শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০

সৌদি আরবের যত বরকতময় পাহাড়

মুহাম্মদ সেলিম, সৌদি আরব থেকে ফিরে
প্রিন্ট ভার্সন
সৌদি আরবের যত বরকতময় পাহাড়

ইসলামের প্রচার ও সম্প্রসারণ হয় মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব সাম্রাজ্য (কেএসএ) থেকে। এ দেশকে সবাই সৌদি আরব নামেই বেশি চেনে। এ দেশে পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক নবী ও রসুলের আবির্ভাব হয়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছাড়াও বিভিন্ন নবীর ঘটনা পরম্পরায় সৌদি আরবের বিভিন্ন পাহাড় ও পর্বতের নাম কোরআন ও হাদিসে উঠে এসেছে বারবার। নানা ঘটনা সংঘটনের কারণে এসব পাহাড়কে বরকতময় হিসেবে মনে করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। বরকতময় এসব পাহাড়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পাহাড় নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

 

জাবালে নূর

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে উল্লিখিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়গুলোর একটি হচ্ছে জাবালে নূর। যাকে সবাই হেরা গুহা নামেই চেনে। মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন এ পাহাড়েই সর্বপ্রথম নাজিল হয়। তাই আলোচিত এ পাহাড় নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলিম ছুটে আসেন কোরআন নাজিলের পাহাড়টি এক নজর দেখতে। ঐতিহাসিকগণের মতে, জাবালে নূর রহমতময় পাহাড়গুলোর একটি। এ পাহাড়ে করা যে কোনো দোয়াই আল্লাহর কাছে কবুল হয়।

মক্কার কাবা শরিফ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত জাবালে নূর। অনেকে আবার এ পাহাড়কে জাবালে হেরা নামেও ডাকেন। এ পাহাড়ের প্রায় চূড়ায় অবস্থিত গারে হেরা বা হেরা গুহা। জাবালে নূর অর্থই হচ্ছে আলোর পাহাড়। এ পাহাড়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন প্রথম নাজিল হয়। কোরআনকে আলোর দিশারি হিসেবে মনে করা হয়। তাই এ পাহাড়কে জাবালে নূর বা আলোর পাহাড় হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদরা।

বরকতময় এ পাহাড় দেখতে প্রতি বছরই ছুটে আসেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান। এ পাহাড়ের মূল উচ্চতা ৫৬৫ মিটার। একজন শক্তিশালী ও সামর্থ্যবান মানুষের এ পাহাড়ের উঠতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। হেরা গুহায় পৌঁছাতে যে কাউকে বিশ্রাম নিতে হবে একাধিকবার। পাহাড়ের চূড়া থেকে বিপরীত দিকে একটু নিচেই কোরআন নাজিলের ঐতিহাসিক স্থান হেরা গুহা অবস্থিত। তবে পাহাড়ের শীর্ষস্থানে উঠেই ওই গুহায় যেতে হয়। পাহাড়ের শীর্ষস্থানে ওঠা ছাড়া হেরা গুহায় যাওয়া সম্ভব নয়। হেরা গুহা এত ছোট ও এর মধ্যকার জায়গা এত ছোট যে, প্রথম দেখাতে যে কারও বিষ্ময়কর মনে হবে। যার লম্বা ৪ মিটার আর পাশে ১.৫ মিটার। হেরা গুহা থেকে কোরআনের প্রথম ওহি নাজিল হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২২ বছর ৫ মাস ১৪ দিন সময়ে মানবজাতির জন্য সংবিধান হিসেবে পুরো  কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ হয়।

৬১০ খ্রিস্টাব্দে এ পাহাড়ের হেরা গুহায় নবী করিম (সা.) ধ্যানমগ্ন ছিলেন। ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ফেরেশতা হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম কোরআনের প্রথম পাঁচ আয়াত নিয়ে আসেন। কোরআন নাজিলের কথা উল্লেখ করা হয়- জিবরাইল (আ.), হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে এসে বলেন- ‘ইকরা’ অর্থাৎ পড়ুন। নবী (সা.) উদ্বেলিত কণ্ঠে তাকে বললেন- ‘আমি তো পড়তে জানি না’। জিবরাইল (আ.) তখন রাসুল (সা.)-কে বুকে চেপে ধরে আবার বলেন, পড়ুন। তৃতীয় বার যখন জিবরাইল (আ.) তাকে আলিঙ্গন করে ছেড়ে দিয়ে বলেন, পড়ুন তখন মহানবী (সা.) সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত পাঠ করেন।

 

সাফা-মারওয়া পাহাড়

সাফা-মারওয়া পাহাড় হজ ও ওমরা পালনকারীদের কাছে খুবই পরিচিত একটি নাম। পবিত্র কাবার খুবই কাছেই অবস্থিত সাফা ও মারওয়া পাহাড়। কাবা থেকে সাফার দূরত্ব ৩৩০ ফুট এবং মারওয়ার দূরত্ব ১১৫০ মিটার। সাফা থেকে মারওয়ার দূরত্ব হচ্ছে ১৪৮০ মিটার। পাহাড়দ্বয় ও মধ্যবর্তী পথ বর্তমানে দীর্ঘ গ্যালারির মধ্যে অবস্থিত এবং মসজিদুল হারামের অংশ। সাফা ও মারওয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিক পবিত্র পানির কূপ ‘জমজম’র সম্পর্ক রয়েছে। সাফা ও মারওয়ার সংশ্লিষ্ট ঘটনার আবহে সৃষ্টি হয় ‘জমজম কূপ’-এর। এ পানিকে বরকতময় হিসেবে মনে করা হয়। এ পানিতে রয়েছে মানুষের জীবন ধারণের তথা জীবিকা নির্বাহের সব উপাদান। যার রয়েছে সব ধরনের রোগ প্রতিশোধকের ক্ষমতা।

ইসলামী ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে স্ত্রী হজরত হাজেরা ও শিশুপুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) কে অল্প কিছু খাদ্যদ্রব্যসহ পবিত্র ঘর কাবা শরিফের সন্নিকটে সাফা ও মারওয়ার পাদদেশে উন্মুক্ত মরুভূমিতে রেখে যান। জনমানবহীন এ মরুভূমিতে অল্প সময়ের মধ্যেই সে খাদ্য শেষ হয়ে যায়। তারপর পুত্র ইসমাইল (আ.) কে একা রেখে হাজেরা পানির জন্য এ দুই পাহাড়ের মাঝে যাওয়া- আসা করেন। হজরত হাজেরা আশপাশ এলাকা দেখার জন্য প্রথমে সাফা পাহাড়ে ওঠেন। কিন্তু কিছু দেখতে না পেয়ে পার্শ¦বর্তী মারওয়া পাহাড়ে ওঠেন। এভাবে হজরত হাজেরা দুই পাহাড়ে সাতবার যাওয়া-আসা করেন। পরে তিনি পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর কাছে এসে দেখতে পান তার পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানির ধারা বের হচ্ছে। পরবর্তীতে হাজেরা ওই পানির ধারাকে পাথর দিয়ে বেঁধে দেন। এ পানির ধারাটিই বর্তমানে জমজম কূপ নামে পরিচিত। 

হজরত হাজেরার স্মৃতির স্বারক হিসেবে হজ ও ওমরা পালনকারীদের সাফা-মারওয়া সায়ী (দৌড়াদৌড়ি) করা ওয়াজিব করা হয়। এ কারণে হজ ও ওমরা পালনকারীদের হজ শেষে সাফা মারওয়ায় সাতবার সায়ী করতে হয়। সায়ী করার সময় নির্ধারিত কিছু অংশে হজ পালনকারীদের দৌড়াতে হয়। সায়ী করার সময় করা যে কোনো দোয়াই সৃষ্টিকর্তার কাছে কবুল হয় বলে মনে করেন ইসলামী চিন্তাবিদরা।  

হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য ফরজ তাওয়াফের পর সাফা-মারওয়া সায়ী করা ওয়াজিব। আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলির অন্যতম। তাই যারা কাবাগৃহে হজ সম্পাদন করবে অথবা ওমরাহ করবে, তাদের জন্য উভয়ের প্রদক্ষিণে অসুবিধা নেই। (সূরা বাকারা : ১৫৮)।

 

