শিরোনাম
প্রকাশ: ০৯:৫২, শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগ: উপকূলীয় দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগ: উপকূলীয় দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান

পূর্বে বিষখালী, পশ্চিমে সুন্দরবনসংলগ্ন বলেশ্বর নদ আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। বিষখালী ও বলেশ্বর নদের মধ্যবর্তী পাথরঘাটা উপজেলা। নদী ভাঙন কবলিত এই জনপদে মৎস্যজীবীসহ দরিদ্রদের বাস। জীবিকার তাগিদে স্বজন ছেড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ শিকার করতে যান এখানকার জেলেরা।

অথই সাগরে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে অনেকেই মারা যান, অনেকের লাশ পাওয়া গেলেও অনেক জেলের সন্ধান পাওয়া যায় না। বছরের উপকূলীয় দরিদ্র নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগপর বছর ধরে এখানকার পরিবারের সদস্যরা পথপানে চেয়ে থাকে। পরিবারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে পরিবার।

ওই পরিবারের হাল ধরতে হয় নারীদের (স্ত্রী)। মাটির কাজ, মাছ ধরাসহ নানা ঝুঁকির কাজে যুক্ত হন উপকূলের নারীরা। পাথরঘাটায় এমন চিত্র চোখে পড়ার মতো। উপকূলের এই দরিদ্র নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে আশীর্বাদ হয়ে এলো বসুন্ধরা গ্রুপ।

দেশসেরা সামাজিক সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে উপকূলের অতিদরিদ্র নারীদের বিনামূল্যে তিন মাস সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়।

গত ১৬ মে শুক্রবার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে অসচ্ছল, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে দেশের অন্যতম শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। এ সময় উপস্থিত নারীরা তাঁদের জীবনকাহিনি তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নারীদের কাহিনি শুনে আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হয়।

কেঁদে ফেলেন উপস্থিত অতিথিরাও। নারীদের চোখেমুখে বিষণ্নতার ছাপ, চোখে টলমল করছে পানি। তবে তাঁদের এই কান্না কষ্টের মধ্যেও আনন্দের কান্না। তাঁদের মধ্যে অনেকে স্বামীহারা, অনেকে বাবাহারা, অনেকে সন্তানহারা। তাঁদের পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া সেলাই মেশিন পেয়ে এখন তাঁরা স্বপ্ন বুনছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাথরঘাটা উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা মনিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন এসমে সিকদার, পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা বজলুর রহমান, পাথরঘাটা মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন খান, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জসিম উদ্দিন, পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক সেলিম প্রমুখ।

জাকারিয়া জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সারা দেশে দুই হাজারের বেশি নারীকে স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। আপনারা সেলাই মেশিনটি যথাযথভাবে কাজে লাগান এবং নিজেদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলেন। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় শুভসংঘের এই সহানুভূতির হাত বদলে দিচ্ছে হাজারো জীবনের গল্প। আমরাও চাই উপকূলের নারীদের স্বপ্নের সারথি হতে, তাঁদের উপার্জনের সঙ্গে থাকতে। তাঁরা যেন ভাগ্য বদলাতে পারেন, পরিবারের অর্থনীতির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখতে পারেন।’ 

মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ যে মানবিক উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে, তা অনেক প্রশংসনীয়। নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও মানবিক সেবায় তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। এই সেলাই মেশিন উপহার সেই মহতী প্রয়াসেরই অংশ। তারা শুধু ব্যাবসায়িক সফলতায় থেমে থাকেনি, সমাজের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পাথরঘাটার অসচ্ছল, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীর হাতে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি তাঁদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে, ইনশাআল্লাহ। এই মেশিন শুধু একটি যন্ত্র নয়, বরং এটি তাঁদের আত্মবিশ্বাস ও সম্মান ফিরে পাওয়ার প্রতীক। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন ভূমিকা সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও মানবিক সহায়তার মতো খাতে বসুন্ধরা শুভসংঘের কার্যক্রম অত্যন্ত ইতিবাচক। আমি আশা করি, এই সহায়তা পেয়ে নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠবেন এবং সমাজে তাঁদের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে।’

সেলাই মেশিনে ভাগ্য বদলাতে চান হনুফা 

২০০৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় হনুফা বেগম আর জাকিরের। সংসার মোটামুটি চলছিল। পরিবারকে আরেকটু সুখে রাখতে, অর্থনৈতিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে ভিটামাটি বিক্রি করে সৌদি আরব যান জাকির। পরিবারের মধ্যে আনন্দও ছিল।

সুখ আর কপালে সইল না। সৌদি যাওয়ার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় জাকিরের মৃত্যু হয়। এর পর থেকে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন হনুফা। খোঁজ পেয়ে হনুফার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ।

সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তাঁকে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। হনুফা বলেন, ‘তিন বছর ধরে কাঁথা সেলাই করে বিক্রি করি। যা আয় হয়, তা দিয়েই সংসারের খরচ চালাই। এর মধ্যেই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ।

ফ্রি সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে বিনামূল্যে একটি সেলাই মেশিন পাই। এটিই আমার জীবনের চাকা সচল করবে। ঘুরে যাবে আমার ভাগ্য। আমি একটি কথাই জানি, মেশিনের চাকা যত ঘুরবে, ততই আমার ভাগ্য ঘুরবে। আমি আর অভাবী থাকতে চাই না।

অনেক কষ্ট করেছি। সন্তানদের আর কষ্ট দিতে চাই না। এই অভাবের সময় বসুন্ধরা গ্রুপ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি এক নগণ্য মানুষ। অনেক অভাবী। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিককে নেক হায়াত দান করুন। সব বালা-মুসিবত থেকে দূরে রাখুন।’

‘সন্তানগো এহন তিন বেলা খাইতে দিতে পারমু’

‘গত কোরবানির পর আর গোশত খাই নাই। কয়েক দিন আগে পাশের বাড়িতে গরুর গোশত রান্না করছে। হেই ঘ্রাণ পাইয়া আমার আট বছরের মেয়ে ফাতিমা গরুর গোশত খাইতে চাইছে। পোড়া কপাল আমার, এক হাজার টাকা মাসিক বেতনে একটা কিন্ডারগার্টেনে চাকরি করি।

হেইয়া দিয়া কি গোশত কেনা যায়?’ কথাগুলো বলে অঝোরে কেঁদেছেন মুন্নি আক্তার। শত বঞ্চনা আর কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন বিধবা মুন্নি। তাঁর এমন অসহায়ত্বে পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে অসহায় দরিদ্র বিধবা মুন্নি বিনামূল্যে সেলাই মেশিন উপহার পান।

দীর্ঘ সময় ধরে মেশিনটি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখেন। আনমনে বলে ওঠেন, ‘আমার সন্তানগো এহন তিন বেলা খাইতে দিতে পারমু।’ বরগুনার মুন্নির স্বামী ইসমাইল চার বছর আগে মারা যান। অভাবের সংসারে দুই সন্তান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন মুন্নি।

উপায় না পেয়ে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে চাকরি নেন, কিন্তু তাতে তো আর সংসার চলে না। এমন সময় বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রশিক্ষণ পেয়ে বিনামূল্যে একটি সেলাই মেশিনও উপহার পান। এই উপহারটিই মুন্নি তাঁর একমাত্র পুঁজি ধরে এগিয়ে যেতে চান। ছেলে-মেয়েকে দুই বেলা ভাতের ব্যবস্থা করার দৃঢ় প্রত্যয় তাঁর। স্বামী মারা যাওয়ার পর শ্রমজীবী বাবা সোমেদ আলীর আবাসন প্রকল্পের ঘরে থাকেন।

