বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশ। ধার করে ঘি খাওয়ার নীতি দেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে। স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশি ঋণের বিকল্প নেই। কিন্তু দেশের উন্নয়নের জন্য যে ঋণ নিতে হচ্ছে, তা যেন অপচয় না হয়, তা দেখা যেমন সরকারের দায়িত্ব, পাওয়া বিদেশি ঋণ দেশের স্বার্থ কতটা রক্ষা করবে, তা-ও বিবেচনা করা কর্তব্য হওয়া উচিত। দেশে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৪ বছরে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ২৮২ শতাংশ। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সাল শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৫৭২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সাল শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০১ দশমিক ৪৪৭ বিলিয়ন ডলার। মেগা প্রকল্পগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হওয়ার পর থেকে যে পরিমাণ ঋণ পাওয়া যাচ্ছে, তা আগের ঋণ পরিশোধের চেয়ে কম। পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে। সার্বিকভাবে বিদেশি ঋণ বাড়লেও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ছয় মাসে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। চলতি বছরের জুন শেষে বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। বিদেশি ঋণে এমন সব প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা সরকার বা দেশ ও জাতির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্ণফুলী টানেল এর অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের প্রকল্প এটিই প্রথম। এর ভবিষ্যৎ লাভ-লোকসান বিবেচনা না করেই বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছে। এতকাল যে বৈদেশিক ঋণ এসেছে, তাতে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার কৃত্রিমভাবে হলেও সমৃদ্ধ দেখানোর সুযোগ মিলেছে। বর্তমানে দেশের প্রয়োজনে যে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে, তা দিয়ে পুরনো ঋণের কিস্তিও শোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে ঋণের সঙ্গে শর্ত জড়িত থাকায় সরকারের পক্ষে তা মেনে নেওয়াও কঠিন হচ্ছে। পৌনে ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটলেও তাদের নেওয়া অপরিণামদর্শী ঋণ থেকে রেহাই পাওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই। সব ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্র ও সংযমী মনোভাবের মাধ্যমে এ কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে