কলেজ চত্ত্বরের একটি স্থানে থরে থরে সাজানো মাটির হাঁড়ি। মই বেয়ে গাছে উঠে একেকটি হাঁড়ি গাছের উঁচু স্থানে বেঁধে দিচ্ছে একদল তরুণ। তাদের সকলের কথা, পাখির জন্য নিরাপদ আবাসন তৈরি করাই তাদের লক্ষ্য। সোমবার সকালে এমন চিত্র দেখা গেলো ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শহর ক্যাম্পাসে। পাখির নিরাপদে থাকার জন্য ব্যতিক্রম কর্মসূচি হাতে নিয়েছনি জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম স্মরণ। স্মরণ তার সহযোগিদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে দিয়েছেন।
স্মরণ জানান, শীত মৌসুমে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাখিরা ফরিদপুরে আসে। তারা কোন রকমে বিভিন্ন গাছে থাকে। তাছাড়া অনেক পাখি বৈদ্যুতিক খুঁটিতেও খড়কুটো দিয়ে বাসা বানায়। এসব বাসা বাতাসে ভেঙ্গে যায়। ফলে পাখিরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকে। তাছাড়া আমাদের রাজেন্দ্র কলেজের গাছ গুলোতে সন্ধ্যার পর অনেক পাখি দেখা যায়। তারা গাছের ডালেই থাকে। পাখিদের থাকার কথা চিন্তা করেই প্রতিটি গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে দিচ্ছি। তিনি জানান, আজকে ৫০টি হাঁড়ি গাছে গাছে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কলেজ ক্যাম্পাসের সব গাছগুলোতে মাটির হাঁড়ি বেঁধে দেবো। যাতে করে পাখিরা নিরাপদে এসব বাসায় থাকতে পারে। আমরা কলেজ ক্যাম্পাসটিতে পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে দেখতে চাই।
জীববৈচিত্র ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা স্মরণের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, বিভিন্ন প্রজাতের পাখিদের জন্য নিরাপদ অভয়াশ্রমের জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা একটি দৃষ্টান্ত। ছাত্রদল নেতা স্মরণের এমন উদ্যোগের সাথে ছিলেন ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এম মামুন রহমান, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রিমন, মহানগর ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আরিয়ান লিমন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য মাহিম, কলেজ শিক্ষার্থী নয়ন, শিহাব, আপন, সাব্বির, রাকিবসহ অনেকেই।
বিডি প্রতিদিন/এএ