রাখাইনে চলমান সহিংসতা নিয়ে ইসলামী উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে মিয়ানমার। তাদের দাবি, লড়াইরত রোহিঙ্গা উগ্রপন্থিরা রাখাইনের টালমাটাল পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। এ সুযোগে তারা রাখাইনে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এতে তাদেরকে সহযোগিতা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সহায়তামূলক গ্রুপগুলো।
মঙ্গলবার এ নিয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন তিন বলেন, গত শুক্রবারে এবং অক্টোবরে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি। তাদেরকে সহযোগিতা করছে বিদেশি কিছু গ্রুপ। আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি’কে সুপারভাইজড করেছে সৌদি আরবের ১১ জন নাগরিক। তারা তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শুক্রবারের হামলার প্রেক্ষিতে মিয়ানমার যেভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে তার তীব্র সমালোচনা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব সম্প্রদায়, জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, আগামী নভেম্বরে মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা পোপ ফ্রান্সিসের। তিনি রোহিঙ্গা মুসলিমদের পূর্ণাঙ্গ অধিকার দেয়ার ক্রমবর্ধমান দাবির সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতিতে সোমবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরাঁ।
এদিকে পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন তিনের পাশাপাশি মঙ্গলবার কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাইওয়া শয়ে। তিনি অভিযোগ করেছেন, তদন্তে দেখা গেছে- উগ্রপন্থিদেরকে অ্যামোনিয়া ও সার সরবরাহ করেছে আন্তর্জাতিক সাহায্য বিষয়ক কতগুলো এজেন্সির কিছু সদস্য। উগ্রপন্থিরা এসব ব্যবহার করে বিস্ফোরক তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ আগস্ট, ২০১৭/ওয়াসিফ