শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭ আপডেট:

বিএনপি কি ‘নোটিস পার্টির’ অপবাদ ঘুচাতে পারবে?

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপি কি ‘নোটিস পার্টির’ অপবাদ ঘুচাতে পারবে?

আমাদের দেশে যে কোনো নির্বাচনকে ঘিরেই এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। জাতীয় নির্বাচনে রীতিমতো উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। তবে স্থানীয় সরকার বা আঞ্চলিক সরকার নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য একরকম নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। আত্মীয়তা, পাড়া-মহল্লা তথা আঞ্চলিকতা এবং ক্ষেত্রবিশেষে প্রার্থীর শিক্ষা-দীক্ষা, সততা, যোগ্যতাও প্রাধান্য পেত। এখন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে, দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু তারপরও চেয়ারম্যান, মেয়র ছাড়া অন্যান্য পদে দলীয় প্রভাব খুব একটা কার্যকর হয় না। দেখা যায় যিনি কোনো দলীয় চেয়ারম্যানের জন্য কাজ করছেন, তিনি কাউন্সিলর পদে ওই দলের সমর্থিত (প্রতীকবিহীন) প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে অন্য কোনো বিবেচনায় অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন— যিনি তার দলের ঘোর বিরোধী। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সরকার অদল-বদল হয় না। তাই জাতীয় নির্বাচনে রাজনীতিটা প্রধান না হলেও দলটা প্রধান। কমিউনিস্ট সমর্থক এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সমর্থকরাও ভোটের সময় আদর্শিক দৃঢ়তা না দেখিয়ে নানা বিবেচনায়, নানা সমীকরণে নৌকা অথবা ধানের শীষের দিকে ঝুঁকে পড়ে। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসে মেরুকরণ প্রক্রিয়া তত গতি পায়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটারদের যার যার পক্ষভুক্ত করার জন্য দলসমূহ মাঠ গরম করার নানা কৌশল অবলম্বন করে। রাজনৈতিক আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মাঠ-ময়দান।

দেশে প্রাক-নির্বাচনী বাগ্যুদ্ধ শুরুই হয়ে গেছে বলা চলে। প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ-বিএনপি কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের মতো সিনিয়র নেতারা দীর্ঘদিন পর মুখ খুলেছেন, কথা বলছেন— অর্থাৎ সরব-সক্রিয় হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন নিয়ে বাকবিতণ্ডা এখনো শেষ না হলেও নির্বাচনের জন্য যদি লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়, তাহলে এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যেতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির আপত্তি থাকবে বলে মনে হয় না। আমাদের মতো দেশে একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার ওপরই নির্ভর করে না। নির্বাচনকালে যে সরকারটি ক্ষমতায় থাকে সেই সরকার যদি নিরপেক্ষ আচরণ না করে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বতো সহযোগিতা না করে তাহলে ভালো নির্বাচন আশা করা যায় না। সে জন্যই নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে। সরকারপক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে আগামী নির্বাচন, বিএনপিকে তা মেনে নিয়েই নির্বাচনে আসতে হবে। তারা দোহাই দিচ্ছেন সংবিধানের। পৃথিবীর সব সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশেই ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে কাজ করে। তবে সেই সরকার রাষ্ট্রীয় নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, দান-অনুদানের ভাণ্ডার খুলে দেয় না। তারা স্রেফ ‘রুটিন ওয়ার্ক’গুলো সম্পাদন করে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না। আমাদের দেশেও এমন ব্যবস্থাই ছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে সীমাহীন কারচুপি, অনিয়ম, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের কারণে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ওঠে।

 

 

১৯৯৪ সালে পঞ্চম সংসদে মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে শাসক দল বিএনপির প্রার্থী কাজী সলিমুল হক কামালের পক্ষে ভোট ডাকাতির পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ও বাম দলসমূহসহ সব বিরোধী দল তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সরকারকে বাধ্য করে। স্বল্পকালীন-স্থায়ী ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত বিল পাস হয়। ওই সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী বিচারপতি হাবিবুর রহমান ও বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরপর দুটি নির্বাচন হয় এবং দেশ-বিদেশে তা গ্রহণযোগ্যতাও পায়। নবম সংসদ নির্বাচন ঘিরে আবার জটিলতা সৃষ্টি হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপি এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে যে, তা নিয়ে ফের বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার মতলবে বিচারপতিদের বয়সসীমা আকস্মিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়— যা তখনকার বিচারপতিরা দাবি করেননি। উদ্দেশ্য ছিল বিচারপতি কে এম হাসানকে প্রধান উপদেষ্টা করা। বিচারপতি হাসান বিচারক হিসেবে যোগদানের আগে বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। বিচারপতি হিসেবে যথেষ্ট সুনামের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা দেশে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ঢাকায় লগি-বৈঠার আঘাতে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটে। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে দেশে গৃহযুদ্ধাবস্থার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। বিচারপতি হাসান নিজেই প্রধান উপদেষ্টা হতে অস্বীকৃতি জানানোর পর সংবিধান নির্দেশিত প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনুসরণ না করে তৎকালীন বিএনপি মনোনীত প্রেসিডেন্ট ইয়াজ উদ্দিন আহম্মদ নিজেই প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একাধারে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা। আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা তা মানেনি। সহিংসতা অব্যাহত থাকে। ড. আকবর আলি খান, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, শফি শামি— এই উপদেষ্টারা পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ওই প্রেক্ষাপটে ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তন অনেকটা অনিবার্য হয়ে ওঠে। প্রেক্ষাপটটি এই কারণেই সামনে আনা দরকার যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কনসেপ্টটিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিবর্ণ করে দেওয়া হয়েছিল। মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে ছিন্ন-ভিন্ন, ক্ষত-বিক্ষত ও কোণঠাসা বিএনপি ২৯-৩০টি সিট নিয়েই সন্তুষ্ট থেকেছে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাই বাতিল করে দেয়। এমন নয় যে, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভালো কোনো ব্যবস্থা অনুসরণের জন্য তারা কাজটি করেছে। প্রতিপক্ষের অভিযোগ, তারা ব্যবস্থাটি বাতিলের জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তার করে জয়লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচনই হয়নি। তা ছিল কেলেঙ্কারিপূর্ণ। পাঁচটি সিটি নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপ ছাড়া অন্য সব স্থানীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের উপরোক্ত ধারণাকে সত্য বলেই স্পষ্ট করে। বিএনপিসহ অন্যান্য সরকারবিরোধী দল এটা ভাবতেই পারে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে না। তাই তারা নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে বেশ সরব। সরকার সংবিধানের যে দোহাই দিচ্ছে তার সমালোচনায় বিএনপি বলছে, সংবিধানে এমন বিধান আগে ছিল না। এমন কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা যখন ছিল না তখনো সংসদ বহাল রেখে, এমপিরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করার বিধান ছিল না। আওয়ামী লীগ নবম সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তাদের সুবিধার জন্য বিধানটি পাস করিয়ে নিয়েছে। এই বিধান অনুযায়ী নির্বাচনে ‘লেভেল-প্লেয়িং’ ফিল্ড থাকছে না। কেউ নির্বাচন করবেন এমপি পদের বাড়তি সুবিধা নিয়ে, আর বাকিরা করবেন সাধারণ প্রার্থী হিসেবে। অর্থাৎ ভিআইপি-নন-ভিআইপি, অসম প্রতিদ্বন্দ্বিতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক-বিশ্লেষকরাও বিএনপির এই অবস্থান যৌক্তিক বলে মনে করেন।

