খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলার ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ফাঁকাগুলি ও অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। জানা গেছে, বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে এক বাঙালি যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে দীঘিনালা সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লারমা স্কয়ারে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ চলাকালে একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে ঘণ্টা খানেক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় দুর্বৃত্তরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা লারমা স্কয়ার এলাকায় অবস্থিত দোকানপাটে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় অর্ধ শতাধিক দোকানপাট পুড়ে গেছে। এ ঘটনা বিকৃত করে স্যোশাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়। দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি কাজ করছে। আগুন নেভানো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। এই ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
বুধবার ভোর রাতে খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়াপাড়ায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ এনে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি খাগড়াছড়ি সদরের শালবন মধ্যপাড়ার মৃত নুরনবীর ছেলে। এ ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।