মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কালের কণ্ঠের গোলটেবিল

দক্ষিণ এশিয়ায় স্যানিটেশনে শীর্ষে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায় সবার শীর্ষে রয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতার জন্য আমাদের স্কুল-কলেজগুলোয় এখনো অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে এগুলো উত্তরণের চেষ্টা করছি।’ গতকাল বিকালে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড (ইডব্লিউএমজিএল) মিলনায়তনে এক গোলটেবিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সুইস ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন কনসোর্টিয়ামের পক্ষে দৈনিক কালের কণ্ঠ ও কারিতাস বাংলাদেশ ‘স্কুল পর্যায়ে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব এবং সম্প্রসারণ কৌশল’ শীর্ষক গোলটেবিলের আয়োজন করে। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহম্মেদ।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বক্তব্যে আরও বলেন, নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলাই শিক্ষার উদ্দেশ্য। শুধু শিক্ষিত নয়, ভালো মানুষ হিসেবেও গড়ে তুলতে হবে তরুণদের। ২০০৯ সালে এ দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু স্কুলে আসত না। বর্তমানে ৯৯ শতাংশের বেশি স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। এটি এখন প্রমাণিত যে, সমান সুযোগ-সুবিধা পেলে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এগিয়ে যাবে। বর্তমানে প্রাথমিকে ৫১, মাধ্যমিকে ৫৩ আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৪৫ শতাংশ মেয়ে পড়াশোনা করছে। নাহিদ বলেন, ছাত্রছাত্রীদের স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সুপেয় পানির সুবিধাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় রয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকায় ইচ্ছা থাকলেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় না উল্লেখ করে নাহিদ বিত্তবানদের এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। ইমদাদুল হক মিলন বলেন, স্যানিটেশনসহ বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন সমস্যা গুরুত্বের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হবে। নতুন প্রজন্মের এই শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ নানা বীরত্বগাথা কাহিনীর শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। দেশের জন্য আবেগের জায়গা তাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এতে আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সারফুদ্দিন আহম্মেদ, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়ালী উল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. খায়রুল ইসলাম, প্র্যাকটিকাল অ্যাকশন বিডির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, ওয়াস অ্যালায়েন্সের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর অলক মজুমদার, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকল্প পরিচালক তালাত মাহামুদ, আইসিডিডিআরবির পরিচালক (ওয়াশ) ড. মাহাবুবুর রহমান, কারিতাস বাংলাদেশের সহকারী নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন ফ্রান্সিস রোজারিও প্রমুখ। মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে ৮৫ শতাংশ স্কুলে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এদের মাত্র ২৮ শতাংশ সাবান দিয়ে হাত ধোয়। অন্য বক্তারা বলেন, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে অনেক রোগের আক্রমণ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। এজন্য শিক্ষার্থীদের স্কুলে শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে অভিভাবকদের সতর্ক করতে হবে।

সর্বশেষ খবর