রহমতের পাহাড়

পবিত্র হজের অন্যতম অংশ হচ্ছে আরাফাতের ময়দান। হজ পালনকারীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করতে হয়। বিশাল ময়দানের এক পাশে অবস্থিত ঐতিহাসিক আরাফাতের পাহাড়। যাকে জাবালে রহমত কিংবা রহমতের পাহাড় বলেও চেনেন অনেকে। ইসলামী ইতিহাসবিদগণের মতে, জাবালে রহমত হচ্ছে দোয়া কবুল হওয়া স্থানগুলোর মধ্যে একটি। তাই হজপালনকারী ছাড়াও মক্কায় আসা মুসলমানরা অন্তত একবারের জন্য ছুটে আসেন জাবালে রহমতে। এসে পাহাড়ের চূড়া কিংবা পাদদেশে অবস্থান করে মনোবাসনা পূরণের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন। ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন, আরাফাত পাহাড়ে সবার মনোবাসনা পূরণ হয় বলে এ পাহাড়কে জাবালে রহমত হিসেবে ডাকা হয়।

ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানের পূর্ব দিকে অবস্থিত জাবালে রহমত। এখানে দাঁড়িয়ে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায়ী হজের ভাষণ দিয়েছিনে। মহানবীর বিদায়ী ভাষণকে মানবজাতির জন্য দিকনির্দেশনামূলক ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওই দিন সোয়া লাখ হাজীর উপস্থিতিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন- ‘হে মানবমন্ডলী, আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো। কেন না, এ বছরের পর আমি আর তোমাদের সঙ্গে এখানে মিলিত হতে পারব কি না জানি না।’

আরাফাতের পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে বেদির মতো কিছুটা উঁচু করে সাদা রঙের ছোট দন্ডায়মান পিলার। এটি জাবালে রহমতকে চিহ্নিত করার জন্য স্থাপিত। যেহেতু আরাফাতে তিন দিকেই পাহাড়, এর মধ্যে কোন পাহাড়টা জাবালে রহমত, যার পাদদেশে হজরত রসুলে করিম (সা.) বিদায় হজের খুতবা দিয়েছিলেন, তা যেন লোকেরা সহজে চিনতে পারেন এজন্য এই চিহ্ন সেখানে স্থাপন করা হয়েছে।

জাবালে রহমত পাহাড়টি গ্রানাইটে গঠিত। যার উচ্চতা ৭০ মিটার। জিলহজের মাসের ৯ তারিখ আরাফাতের দিন হাজীরা আরাফাতে অবস্থান করেন। পাহাড়ের আশপাশের সমতল ভূমিকে আরাফাতের ময়দান বলা হয়। কখনো কখনো আরাফাতের পাহাড়ের মাধ্যমে সমগ্র এলাকাকে বোঝানো হয়। হজ করতে ইচ্ছুক কোনো ব্যক্তি আরাফাতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে শরিয়াহ অনুযায়ী তার হজ হয় না। পাহাড়ের পাদদেশে সাইনবোর্ডে বিভিন্ন ভাষায় নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। পাহাড়ে উঠে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না, তা পাহাড়ের ওপরের পিলারে লেখা আছে। নির্দেশনায় কয়েকটি ভাষার মাঝে বাংলা ভাষাও ব্যবহার করা হয়েছে।

ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দান ও রহমতের পাহাড়ের ইতিহাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে হজরত আদম (আ.) এবং বিবি হাওয়ার। আল্লাহর নির্দেশে আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) ইসলামকে বেহেশত থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর এ আরাফাত ময়দানেই তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। আদম (আ.) রহমতের পাহাড়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময় দেখতে পান হাওয়া (আ.) জেদ্দার দিক থেকে আরাফাতের ময়দানের দিকে আসছেন। তখন আদম (আ.) দৌড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং অঝোরে কাঁদতে থাকেন। এ সময় আদম ও হাওয়া (আ.) আসমানের দিকে তাকান। অতঃপর মহান আল্লাহতায়ালা তাদের দৃষ্টি থেকে পর্দা উঠিয়ে দিলে তাদের দৃষ্টি আল্লাহর আরশের ওপর গিয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতঃপর আদমকে তার প্রতিপালক কতিপয় বাক্য শিক্ষা দেন। এতে রব তার প্রতি মনোযোগী হন, নিশ্চয়ই তিনি তওবা কবুলকারী ও দয়ালু।’ (সূরা বাকারা : ৩৭)।