তবে পরিস্থিতি এই জায়গায় আটকে থাকবে বলে অনেকে মনে করেন না। সরকার ও সরকারি দল তাদের বর্তমান অবস্থানে অটল না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের আগেও লীগ সরকার ও শাসক লীগের অবস্থান এমনই ছিল। তখনো তাদের বক্তব্য ছিল যে, তাদের দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। কিন্তু পরে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে বিরোধী দলের কাছে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সরকারপক্ষ এবারও মত বদলাতে পারে। এবারের বাস্তবতা গেলবারের চেয়ে আরও ভিন্ন ও জটিল। গণতান্ত্রিক বিশ্বে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে খারাপ যে ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল এবং প্রায় সবাই প্রকাশ্যে সেই নির্বাচন সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছিল তাদের সে অবস্থান পরিবর্তন হয়নি বরং বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে সবাই উদগ্রীব। অনেকে তাদের এই মনোভাব সময়ে সময়ে ব্যক্তও করে চলেছে। সরকার উন্নয়নের যে কথা বলছে— (হ্যাঁ, দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন তো হচ্ছেই—) সে সম্পর্কে বলা হচ্ছে উন্নয়ন আর গণতন্ত্র সমান্তরাল রেখায় না থাকলে জবাবদিহিতাহীন ব্যবস্থায় মেগা-উন্নয়নে মেগা-দুর্নীতি হয়, সেই উন্নয়নের সুফল জনগণ ভোগ করতে পারে না। সরকারসংশ্লিষ্ট একটি বিশেষ শ্রেণি ও গোষ্ঠীই তা ভোগ করে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতাহীন উন্নয়নের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে সংশ্লিষ্টদের রক্ষার জন্য সরকার দৃষ্টিকটুভাবে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করে। দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র থাকলে আইনের শাসন নিশ্চিত হয় এবং তখনই উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে জনগণ। কেননা, গণতন্ত্রে সরকারকে পদে পদে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়, সংসদে বিরোধী দলের ‘চাবুকের’ ভয় থাকে সরকারি দলের। ভারতের বিশ্বনন্দিত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বলেছেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে চলতে হয়। দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনগণের কাছে সরকারের নিয়মিত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ। নির্বাচনটাই গণতন্ত্রের সবকিছু নয় সত্য, কিন্তু একটি অবিতর্কিত, প্রশ্নহীন নির্বাচন গণতন্ত্রের বাদবাকি উপাদানসমূহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাই গণতান্ত্রিক বিশ্বে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর তীক্ষ নজর রাখা হয়।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে এবং তার পরবর্তীকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা আমি চাই না।’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও যদি দশম সংসদ নির্বাচনের মতো বিতর্কিত, একতরফা ও প্রশ্নবিদ্ধ হয় তা হলে প্রধানমন্ত্রীর মাথা হেঁট হবে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হবে এবং উন্নয়ন সহযোগিতার প্রশ্নে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে— এই বিবেচনা বোধ থেকেই প্রধানমন্ত্রী তার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি করেছেন আগামী নির্বাচন সম্পর্কে— এমন একটা ধারণা করাই যেতে পারে। তাই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সরকার ও সরকারি দলকে অবস্থান পাল্টাতে হবে। একইভাবে বিএনপি থেকেও যেসব কথাবার্তা বলা হচ্ছে তাদেরও হুঁশে আসতে হবে। আশার কথা হচ্ছে, দুই দলের তরফ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে যে সব বক্তব্য পাওয়া গেছে তা কোনো দলেরই নীতিগত অবস্থান নয়। আওয়ামী লীগ এমন কোনো সিদ্ধান্ত দলীয়ভাবে নেয়নি যে, পরিস্থিতি যাই হোক তাদের দলের সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। আবার বিএনপিরও এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি যে, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে তারা নির্বাচনে যাবেই না। দুই দলের কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নানা কথা বললেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উচ্চ রাজনৈতিক মানের কথাও বলছেন। যেমন ওবায়দুল কাদের বারবার বলছেন, বিএনপির জনসমর্থনকে ছোট করে দেখা যাবে না। তারা নির্বাচনে আসবে এবং তাদের মোকাবিলার জন্য দলের ও অঙ্গ দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি অবশ্যই সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার কথা বলেছেন। অন্যদের মতো তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাব দেখাননি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামও নির্বাচনকালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সহায়ক সরকার গঠনের কথা বলেছেন। যিনি বা যারা বলছেন কেয়ামতের আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বা তেমন নির্বাচন প্রতিহত করা হবে, এসব বক্তব্য তাদের মহাসচিবের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দলের সিনিয়র নেতা ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেনও যুক্তিগ্রাহ্য কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই তারা নির্বাচনে যাবেন। হ্যাঁ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব দলের (মূল স্টেকহোল্ডার) প্রতিনিধি নিয়ে অথবা তাদের প্রস্তাবিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি নিরপেক্ষ সর্বদলীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার হতেই পারে। সরকারপক্ষ থেকে ‘গিঁট লাগানো’ ব্যক্তিরা সংবিধানের প্রসঙ্গ টেনে বলতে পারেন, বিএনপি তো সংসদে নেই, তাদের নিয়ে কীভাবে সর্বদলীয় সরকার হবে বা প্রস্তাবিত অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কীভাবে সহায়ক সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে! সদিচ্ছা থাকলে সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখে জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে সবার সম্মতিতে বাইরেও যাওয়া যেতে পারে। স্বৈরাচারের পতনের পর বিচারপতি সাহাবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল তার জন্য সংবিধানের বাইরে যেতে হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি হিসেবে সাহাবউদ্দিন আবার স্বপদে ফেরত গিয়েছিলেন পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে এই সংক্রান্ত একটি বিল পাসের মাধ্যমে। ওই ব্যবস্থার কোনো বিকল্প ছিল না। এখনো বিষয়টি সেভাবে দেখা যেতে পারে।