মুন্নি বলেন, ‘আমার মাইয়া-পোলার অনেক চাওয়াই আমি পূরণ করতে পারি নাই। আইজ আমার সেই আশা পূরণের দিন। এহন আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের দেওয়া সেলাই মেশিন দিয়া কামাই (রোজগার) কইরা বাচ্চাগো পড়ালেহা, খাওয়ার ইচ্ছা পূরণ করমু। আমি নামাজ পইড়া দোয়া করি, আল্লাহ যেন বসুন্ধরারে সামনের দিকে আরো আগাইয়া নিয়া যায়। যারা আমাগো রুটি-রুজির ব্যবস্থা করছে, তাদের জন্য মন খুইল্লা দোয়া করি।’

সমুদ্রে নিখোঁজ স্বামী, দুঃখ-কষ্ট ও কান্নার গল্প 

সিডরের সময় সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন স্বামী। তখন একমাত্র ছেলের বয়স দেড় বছর। সেই থেকে শুরু হয় মর্জিনার জীবনসংগ্রাম। দেড় বছরের ছেলেকে কোলে নিয়েই মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করতে হয়েছে।

এখনো চলছে বেঁচে থাকার লড়াই। তবে সেই লড়াইয়ের সাহসী সহযোদ্ধা হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তিন মাস বিনামূল্যে মর্জিনাসহ আরো অনেক নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করেছে তারা। এবার তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো সেলাই মেশিন।

সেই মেশিন হাতে পেয়ে আনন্দিত দেখা যাচ্ছিল মর্জিনাকে। স্বামীর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে দুঃখে কেঁদেছেন অনেকক্ষণ। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা পেয়ে এখন তাঁর দুঃখ-কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে বলে জানালেন মর্জিনা। 
মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘এই সেলাই মেশিন পেয়ে আমি অনেক খুশি। এটা দিয়ে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে, ইনশাআল্লাহ।’ 

তাঁর অভিব্যক্তি জানান দিচ্ছিল, এ যেন শুধু একটি যন্ত্র নয়, তাঁর জন্য জীবনের নতুন শুরু। শুধু মর্জিনা নয়, পাথরঘাটার অনেক নারীর জীবনে ঘটে গেছে এমন করুণ বাস্তবতা। একই রকম কষ্টের গল্প রিনা বেগমেরও। ২০১৮ সালের ২১ জুলাই তাঁর স্বামী মাছ ধরতে গিয়ে সাগরে নিখোঁজ হন।

সেই ট্রলারে ছিল ১৮ জন, ফিরে আসেন মাত্র ১০ জন। বাকি আটজনের মধ্যে রিনার স্বামীও ছিলেন। ‘ওকে আর খুঁজে পাইনি। আমাকে আর ছেলেকে রেখে গেছে। তখন ওর বয়স ছিল মাত্র আট বছর।’ বললেন রিনা। সেই থেকে তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। মা জেলেদের জালে পড়ে থাকা মাছ কুড়িয়ে আনতেন। তা বিক্রি করে চলত সংসার। কষ্ট করেই ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়েছেন। সেই ছেলে এখন এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সন্তানকে শিক্ষিত করার স্বপ্নে কখনো হাল ছাড়েননি। ‘ওকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েছি।’ গর্বের সঙ্গে বলছিলেন রিনা। তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল একটি সেলাই মেশিন। তাঁর কথায়, ‘আমি ভাবতাম, যদি একটি সেলাই মেশিন থাকত, তাহলে ঘরে বসেই কাজ করে সংসার চালাতে পারতাম। তা দিয়ে কাজ করে ছেলেকে আরো ভালোভাবে মানুষ করতে পারতাম। বসুন্ধরা গ্রুপ সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এই সেলাই মেশিন আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। আমি খুবই কৃতজ্ঞ বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে।’

মর্জিনা ও রিনা বেগম শুধু নাম নয়, তাঁরা পাথরঘাটার বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের প্রতিনিধি। বরগুনার উপকূলীয় জনপদ পাথরঘাটার বাতাসে সেদিন ভেসে বেড়াচ্ছিল আশার আলো। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা থেকে আসা অসচ্ছল, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেলাই মেশিন। তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা এই উপহার পান। মেশিন হাতে পাওয়ার মুহূর্তে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে। কারো চোখে ছিল অশ্রু, কারো ভবিষ্যতের স্বপ্ন। তাঁদের চোখেমুখে ফুটে উঠছিল আত্মবিশ্বাসের দীপ্তি। অনেকে আনন্দে কেঁদে ফেলেন। কারণ এটি শুধুই একটি যন্ত্র নয়, বরং বেঁচে থাকার, এগিয়ে চলার, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এক নতুন পথ।

পাথরঘাটার মতো উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলে প্রতিনিয়ত লড়াই করে বেঁচে থাকা নারীদের এই সহায়তা যেন এক আশীর্বাদ। সাগরে প্রাণ হারানো স্বামীদের শূন্যতা কখনোই পূরণ হবে না, কিন্তু সেই শূন্যতা ঘেরা জীবনকে নতুনভাবে সাজানোর একটি সুযোগ এখন তাঁদের হাতে। এই গল্পগুলো কেবল মানবিক কষ্টের বর্ণনা নয়, এগুলো হচ্ছে সাহস, সংকল্প আর স্বপ্নের গল্প। বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশের নানা প্রান্তের অসহায় নারীদের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়ে যাচ্ছে। যে নারীরা একদিন শুধুই বেঁচে থাকার লড়াই করতেন, তাঁরা এখন নিজের হাতে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন; যা শুধু পাথরঘাটার নারীদের নয়, গোটা সমাজকেই জানিয়ে দেয়, চাইলেই বদলে দেওয়া যায় জীবনের গতিপথ। 

সামাজিক দায়িত্ব পালনে অতুলনীয় বসুন্ধরা গ্রুপ
মিজানুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাথরঘাটা, বরগুনা

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলাটি খুবই প্রত্যন্ত অঞ্চল। এখানকার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। উপকূলীয় এই এলাকার মানুষের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে এ অঞ্চলের নারীরা আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। অসহায় পরিবারগুলো খেয়ে-পরে থাকতে পারবে।

বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু শিল্প-অর্থনীতিতে নয়, সামাজিক দায়িত্ব পালনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ ক্ষেত্রে তারা অতুলনীয়। উপকূলের চরাঞ্চলের অসহায় মানুষকে বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছে তারা। নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও মানবিক সেবার ক্ষেত্রে তাদের কাজ প্রশংসনীয়।

আজকের এই সেলাই মেশিন উপহার সেই মহতী প্রয়াসেরই অংশ। আমি যখন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ছিলাম, তখনো বসুন্ধরা শুভসংঘের অনেক ভালো ভালো কাজ দেখেছি। যে চরাঞ্চলে শিক্ষার ছোঁয়া লাগেনি, ওই চরে বসুন্ধরা গ্রুপ স্কুল করেছে, যে স্কুল থেকে এখন শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। আমরা আশা করছি, পাথরঘাটায়ও বসুন্ধরা এ রকমের উদ্যোগ নেবে।

বসুন্ধরার মতো সবার এগিয়ে আসা উচিত
ইসমাইল হোসেন এসমে শিকদার, সদস্যসচিব, পাথরঘাটা পৌর বিএনপি

অত্যন্ত দরিদ্র এলাকার মানুষ আমরা। এখানকার অতিদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা খুব কষ্টে দিন যাপন করছে। খেয়ে না খেয়ে উপকূলের মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছে। এসব অতিদরিদ্র মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

তাদের সামাজিক সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে এলাকার দরিদ্র পরিবারের নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা। জেলেপল্লীতে নারীদের অসহায়ত্বের কথা আমরা শুনেছি। কত কষ্টে তাদের দিন যাচ্ছে, তা-ও আমরা উপলব্ধি করছি, নিজের চোখে দেখেছি। বসুন্ধরা শুভসংঘের মতো অন্যরাও যদি অসহায়দের পাশে এগিয়ে আসে, তাহলে উপকূলের জেলেপল্লীর অতিদরিদ্ররা কিছুটা হলেও ভালো থাকবে।

আশা করছি, বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু সেলাই মেশিন দিয়ে তাদের কাজ শেষ করবে না, উপকূলের মানুষের জন্য নানা রকমের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

