প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দুই নেত্রী সংলাপের পক্ষে কথা বলছেন যা উৎসাহব্যঞ্জক। নগরীর সেতু ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়ুন ইয়ং গতকাল যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিম দেশের মতো যুক্তরাজ্যও দুই নেত্রীকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের তাগিদ দিয়ে আসছে। নির্বাচনের পরে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাইদা হুসেইন ওয়ারসির বিবৃতি এবং সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিতর্কের শ্রুতলিখন পড়ে দেখতে দুই নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, দুই জায়গায়ই মতপার্থক্য কমিয়ে এনে সংলাপ শুরুর জন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আরও স্বচ্ছ একটি পদ্ধতি খুঁজে বের করতে এ সংলাপ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় সাতক্ষীরায় যৌথ অভিযানে নিষ্ঠুরতা চলছে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিপজ্জনক, সংলাপ ও সমঝোতার অন্তরায়। দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য বাধা। তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এ ধরনের বক্তব্যের পর স্পেস দেওয়ার মানসিকতা কতটুকু ধরে রাখা যাবে তা নিয়ে সন্দিহান আমরা। এ বিষয়ে আমাদের দলের মধ্যেও তো চাপ আছে, জোটেরও চাপ আছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যেসব রক্তাক্ত ট্র্যাজেডির ঘটনা রয়েছে তাতে রাতারাতি জাতীয় ঐকমত্য সম্ভব নয়। তার পরও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকতে হবে, মানসিক দূরত্ব কমাতে হবে, দুই দলকেই স্পেস দিতে হবে। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি বলছেন এটা অবৈধ সরকার। আর সংলাপ তো একটা বৈধ বিষয়। অবৈধ সরকারের সঙ্গে বৈধ সংলাপ করবেন কীভাবে? বৈঠকে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পদ্মা সেতু ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পদ্মার মূল সেতুর নির্মাণ কাজ আগামী জুনে শুরু হবে। আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, পদ্মার মূল সেতুর নির্মাণ কাজ সময়মতো শুরু করা হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়ুন ইয়ং বলেন, যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পদ্মার মূল সেতু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সহিংসতা থেকে সব দলের বিরত থাকা উচিত।