এক. দেশটা কারোর বাপের না। এই একটি গান জাগিয়ে তুলেছিল ১৮ কোটি মানুষকে। ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পরিণত হয়েছিল সরকার পতনের আন্দোলনে। যা পৌনে ১৬ বছরের স্বেচ্ছাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানকে অনেকে জুলাই গণ অভ্যুত্থান বলে অভিহিত করেছেন। ৫ আগস্টকে বলছেন ৩৬ জুলাই। মেধাবী চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘৩৬ জুলাই’ তত্ত্বটি দেখে চমকে উঠেছিলাম। জানি না এ তত্ত্বের হোতা কে? যেই হোন না কেন, তা লুফে নেন আন্দোলনকারীরা। নতুন প্রজন্ম এটিকে লুফে নিলেও আমার বয়সী প্রবীণদের অনেকে পড়েছেন দ্বন্দ্বে।
ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান কী বলে অভিহিত হবে এটি একান্তই তাদের বিষয়। যারা এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেই নতুন প্রজন্মের পছন্দই এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাওয়া উচিত। তবে বলতে চাই পৃথিবীতে ৩৬ জুলাইয়ের মতো ‘ধাঁধা’ বিরল নয়। অনেকেই জানেন, দুনিয়া কাঁপানো প্রথম বিপ্লব ঘটে আজকের রাশিয়ায়। অক্টোবর বিপ্লব নামে যা পরিচিত। আমেরিকান সাংবাদিক জন রিড তখন ছিলেন রাশিয়ায়। ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লব নিয়ে তিনি লেখেন ‘টেন ডেজ দ্যাট শুক দ্য ওয়ার্ল্ড’ বা দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন নামের বইটি। ৫০ বছর আগে জন রিডকে পড়ার সুযোগ হয়। বইটি পড়ে রক্তে আগুন লেগেছিল- আমার মতো অনেক তরুণের। দেশে তখন চলছিল ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষ। আমাদের অনেকের চোখে তখন জ্বলছিল বাংলাদেশে আরেকটা অক্টোবর বিপ্লব ঘটানোর স্বপ্ন। রুশ বিপ্লবকে সামনে রেখে ’৭৫-এর ৭ নভেম্বর ঘটানো হয় সিপাহি জনতার অভ্যুত্থান। সে অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসেন জেনারেল জিয়া। সেনাবাহিনীর মধ্যে জাসদ সমর্থক সেনা সদস্যদের সংগঠন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এ অভ্যুত্থানে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বাধীন ৩ নভেম্বরের সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। তার আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সেনা অভ্যুত্থানে সপরিবারে নিহত হন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে অভ্যুত্থানে খালেদ মোশাররফের ভূমিকা ছিল রহস্যাবৃত্ত। তবে সেনাবাহিনীর অনেক সিনিয়র অফিসারের মতো তিনিও পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জুনিয়র অফিসারদের অবৈধ ক্ষমতা চর্চায়। সশস্ত্র বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছিল ১৫ আগস্টের মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের হামবড়া মনোভাবের কারণে।
ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করেন। বন্দি হওয়ার আগে তিনি টেলিফোনে বন্ধু কর্নেল তাহেরকে কিছু একটা করার অনুরোধ জানান। তাহের সে সময় ছিলেন স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়া সেনা কর্মকর্তা। অবসর নিলেও সেনাবাহিনীতে তার প্রভাব ছিল ব্যাপক। সেনাবাহিনীতে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোর জন্য ক্ষমতাধর বলেই ভাবা হতো তাকে। তাহের জেনারেল জিয়ার আহ্বানে সাড়া দেন। সেনাবাহিনীতে জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা ছিল অন্য যে কারোর চেয়ে বেশি। কর্নেল তাহের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো এবং জেনারেল জিয়ার জনপ্রিয়তাকে সম্বল করে সিপাহি জনতার অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা নেন। সে সময় সারা দেশে জাসদের সাংগঠনিক কাঠামো ছিল বেশ শক্তিশালী। তারুণ্যের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত হতো এ দলটি। কিন্তু গণ অভ্যুত্থানের জন্য যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার তা নেয়নি জাসদ। ৭ নভেম্বরকে সামনে রেখে কর্নেল তাহের সেনাবাহিনীতে অফিসারদের বিরুদ্ধে সাধারণ সৈনিকদের মধ্যে ঘৃণা ছড়াতে সক্ষম হন। খালেদ মোশাররফসহ বিপুল সংখ্যক অফিসার নিহত হন তাহের সমর্থকদের হাতে। ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় যে অক্টোবর বিপ্লব হয় তা শুরুর সংকেত দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধ জাহাজ আরোরা থেকে গোলাবর্ষণের মাধ্যমে। বাংলাদেশেও বেছে নেওয়া হয় অভিন্ন কৌশল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ভোররাতে সুবেদার মেহবুব গুলি ছুড়ে অভ্যুত্থান শুরুর সংকেত দেন। শুরু হয় বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার কথিত বিপ্লব। সাধারণ সৈনিকরা অস্ত্রাগার লুট করে অফিসার হত্যায় মেতে ওঠে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র দখলে নেয় তারা। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশাপাশি যশোর কুমিল্লা থেকেও সৈন্যরা বিপ্লবের সমর্থনে ঢাকায় আসে। ৭ নভেম্বর বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যরা জেনারেল জিয়াকে অন্তরিন অবস্থা থেকে মুক্ত করে সেকেন্ড ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের সদর দপ্তরে নিয়ে যায়। সেখানে তাহের উপস্থিত হন। জিয়া বন্ধু তাহেরকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। দেশ ও নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য তাহেরকে ধন্যবাদ জানান। বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যরা এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়ার কাছে তাদের ১২ দফা দাবি উত্থাপন করলে তিনি তা মেনে নেন। বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যদের বাহবাও দেন। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাহের কিংবা বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারান। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কথিত সিপাহি জনতার অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার কারণ এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা না থাকা। কর্নেল তাহের জাসদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও ওই অভ্যুত্থান সংগঠনে জাসদ নয়, মূলত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। সারা দেশের জাসদ কর্মীদের অন্ধকারে রেখে তিনি যে হটকারিতার পথ বেছে নেন তার শিকার হয়ে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা। এসব হত্যার দায়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় বেশ কিছু সৈনিককে। যারা ছিলেন ভুল রাজনীতির শিকার।
৭ নভেম্বরের সিপাহি জনতার অভ্যুত্থান সংঘটনে জেনারেল জিয়ার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগানো হয়। তবে এতে তার প্রত্যক্ষ কোনো ভূমিকা ছিল না। তাহেরপন্থি সৈনিকদের চেষ্টায় তিনি মুক্ত হন বন্দিদশা থেকে। তারপর সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাকে স্বাগত জানান সর্বস্তরের সেনা সদস্যরা। দায়িত্ব হাতে নিয়েই জেনারেল জিয়া বুঝে ফেলেন কর্নেল তাহের তাকে শিখন্ডী হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করলে তিনি সেনাপ্রধান পদে থেকেও ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হবেন। সবকিছুর কলকাঠি ঘোরাবেন তাহের কিংবা তার সহযোগীরা। এমন পরিণাম তিনি বরণ করতে চাননি। কৌশলগত কারণে জিয়া তাহেরপন্থিদের মেনে নিলেও সেনাবাহিনীর কমান্ড হাতে নেওয়ার পর পরিস্থিতি সামাল দেন দক্ষভাবে।
জেনারেল জিয়া ছিলেন তার সময়ের সবচেয়ে মেধাবী সেনা অফিসার। তাকে শিখন্ডী বানানোর দিবা স্বপ্ন দেখে কর্নেল তাহের নিজের বিপর্যয়ই ডেকে আনেন। শুরু হয় সেনাবাহিনীর মধ্যে জাসদের সামরিক শাখা বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া। জেনারেল জিয়া এ ব্যাপারে সর্বস্তরের সেনা অফিসারদের সমর্থন পান। সাধারণ সৈনিকদের বড় অংশও ৭ নভেম্বরের রক্তপাতকে ভালো চোখে দেখেনি। ফলে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পর তিন সপ্তাহের মধ্যে জিয়া তাহের সমর্থকদের সিংহভাগকে আটক করতে সমর্থ হন। বাংলাদেশে রাশিয়ার অনুকরণে আরেকটি অক্টোবর বিপ্লব করার চেষ্টা মাঠে মারা যায়।
