শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭ আপডেট:

বিএনপি কি ‘নোটিস পার্টির’ অপবাদ ঘুচাতে পারবে?

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপি কি ‘নোটিস পার্টির’ অপবাদ ঘুচাতে পারবে?

আমাদের দেশে যে কোনো নির্বাচনকে ঘিরেই এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। জাতীয় নির্বাচনে রীতিমতো উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। তবে স্থানীয় সরকার বা আঞ্চলিক সরকার নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য একরকম নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। আত্মীয়তা, পাড়া-মহল্লা তথা আঞ্চলিকতা এবং ক্ষেত্রবিশেষে প্রার্থীর শিক্ষা-দীক্ষা, সততা, যোগ্যতাও প্রাধান্য পেত। এখন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে, দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু তারপরও চেয়ারম্যান, মেয়র ছাড়া অন্যান্য পদে দলীয় প্রভাব খুব একটা কার্যকর হয় না। দেখা যায় যিনি কোনো দলীয় চেয়ারম্যানের জন্য কাজ করছেন, তিনি কাউন্সিলর পদে ওই দলের সমর্থিত (প্রতীকবিহীন) প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে অন্য কোনো বিবেচনায় অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন— যিনি তার দলের ঘোর বিরোধী। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সরকার অদল-বদল হয় না। তাই জাতীয় নির্বাচনে রাজনীতিটা প্রধান না হলেও দলটা প্রধান। কমিউনিস্ট সমর্থক এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সমর্থকরাও ভোটের সময় আদর্শিক দৃঢ়তা না দেখিয়ে নানা বিবেচনায়, নানা সমীকরণে নৌকা অথবা ধানের শীষের দিকে ঝুঁকে পড়ে। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসে মেরুকরণ প্রক্রিয়া তত গতি পায়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটারদের যার যার পক্ষভুক্ত করার জন্য দলসমূহ মাঠ গরম করার নানা কৌশল অবলম্বন করে। রাজনৈতিক আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মাঠ-ময়দান।

দেশে প্রাক-নির্বাচনী বাগ্যুদ্ধ শুরুই হয়ে গেছে বলা চলে। প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ-বিএনপি কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের মতো সিনিয়র নেতারা দীর্ঘদিন পর মুখ খুলেছেন, কথা বলছেন— অর্থাৎ সরব-সক্রিয় হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন নিয়ে বাকবিতণ্ডা এখনো শেষ না হলেও নির্বাচনের জন্য যদি লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়, তাহলে এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যেতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির আপত্তি থাকবে বলে মনে হয় না। আমাদের মতো দেশে একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার ওপরই নির্ভর করে না। নির্বাচনকালে যে সরকারটি ক্ষমতায় থাকে সেই সরকার যদি নিরপেক্ষ আচরণ না করে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বতো সহযোগিতা না করে তাহলে ভালো নির্বাচন আশা করা যায় না। সে জন্যই নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে। সরকারপক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে আগামী নির্বাচন, বিএনপিকে তা মেনে নিয়েই নির্বাচনে আসতে হবে। তারা দোহাই দিচ্ছেন সংবিধানের। পৃথিবীর সব সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশেই ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে কাজ করে। তবে সেই সরকার রাষ্ট্রীয় নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, দান-অনুদানের ভাণ্ডার খুলে দেয় না। তারা স্রেফ ‘রুটিন ওয়ার্ক’গুলো সম্পাদন করে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না। আমাদের দেশেও এমন ব্যবস্থাই ছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে সীমাহীন কারচুপি, অনিয়ম, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের কারণে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ওঠে।

 

 