অবহেলিত নারীদের জন্য ভালো উদ্যোগ
মাওলানা মো. বজলুর রহমান, সভাপতি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ পাথরঘাটা পৌর শাখা

উপকূলীয় অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে উদ্যোগ নিয়েছে, এটি প্রশংসনীয়। এমন উদ্যোগ যদি সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নেয়, তাহলে আমাদের দেশ স্বনির্ভরশীল হয়ে যাবে। প্রতিটি ঘর থেকে যদি নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে প্রতিষ্ঠিত হন, তাহলে সমাজে অতিদরিদ্র মানুষ থাকবে না।

বসুন্ধরার মতো এভাবে যদি সবাই এগিয়ে আসে, তাহলে অবহেলিত থাকবে না কেউ। ইচ্ছা থাকলে একটি সেলাই মেশিন দিয়ে একটি পরিবার চালানো সম্ভব। দিন দিন মানুষ সচেতন হচ্ছে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখছে। আমাদের মায়েরা যাঁরা রয়েছেন, আমাদের বোনেরা যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

তাঁদের প্রতি অনুরোধ, যথাযথভাবে এই সেলাই মেশিন কাজে লাগাবেন। পর্দায় থেকেও বাড়িতে বসে স্বাবলম্বী হওয়া যাবে। এই মেশিন দিয়ে আপনারা ঘরের কাজগুলো করবেন। এক পর্যায়ে আপনাদের এলাকায় একটি চাহিদা তৈরি হবে।

এরপর এই মেশিন দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনারা আর পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে থাকবেন না। যে নারী এই সেলাই মেশিনটি পেয়েছেন, তিনি ভাগ্যবতী। কারণ তিনি একটি পরিবারকে বাঁচাতে পারবেন।

সবাই এগিয়ে এলে দরিদ্র মানুষ থাকবে না
মাওলানা মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাথরঘাটা উপজেলা শাখা

বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার অসহায় নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দরিদ্র নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে তারা। বসুন্ধরার মতো দেশের অন্য কম্পানিগুলো যদি উপকূলের মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে একদিন দরিদ্র বলতে কোনো শব্দ থাকবে না। 

অনেক সময় দেখেছি, ব্যক্তি উদ্যোগে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানুষকে সহায়তা করা হয়, কিন্তু বসুন্ধরা শুভসংঘের এই কাজ অনেকটা ভিন্ন রকমের।

বিনামূল্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে আগে উপকূলীয় নারীদের দক্ষ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে সবাই যখন কাজ শিখে ফেলেছেন, তখন বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। এটি অবশ্যই অনেক প্রশংসনীয়। বসুন্ধরার মতো অন্যরাও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে—এটিই প্রত্যাশা করছি।
 

এই বিভাগের আরও খবর
হালুয়াঘাটে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা ও লিফলেট বিতরণ
হালুয়াঘাটে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা ও লিফলেট বিতরণ
পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে শুভসংঘের সচেতনতা সভা স্বরূপকাঠিতে
পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে শুভসংঘের সচেতনতা সভা স্বরূপকাঠিতে
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বসুন্ধরার মানবিক কাজ
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বসুন্ধরার মানবিক কাজ
দনিয়া কলেজে বসুন্ধরা শুভসংঘের সন্ত্রাস-মাদকবিরোধী ফুটবল ম্যাচ
দনিয়া কলেজে বসুন্ধরা শুভসংঘের সন্ত্রাস-মাদকবিরোধী ফুটবল ম্যাচ
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে স্কুল শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে কর্মশালা
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে স্কুল শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে কর্মশালা
ফটিকছড়ির বারমাসিয়া পাঠাগারে শুভ সংঘের বই উপহার
ফটিকছড়ির বারমাসিয়া পাঠাগারে শুভ সংঘের বই উপহার
শিক্ষা সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে নবযাত্রা করলো বসুন্ধরা শুভসংঘ রুমা উপজেলা শাখা
শিক্ষা সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে নবযাত্রা করলো বসুন্ধরা শুভসংঘ রুমা উপজেলা শাখা
শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেয়ে স্বাবলম্বিতার স্বপ্ন দেখছেন রংপুরের ২০ নারী
শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেয়ে স্বাবলম্বিতার স্বপ্ন দেখছেন রংপুরের ২০ নারী
ভর্তি প্রক্রিয়ায় নতুন শিক্ষার্থীদের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
ভর্তি প্রক্রিয়ায় নতুন শিক্ষার্থীদের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
প্রতি মাসে পাচ্ছেন ঢাবির ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী
প্রতি মাসে পাচ্ছেন ঢাবির ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবন্ধী শিশুকে হুইল চেয়ার দিল বসুন্ধরা শুভসংঘ
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবন্ধী শিশুকে হুইল চেয়ার দিল বসুন্ধরা শুভসংঘ
বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তায় শিক্ষাসামগ্রী ও উপহারে উচ্ছ্বসিত মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তায় শিক্ষাসামগ্রী ও উপহারে উচ্ছ্বসিত মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
সর্বশেষ খবর
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ১২৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি, জরিমানা আদায় ২১ লাখ
সিলেটে ১২৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি, জরিমানা আদায় ২১ লাখ

৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

আরও ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
আরও ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

দিনাজপুরে ৬ ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা
দিনাজপুরে ৬ ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে যোগ দিতে ভিয়েতনামে ফাহামিদুল
অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে যোগ দিতে ভিয়েতনামে ফাহামিদুল

১৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিজয়নগরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
বিজয়নগরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদলের দাবির মুখে রাকসুর ভোটার তালিকায় প্রথমবর্ষ
ছাত্রদলের দাবির মুখে রাকসুর ভোটার তালিকায় প্রথমবর্ষ

২৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ভালুকায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু ময়না হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু ময়না হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাশিয়ার তেল আমদানি, ৩৯ মাসে ভারতের লাভ ১২৬০ কোটি ডলার
রাশিয়ার তেল আমদানি, ৩৯ মাসে ভারতের লাভ ১২৬০ কোটি ডলার

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

না ফেরার দেশে মেহেরপুর নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সুস্মিতা
না ফেরার দেশে মেহেরপুর নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সুস্মিতা

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, দুইজনের ১ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, দুইজনের ১ বছরের কারাদণ্ড

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নড়াইলে ডাকাতির সময় কুপিয়ে হত্যা, পাঁচ ব্যক্তির যাবজ্জীবন
নড়াইলে ডাকাতির সময় কুপিয়ে হত্যা, পাঁচ ব্যক্তির যাবজ্জীবন

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নড়াইলে ডাকাতিকালে হত্যায় পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন
নড়াইলে ডাকাতিকালে হত্যায় পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসরের ৬ মাসের মধ্যে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসরের ৬ মাসের মধ্যে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও ভারতে গিয়ে শয়তানি করছেন: মির্জা ফখরুল
শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও ভারতে গিয়ে শয়তানি করছেন: মির্জা ফখরুল

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

কোনো ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন পণ্ড করা যাবে না : খোকন
কোনো ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন পণ্ড করা যাবে না : খোকন

৫৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

সিরিয়ায় বাস-তেলবাহী ট্যাঙ্কার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ১২
সিরিয়ায় বাস-তেলবাহী ট্যাঙ্কার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ১২

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার হত্যা মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
চার হত্যা মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
কুমিল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারিক সিদ্দিকের মেয়ে বুশরার আয়কর নথি জব্দ
তারিক সিদ্দিকের মেয়ে বুশরার আয়কর নথি জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্লট দুর্নীতি : পরিবারসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
প্লট দুর্নীতি : পরিবারসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ৬ জনের সাক্ষ্য

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে কলেজছাত্র নিখোঁজ
তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে কলেজছাত্র নিখোঁজ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের মানববন্ধন
নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খানসামায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাতা বিতরণ
খানসামায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাতা বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বে শত কোটির বেশি মানুষ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্বে শত কোটির বেশি মানুষ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফরিদপুরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
ফরিদপুরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মোদি-শি-পুতিনের বৈঠকের পরই ভারতকে নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন ট্রাম্প
মোদি-শি-পুতিনের বৈঠকের পরই ভারতকে নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিআইডি হেফাজতেও উচ্ছৃঙ্খল তৌহিদ আফ্রিদি, তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য
সিআইডি হেফাজতেও উচ্ছৃঙ্খল তৌহিদ আফ্রিদি, তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনে বৈঠকের পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন পুতিন
চীনে বৈঠকের পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন পুতিন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুদানে ভয়াবহ ভূমিধসে পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন, সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি
সুদানে ভয়াবহ ভূমিধসে পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন, সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চায় পরিবার
২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চায় পরিবার

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, ট্রাম্পকে কড়া হুঁশিয়ারি ফ্রান্সের
গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, ট্রাম্পকে কড়া হুঁশিয়ারি ফ্রান্সের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফরকে কুপিয়ে জখম
জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফরকে কুপিয়ে জখম

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৪ বছর পর ফের তেল রপ্তানি শুরু করল সিরিয়া
১৪ বছর পর ফের তেল রপ্তানি শুরু করল সিরিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অসাংবিধানিক, বিচার বিভাগের জন্য গঠন করতে হবে আলাদা সচিবালয়
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অসাংবিধানিক, বিচার বিভাগের জন্য গঠন করতে হবে আলাদা সচিবালয়

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০ বছরের জন্য গাজার নিয়ন্ত্রণ চায় ট্রাম্প, বানাবেন পর্যটন কেন্দ্র
১০ বছরের জন্য গাজার নিয়ন্ত্রণ চায় ট্রাম্প, বানাবেন পর্যটন কেন্দ্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম, ইসরায়েলের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম, ইসরায়েলের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশেষ ট্রেনে করে সীমান্ত পেরিয়ে চীন গেলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম
বিশেষ ট্রেনে করে সীমান্ত পেরিয়ে চীন গেলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা থেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন ৩৫ ব্যক্তি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা থেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন ৩৫ ব্যক্তি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নুরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
নুরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীর আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা
রাজধানীর আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবি শিবির সভাপতির বিরুদ্ধে রিটকারী ছাত্রীকে 'কুরুচিপূর্ণ' মন্তব্য, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাবি শিবির সভাপতির বিরুদ্ধে রিটকারী ছাত্রীকে 'কুরুচিপূর্ণ' মন্তব্য, তদন্ত কমিটি গঠন

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ট্রাম্পের ইউটার্ন, চীনা শিক্ষার্থী ভিসা ইস্যুতে সমর্থকদের ক্ষোভ
ট্রাম্পের ইউটার্ন, চীনা শিক্ষার্থী ভিসা ইস্যুতে সমর্থকদের ক্ষোভ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিকেলে ৭ দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
বিকেলে ৭ দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়
এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বজ্রসহ ভারী বর্ষণ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
বজ্রসহ ভারী বর্ষণ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমিরাতে বেতন, জরিমানা ও বিল পরিশোধ করা যাবে ক্রিপ্টোতে!
আমিরাতে বেতন, জরিমানা ও বিল পরিশোধ করা যাবে ক্রিপ্টোতে!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিলামে তোলপাড়: পাঁচ লাখ দিরহামে বিক্রি এক উট
নিলামে তোলপাড়: পাঁচ লাখ দিরহামে বিক্রি এক উট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ সেপ্টেম্বর)

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার ‘বিনিময়ে নথি হস্তান্তর’, কর কর্মকর্তা বরখাস্ত
টাকার ‘বিনিময়ে নথি হস্তান্তর’, কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বার্তা পরিষ্কার, জনগণ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে : আমীর খসরু
বার্তা পরিষ্কার, জনগণ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে : আমীর খসরু

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাগপা সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
জাগপা সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আধুনিক যুগে মুসলিম নারীর কর্মসংস্থান
আধুনিক যুগে মুসলিম নারীর কর্মসংস্থান

১২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জেনারেল শাকিলের সঙ্গে হাসিনার কনভারসেশন শুনলে গা হিম হয়ে আসে: ফারুকী
জেনারেল শাকিলের সঙ্গে হাসিনার কনভারসেশন শুনলে গা হিম হয়ে আসে: ফারুকী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিপুল সংখ্যক মানুষ সামান্য ধাক্কায় দারিদ্র হয়ে যেতে পারে’
‘বিপুল সংখ্যক মানুষ সামান্য ধাক্কায় দারিদ্র হয়ে যেতে পারে’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
দুই বছর সাধনার পর আকাশে উড়ল বিমান
দুই বছর সাধনার পর আকাশে উড়ল বিমান

নগর জীবন

দিনভর নাটকীয়তা
দিনভর নাটকীয়তা

প্রথম পৃষ্ঠা

২২ দলের সভা পাঁচ সিদ্ধান্ত
২২ দলের সভা পাঁচ সিদ্ধান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘরে-বাইরে সংকটে জাপা
ঘরে-বাইরে সংকটে জাপা

পেছনের পৃষ্ঠা

মনোনয়ন ও কমিটি বাণিজ্যে হাজার কোটি টাকা
মনোনয়ন ও কমিটি বাণিজ্যে হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাত উঁচিয়ে পরিচয় দেওয়ার পরও গুলি করে পুলিশ
হাত উঁচিয়ে পরিচয় দেওয়ার পরও গুলি করে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেশের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে
দেশের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির দুর্গে হেভিওয়েট প্রার্থীর ছড়াছড়ি
বিএনপির দুর্গে হেভিওয়েট প্রার্থীর ছড়াছড়ি

নগর জীবন

সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা
সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ছে প্রশাসনের
বাজার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ছে প্রশাসনের

পেছনের পৃষ্ঠা

গুজব-গুঞ্জন নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই
গুজব-গুঞ্জন নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে অস্থিরতা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র
দেশজুড়ে অস্থিরতা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হাফ ডজন রয়েছে জামায়াত-জাপা
বিএনপির প্রার্থী হাফ ডজন রয়েছে জামায়াত-জাপা

নগর জীবন

ম্যারাডোনার বিপক্ষে খেলেছি
ম্যারাডোনার বিপক্ষে খেলেছি

মাঠে ময়দানে

নিজের হাসপাতালে গলা কাটা লাশ চিকিৎসকের
নিজের হাসপাতালে গলা কাটা লাশ চিকিৎসকের

পেছনের পৃষ্ঠা

মজুতদারি ও অনলাইন প্রতারণায় কঠোর শাস্তি
মজুতদারি ও অনলাইন প্রতারণায় কঠোর শাস্তি

শিল্প বাণিজ্য

মব সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে
মব সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক সিরিজ
বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক সিরিজ

মাঠে ময়দানে

নেপথ্যে চলছে দেনদরবার
নেপথ্যে চলছে দেনদরবার

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে জামায়াত অনড়
পিআর পদ্ধতিতে জামায়াত অনড়

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা
হামজাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা

মাঠে ময়দানে

ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে
ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে

প্রথম পৃষ্ঠা

কিংসের ছেড়ে দেওয়া রবসন মোহনবাগানে
কিংসের ছেড়ে দেওয়া রবসন মোহনবাগানে

মাঠে ময়দানে

কোনো ব্যক্তি বা দলের পক্ষে নয় যুক্তরাষ্ট্র
কোনো ব্যক্তি বা দলের পক্ষে নয় যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে এসেছে
বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

মেয়ের জন্মদিন রাঙাতে চান জকোভিচ
মেয়ের জন্মদিন রাঙাতে চান জকোভিচ

মাঠে ময়দানে

দেশের ৯০ ভাগ মানুষ পিআর বোঝে না
দেশের ৯০ ভাগ মানুষ পিআর বোঝে না

নগর জীবন

থমথমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চাপা আতঙ্ক
থমথমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চাপা আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া ২৭ মডেল স্কুল সরকারীকরণ দাবি
জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া ২৭ মডেল স্কুল সরকারীকরণ দাবি

খবর