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পার হই। ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। যেকোনো সময় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে। যদি দ্রুত এটি সংস্কার করা না হয় তাহলে যেকোনো দুর্ঘটনায় পড়তে পারি আমরা। দ্রুত এটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা এলাকার রিকশাচালক ময়েজ মিয়া জানান, ভাঙা রাস্তা ও ব্রিজে রিকশা চলা খুবই কঠিন। তবুও সংসার চালাতে গিয়ে এ পথ দিয়ে রিকশা চালাতে হচ্ছে। গারুহারা এলাকার ব্রিজটি খুবই খারাপ অবস্থা। আমাদের পাশের এলাকার কেউ এ রাস্তায় একবার এলে আর আসতে চান না।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া বলেন, জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র গারুহারার সড়কটি ব্যবহার করে সদরের যাত্রাপুর, পাঁচগাছী, উলিপুরের বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ও কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করেন। সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। সদর উপজেলা প্রকৌশলী রিশাদ জামান জানান, সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে নতুন ব্রিজসহ সড়কটি পাকাকরণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। টেন্ডারও হয়েছে, বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই এর কাজ আমরা শুরু করব বলে আশা করছি।