১৯৯৪ সালে পঞ্চম সংসদে মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে শাসক দল বিএনপির প্রার্থী কাজী সলিমুল হক কামালের পক্ষে ভোট ডাকাতির পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ও বাম দলসমূহসহ সব বিরোধী দল তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সরকারকে বাধ্য করে। স্বল্পকালীন-স্থায়ী ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত বিল পাস হয়। ওই সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী বিচারপতি হাবিবুর রহমান ও বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরপর দুটি নির্বাচন হয় এবং দেশ-বিদেশে তা গ্রহণযোগ্যতাও পায়। নবম সংসদ নির্বাচন ঘিরে আবার জটিলতা সৃষ্টি হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপি এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে যে, তা নিয়ে ফের বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার মতলবে বিচারপতিদের বয়সসীমা আকস্মিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়— যা তখনকার বিচারপতিরা দাবি করেননি। উদ্দেশ্য ছিল বিচারপতি কে এম হাসানকে প্রধান উপদেষ্টা করা। বিচারপতি হাসান বিচারক হিসেবে যোগদানের আগে বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। বিচারপতি হিসেবে যথেষ্ট সুনামের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা দেশে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ঢাকায় লগি-বৈঠার আঘাতে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটে। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে দেশে গৃহযুদ্ধাবস্থার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। বিচারপতি হাসান নিজেই প্রধান উপদেষ্টা হতে অস্বীকৃতি জানানোর পর সংবিধান নির্দেশিত প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনুসরণ না করে তৎকালীন বিএনপি মনোনীত প্রেসিডেন্ট ইয়াজ উদ্দিন আহম্মদ নিজেই প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একাধারে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা। আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা তা মানেনি। সহিংসতা অব্যাহত থাকে। ড. আকবর আলি খান, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, শফি শামি— এই উপদেষ্টারা পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ওই প্রেক্ষাপটে ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তন অনেকটা অনিবার্য হয়ে ওঠে। প্রেক্ষাপটটি এই কারণেই সামনে আনা দরকার যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কনসেপ্টটিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিবর্ণ করে দেওয়া হয়েছিল। মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে ছিন্ন-ভিন্ন, ক্ষত-বিক্ষত ও কোণঠাসা বিএনপি ২৯-৩০টি সিট নিয়েই সন্তুষ্ট থেকেছে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাই বাতিল করে দেয়। এমন নয় যে, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভালো কোনো ব্যবস্থা অনুসরণের জন্য তারা কাজটি করেছে। প্রতিপক্ষের অভিযোগ, তারা ব্যবস্থাটি বাতিলের জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তার করে জয়লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচনই হয়নি। তা ছিল কেলেঙ্কারিপূর্ণ। পাঁচটি সিটি নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপ ছাড়া অন্য সব স্থানীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের উপরোক্ত ধারণাকে সত্য বলেই স্পষ্ট করে। বিএনপিসহ অন্যান্য সরকারবিরোধী দল এটা ভাবতেই পারে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে না। তাই তারা নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে বেশ সরব। সরকার সংবিধানের যে দোহাই দিচ্ছে তার সমালোচনায় বিএনপি বলছে, সংবিধানে এমন বিধান আগে ছিল না। এমন কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা যখন ছিল না তখনো সংসদ বহাল রেখে, এমপিরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করার বিধান ছিল না। আওয়ামী লীগ নবম সংসদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তাদের সুবিধার জন্য বিধানটি পাস করিয়ে নিয়েছে। এই বিধান অনুযায়ী নির্বাচনে ‘লেভেল-প্লেয়িং’ ফিল্ড থাকছে না। কেউ নির্বাচন করবেন এমপি পদের বাড়তি সুবিধা নিয়ে, আর বাকিরা করবেন সাধারণ প্রার্থী হিসেবে। অর্থাৎ ভিআইপি-নন-ভিআইপি, অসম প্রতিদ্বন্দ্বিতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক-বিশ্লেষকরাও বিএনপির এই অবস্থান যৌক্তিক বলে মনে করেন।

