কাতারের রাজধানী দোহায় ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আবদ আল-ওয়াহহাব মসজিদে জুমার নামাজের পর হামাসের সাবেক রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
নামাজ শেষে হানিয়ার মরদেহ লুসাইল রাজকীয় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হানিয়ার নামাজে জানাজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। কারণ, ইসলামী দেশগুলির পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ এবং ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধরত ইসলামিক জিহাদের মতো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতারাও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। হানিয়ার পরিবারের সদস্যরাও জানাজায় উপস্থিত থেকে তাদের শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন শহর থেকে হানিয়ার স্মরণে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময়, অনেকেই ইরান এবং তার মিত্রদের বিশেষ করে লেবাননের হিজবুল্লাহর প্রতিশোধমূলক হামলার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
দোহায় হানিয়ার জানাজায় উপস্থিত ৩২ বছর বয়সী সারা আবদেলশাফি বলেন, ইসরায়েল সম্প্রতি অনেক গণহত্যা করেছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত ফিলিস্তিনি এবং আঞ্চলিক প্রতিরোধ তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। কারণ, ইসরায়েল একটি নষ্ট বাচ্চার মতো আচরণ করছে এবং কেউ তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না। তাই আমাদেরকেই নিজেদের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।
৪৬ বছর বয়সী হাদিল আবু কাফ বলেন, হানিয়ার মৃত্যু হামাসের জন্য বড় ধাক্কা নয়। তারা তাকে হত্যা করলেও কিছু যায় আসে না। ইসমাইল হানিয়ার চেয়েও শক্তিশালী কেউ আসবে, হানিয়া কেবল একজন ব্যক্তি নন। সূত্র : আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল