ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসাড় গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী সায়েদা বানু (৫৫)। দুই দশক আগে হঠাৎ করেই তার দুই পা অকেজো হয়ে যায়। অনেক জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ হতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায় তার।
দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও অসহায় সায়েদা বানুর ভাগ্যে জোটেনি একটি হুইলচেয়ার। অভাব অনটনের কারণে হুইলচেয়ার কেনার সামর্থ্যও ছিল না তার। অবশেষে সায়েদা বানুর পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ঝিনাইদহ জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা সায়েদা বানুর বাড়িতে গিয়ে তার হাতে তুলে দেন হুইলচেয়ার ও খাদ্যসামগ্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক অরিত্র কুণ্ডুসহ অন্যানরা।
হুইলচেয়ার পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন সায়েদা বানু। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে অনেকবার গিয়েছি। কেউ আমাকে একটা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে দেয়নি। আজ বসুন্ধরা শুভসংঘ হুইলচেয়ারসহ আমাদের এক মাসের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি বসুন্ধরা শুভসংঘ এভাবে অসহায় মানুষের সেবা করে যাক।
বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন, সায়েদা বানুকে নিয়ে কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রচার করা হলে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। তারপর আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে সায়েদা বানুর পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ সমাজের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে আমাদের জেলায় অসহায় নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মধ্যে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে।
এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল কালের কণ্ঠ ডিজিটাল এডিশনের আপনজন পর্বে সায়েদা বানুকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম