শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

রামপালে হাসিনা-খালেদা মুখোমুখি

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রামপালে হাসিনা-খালেদা মুখোমুখি

রামপাল নিয়ে রাজনীতির খেলাই জমে গেল? ১৮৩৪ একর জমির ওপর ১৪ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা খরচে সরকার সেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে বদ্ধপরিকর। ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর সেখানকার জমি অধিগ্রহণের আদেশ জারির পর নিষ্ঠুর উচ্ছেদ অভিযান, স্থানীয় জনগণের ক্ষোভ, বাদ-প্রতিবাদ এবং দেশের মানুষের সচেতন একটি অংশের বিরোধিতা— কোনো কিছুই সুন্দরবনবিনাশী এ প্রকল্প থেকে লীগ সরকারকে ফেরাতে পারেনি। সুন্দরবন কিছু গাছগাছালি আর কিছু পশুপাখির আবাস বা আশ্রয়স্থলই নয়। সুন্দরবন অনেক প্রাণের সমষ্টি এক মহাপ্রাণ, অসাধারণ জীববৈচিত্র্যের আধার হিসেবে তুলনাহীন এক ইকোসিস্টেম ও প্রাকৃতিক রক্ষাবর্ম, বিশ্বঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত।  সুন্দরবন লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার যেমন সংস্থান করে, তেমনি সিডর আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় চার কোটি মানুষের জীবন ও সম্পদও রক্ষা করে। দেশের সীমানায় এবং সীমানার বাইরে বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল কার্যত সুন্দরবনের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে এতদিন দেশব্যাপী জোরদার কোনো আন্দোলন গড়ে তোলা যায়নি। তবে এর ক্ষতিকর দিকসমূহ তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ও জনমত গড়ার কাজ অনেক আগে থেকেই শুরু করে ‘তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুত্বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’। ছোট হলেও দুটি বাম রাজনৈতিক দল— সিপিবি ও বাসদ শুরু থেকেই তাদের সঙ্গে আছে। সবাই জানেন ও মানেন যে, তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের অনেকেই বিষয়বিশেষজ্ঞ। এ কথা আজ স্বীকার করতে হবে যে, ‘জাতীয় কমিটি’ শুরু থেকে এ ব্যাপারে সোচ্চার না থাকলে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরাও অনেক কিছুই জানতাম না। জাতিকে অন্ধকারে রেখেই ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে ক্ষতিকর প্রকল্পটি হয়ে যেত বিনা প্রতিবাদে, বিনা বাধায়। অনেক বিলম্বে হলেও দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি রামপালে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গত ২৪ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্তকে ‘দেশবিরোধী’ ও ‘গণবিরোধী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিকল্প স্থানও আছে; কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। ঠিক তিন দিন পরই একই ইস্যুতে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে বেগম জিয়ার বক্তব্য নাকচ করে বলেছেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। তাতে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। বিদ্যুৎকেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে গুলশানের জঙ্গি হামলার মিল রয়েছে বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমন একটা সময় যখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের সব থেকে সুন্দর পরিবেশ। বিশ্বব্যাপী মানুষ উন্মুখ হয়ে ছিল বাংলাদেশে আসবে। বিনিয়োগ করবে। ঠিক সে সময় কয়েকটা ঘটনা ঘটিয়ে বিনিয়োগটাকে থামানো, উন্নয়নটাকে থামানোর চেষ্টা... ঠিক একইভাবে মনে হয় যেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটা নিয়ে আন্দোলনের নামে এত কথা এবং বাধা দেওয়া (প্রথম আলো, ২৮-৮-২০১৬)। বিএনপি এ ব্যাপারে মুখ খোলার আগে প্রধানমন্ত্রীকে এ ইস্যুতে এভাবে আর রি-অ্যাক্ট করতে দেখা যায়নি। এরপর আমাদের দেশের রাজনীতির চেনাপথেই হাঁটলেন বিএনপি নেত্রী। বেগম খালেদা জিয়াও তাত্ক্ষণিক জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের। শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সেদিন রামপাল নিয়ে আমি বক্তব্য দিয়েছিলাম, উনাদের খুব গায়ে লেগেছে। গায়ে বেশি জ্বালা ধরেছে বলে আজকে (শনিবার) বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু উনি আগে বলুক যে, আমি যে বক্তব্য দিয়েছি কোনটি ভুল, মিথ্যা’ (প্রথম আলো, ২৮-৮-২০১৬)। খালেদা জিয়া আরও বলেন, ‘আমরা তো বলি নাই যে, বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই না। আমরা বলেছি এখানে বন্ধ করতে হবে। আরও অনেক জায়গা আছে করার মতো। আমরা বারবার বলেছি, এই যে ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে চেয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক জায়গায় বাধা পেয়েছে। জনগণ প্রতিবাদ করেছে পরিবেশ এবং মানুষের ক্ষতি হবে বলে। সেখানকার (ভারত) গণতান্ত্রিক সরকার মানুষের কথা চিন্তা করে সে প্রতিবাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। আর সেই জিনিস বাংলাদেশে করা হচ্ছে। এর প্রভাবে দক্ষিণের সব জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ (২৮.৮.২০১৬ এর প্রথম আলো)। রামপাল ইস্যুতে তিন দিনের ব্যবধানে সরকারপ্রধান ও বিএনপির চেয়ারপারসনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এমন আভাসই দিচ্ছে যে, ইস্যুটি এখন আর পরিবেশ আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্রুত রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ নিতে যাচ্ছে। রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রথম বিরোধিতাকারী এবং এ ব্যাপারে যথেষ্ট অনুকূল জনমত সৃষ্টিকারী তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটিও একটি সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খণ্ডন করে রামপালে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতার নানা যুক্তি তুলে ধরে। এ কথাগুলো তারা আগেও বলেছেন। বেগম খালেদা জিয়া গত ২৪ আগস্টের সংবাদ সম্মেলনেও তার বক্তব্যের স্বপক্ষে কনভিন্সিং কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুর জেলায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের রামপাল কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব ভারত সরকার বাতিল করে দিয়েছে। নরসিংহপুরের জনবসতি, কৃষিজমি, স্থানীয় নর্দমা নদী থেকে ঘণ্টায় ৩২ কিউসেক পানি উত্তোলন করতে হবে বলে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়।

বাগেরহাট জেলার আয়তন নরসিংহপুরের চেয়ে অনেক কম, জনসংখ্যার ঘনত্ব নরসিংহপুরের চেয়ে অনেক বেশি, ৩৮২ জন। ভারতের যে প্রতিষ্ঠান নরসিংহপুরের প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিল সেই ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি) সঙ্গেই যৌথভাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করেছে সরকার। প্রকল্পটিকে বাংলাদেশের জন্য ‘অলাভজনক ও লোকসানি’ উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের ১৫ শতাংশ অর্থ জোগান দেবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), ১৫ শতাংশে ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি। বাকি ৭০ শতাংশ ব্যাংক ঋণ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ থাকবে গ্যারান্টার। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে বা ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে পুরো ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি। যে নিট লাভ হবে তা ৫০ শতাংশ হারে পিডিবি ও এনটিপিসির মধ্যে ভাগ হবে। অথচ শতভাগ পরিবেশ ধ্বংস হবে বাংলাদেশের। ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ৫০ শতাংশ মুনাফা নেবে এবং ট্যাক্স ফ্রি সুবিধার আওতায় মুনাফার পুরো টাকা তাদের দেশে নিয়ে যাাবে। ভারতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লা-বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপনে আইনি বাধা আছে। এ কারণে ২০১২ সালে তামিলনাড়ুতে, ২০০৮ সালে কর্ণাটকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব বাতিল করে ভারত সরকার। অথচ জনগণ ও দেশের স্বার্থের প্রতি উদাসীন সরকার সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্যের জবাব অবশ্য প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তার সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেছেন, শব্দ দূষণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৪ কিলোমিটার দূরে শব্দ যাবে না। ২০০ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। পশুর নদ থেকে পানি নিয়ে ব্যবহারের পর তা শীতল করে নদীতে ফেলা হবে। এ প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ না করার জন্য দেশি-বিদেশি ১৭৭টি সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের কাছে যে আহ্বান জানানো হয়েছে সে সংগঠনগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংগঠনগুলো কারা আমরা খবর নিচ্ছি। যদি তারা (এক্সিম ব্যাংক) টাকা না দেয় নিশ্চয়ই আমরা অন্য সোর্স থেকে পাব। আর তাও যদি না পাই, আমরা নিজেদের টাকায় করব।’ এর অর্থ দাঁড়াল, প্রধানমন্ত্রী রামপালে কয়লভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে বদ্ধপরিকর। বিএনপি চেয়ারপারসন রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করায় প্রধানমন্ত্রী তার সিদ্ধান্তে যেন আরও অটল হয়ে গেছেন। বিষয়টা এখন রাজনৈতিক দলের মধ্যকার রেষারেষির পর্যায়ে চলে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা রাজনৈতিক দলের মধ্যকার বিরোধ বা জেদাজেদির বিষয় নয়। এর সঙ্গে সুন্দরবনের অস্তিত্ব, জীববৈচিত্র্য বিনাশ, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ধ্বংস, জনজীবনের দুর্গতির জরুরি বিষয়সমূহ জড়িত। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব তথ্যের ভিত্তিতে বলেছেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না, পরিবেশ দূষণ হবে না ইত্যাদি, এ তথ্যগুলো যারা সরবরাহ করেছেন তারা সঠিক তথ্য দেননি। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মিসলিড করছেন। দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতা এবং দেশে বিভিন্ন গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ থেকে গত ২৬ জুলাই ২০১৬ ‘তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা’ কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সম্পর্কে যে খোলা চিঠি দেওয়া হয় তার আলোকে বলা যায় (ক) কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পুড়িয়ে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন ফ্লাই অ্যাশ ও ২ লাখ টন বটম অ্যাশ উত্পন্ন হবে। এই ফ্লাই অ্যাশ, বটম অ্যাশ, তরল ঘনীভূত ছাই বা স্তরি ইত্যাদি ব্যাপক মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করবে। কারণ এতে আর্সেনিক ও বিভিন্ন ভারী ধাতু যেমন পারদ, সিসা, নিকেল, ভ্যানাডিয়াম, বেরিলিয়াম, বেরিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, রেডিয়াম মিশে থাকে। এর ফলে সন্দরবনের পশুপাখি, বৃক্ষ লতাপাতাসহ অসংখ্য প্রাণ ও ইকোসিস্টেম ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে; (খ) কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিষাক্ত সালফার ও নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইড গ্যাস নির্গমনের ফলে মানুষ, গাছপালা ও জীবজন্তুর জীবন বিপন্ন হবে; (গ) সাড়ে ৪ বছর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকালে আমদানি করা কয়লাসহ নির্মাণসামগ্রী সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে নদীপথে পরিবহনের সময় বাড়তি নৌযান চলাচল, তেল নিঃসরণ, শব্দদূষণ, আলো, বর্জ্য নিঃসরণ, ড্রেজিং ইত্যাদির মাধ্যমেও বিপর্যয় সৃষ্ট হবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লা সুন্দরবনের এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত পরিবহনে কয়লার জাহাজ থেকে নির্গত কঠিন ও তরল বর্জ্য, জাহাজের শব্দ, জাহাজসৃষ্ট ঢেউ, সার্চলাইটের আলো, কয়লা, লোড-আনলোডের ফলে সৃষ্ট দূষণ সুন্দরবনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটাবে; (ঘ) কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের টারবাইন, জেনারেটর, কম্প্রেসার, পাম্প, কয়লা উঠানো-নামানো, পরিবহন ইত্যাদির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য যানবাহন থেকে ভয়াবহ বায়ুদূষণ হবে; (ঙ) কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত দূষিত পানি এবং অন্যান্য কঠিন ও তরল বর্জ্য সুন্দরবনের পশুর নদ ও সংযুক্ত খালগুলোর পানি দূষিত করে ফেলবে। যেসব নদী সুন্দরবনের প্রাণ, সেগুলোর অবস্থা বুড়িগঙ্গার চাইতেও খারাপ হবে।

