‘কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কমলাকান্তের দফতর প্রবন্ধের এই উক্তি সমাজে নিত্যদিনের ব্যাপার। উচ্চ শ্রেণির বেচে যাওয়া খাবার ময়লার স্তূপে ঠাঁই মিললেও পথশিশু ও হতদরিদ্রের পাতে মেলে না। ইদানীং বিয়ে বাড়ির বেঁচে যাওয়া খাবারও বিক্রি করা হচ্ছে। ঝুটা খাবার থেকেই পেটের ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করে ওরা। বসুন্ধরা শুভ সংঘ আনন্দমোহন কলেজ ময়মনসিংহ শাখার বন্ধুরা অন্তত একবেলা এসব ছিন্নমূল মানুষের হাতে ভালো মানের খাবার তুলে দিতে চাইলেন।
সোমবার সকালে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের ওভারব্রিজ এলাকার পথশিশু ও হতদারিদ্র্য বৃদ্ধাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ আনন্দমোহন কলেজ শাখা।
বসুন্ধরা শুভসংঘ আনন্দমোহন কলেজ ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি সৈয়দ নাফিউল হাসান মুবিনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থী উপদেষ্টা মাশায়েদ হোসেন রিফাতের পরিচালনায় খাবার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সদস্য নূর মোহাম্মদ শৈশব ও স্বচ্ছ দে।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সহ-সভাপতি জিহাদ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হক টিটু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাফিউল হাসান তানভীর, আইন বিষয়ক সম্পাদক মোছা. তায়্যিবা আক্তার, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সিফাতুন নাহার জাফরিন, প্রচার সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, সহ-প্রচার সম্পাদক সানজিদা আক্তার নিলা, সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক দেবস্মিতা সরকার বন্যা, কার্যকারী সদস্য পূর্ণতা পালসহ সংগঠনের সদস্যরা।
আনন্দমোহন কলেজ শাখার সভাপতি সৈয়দ নাফিউল হাসান মুবিন বলেন, শুভসংঘ আমাদের মানবিক হতে শেখায়, ভালো কাজের দীক্ষা দেয়। আমরা যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, তা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিত্তবানদের উচিত মানুষের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করা। সবাই মিলে এগিয়ে এলে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