তবে পরিস্থিতি এই জায়গায় আটকে থাকবে বলে অনেকে মনে করেন না। সরকার ও সরকারি দল তাদের বর্তমান অবস্থানে অটল না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের আগেও লীগ সরকার ও শাসক লীগের অবস্থান এমনই ছিল। তখনো তাদের বক্তব্য ছিল যে, তাদের দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। কিন্তু পরে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে বিরোধী দলের কাছে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সরকারপক্ষ এবারও মত বদলাতে পারে। এবারের বাস্তবতা গেলবারের চেয়ে আরও ভিন্ন ও জটিল। গণতান্ত্রিক বিশ্বে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে খারাপ যে ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল এবং প্রায় সবাই প্রকাশ্যে সেই নির্বাচন সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছিল তাদের সে অবস্থান পরিবর্তন হয়নি বরং বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে সবাই উদগ্রীব। অনেকে তাদের এই মনোভাব সময়ে সময়ে ব্যক্তও করে চলেছে। সরকার উন্নয়নের যে কথা বলছে— (হ্যাঁ, দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন তো হচ্ছেই—) সে সম্পর্কে বলা হচ্ছে উন্নয়ন আর গণতন্ত্র সমান্তরাল রেখায় না থাকলে জবাবদিহিতাহীন ব্যবস্থায় মেগা-উন্নয়নে মেগা-দুর্নীতি হয়, সেই উন্নয়নের সুফল জনগণ ভোগ করতে পারে না। সরকারসংশ্লিষ্ট একটি বিশেষ শ্রেণি ও গোষ্ঠীই তা ভোগ করে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতাহীন উন্নয়নের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে সংশ্লিষ্টদের রক্ষার জন্য সরকার দৃষ্টিকটুভাবে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করে। দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র থাকলে আইনের শাসন নিশ্চিত হয় এবং তখনই উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে জনগণ। কেননা, গণতন্ত্রে সরকারকে পদে পদে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়, সংসদে বিরোধী দলের ‘চাবুকের’ ভয় থাকে সরকারি দলের। ভারতের বিশ্বনন্দিত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বলেছেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে চলতে হয়। দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনগণের কাছে সরকারের নিয়মিত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ। নির্বাচনটাই গণতন্ত্রের সবকিছু নয় সত্য, কিন্তু একটি অবিতর্কিত, প্রশ্নহীন নির্বাচন গণতন্ত্রের বাদবাকি উপাদানসমূহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাই গণতান্ত্রিক বিশ্বে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর তীক্ষ নজর রাখা হয়।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে এবং তার পরবর্তীকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা আমি চাই না।’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও যদি দশম সংসদ নির্বাচনের মতো বিতর্কিত, একতরফা ও প্রশ্নবিদ্ধ হয় তা হলে প্রধানমন্ত্রীর মাথা হেঁট হবে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হবে এবং উন্নয়ন সহযোগিতার প্রশ্নে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে— এই বিবেচনা বোধ থেকেই প্রধানমন্ত্রী তার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি করেছেন আগামী নির্বাচন সম্পর্কে— এমন একটা ধারণা করাই যেতে পারে। তাই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সরকার ও সরকারি দলকে অবস্থান পাল্টাতে হবে। একইভাবে বিএনপি থেকেও যেসব কথাবার্তা বলা হচ্ছে তাদেরও হুঁশে আসতে হবে। আশার কথা হচ্ছে, দুই দলের তরফ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে যে সব বক্তব্য পাওয়া গেছে তা কোনো দলেরই নীতিগত অবস্থান নয়। আওয়ামী লীগ এমন কোনো সিদ্ধান্ত দলীয়ভাবে নেয়নি যে, পরিস্থিতি যাই হোক তাদের দলের সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। আবার বিএনপিরও এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি যে, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে তারা নির্বাচনে যাবেই না। দুই দলের কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নানা কথা বললেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উচ্চ রাজনৈতিক মানের কথাও বলছেন। যেমন ওবায়দুল কাদের বারবার বলছেন, বিএনপির জনসমর্থনকে ছোট করে দেখা যাবে না। তারা নির্বাচনে আসবে এবং তাদের মোকাবিলার জন্য দলের ও অঙ্গ দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি অবশ্যই সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার কথা বলেছেন। অন্যদের মতো তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাব দেখাননি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামও নির্বাচনকালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সহায়ক সরকার গঠনের কথা বলেছেন। যিনি বা যারা বলছেন কেয়ামতের আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বা তেমন নির্বাচন প্রতিহত করা হবে, এসব বক্তব্য তাদের মহাসচিবের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দলের সিনিয়র নেতা ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেনও যুক্তিগ্রাহ্য কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই তারা নির্বাচনে যাবেন। হ্যাঁ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব দলের (মূল স্টেকহোল্ডার) প্রতিনিধি নিয়ে অথবা তাদের প্রস্তাবিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি নিরপেক্ষ সর্বদলীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার হতেই পারে। সরকারপক্ষ থেকে ‘গিঁট লাগানো’ ব্যক্তিরা সংবিধানের প্রসঙ্গ টেনে বলতে পারেন, বিএনপি তো সংসদে নেই, তাদের নিয়ে কীভাবে সর্বদলীয় সরকার হবে বা প্রস্তাবিত অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কীভাবে সহায়ক সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে! সদিচ্ছা থাকলে সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখে জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে সবার সম্মতিতে বাইরেও যাওয়া যেতে পারে। স্বৈরাচারের পতনের পর বিচারপতি সাহাবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল তার জন্য সংবিধানের বাইরে যেতে হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি হিসেবে সাহাবউদ্দিন আবার স্বপদে ফেরত গিয়েছিলেন পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে এই সংক্রান্ত একটি বিল পাসের মাধ্যমে। ওই ব্যবস্থার কোনো বিকল্প ছিল না। এখনো বিষয়টি সেভাবে দেখা যেতে পারে।

