আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কীভাবে জামিন পেলেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সাবের হোসেন চৌধুরী শেখ হাসিনার পক্ষে গুম-খুনের কর্মসূচি সফল করেছেন। এখন তিনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিনে মুক্তি পান, তাহলে যেসব পুলিশ ক্রসফায়ার দিয়েছে, বাসা থেকে তুলে নিয়ে আঙুলের নখ তুলে ফেলেছে, মাথায় বন্দুক রেখে গুলি করে হত্যা করেছে, তারা তো কয়েক দিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাবে। এর উত্তর কী দেবে অন্তর্বর্তী সরকার? গতকাল খিলগাঁওয়ে গুম-খুন হওয়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে সাবের হোসেন চৌধুরীর বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আহমেদ আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। এ সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে থাকা অবস্থায় একজন হত্যা মামলার আসামি কীভাবে জামিন পান? তাহলে এ সরকার কাকে প্রোটেকশন দিচ্ছে? তিনি বলেন, সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় ১১ জন গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এ এলাকার পাঁচজন শহীদ হয়েছেন। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের সময় নির্যাতনে বিএনপি-ছাত্রদলের কতজন হাত-পা হারিয়েছেন। ছাত্রদল নেতা জনিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ১৬টি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সাবের হোসেন চৌধুরী এর জন্য দায়ী নন কি? বিএনপির এই নেতা বলেন, সাবের চৌধুরী বিনা ভোটে বছরের পর বছর সংসদ সদস্য থেকেছেন। তিনি শেখ হাসিনার চেতনায় লালিত-পালিত। শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছেন। তার সহযোগী ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সমাবেশ শেষে সাবের হোসেন চৌধুরীর গ্রেপ্তারের দাবিতে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে গুম-খুন হওয়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খিলগাঁও এলাকায় বিক্ষোভ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ, মহানগর বিএনপি নেতা ইউনূস মৃধা, সাবেক কাউন্সিলর লিটন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, যুবদলের মেহেবুব মাসুম, আরিফুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ প্রমুখ।