২০১৪ সালের নির্বাচনটি আদর্শ নির্বাচন ছিল না এ ব্যাপারে শাসকমহল ছাড়া আর কারও দ্বিমত নেই। কিন্তু তারপরও আলোচনা হয়, সেই নির্বাচনেও যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করত শত কারচুপি ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের পরও তারা ১০০ প্লাস-মাইনাস আসন নিয়ে শক্তিশালী একটি বিরোধী দলের জায়গা করে নিতে পারত সংসদে। আসন সংখ্যা যদি আরও কমিয়েও দেওয়া হতো তারাই থাকত সংসদে বিরোধী দল। বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হতো ক্ষমতা ভাগাভাগি করা নিয়ে, খয়রাতি মন্ত্রিত্ব আর গৃহপালিত বিরোধী দল বানানোর জন্য নয়। অর্থাৎ সংসদে মুখোমুখি থাকত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিএনপি যদি সেই অবস্থানে থাকত বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমার নামে বেগম জিয়াকে এভাবে হয়রানি করা যেত? মাসে পাঁচ-সাতবার বা আরও বেশি তাকে আদালতে টানাহিঁচড়া করা সম্ভব হতো? দলের নেতা-কর্মীদের গুম, হত্যা, জেল-জুলুম, লক্ষাধিক মামলার জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতো? বিএনপি কি আগামী নির্বাচন প্রশ্নে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক দলন-পীড়ন থেকে রক্ষা করে ঘরে ফেরার সুযোগ সৃষ্টি করবে; সরকারের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবের জবাব দেবে, ঘুরে দাঁড়াবে, নাকি কারও প্ররোচনায় আবারও ভুল করে দলের জন্য আরও বেশি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে? সম্ভাবনার দরজা খুলতে বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে সাহস করে। নতুবা কি দলটি ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় ‘নোটিস পার্টি’ হয়ে যাবে? রাজপথ ছেড়ে বিবৃতি আর সেমিনারে বক্তৃতাবাজিতে ধমক-ধমকিকেই তিনি ‘নোটিস’ বলে মন্তব্য করেছেন।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের ঝুঁকি, গবেষকদের সতর্কবার্তা
অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের ঝুঁকি, গবেষকদের সতর্কবার্তা

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন
নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১১ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন
কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর
গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর

পূর্ব-পশ্চিম

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই
আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

অপ্রতিরোধ্য দীপিকা
অপ্রতিরোধ্য দীপিকা

শোবিজ

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল
খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল

শোবিজ

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের
জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের

পূর্ব-পশ্চিম

প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’
প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’

শোবিজ

বায়ুদূষণে নাকাল নগরজীবন
বায়ুদূষণে নাকাল নগরজীবন

রকমারি নগর পরিক্রমা

পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা