শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭ আপডেট:

নোবেল পুরস্কার ২০১৭

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
নোবেল পুরস্কার ২০১৭

পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক নোবেল পুরস্কার প্র্রবর্তিত হয় ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে। ওই বছর থেকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্যসাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক তুলনারহিত কর্মকাণ্ডের জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো— পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি। ২০১৭ সালের নোবেল বিজয়ীদের নিয়ে আজকের রকমারি। লিখেছেন— তানভীর আহমেদ

 

যার নামে নোবেল প্রাইজ

১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা শুরু হয়। বর্তমান পৃথিবীতে এটিই সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। ১৯০১ সাল থেকেই বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্যসাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক তুলনারহিত কর্মকাণ্ডের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো— পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি।

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইলের মর্মানুসারে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। নোবেল মৃত্যুর আগে উইলের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করে যান। শুধু শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় অসলো, নরওয়ে থেকে। বাকি ক্ষেত্রে স্টকহোম ও সুইডেনে এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অর্থনীতি ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে ১৯০১ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছে ১৯৬৯ সালে। আলফ্রেড নোবেল তার উইলে অর্থনীতির কথা উল্লেখ করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল। প্রতি বছর পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেকে একটি স্বর্ণপদক, একটি সনদ ও নোবেল ফাউন্ডেশন কর্তৃক কিছু পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। নোবেল পুরস্কার মৃত কাউকে দেওয়া হয় না। লরিয়েটকে অবশ্যই পুরস্কার প্রদানের সময় জীবিত থাকতে হবে। আলফ্রেড নোবেল, নোবেল পুরস্কারের প্রবক্তা। আলফ্রেড নোবেল ২১ অক্টোবর ১৮৩৩ সালে সুইডেনের স্টকহোমে একটি প্রকৌশল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে রসায়নবিদ, প্রকৌশলী ও একজন উদ্ভাবক ছিলেন। ১৮৯৪ সালে তিনি একটি বফর লোহা ও ইস্পাত কারখানা ক্রয় করেন, যা পরে একটি অন্যতম অস্ত্র তৈরির কারখানায় পরিণত করেন। তিনি ব্যালাস্টিক উদ্ভাবন করেন, যা বিশ্বব্যাপী ধোঁয়াবিহীন সামরিক বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহূত হয়। তার ৩৫৫টি উদ্ভাবনের মাধ্যমে তিনি জীবদ্দশায় প্রচুর ধনসম্পদের মালিক হন, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ডিনামাইট। ১৮৮৮ সালে তিনি মৃতের তালিকা দেখে বিস্মিত হন, যা একটি ফরাসি পত্রিকায় এ মার্চেন্ট অব ডেথ হু ডেড প্রকাশিত হয়। যেহেতু নোবেলের ভাই লুডভিগ মারা যান। এ নিবন্ধটি তাকে ভাবিয়ে তোলে এবং খুব সহজেই বুঝতে পারেন যে, ইতিহাসে তিনি কীভাবে স্মরণীয় হতে চান, যা তাকে তার উইলটি পরিবর্তন করতে অনুপ্রাণিত করে। ১০ ডিসেম্বর ১৮৯৬ সালে আলফ্রেড নোবেল তার নিজ গ্রাম স্যান রিমো, ইতালিতে মৃত্যুবরণ করেন। সেই সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। নোবেল তার জীবদ্দশায় অনেক উইল লিখে গেছেন। সর্বশেষটা লেখা হয়েছিল তার মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে ২৭ নভেম্বর, ১৮৯৫ সালে প্যারিসে অবস্থিত সুইডিশ-নরওয়ে ক্লাবে। বিস্ময় ছড়িয়ে যায়, নোবেল তার সর্বশেষ উইলে উল্লেখ করেন যে, তার সব সম্পদ পুরস্কার আকারে দেওয়া হবে। যারা পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্যে বৃহত্তর মানবতার স্বার্থে কাজ করবেন। নোবেল তার মোট সম্পদের (৩১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা) ৯৪ শতাংশ এ পাঁচটি পুরস্কারের জন্য উইল করেন। ২৬ এপ্রিল, ১৮৯৭-এর আগ পর্যন্ত সন্দেহপ্রবণতার জন্য নরওয়ে থেকে এই উইল অনুমোদন করা হয়নি। নোবেলের উইলের সমন্বয়কারী রগনার সোলম্যান ও রুডলফ লিলজেকুইস্ট নোবেল ফাউন্ডেশন তৈরি করেন। যার কাজ তার সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। নোবেল পাঁচটি ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়ার জন্য তার মোট সম্পত্তির শতকরা ৯৪ ভাগ দান করে যান। এর মোট পরিমাণ ৩১ মিলিয়ন এসইকে (৩.৪ মিলিয়ন ইউরো, ৪.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