এ ছাড়াও আমাদের নবী (সা.) বিদায় হজের ভাষণ এ ময়দান- সংলগ্ন জাবালে রহমত পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। এ কারণেও স্থানটি উম্মতে মুহাম্মদির কাছের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান।

 

জাবালে আবি কুবাইস

পৃথিবীর অনেক ইতিহাসের সাক্ষী বলা যায় জাবালে আবি কুবাইসকে। হজরত নূহ (আ.) এর বন্যার সময় থেকে শুরু করে নানান ঘটনার সাক্ষী এ পাহাড়। ইসলামী ইতিহাসবিদগণ জাবালে আবি কুবাইসকে পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রথম পাহাড়গুলোর একটি মনে করেন। 

মক্কার আল্লাহর ঘরের কয়েক শ গজের মধ্যেই অবস্থান জাবালে আবি কুবাইসের। যার অবস্থান মসজিদে হারামের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে। এরই মধ্যে যার কিছু অংশ কেটে হারামের চত্বরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর বাকি অংশে বর্তমানে রাজপ্রাসাদ রয়েছে। পাহাড়টি সাফা পাহাড়ের খুব সন্নিকটে। ইতিহাসবিদগণ মনে করেন, হযরত নূহ (আ.)-এর বন্যার সময় থেকে হজরে আসওয়াদ এ পাহাড়ের ওপর রাখা ছিল। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে পাহাড়ের মধ্যে সর্বপ্রথম এ পাহাড়টি সৃষ্টি করেন। এ পাহাড়টি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) একটি মুজেজার সাক্ষী। একবার মহানবী অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করেছিলেন। তখন দুই খন্ডের মাঝখানে হেরা পর্বত দৃশ্যমান হলো। দুই খন্ডের এক খন্ড আবি কুবাইস পাহাড় বরাবর ছিল। ইবনে কাসিরসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রাথমিককালের ইসলামী ইতিহাস রচয়িতারা এ ঘটনাকে নির্ভুল বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

 

সওর পাহাড়

ইসলাম প্রচার ও সম্প্রসারণের শুরুর দিকের কথা। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যখন পবিত্র নগরী মক্কায় ইসলাম প্রচার শুরু করেন তখন কুরাইশ বংশের লোকজন তাঁকে বাধা দিতে থাকেন। এমনকি প্রতিরোধও সৃষ্টি করেন। কুরাইশদের অত্যাচারে ইসলাম ধর্মগ্রহণকারীদের অনেকে গোপনে হিজরত করতে থাকেন। এমন সময় কুরাইশ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। তাই রসুল (সা.) তখন হজরত আবু বকর (রা.) কে নিয়ে হিজরত করার সিদ্ধান্ত নেন। হিজরত-সংশ্লিষ্ট নানা ঘটনাপ্রবাহের কারণেই সওর পাহাড়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। হিজরতের শুরুতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও  আবু বকর (রা.)সহ প্রায় পাঁচ মাইল অতিক্রম করে সওর পাহাড়ের একটি গুহায় তিন দিন লুকিয়ে ছিলেন। পবিত্র কোরআনে আবু বকর (রা.) কে সওর পর্বতের গুহায় অবস্থানের কারণে সম্মানিত করা হয়েছে। মক্কায় আসা হজ্ব ও ওমরা পালনকারীরা সওর পাহাড়কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, এ পাহাড়ের পাদদেশ কিংবা চূড়ায় অবস্থান করে কোনো দোয়া করলেও তা কবুল হয়। তাই হজ্ব ও ওমরা যাত্রীরা এখানে আসেন দোয়া করতে। তবে উঁচু পাহাড় হওয়ার কারণে অনেকে চূড়ায় উঠতে পারেন না। তাই তারা পাদদেশে অবস্থান করেন এবং দোয়া করেন। পবিত্র মক্কা শরিফ থেকে তিন মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ঐতিহাসিক সওর পাহাড়। এ পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৪৮ মিটার আর পাহাড়ের পাদদেশ থেকে প্রায় ৪৫৮ মিটার ওপরে। হিজরতের শুরুতে সওর পাহাড়ে মহানবী ও আবু বকর তিন দিন অবস্থান করেন। এ গর্তটি পাহাড়ের ওপরে এক পাশে অবস্থিত। এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ১.২৫ মিটার এবং সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩.৫ ও ৩.৫ মিটার। এ পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে যে কোন সুস্থ সবল মানুষের প্রচুর কষ্ট স্বীকার করতে হয়। যাওয়া- আসার জন্য সময়ও প্রয়োজন হয় সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা। তার পরও অনেকে সে কষ্ট অগ্রাহ্য করে ওঠেন পাহাড়ের চূড়ায়।

