নোয়াখালীতে বন্যার পানিতে আটকা পড়া গুরুতর অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে উদ্ধার করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অসুস্থ ওই নারী বন্যার পানিতে কয়েক দিন আটকা পড়ে ছিলেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে মুক্তা বেগম (২৩) নামে ওই নারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ১৬ পদাতিকের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন বলেন, পানিবন্দি পরিবার থেকে জরুরি ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে গর্ভবতী ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নারীর স্বামী শাকিল আহমেদ বলেন, ‘আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি পানিতে আটকা পড়ে ঠান্ডায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোনো উপায় না দেখে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পে ফোন দিলে তারা দ্রুত তাকে উদ্ধার করেছেন। আমি সেনা সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞ।’ জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নোয়াখালীর আট উপজেলার অন্তত ২০ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জেলায় ৮২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ। এ ছাড়া বন্যায় এ পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। অনেকে পানিবন্দি হয়ে নিজের বসতবাড়িতে আছেন। আমরা সবার মাঝে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। দুর্গত অনেক স্থানে এখনো লোকজন পানিবন্দি হয়ে আছে। এখন খাবারসহ সুপেয় পানি দেওয়া ও পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি মোকাবিলায় আমাদের লোকজন কাজ করছেন।’
