গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। কোনো রকম বিলম্ব ছাড়া মামলাটির বিচারকাজ আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পর ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে। ড. ইউনূস আইন-আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সর্বোচ্চ আদালতের কাছে সব আইনি ব্যাখ্যা তুলে ধরা হবে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূস যে আবেদন করেছিলেন, সেটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাই কোর্ট। কোনো রকম বিলম্ব ছাড়া মামলাটির বিচারকাজ এক বছরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র থেকে দেখিয়েছি, আসামিদের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। কাজেই আবেদনটি খারিজযোগ্য। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এ মামলায় ১২ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন। ১৫ জুলাই ছিল সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ। হাই কোর্টে এ মামলার বিরুদ্ধে আবেদন বিচারাধীন উল্লেখ করে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছাতে ড. ইউনূসের আইনজীবী সেদিন আবেদন করেন। পরে বিচারিক আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে ৫ আগস্ট তারিখ দেন। এর আগে ৮ জুলাই এ আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ সাত আসামি। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছর ৩০ মে মামলা করে দুদক।