বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

খুলল কারওয়ানবাজার লুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলল কারওয়ানবাজার লুপ

খুলে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণের তৃতীয় ধাপে এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত কারওয়ান বাজারের লুপটি। খোলার পরই হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল হয়ে ওই অংশ দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রাথমিক নকশায় এ অংশটি রাখা হয়নি। পরে ৪৫ কোটি টাকা নির্মাণব্যয় বাড়িয়ে তা কারওয়ান বাজার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এটি উদ্বোধন করেন। এর আগে গত বছর ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর যান চলাচলের জন্য ইস্কাটন-মৌচাক অংশের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। কারওয়ান বাজারের লুপটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ বছর জুনের মধ্যেই মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ করা যাবে। রাজারবাগ-মৌচাক-শান্তিনগর-মালিবাগ অংশের কাজ প্রায় শেষ। আশা করা হচ্ছে জুনেই তা চালু হবে। আর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার পুরোপুরি চালু হলে যানজট কমবে, মানুষের ?দুর্ভোগও লাঘব হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বার বার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো ‘অস্বাভাবিকতা নেই’। অতিরিক্ত কোনো খরচও এখানে হয়নি। তবে এখন থেকে বেইলি রোডের দিক দিয়ে মগবাজার হয়ে এ ফ্লাইওভারের খুলে দেওয়া লুপ দিয়ে কারওয়ান বাজারে যান চলাচল আরও সহজ হলো। জানা যায়, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পের প্রাথমিক নকশায় ওই লুপটি এফডিসি রেলক্রসিংয়ে নামার কথা ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এটি রেললাইনের ওপর দিয়ে কারওয়ান বাজার সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। এ ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল জানান, ফ্লাইওভারের এ অংশের দৈর্ঘ্য ৪৫০ মিটার। এতে আছে দুটি লেন। বর্ধিত এ অংশের নির্মাণে ফ্লাইওভারের ব্যয় বাড়ে ৪৫ কোটি টাকা। ২০১১ সালে এই ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। কথা ছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এর নির্মাণ। সে সময় নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এরপর কয়েক ধাপে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ তিন ভাগে করা হয়েছে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর