ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) গিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় তিনি আহতদের চিকিৎসায় কোনো অবহেলা রয়েছে কিনা, খাবার এবং পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
মঙ্গলবার সকালে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে আহতদের দেখতে যান তিনি।
সারজিস আলম বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে সক্রিয় উপদেষ্টা হওয়ার প্রয়োজন ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার। যিনি অফিস মন্ত্রণালয়ে নয়, হাসপাতালে করবেন। যিনি প্রতিটি হাসপাতালে দৌড়ে বেড়াবেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও এ সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তাদের আমরা যেমন অ্যাক্টিভ দেখতে চাই, তেমনটা দেখতে পাই না।
আক্ষেপ জানিয়ে তিনি বলেন, আজ দুই থেকে আড়াই মাস হয়ে যাচ্ছে, অথচ আহতরা বলছে সরকার থেকে কোনো সাহায্য পায়নি। একটা মন্ত্রণায়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা কি খুব বড় ব্যাপার? এই এক একটা মানুষকে যদি ১ লাখ টাকা করে দেয়, তাহলে কি খুব বেশি টাকা লাগবে? আমার আহত ভাইয়েরা এই কথাটা বলল?
সিআরপি পরিদর্শনকালে আন্দোলনে আহতরা সমন্বয়ক সারজিস আলমের কাছে তাদের সুবিধা-অসুবিধা এবং চিকিৎসা ও খাবার সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। রোগীরা জানান, তাদের ঠিকমতো সেবা দেওয়া হচ্ছে না। খাবার এবং পরিবেশও অনেক খারাপ। একাধিকবার অভিযোগ করার পরও কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
এ সময় এক রোগীর সঙ্গে সারজিস আলমকে সেলফি তুলতে দেখা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ আতাউর রহমান খান বলেন, আমরা অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে মিটিং করে ব্যবস্থা নেব। আমরা চেষ্টা করব তারা যেসব বিষয়ে অভিযোগ করেছে, সেগুলো ঠিক করতে। আমরা আরও বেশি সতর্ক এবং সচেতন হবো।
সবশেষে তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আমাদের প্রকল্পে আহতের পুনর্বাসন ও তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে অর্থ সহায়তা চেয়েছি। সিআরপির কোনো নিজস্ব ফান্ড নেই। ফলে এখানে চাইলেও আমরা ফাইভ স্টার সুবিধা দিতে পারব না।
সিআরপি হাসপাতাল পরিদর্শন ও আহত রোগীদের খোঁজ-খবর নেওয়ার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমের সঙ্গে তার সঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