গাইবান্ধায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সোমবার (১১ নভেম্বর) দিনভর রম্য বিতর্ক প্রতিযোগিতা, মাথা খাটাও, ক্যাট ওয়াক, মজাদার অঙ্গভঙ্গির খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাফেল ড্র ও চড়ুইভাতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা শহরের উপকন্ঠে গাইবান্ধা-বালাসী সড়কের পাশে ফলিয়া এলাকার একটি বাগানবাড়িতে এসব আয়োজন করে জেলা শুভসংঘ। গাছপালা, জলাশয় ও সৌন্দর্যমণ্ডিত নিসর্গের ভেতরে বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী, সঙ্গীত শিল্পী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।
সকাল ১১টায় সম্মিলিত কন্ঠে দেশের গানের মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপী এই আয়োজন। শুভসংঘের বন্ধুরা তিনজনের এক-একটি দলে বিভক্ত হয়ে ‘মেয়েরা ছাড়া পৃথিবী সুন্দর হত না’ শীর্ষক রম্য বিতর্কে অংশ নেন।
চারটি দলের অংশ গ্রহণে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলে জেলা শুভসংঘ সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ বেগম শানু, নৃত্য শিল্পী রাশেদ ত্বকী রাসু ও সঙ্গীত শিল্পী লায়লা তাজনুর সাউদি। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন জেলা শুভসংঘ সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ বিপ্লব। প্রাণবন্ত এই প্রতিযোগিতায় যুক্তি তর্কের সময় করতালিতে ফেটে পড়েন দর্শক শ্রোতারা।
চূড়ান্ত পর্যায়ে অংশ নেয় তানহা তাসফিয়া পূর্ণতা, রাফিয়া রশিদ রীতু, অয়ন দাস, ইয়াসীর আরাফাত, অর্পণ সরকার জিৎ, হৃদয় সরকার । এতে পূর্ণতার নেতৃত্বাধীন দল পক্ষে বক্তব্য রেখে বিজয়ী হয়।
‘মাথা খাটাও’ ও ক্যাটওয়াকে বিশজন প্রতিযোগি অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীদের মজাদার অঙ্গভঙ্গিতে দর্শকরা হাসিতে ফেটে পড়েন।
চড়ুইভাতির প্রস্তুতির ফাঁকে নিজেদের আনন্দময়তার কথা বলেন, বাচিক শিল্পী শিরিণ আকতার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিকতু প্রসাদ, কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ দাশ হিমুনসহ অন্যরা।
চড়ুইভাতির বিরতির পর শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে শিল্পী ছিলেন লায়লা তাজনূর সাউদি, শিরিণ আকতার , শুভসংঘের অর্পণ সরকার জিৎ, আলিফ, এস এম স্বাধীন, মানিক বর্মণ। সকলে শিল্পীদের সাথে গলা মিলিয়ে গেয়ে নেচে এই পরিবেশনাগুলো উপভোগ করেন।
পুরস্কার বিতরণ পূর্ব তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় শিল্পী লায়লা তাজনূর সাউদি বলেন, তরুণ বন্ধুদের সাথে পাল্লা দিয়ে একটি ব্যতিক্রমি দিন কাটল। বসুন্ধরা শুভ সংঘের এই আয়োজন বহুদিন মনে থাকবে।
শিরিণ আকতার বলেন, চারদিকে এত সবুজ মন ভরিয়ে দিল। ইচ্ছে ছিল কবিতা আবৃত্তি করব। কিন্তু শেষে পল্লী গীতি আর ভাওয়াইয়া গেয়ে ফেললাম। শুভসংঘ মানেই আলাদা কিছু। আমি বারবার তাদের ডাকে আসতে চাই।
রিকতু প্রসাদ বলেন, শুভ সংঘের কর্মীদের অনুষ্ঠান আয়োজনের দক্ষতা আগেও দেখেছি। আজ বুঝতেই পারলাম না কি করে সকাল থেকে বিকেল পেরিয়ে গেল।
শুভসংঘের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ বিপ্লব জানান, গাইবান্ধার বন্ধুদের জন্য কেন্দ্র এই আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।
সমগ্র আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন, আহসান আজিম প্রধান নাইম, আহসানিয়া তাসনিম, সৈকত প্রধান, আলাদিন আলিফ, বর্ণ প্রসাদ, রিতু সরকার, মেঘলীনা দ্যুতি, লিজা সরকার, রক্সি সরকারসহ অন্যরা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক
