ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, কোনো দুর্বৃত্ত পূজামন্ডপে হামলা কিংবা প্রতিমা ভাঙচুর করতে এলে তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে। সরকার প্রচলিত আইনে এ দুর্বৃত্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করবে। গতকাল রাজধানীর বনানী পূজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি পরিবারের মতো। আমাদের সবার সাংবিধানিক অধিকার সমান। দেশের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয় সেবিষয়ে আমাদের সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। এদেশ আমাদের সবার। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও উজ্জ্বল করার দায়িত্বও সব ধর্মের মানুষের। তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। কোনো দুর্বৃত্ত পূজামন্ডপে হামলা করতে এলে তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন। সরকার প্রচলিত আইনে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে। ড. খালিদ হোসেন বলেন, আগের সরকারগুলো দুর্গাপূজাতে পূজামন্ডপগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণত ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিত। কিন্তু বর্তমান সরকার এ বছর ৪ কোটি বরাদ্দ দিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারে সেজন্য সরকার সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, গুলশান-বনানী পূজা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার জোয়ার্দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।