গোপালগঞ্জে ১২ হাজার ৭৭৫ হেক্টরে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ হাজার ৯৮৭ হেক্টরে, মুকসুদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫৫৩ হেক্টরে, কাশিয়ানী উপজেলায় ৪ হাজার ৩৯২ হেক্টরে, কোটালীপাড়পাড়া উপজেলায় ২ হাজার ২৮৩ হেক্টরে ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৫৬০ হেক্টরে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আঃ কাদের সরদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, জেলার ৫ উপজেলায় রোপা আমন ধান আবাদের ধূম পড়েছে। ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর, মুকসুদপুরে ১ হাজার ২১০ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ৮৮০ হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪২০ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরে মধ্যে রোপা আমন ধান আবাদ নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার কৃষককে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ৫ কেজি করে ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ৪০০ কৃষককে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। এসব উপকরণ দিয়ে কৃষক ৭ হাজার ৪০০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন। এতে জেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, এ উপজেলায় ২ হাজার ৯৮৭ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষক ৬৫০ হেক্টরে এ ধানের আবাদ সম্পন্ন করেছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষক বোরো, আউশ ও আমানসহ ধব ধরনের ধানের আবাদ করছেন। সব মৌসুমেই কৃষক ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। এতে জেলায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে কৃষকের আয় বাড়ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