জিয়াউর রহমান ও তাহের দুজনই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার। সেনাবাহিনীতে তাহেরের বামপন্থি চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জিয়া জানতেন। তবে তিনি ছিলেন চিন্তা চেতনায় একেবারে আলাদা। জিয়া ছিলেন জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী। ইসলামী মূল্যবোধে ছিল তার গভীর আস্থা। পক্ষান্তরে তাহের ছিলেন মার্কস, লেনিন, চে গুয়েভারার ভাবশিষ্য। তাহের জিয়াকে মুক্ত করা শুধু নয়, তাকে কথিত সিপাহি জনতার বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত করার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাও এঁটেছিলেন। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি দুটি কারণে। প্রথমত, জেনারেল জিয়া তাহেরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। দ্বিতীয়ত, নিজেদের করণীয় কী এ ব্যাপারে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে জাসদ কর্মীদের কাছে কোনো সুস্পষ্ট বার্তা পৌঁছেনি। ৭ নভেম্বরের সেনা অভ্যুত্থানের পর সেনাপ্রধান হিসেবে জিয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এ ভাষণের ফলে দেশবাসীর চোখে ৭ নভেম্বরের হিরোতে পরিণত হন তিনি। জাসদ ৭ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ ডাকলেও তাতে কাক্সিক্ষত সাড়া পড়েনি। বরং জেনারেল জিয়ার সমর্থনে রাজধানীজুড়ে আনন্দ মিছিল বের হয়। তাতে যোগ দেয় হাজার হাজার মানুষ। মিছিল-স্লোগানে ঢাকা পড়ে জাসদ ও তাহেরের নাম। আমজনতার কাছে শেষ অবধি নায়ক থেকে ভিলেনে পরিণত হন কর্নেল তাহের।
জিয়াউর রহমান সেনাপতি থেকে রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হন ৭ নভেম্বরের পথ ধরে। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই নেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন জিয়া। ছিলেন জেড ফোর্সেরও কমান্ডার। যে চৌকশ বাহিনীর নামকরণ হয়েছিল তার নামের অদ্যাক্ষর দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী প্রবাসী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কাছে তিনি কতটা গুরুত্ব বহন করতেন, এটি তার সুস্পষ্ট প্রমাণ।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার নিয়ন্তা। উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৫ বছর সাড়ে ৬ মাস দেশ পরিচালনা করেছেন তিনি। গঠন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নামের রাজনৈতিক সংগঠন। জিয়ার রাজনীতি নিয়ে যে কারও দ্বিমত থাকতেই পারে। কিন্তু চরম বিরোধীদের কাছেও তার ব্যক্তিগত সততার বিষয়টি ছিল প্রশংসিত। তিনি নিজে দুর্নীতিতে জড়াননি। কাউকে এ ব্যাপারে প্রশ্রয় দেননি। জিয়ার আগের এবং পরে যারা শাসন ক্ষমতায় এসেছেন তাদের সঙ্গে পার্থক্য রচনা করেছে এ বিষয়টি।
দুই.
রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছিল বলশেভিক পার্টি। পরে যার নাম হয় কমিউনিস্ট পার্টি। লেনিন, ত্রতস্কির মতো মেধাবী নেতারা ছিলেন এ দলের নেতৃত্বে। বাংলাদেশে অক্টোবর বিপ্লবকে সামনে রেখে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর যে অভ্যুত্থান হয় তার নেতৃত্বেও ছিল সুনির্দিষ্ট নেতা ও সংগঠন। কিন্তু ৪৯ বছর পর সংঘটিত জুলাই বিপ্লব হলো দুনিয়ার প্রথম গণ অভ্যুত্থান যেখানে কোনো নেতা ছিল না। বিশেষ কোনো সংগঠনও ছিল না। বরং এ চমকপ্রদ অভ্যুত্থানে সবাই ছিলেন নেতা। ফলে এক দুই নয়, হাজার প্রাণ কেড়ে নিয়েও আন্দোলন দমানো যায়নি। কখনো নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দেয়নি। বিশ্ব ইতিহাসের তুলনাবিহীন এ বৈপ্লবিক কর্মকান্ডে মানুষের ঢল নেমেছিল রাজপথে। জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে একসূত্রে। যা দেখা গেছে শুধু একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে। এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে এ অভ্যুত্থানের সারথীরা।
যেখানে বৈষম্য থাকবে না। ঘুষ-দুর্নীতি ছোবল হানবে না। ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়বে না স্পুটনিক গতিতে। থাকবে না চাঁদাবাজি, দখলবাজি। মানুষ কথা বলবে স্বাধীনভাবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কথায় কথায় জেল আর ‘আয়না ঘর’ নামের দোজখে নেওয়া হবে না। বলা হয়ে থাকে বিজয় অর্জন করা যত সহজ ধরে রাখা ততটাই কঠিন। অন্ধকারের জীবদের তাড়িয়ে আলোর যে দিশারীরা জাতিকে শুদ্ধতার নতুন বলয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। ক্ষমতায় বসা আর বাঘের পিঠে বসা সমান কথা। বেয়ারা বাঘকে নিয়ন্ত্রণ করেই এ সরকারকে চলতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনীতিকদেরও বুঝতে হবে দেশটা কারোর বাবার নয়। শেখ হাসিনা যে ভুল করেছেন সে ভুলের ফাঁদে আর কারও পা দেওয়া ঠিক হবে না। ছাত্র ও তরুণ সমাজসহ ১৮ কোটি মানুষের এ জাতি তা মেনে নেবে না।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
ইমেইল :[email protected]