প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরবরাহকৃত যে তথ্য দিয়েছেন, উপরের বিশ্লেষণের সঙ্গে তা সামঞ্জস্যহীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদ। রাজনীতিবিদদের আমলা-নির্ভরতার চেয়ে গণ-নির্ভরতাই বেশি। যে নেতা-নেত্রী ক্ষমতায় গিয়ে অতিমাত্রায় আমলানির্ভর হয়ে যান, তিনি একদিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান এবং আমলা-কর্মচারীর বুদ্ধি-পরামর্শ গ্রহণ করে ভুল করে আখেরে পস্তান। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী তার নিজস্ব দলীয় সোর্সে তথ্য সংগ্রহ করলে প্রকৃত অবস্থা ও সেখানকার জনমত সম্পর্কে সম্যক অবহিত হতে পারবেন বলে মনে করি।

 

বিএনপি এর বিরোধিতা করছে বলেই এটা করতে হবে এর কোনো যুক্তি নেই। বিষয়টা তো রাজনৈতিক নয়। বিএনপি তো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করছে না। অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানে ভারতীয় এ কোম্পানিকে দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করলেও বিএনপি আপত্তি করবে বলে মনে হয় না। যদি করে, তখনই বলা যাবে তা উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা, তখনই তাকে বলা যাবে অন্ধ ভারত-বিরোধিতা। বিএনপিরও উচিত হবে রামপালে না করে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র কোথায় স্থাপন করলে সুবিধা হবে এবং শর্তে কী কী পরিবর্তন আনতে হবে তা স্পষ্ট করে বলা— শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে কোনো রাজনীতি নয়। আশা করতে চাই, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পরস্পরবিরোধী অবস্থান থেকে ফিরে আসবেন। বেগম খালেদা জিয়া এবং তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি রামপালে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের যে বিষয়গুলো চিহ্নিত করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তা অনুধাবন করবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনভিজ্ঞ আমলাদের কথা না শুনে বিষয় বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবেন। প্রয়োজনে একটা ওপেন ডিবেটের আয়োজন করবেন। বন, জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশ নিয়ে কাজ করা নির্দেশ বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরও তাতে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। দেশের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সর্বসম্মত একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রামপালের ব্যাপারে চূড়ান্ত পদক্ষেপের কথা ভাবতে পারে সরকার।  তা না হলে ‘রামপালে’ হাসিনা-খালেদার মুখোমুখি অবস্থান পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু
বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার
রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি
শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে

দেশগ্রাম

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

শূন্যতা-পূর্ণতা
শূন্যতা-পূর্ণতা

সাহিত্য

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির
সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির

দেশগ্রাম

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা

সাহিত্য

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল

দেশগ্রাম

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

শিলাকে বলছি
শিলাকে বলছি

সাহিত্য