২০১৪ সালের নির্বাচনটি আদর্শ নির্বাচন ছিল না এ ব্যাপারে শাসকমহল ছাড়া আর কারও দ্বিমত নেই। কিন্তু তারপরও আলোচনা হয়, সেই নির্বাচনেও যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করত শত কারচুপি ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের পরও তারা ১০০ প্লাস-মাইনাস আসন নিয়ে শক্তিশালী একটি বিরোধী দলের জায়গা করে নিতে পারত সংসদে। আসন সংখ্যা যদি আরও কমিয়েও দেওয়া হতো তারাই থাকত সংসদে বিরোধী দল। বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হতো ক্ষমতা ভাগাভাগি করা নিয়ে, খয়রাতি মন্ত্রিত্ব আর গৃহপালিত বিরোধী দল বানানোর জন্য নয়। অর্থাৎ সংসদে মুখোমুখি থাকত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিএনপি যদি সেই অবস্থানে থাকত বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমার নামে বেগম জিয়াকে এভাবে হয়রানি করা যেত? মাসে পাঁচ-সাতবার বা আরও বেশি তাকে আদালতে টানাহিঁচড়া করা সম্ভব হতো? দলের নেতা-কর্মীদের গুম, হত্যা, জেল-জুলুম, লক্ষাধিক মামলার জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতো? বিএনপি কি আগামী নির্বাচন প্রশ্নে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক দলন-পীড়ন থেকে রক্ষা করে ঘরে ফেরার সুযোগ সৃষ্টি করবে; সরকারের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবের জবাব দেবে, ঘুরে দাঁড়াবে, নাকি কারও প্ররোচনায় আবারও ভুল করে দলের জন্য আরও বেশি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে? সম্ভাবনার দরজা খুলতে বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে সাহস করে। নতুবা কি দলটি ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় ‘নোটিস পার্টি’ হয়ে যাবে? রাজপথ ছেড়ে বিবৃতি আর সেমিনারে বক্তৃতাবাজিতে ধমক-ধমকিকেই তিনি ‘নোটিস’ বলে মন্তব্য করেছেন।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজদীখানে জমির বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সিরাজদীখানে জমির বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে
টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'
এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল
শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল

৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা
মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি
চমেক শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে আসা হাজতি নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার
শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে আসা হাজতি নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুকসুদপুরে দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা
মুকসুদপুরে দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুশইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে : বিজিবি মহাপরিচালক
পুশইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে : বিজিবি মহাপরিচালক

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, পাস করেছে মাত্র একজন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, পাস করেছে মাত্র একজন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পটুয়াখালীর চারটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় পাস শূন্য
পটুয়াখালীর চারটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় পাস শূন্য

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপির সাবেক সেক্রেটারিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী খালাস
বিএনপির সাবেক সেক্রেটারিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী খালাস

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২
মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেনাপোল দিয়ে উপহারের আম গেল ভারতে
বেনাপোল দিয়ে উপহারের আম গেল ভারতে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা বন্দরে গত অর্থবছরে সকল লক্ষমাত্রায়ই সাফল্য
মোংলা বন্দরে গত অর্থবছরে সকল লক্ষমাত্রায়ই সাফল্য

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুলাউড়ায় বর্জ্য অপসারণে পৌরসভা-ব্যবসায়ীদের সভা
কুলাউড়ায় বর্জ্য অপসারণে পৌরসভা-ব্যবসায়ীদের সভা

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

খুবিতে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ’ 
বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
খুবিতে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ’  বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৬৮.৪৫, যেভাবে জানবেন ফলাফল
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৬৮.৪৫, যেভাবে জানবেন ফলাফল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথি
আরও একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন
দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন

১৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বন্যায় তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বন্যায় তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়
পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ তরুণের মরদেহ উদ্ধার
সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ তরুণের মরদেহ উদ্ধার

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি সামরিক বহরে কাসাম বিগ্রেডের হামলা
ইসরায়েলি সামরিক বহরে কাসাম বিগ্রেডের হামলা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!
ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্যে জাতিসংঘ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্যে জাতিসংঘ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দিতে আসছে বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই
হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দিতে আসছে বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল
পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যে সাত অঞ্চলে
দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যে সাত অঞ্চলে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস
ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় আধুনিক ‘বন্দিশিবির’ গড়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের
গাজায় আধুনিক ‘বন্দিশিবির’ গড়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেসির রেকর্ড গড়া রাতে জয় পেল ইন্টার মায়ামি
মেসির রেকর্ড গড়া রাতে জয় পেল ইন্টার মায়ামি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন
পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ
শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি

সম্পাদকীয়

পালিয়ে গেছে দস্যি ছেলে
পালিয়ে গেছে দস্যি ছেলে

ডাংগুলি