রাজধানীর বাড্ডায় বুধবার দুই বাসের রেসারেসিতে চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান তাসনিম জাহান আইরিন (২৪)। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) বিবিএ শেষ করে তিনি ‘নেক্সট ভেনচার’ নামে একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন আইরিনের বড় বোন নুসরাত জাহান (২৮)। দুর্ঘটনায় তিনিও মারাত্মকভাবে আহত হন। তবে মুহূর্তের বিভীষিকায় হারিয়েছেন আদরের ছোট বোন আইরিনকে। পারিবারিক সূত্র জানায়, লেখাপড়া শেষ করে অল্প কিছুদিন হলো চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন আইরিন। পরিবারের পক্ষ থেকে তার বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল। জানা যায়, নিহত আইরিন পরিবারের সঙ্গে মিরপুর পলাশনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী। বুধবার বিকাল ৪টায় ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এরপর লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় স্বজনরা। গতকাল সেখানেই পারিবারিক কবরস্থনে তাকে দাফন করা হয়। নিহতের ফুফাতো ভাই শেখ রফিক আহমেদ বলেন, ভাই-বোনদের মধ্যে আাইরিন ছিলেন সবার ছোট। মেধাবী তাসনিম শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করে চাকরি শুরু করেন। ওর কত স্বপ্ন ছিল! ঘাতক বাসের চাপায় নির্মমভাবে মারা গেল।
আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। তাদের বাবা সাইফুল আলম ব্যথিত কণ্ঠে বলেন, আমার তিন মেয়ে এক ছেলে। এর মধ্যে দুই মেয়ে চাকরি করত বাড্ডায়। তারা ওইদিন সকালে বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হয়েছিল। পরে শুনতে পাই, তারা দুজনেই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। মুহূর্তেই মেয়েকে নিয়ে আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।