সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
গাইডলাইন

একাদশে ভর্তিবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের করণীয়

শরীফ খান

একাদশে ভর্তিবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের করণীয়

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বছর বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ও পাসের হার লক্ষণীয়ভাবে বাড়লেও শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের গুণগতমান বেড়েছে কিনা এ নিয়ে চরম বিতর্ক আছে। সেইসঙ্গে বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠদান পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবিক ও নৈতিক গুণাবলির আদৌ বিকাশ ঘটছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষাগতভাবে যোগ্য ও দক্ষ এবং মানবিক ও নৈতিকভাবে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘এমিনেন্স কলেজ’। নিজস্ব ক্যাম্পাসের আধুনিক ও ডিজিটাল এ কলেজটির প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছেন একঝাঁক উদ্যমী, দেশপ্রেমী, সৎ ও নিষ্ঠাবান সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা। যারা ব্যবসায়িক বাসনা থেকে নয়, বরং সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে সমাজের জন্য ভালো কিছু করার তাড়না থেকেই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের প্রাণকেন্দ্র গরীব-ই-নেওয়াজ এভিনিউ’র ৫৮ নম্বর প্লটে কলেজটির ক্যাম্পাস যা হাউস বিল্ডিং থেকে মাত্র ৫ মিনিটের পথ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী কলেজটিতে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি চলছে। সীমিত সংখ্যক আসনে বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক এ তিনটি বিভাগেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী অনলাইন বা এসএমএসে পছন্দের কলেজে আবেদন করে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এমিনেন্স হতে পারে চমৎকার গন্তব্য। এছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীরাও কলেজটিকে বেছে নিতে পারে। উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিক শেষে কলেজটিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিবিএ ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে। একাদশে ভর্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ফোন ০১৭৪৯-০৯২২২৩, ০১৫৫১-৬০৫০৩৪, ০২-৫৮৯৫১১৮৫।   ভিজিট করতে পারেন www.eminencecollege.com. একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাই যেসব শিক্ষার্থী এখনো ভর্তি হয়নি তাদের উচিত হবে অতি সত্ত্বর সঠিক প্রতিষ্ঠান বেছে নিয়ে ভর্তি হয়ে যাওয়া।

বিদ্যমান সুবিধাদি : ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের এসএসসির ফলাফল ও চাহিদার ভিত্তিতে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ভর্তি ফির ক্ষেত্রে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা, মেধাবীদের জন্য আকষর্ণীয় ছাড়, মুক্তিযোদ্ধা ও গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি ইত্যাদি। লক্ষণীয় হলো, পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক লোনের সুবিধা প্রদানকারী দেশের একমাত্র ও প্রথম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এমিনেন্স। বিষয়টি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

বৈশিষ্ট্য : এমিনেন্স মানে উত্কৃষ্টতা। গুণগত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে এ উত্কৃষ্টতা অর্জন করে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অর্জনই কলেজটির প্রধান লক্ষ্য। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও মাল্টিমিডিয়া সুবিধাযুক্ত সুপরিসর ক্লাসরুম, আধুনিক স্মার্ট গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গবেষণাগার ও পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটা ল্যাব এবং অনলাইনে পড়ার সুবিধার্থে ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সুবিধা। সেইসঙ্গে নিবন্ধিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যোগ্য, দক্ষ, মেধাবী ও আন্তরিক একঝাঁক শিক্ষক। মোটকথা প্রতিষ্ঠানটিতে গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

সবশেষে নতুন হলেও অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত বিধায় কলেজটি ইতিমধ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের নজর কেড়েছে। কলেজে ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, কোনো কলেজ পরিচালনার সঙ্গে কারা জড়িত এ বিষয়টি একাডেমিকসহ প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক সুনাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। দেশপ্রেমিক, সমাজ সচেতন, নৈতিকতাসম্পন্ন ও সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এমিনেন্স। তাই শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণ ও নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনে নিঃসন্দেহে প্রতিষ্ঠানটিকে বেছে নিতে পারে।

সর্বশেষ খবর