আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিএনপির জন্য দলীয় বিদ্রোহীর পাশাপাশি জামায়াত প্রার্থীরা টেনশনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে অনুষ্ঠিত দুটি উপজেলার নির্বাচনে একই পদে জামায়াতের প্রার্থী না থাকায় বিএনপির বিজয় সহজ হয়। কিন্তু আগামী ২৩ মার্চের নির্বাচনে প্রতিটি আসনে ১৯ দলীয় জোটের একাধিক প্রার্থী থাকায় বিএনপিকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে বলে জানা যায়। দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলায় দলীয়ভাবে বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর কবির চৌধুরীকে সমর্থন দেয় বিএনপি। পক্ষান্তরে বিএনপি দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহাজাহান জুয়েল সমর্থন দেন লেয়াকত আলীকে। এছাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির ও শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলাম প্রার্থী হচ্ছেন।
অন্যদিকে, জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত সাতকানিয়ায় চেয়ারম্যান পদে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, জামায়াত সমর্থিত ফারজানা আফরোজা ও মো. জসীম উদ্দিন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া এখানে জামায়াতের সাবেক দুই সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম ও শাহাজাহান চৌধুরীর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রামের সাত উপজেলার মধ্যে রাউজানে বিএনপির তিনজন, বাঁশখালীতে বিএনপির দুই ও জামায়াতের একজন, ফটিকছড়িতে বিএনপির চার ও জামায়াতের একজন, সাতকানিয়ায় বিএনপির এক ও জামায়াতের দুইজন, রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির পাঁচজন, আনোয়ারায় বিএনপির তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ১৯ দলীয় জোটে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করেছি। তাই জোটের সব প্রার্থীকে গুরুত্ব দিয়ে, ব্যক্তি ইমেজে বিবেচনায় প্রার্থী বাচাই করব। আমাদের লক্ষ্য নির্বাচনে বিজয় অর্জন করা। নগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আ জ ম ওবায়দুল্লাহ বলেন, যে উপজেলায় জোটের একাধিক প্রার্থী আছেন, সেখানে সমঝোতার মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট সমাধানের দাবি : বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে গ্যাস সংকটের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে এ স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট চরমে পেঁৗছেছে। ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মিল কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। আবাসিক খাতে গ্যাস সরবারাহ কমায় স্বাভাবিক কাজও স্থবির হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামে ৪০০ মিলিয়ন গ্যাসের চাহিদা বিপরীতে ২০০ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।