নারায়ণগঞ্জে মহানগর বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১০ জন আহত হন। আহতরা একটি ভবনে প্রায় আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে তাদের উদ্ধার করা হয়। মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও যুবদল নেতা মুন্নাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ তিন রাস্তার মোড়ে গতকাল বিকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে টিপুর অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয়রা জানান, বন্দরে বিএনপির একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় নবীগঞ্জ ঘাটের অদূরে তিন রাস্তার মোড়ে জমায়েত হন মহানগর বিএনপির নেতারা। এ সময় ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক মিলে লাঠিসোঁটা ও বাঁশ নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। অনেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও টিপুকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। তার শরীরের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলা হয়। উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন মাসুদ রানা ও মুন্না। তাদের মধ্যে মুন্না রক্তাক্ত জখম হন।
আহত নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, আগে থেকে ওত পেতে থাকা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের অনুসারীরা গতিরোধ করে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আক্রমণ করে। হামলায় টিপু, যুবদল নেতা মুন্না গুরুতর আহত হন। এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মুকুল, আশা, মোস্তাক, সৌরভ ও রাজীবসহ দেড় থেকে ২০০ লোক এ হামলা করেছে। দল ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল না। এ সময় তারা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দালালি করেছে। এখন দালালি করতে পারে না। তাই তারা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোক নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের প্রায় ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের সদস্যসচিব মৃত্যুশয্যায়। অভিযোগ প্রসঙ্গে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি মারামারির মানুষ না। মারামারি করতে জানি না। আমার সেই বয়সও নেই। যাদের কাছে দোষ করেছে তারাই মারধর করেছে। আমার লোকজন এসবের সঙ্গে জড়িত না। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কীভাবে ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।