 

শান্তিতে ‘আইক্যান’

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার কে পাচ্ছেন— এ নিয়ে সারা বিশ্বেই প্রবল আগ্রহ রয়েছে। ২০১৭ সালে শান্তিতে নোবেল লাভ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনস (আইসিএএন)। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় ওই প্রতিষ্ঠানটিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের ২৩ ও ৩০ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ও অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। ৪৬৮টি সহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১০১টি দেশে এ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে জানায়, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে যে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। চুক্তি করে এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করার ক্ষেত্রেও এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে ট্রিটি অন দ্য প্রহিবিটেশন অব নিউক্লিয়ার ওয়েপনস প্রস্তাবের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০৮টি দেশ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। আইক্যানের নির্বাহী পরিচালক বেটরিস কেইন বলেন, আইক্যানের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলোর কাছে একটি ম্যাসেজ দেওয়া, তারা যে পরমাণু অস্ত্রের ওপর নির্ভর করছে তা অগ্রহণযোগ্য আচরণ। আমরা নিরাপত্তার নামে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার মতো কোনো অস্ত্রকে মেনে নিতে পারি না।’

 

সাহিত্যে কাজুয়ো ইশিগুরো

২০১৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন জাপানি বংশোদূ্ভত ব্রিটেনের ঔপন্যাসিক কাজুয়ো ইশিগুরো। সুইডিশ কমিটির পক্ষ থেকে এই ব্রিটিশ লেখকের ব্যাপক প্রশংসা করে বলা হয়, ‘এই লেখক নিজের আদর্শ ঠিক রেখে, আবেগপ্রবণ শক্তি দিয়ে বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সংযোগ ঘটিয়েছেন।’ ৮টি বই লিখেছেন তিনি। আর এই ৮টি বই মোট ৪০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৮২ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘এ পেইল ভিউ অব হিলস’ বা পাহাড়ের একটি বিবর্ণ দৃশ্য প্রকাশ পায়। ১৯৮৬ সালে তার দ্বিতীয় বই ‘এন আর্টিস্ট অব দ্য ফ্লোটিং ওয়ার্ল্ড’ বা ‘ভাসমান পৃথিবীর এক শিল্পী’ বের হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলার প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখা হয়েছে উপন্যাসটি। তবে দ্য রিমেইনস অব দ্য ডে লিখেই তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান। পরবর্তীতে এই উপন্যাস অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র তৈরি হয়। জেমস আইভরির পরিচালনায় তাতে অভিনয় করেন ব্রিটিশ অভিনেতা এ্যান্তনি হপকিনস। ব্রিটিশ কবি এন্ড্রু মোশন বলেন, ইশিগুরোর কাল্পনিক বিশ্ব ব্যাপক উত্কর্ষ ও মূল্যবান, একসঙ্গে খুবই ব্যক্তিতান্ত্রিক। যেটা বিচ্ছিন্নতা, পর্যবেক্ষণ, হুমকি, বিস্ময় ও ধাঁধার দুনিয়ার সঙ্গে ব্যাপক পরিচিত। সুইডিশ একাডেমির সেক্রেটারি সারা ডেনিয়াস বলেন, ‘জেন অস্টিন ও ফ্রান্স কাফকার লেখার সংমিশ্রণ হিসেবে আখ্যা দেন। এর সঙ্গে ফরাসি ঔপন্যাসিক মার্শেল প্রাউস্টকেও কিছুটা মেশাতে হবে। এখন যা দাঁড়াল তা-ই হলো ইশিগুরোর লেখা।’ এই খ্যাতিমান লেখক চারবার ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জন করেছেন তার চারটি উপন্যাসের জন্য।

 

পদার্থে তিন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীর চমক

মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে গবেষণার জন্য ২০১৭ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন মার্কিন পদার্থবিদ। তারা হলেন রেইনার ওয়েস, ব্যারি সি ব্যারিশ ও কিপ এস থ্রোন। তাদের গবেষণার বিষয় ছিল মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বা গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ মূলত এমন একটি তরঙ্গ যেটি সবসময় আমাদের চারপাশেই থাকে। ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময় সৃষ্ট হওয়া এসব তরঙ্গ আমাদের এখানে আসছে। তবে এসব তরঙ্গ খুবই দুর্বল। এরা সাধারণত বস্তুর সঙ্গে কোনো মিথস্ক্রিয়ায় লিপ্ত হয় না। ফলে আমরা তাদের অনুভব করতে পারছি না। দুটো কৃষ্ণগহ্বরের সংঘর্ষে এদের জন্ম। লাইগোর বিজ্ঞানীরা যে মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করেছেন তাদের প্রায় তিনটি সূর্যের সমান ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে জন্ম। কিন্তু এ সম্পর্কে বলতে গেলে আমরা তেমন কিছুই জানি না। তাই এর শক্তিকে কাজে লাগানোর উপায়ও এখন পর্যন্ত জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আবিষ্কারের কথা ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারিতে এর ঘোষণা দেন লাইগোর বিজ্ঞানীরা। তবে এটির দেখা পাওয়া যায় তার আগের বছর। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েব অবজারভেটরির (লাইগো-ভিরগো) হয়ে কাজ করেছেন এ বছর পদার্থে নোবেল পাওয়া তিন বিজ্ঞানী। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বিশ বছর ধরে এক হাজারেরও বেশি গবেষক কাজ করে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েব অবজারভেটরি (এলআইজিও)-তে। তাদের গবেষণা, ধৈর্য এবং সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর নোবেল কমিটি রেইনার ওয়েস, ব্যারি সি ব্যারিশ এবং কিপ এস থ্রোনকে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পুরস্কারের ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের অর্ধেক পাবেন ওয়েস। আর বাকি অর্ধেক পাবেন ব্যারিশ ও থ্রোন।

 

অর্থনীতিতে অধ্যাপক রিচার্ড এইচ থেলার

শিকাগো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রিচার্ড এইচ থেলার। তিনি এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মনস্তত্ত্বের প্রভাব নিয়ে কাজ করে আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন রিচার্ড থেলার। মানুষ যখন বিনিয়োগ করে তখন তার সার্বিক প্রস্তাবনা ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে মনের সায় দেওয়া ও না দেওয়ার ক্রিয়াকলা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। সামাজিক অভিরুচির ক্ষেত্রে থেলার হাজির করেন ন্যায্যতার প্রসঙ্গ। তিনি দেখিয়েছেন, উচ্চ চাহিদার সময়ে ভোক্তাদের ন্যায্যতা বিষয়ে সচেতনতা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময় এ সচেতনতা ও এর প্রভাবটি কাজ করে না। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অর্থনীতিবিদের লেখা ‘নাজ’ নামের বইটি সব ধরনের মানুষেরই প্রশংসা কুড়িয়েছে। সুইডিশ একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিহ্যাভিয়রাল ইকোনমিকস বা আচরণগত অর্থনীতিতে অনন্য অবদানের জন্য থেলারকে এবার অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হচ্ছে। নোবেল কমিটির অন্যতম বিচারক পার স্ট্রোমবার্গ বলেন, থেলারের গবেষণা অর্থনীতির ওপর সাধারণ মানুষের আচরণ ও মানসিকতার প্রভাবকে সামনে এনেছে। অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য সাধারণ মানুষকে উদ্দীপ্ত করার প্রক্রিয়াটিই ছিল তার গবেষণার মূল ক্ষেত্র। নোবেল কমিটির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে থেলার মানসিক ও আচরণের বিভিন্ন বাস্তবানুগ অনুমানকে ব্যবহার করার প্রস্তাব করেন। তিনি এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে হাজির করেন। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তিবোধের সীমাবদ্ধতা, সামাজিক অভিরুচি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ঘাটতি। ৭২ বছর বয়সী থেলার বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো ও বুথ স্কুল অব বিজনেসের আচরণগত বিজ্ঞান ও অর্থনীতির অধ্যাপক। তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন আচরণগত অর্থনীতির তাত্ত্বিক হিসেবে। ১৯৬৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। এক বছর পর ১৯৬৯ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৭৯ জন অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে ৯০ লাখ ক্রোনা বা ১১ লাখ ডলার হাতে পেলে থেলার তা ‘সর্বোচ্চ অযৌক্তিক’ পন্থায় ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন।

 

