তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, টঙ্গীর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ফলাফলের দিক দিয়ে অন্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ে বরাবরই এগিয়ে থাকে।
চলতি বছরের আলিমেও ভালো করেছে তারা। এবার অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেবে। ভর্তি পরীক্ষায়ও ভালো করে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়- মাদরাসা ছাত্রদের ভালো সাবজেক্টগুলোতে ভর্তি হতে। এই বৈষম্য করা চলবে না।
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, চলতি বছরের আলিম পরীক্ষায় ৯৩ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, টঙ্গী থেকে ১৩১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে, ৮৮৬ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
মো. মিজানুর রহমান বলেন, এবার যে পরিস্থিতির মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে এই ফল নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার সুযোগ নেই। তবে সব পরীক্ষা হলে অনেকের ফল হয়তো আরও ভালো হতো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আগে মাদরাসা শিক্ষায় সরকারের নজর তেমন একটা ছিল না। তবে গত কয়েক বছরে এটি বেড়েছে। মাদরাসা শিক্ষাকে এখনো অনেকে নেতিবাচকভাবে দেখেন। এ পরিস্থিতির উন্নয়ন প্রয়োজন। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে রাখতে এখনো প্রচেষ্টা করা হয়, যা দুঃখজনক। তারা যেন পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। বর্তমানে যারা সরকারে রয়েছেন তারা মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে আরও নজর দেবেন বলে প্রত্যাশা করি।
মিজানুর রহমান বলেন, ইসলামী শিক্ষাকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। কারণ, দীনি শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নীতিনৈতিকতার উন্নয়ন বেশি হয়। সমাজে সুনাগরিক ও ভালো মানুষ তৈরিতে মাদরাসা শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই। নীতিনৈতিকতা না থাকলে উচ্চশিক্ষিতরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলবে। যা অনেকে এখন প্রত্যক্ষ করছেন।