হিজরতের প্রাক্কালে হজরত মুহাম্মদ (সা.) আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে রাতের বেলায় সওর পাহাড়ে আশ্রয় নেন। তিন দিন পর এখান থেকে বেরিয়ে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন। অভিজ্ঞ মরুচারী আবদুল্লাহ ইবনে আরকাদ তাঁদের দুর্গম আর অপ্রচলিত পথে পৌঁছে দেন মদিনায়। সওর পাহাড়ে অবস্থানকালে মক্কার একদল দুর্র্বৃত্ত তাঁদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে ঠিকই পৌঁছে গিয়েছিল মহানবী ও আবু বকর (রা.) এর কাছাকাছি। কিন্তু গুহা মুখের মাকড়সার জাল আর বাসায় ডিমে তা দিতে থাকা কবুতর দেখে তারা বিভ্রান্ত হয়েছিল। এখনো অনেক কবুতর আছে এখানে। ওই দুর্বৃত্তদের কথা যখন মহানবী ও আবু বকর ভিতর থেকে শুনতে পাচ্ছিলেন, তখন মহানবী আবু বকরকে অভয় দিয়ে বলেন, ‘ভয় করো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন।’

 

উহুদ পাহাড়

উহুদ পাহাড়ের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক বিশেষভাবে জড়িত। উহুদ প্রান্তেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দাঁত মোবারক শহীদ হয়েছিল। তিনি হয়েছেন আহত। চাচা হজরত হামজা (রা.) এবং হজরত আকিল ইবনে উমাইরসহ ৭০ জন সাহাবি শহীদ হয়েছিলেন। এ পাহাড় ও এর পাদদেশে সংঘটিত উহুদ যুদ্ধ নিয়ে পবিত্র কোরআনে আলোকপাত করা হয়েছে। উহুদ যুদ্ধকে মুসলমানদের জন্য সংকট ও সমাধানের শিক্ষাক্ষেত্র হিসেবে মনে করেন ইসলামী চিন্তাবিদরা। তাই উহুদ প্রান্তে ছুটে আসেন হজ ও ওমরা পালনকারীরা। উহুদ প্রান্তরে এসে শহীদদের কবর জিয়ারত করে থাকেন। উহুদ পাহাড়টি পবিত্র মদিনার কেন্দ্রেই। মসজিদে নববী থেকে এ পাহাড়ের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। অবস্থান ঠিক উত্তর-পূর্ব দিকে। স্থানীয় লোকজনদের অনেকে আবার এ পাহাড়কে জাবালে রুমাত বলেও ডাকেন। উহুদ যুদ্ধের সময় জাবালে রুমাতে ৫০ জন তীরন্দাজকে বিশেষভাবে নিয়োজিত করেন মহানবী (সা.)। তীরন্দাজদের দায়িত্ব দেওয়ার সময় মহানবী বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাদের পেছন দিক রক্ষা করবে। যদি তোমরা দেখ যে, আমরা মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছি তবুও তোমরা আমাদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসবে না। আর যদি দেখতে পাও যে, আমরা গনিমতের মাল একত্রিত করছি তবে তখনো তোমরা আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে না।’ হাদিসে এ পাহাড় সম্পর্কে প্রচুর বর্ণনা রয়েছে। এক বর্ণনায় নবী করিম (সা.) বলেন, ‘উহুদ পাহাড় আমাদের ভালোবাসে, আমরাও উহুদ পাহাড়কে ভালোবাসি।’ এ ছাড়া অনেক হাদিসে, সওয়াবের পরিমাণ বুঝাতে হজরত রসুলুল্লাহ (সা.) উদাহরণ হিসেবে উহুদ পাহাড়ের কথা বলেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

৫৩ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

২০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

৪৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টি ভি তে
টি ভি তে

মাঠে ময়দানে