চিকিৎসায় তিন মার্কিন বিজ্ঞানী

মানুষের দেহের ভিতর লুকিয়ে থাকা ঘড়ি সময় মেনে দেহের ভিতরের সব কাজ যে সুশৃঙ্খলভাবে করে চলেছে সেটাই প্রমাণ করেছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন জেফরি সি হল, মাইকেল রসবাশ ও মাইকেল ডব্লিউ ইয়ং। বায়োলজিক্যাল ঘড়ির কর্মপদ্ধতি আবিষ্কার করার জন্য ২০১৭ সালে চিকিৎসায় নোবেল লাভ করেছেন তারা। নোবেল কমিটি বলেছে, জীবজগৎ পৃথিবীর আবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। অনেক দিন ধরেই আমরা জানি মানুষসহ সব প্রাণীর একটি বায়োলজিক্যাল ঘড়ি রয়েছে, যার মাধ্যমে দিনটি কেমন যাবে সেটা অনুমান করার পাশাপাশি নিজেকে মানিয়ে নেয়। সেই ঘড়ির কর্মপদ্ধতি জেফরি সি হল, মাইকেল রসবাশ ও মাইকেল ডব্লিউ ইয়ং ব্যাখ্যা করেছেন এবং কীভাবে সেটি কাজ করে তার ধারণা দিয়েছেন। তাদের আবিষ্কার দেখিয়েছে কীভাবে গাছ, প্রাণী ও মানুষ কীভাবে পৃথিবীর আবর্তনের সঙ্গে তাদের জৈবিক ছন্দ মিলিয়ে নেয়। নোবেল কমিটির সেক্রেটারি থমাস পার্লম্যান বলেন, ‘এ বছরের নোবেল লরিয়েটরা আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি কীভাবে কাজ করে সে রহস্য সমাধান করেছেন। দেখিয়েছেন, কীভাবে তা দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বিভিন্ন তারতম্যের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। দিন ও রাতের পরিবর্তনে আমাদের আচরণ ও শারীরিক স্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’ গবেষণায় তারা ব্যাখ্যা করেছেন, দেহের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণের নেপথ্যে অণুগুলো কীভাবে কাজ করে। মানবদেহের কোষ কীভাবে সময় হিসাব করে, তা দেহতত্ত্বের একটি অন্যতম মৌলিক বিষয়। আর মানবদেহের এই অন্তর্নিহিত বিষয়টি আবিষ্কারের কৃতিত্ব এই তিন বিজ্ঞানীর। পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী জেফরি সি হল ইউনিভার্সিটি অব মাইনের শিক্ষক। এছাড়া মাইকেল রসবাশ ও মাইকেল ডব্লিউ ইয়ং ব্রান্ডেইস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। এবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার এই তিন বিজ্ঞানী ভাগ করে নেবেন।

 

 

রসায়নে তিন দেশের তিন বিজ্ঞানী

ক্রিয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি উদ্ভাবনের জন্য ২০১৭ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তিন বিজ্ঞানী ও গবেষক। তিনজন তিন দেশের নাগরিক। তারা হলেন জ্যাকস ডুবোশেট, জোয়াকিম ফ্রাঙ্ক ও রিচার্ড হ্যান্ডারসন। তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের নাগরিক জ্যাকস ডোবেশেট ল্যুজান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী জোয়াকিম ফ্রাঙ্ক অধ্যাপনা করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর রিচার্ড হ্যান্ডারসন যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এ বছর নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় নয় মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় নয় কোটি টাকা)। পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন বিজ্ঞানীর মাঝে এই অর্থ সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে।

তাদের এই উদ্ভাবনে দ্রবণে জৈব অণু পর্যবেক্ষণ করা যাবে আরও স্পষ্ট ও নিখুঁতভাবে। নোবেল কমিটির ঘোষণায় বলা হয়, ক্রিয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির মাধ্যমে জৈবিক অণুর উন্নতমানের প্রতিচ্ছবি ধারণ আগের চেয়ে অনেক সহজে করা যাবে। এর ফলে জীবদেহের জটিল সব কলকব্জা সম্পর্কে গভীরভাবে জানা সম্ভব হবে। এ পদ্ধতি প্রাণরসায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি নিয়ে আসবে। এতদিন ব্যবহার হয়ে আসা বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবদেহের আণবিক পর্যায়ের বহু কলকব্জার পূর্ণাঙ্গ ছবি পাওয়া কঠিন ছিল। ক্রিয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি ঠিক এ জায়গাটিকেই আমূল বদলে দিয়েছে। এ কৌশল ব্যবহার করে গবেষকরা এখন সহজেই গতিশীল যে কোনো জৈবিক অণুকে স্থবির করে দিতে পারবেন। আর নিতে পারবেন এমন সব কর্মকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি, যা এতদিন একেবারেই অদৃশ্য ছিল। এ কৌশল প্রাণরসায়নের পাশাপাশি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির গবেষণাকেও বহুলাংশে এগিয়ে নেবে। তিন বিজ্ঞানীর এই আবিষ্কারের সুফল হিসেবে দেখা গেছে, প্রোটিন থেকে শুরু করে জিকা ভাইরাস— সব ধরনের জৈবিক অণুর প্রতিচ্ছবি ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে এই আবিষ্কারের ফলে।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

১৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কসবায় শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের অপরাধে যুবকের কারাদণ্ড
কসবায় শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের অপরাধে যুবকের কারাদণ্ড

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টি ভি তে
টি ভি তে

মাঠে ময়দানে