স্মরণকালের ভয়াবহ হারিকেন মিল্টনের আঘাতে ফ্লোরিডার সমুদ্র উপকূলবর্তী সেন্ট লুইস কাউন্টিতে চারজনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে স্টেট গভর্নর রন ডিস্যান্টিসের অফিস। তারা আশঙ্কা করছেন প্রাণহানির সংখ্যা অনেক বাড়বে। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় সিয়েস্টা কি-তে ঘণ্টায় ১২০ মাইল বেগে হামলে পড়া ৩ নম্বর ক্যাটাগরি হারিকেন মিল্টনের আঘাতে উপকূলবর্তী এলাকার ৩৩ লাখের অধিক বাসিন্দা বিদ্যুৎহীন। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা) প্রাপ্ত সর্বশেষ সংবাদে এ খবর জানা গেছে। এ অঞ্চলে শত বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে কয়েক ঘণ্টায় ১৯ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত এবং ১২ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে জাতীয় হারিকেন সেন্টার উল্লেখ করেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে টেম্পা, সেন্ট পিটার্সবার্গ, সারাস্যাটো এবং ফোর্ট মায়ার্সে বেশ কয়েক হাজার বাংলাদেশিও ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে সেখানকার সমাজ-সংগঠক মোহাম্মদ জামান জানান। স্টেট গভর্নর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে মিল্টন এক নম্বর ক্যাটাগরিতে পরিণত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে ধাবিত হয়েছে। এলাকার তিনটি এয়ারপোর্ট, বড় একটি স্টেডিয়ামসহ অনেক স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে। বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে লাখের অধিক। গাছ-পালা উপড়ে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অথরিটি তথা ফেমার তত্ত্বাবধানে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে স্থানীয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবীরাও অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রলয়ংকরি হারিকেন হেলেনের আঘাতে লন্ডভন্ড এলাকায় উদ্ধার ও সংস্কার কাজের মধ্যেই মিল্টনের আঘাত বিপর্যস্ত করেছে জনসাধারণকে। এদিকে গতকাল সকালে হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ফ্লোরিডায় উপদ্রুত এলাকার খোঁজখবর নেওয়ার পর এক বিবৃতিতে হতাহত এবং ক্ষতির শিকার হওয়া লোকজনের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন এবং উদ্ধার ও পুনর্বাসনে ফেডারেল সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন।