শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

প্রিন্ট ভার্সন
দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক ড. এম আতিক রহমান জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা আইপিসিসির চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের অন্যতম লিড অথর। ২০০৭ সালে আইপিসিসি যৌথ নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলে তিনি ছিলেন এর সহ-প্রাপক। তাঁকে ২০০৮ সালের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদফতর তাঁকে ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০০৮’ প্রদান করে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান জয়শ্রী ভাদুড়ী

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়াসন বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে আপনার শিক্ষকতা জীবনের সূচনা। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, সে অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। তরুণ শিক্ষক হিসেবে বেশ ভালোই কাটছিল আমার দিনগুলো। ছাত্রদের সঙ্গে নতুন নতুন ভাবনা বিনিময় করা, গবেষণা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতাম। স্বাধীনতার কিছুদিন পর প্রথম কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে চলে যাই বিলেত। সময়টা ছিল ১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এনার্জি ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে গবেষণা শুরু করি। তারপর ওয়েস্ট লন্ডনের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে সেখান থেকে শিল্প ও ফলিত রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করি। বিশ্বখ্যাত প্রফেসর ব্যাপ্টিস্ট ডোনেটের অধীনে পোস্ট ডক্টরেট করি। তখন থেকে ব্রিটেনসহ অন্য দেশে আমি শিক্ষকতা ও গবেষণা শুরু করি। ১৯৭৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর আমার গবেষণা ক্ষেত্র, চিন্তায় অনেক পরিবর্তন এল। রসায়নের নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আমরা গবেষণা করছিলাম।

শিক্ষকতার দ্বিতীয় পর্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর ছিলাম। তারপর চলে গেলাম যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের টাফট ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে। এর বাইরে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, ডিপ্লোমেসি ও টেকসই উন্নয়নের অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করি। বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইটি), ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএসএর নগর অধ্যয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের টেকসই উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ এবং সাউথ ডায়ালগে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন করেছি। নেদারল্যান্ডসের চ্যালেঞ্জ ফাউন্ডেশনের জন্য স্থায়িত্ব ব্যবস্থাপনা (আইপিএমএস) আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের অনুষদ সদস্য ছিলাম।

 

ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এটি। তিন হাজার এনজিও এ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে। মোটা দাগে বললে বিশ্বের যতগুলো এনজিও জলবায়ু বিষয়ে কাজ করছে তারা প্রায় সবাই এখানকার সদস্য। আমরা অনেকগুলো রিজিওনাল গ্রুপ করেছি। ১৯৯০ সালে ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক ইউএসএ নামে একটি সংগঠন ছিল। আমরা তখন জলবায়ু সম্মেলনে কী লেখা হবে এটা নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা তখন এর রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। আরেকটি চিন্তার বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক ক্ষতির দিকগুলো। এ সময় আমাকে বলা হলো, ‘এশিয়া নিয়ে আঞ্চলিক একটা গ্রুপ করা হবে, তুমি সেটার দায়িত্ব নাও। আমি বললাম এশিয়া মহাদেশ তো বিস্তীর্ণ এলাকা। এ তো সম্ভব নয়, আমি দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারব। তখন ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপে আমার পরিচিত যারা জলবায়ু বিষয়ে কাজ করে তাদের একত্রিত করে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুললাম। তখন বলল, এ কাজে তারা ১০ বছর আমাদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য দেবে। এরপর প্রথমে ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার পর আর কোনো খবর নেই তাদের। আমি বললাম, দেখ আমি যদি কাজে নামি তাহলে কাজ করে যাব। তোমাদের টাকার ভরসায় বসে থাকব না। এরপর আমি সেই সংগঠনকে দাঁড় করালাম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যারা পরিচিত বন্ধুবান্ধব ছিলেন তারাও এগিয়ে এলেন। সবাইকে নিয়ে আমরা একটা উপদেষ্টা কাউন্সিল করলাম। সেখানে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি করা হলো। আমি সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করলাম। ক্লাইমেট এশিয়া নামে আমরা প্রতি তিন মাসে একটি করে নিউজলেটার প্রকাশ করতাম। সেখানে পরিবেশ-জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন রকম চিন্তাধারা ও ঘটনাপ্রবাহ প্রকাশিত হতো। কয়েকটি চিন্তাধারা পৃথিবীব্যাপী আলোচিতও হয়েছিল। এর মধ্যে ইন্টারগভর্নমেন্ট প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জে (আইপিসিসি) উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা খুব কম ছিল। আমরা এটার বিষয়ে আলোচনা তুললাম। তখন বলা হলো, এ ফোরামের প্রতিনিধি মনোনয়ন সরকারি পর্যায় থেকে পাঠানো হয়। তাই দেশের সরকার কাকে পাঠাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তখন সরকারকে বোঝানো হলো, যারা জলবায়ু নিয়ে কাজ করে তাদের সমন্বয়ে সরকারকে জাতির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাঠাতে হবে। পরবর্তীতে কাজের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে আইপিসিসি চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে। এ আন্দোলনটা আমরা দানা বেঁধে বিভিন্ন দেশে ঢোকাতে লাগলাম। এরপর থেকে আইপিসিসিতে উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বাড়তে থাকল। আরেকটি বড় আন্দোলন ছিল ‘অ্যাডাপটেশন’ নিয়ে। বলা হচ্ছিল, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়াতে অর্থাৎ গ্রিন হাউস সৃষ্টিতে যেসব গ্যাস কাজ করছে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। কমিয়ে ফেললেই তাপ কমে যাবে। তখন আমরা বললাম, এটা প্রকৃতি, আবহাওয়া ও জলবায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এতে আমাদের প্লাবন বাড়বে, সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়বে। এরপর এমআইটি থেকে প্রকাশিত একটি জার্নালে লেখা হলো, পৃথিবীর সঞ্চিত বরফ গললে সমুদ্রে পানির উচ্চতা ৩৬ মিটার বেড়ে যাবে। এটা ন্যায়সঙ্গত বক্তব্য। তখন আমরা বললাম, এটা তো একদিনে গলবে না। আমরা একটা গবেষণা শুরু করলাম যে পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে কি হবে? সমুদ্রের পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে বাংলাদেশে কি হবে এটা নিয়ে আমাদের ছাত্ররা গবেষণা শুরু করল। দেখা গেল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকা পানির নিচে চলে যাচ্ছে। এক মিটার বাড়লেই ২ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে। লবণ পানি ঢুকে যাবে স্বাদু পানির নদীগুলোতে। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে এটা নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। একটা ম্যাপ বেরিয়ে এল এ গবেষণা থেকে। এটা পরে আইপিসিসিতে ঢুকে গেল। এটা নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় শুরু হলো। আরেকটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করলাম যে, গ্রিন হাউস গ্যাস তো তৈরি করছে ধনী দেশ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হচ্ছে গরিব মানুষের দেশ। তাহলে যারা এ গ্যাস তৈরির জন্য দায়ী তাদের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই সময় জাতিসংঘে বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের উপস্থিতিতে এ বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছিল। তখন যুক্তিতর্ক পর্যায়ে তাদের আইনবিদরা বললেন, আমাদের পিতামহ কিংবা তাদের পূর্বপুরুষরা যে অন্যায় করে গেছেন তার জন্য আমরা কীভাবে দায়ী হই। কথায় যুক্তি আছে। পূর্বসুরীদের অন্যায়ের সাজা তো উত্তরসুরীদের দেওয়া যায় না। তখন আমরা বললাম তোমাদের কথা ঠিক। কিন্তু তোমরা যদি সেই অপকর্মের ফল এখনো ভোগ করতে থাকো তাহলে তোমাদের এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই দায়িত্ব নিতে হবে। নয়তো শিল্পয়ানের আগে যেমন শহর-গ্রাম ছিল সেটা তোমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এই যুক্তিটা উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের কাছে খুবই কার্যকরী বলে মনো হলো এবং এ দাবি আরও জোরালো হলো। এই যুক্তিতর্কগুলো নিয়ে আস্তে আস্তে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা শুরু হলো। এই তথ্যগুলোর সত্যতা বেড়িয়ে এল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ ধনী মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসতি গড়ে না। এটা ইকোসিস্টেমেই চলে আসছে। এরপর আমরা জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়বিচার বোধ বিষয় নিয়ে যুক্তিতর্ক শুরু করলাম। উন্নত দেশগুলো এটাতে নড়েচড়ে বসল। আমরা জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে উড়িয়ে দিচ্ছি। সেই গ্যাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষ। এটা তো আর নিজ দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এটা নিয়ে এখনো বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি যুক্তিতর্কে জিততে। আমি ততদিনে একটা বিষয় শিখে গেছি যে, যুক্তিতে যদি জিততে হয় তাহলে নিজের মাথাটা নত করে রাখতে হয়। আমি করেছি, আমার চিন্তা থেকে এটা এসেছে এরকম কথা বললে মানুষ পছন্দ করে না। পরিকল্পনাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হলে চিন্তাধারায় ক্ষমতায়িত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিতে হবে। ২০০৭ সালে এসে আইপিসিসি বলা শুরু করল যে মানুষ গ্রিন হাউস গ্যাস সৃষ্টি করছে এবং মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে এ বক্তব্যগুলোকে প্রমাণ করা শুরু হলো। তখন বলা হলো, মনুষ্য সৃষ্ট কারণই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি দায়ী এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। এরপর ক্লাইমেট মাইগ্রেশন নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। সাইক্লোন কিংবা জলোচ্ছ্বাসের কারণে মানুষ বাস্তুহারা হয়ে অভিবাসী হচ্ছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে গত পাঁচ বছরে নানারকমের সাইক্লোন, ঝড়ে অনেক মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় ছেড়ে গেল। তখন নতুন একটা বিষয় সামনে দাঁড়াল যে, জলবায়ু পরিবর্তনে শুধু গরিব না ধনীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ গঠন করলেন কত সালে? আপনাদের কাজ কী?

১৯৮৬ সালে ড. সালিমুল হককে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএএস) গড়ে তুলি। এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছি। আমরা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউএনডিপি, ইউএনডিইএসএ, ইউএনইপি, আইএফএডি, এসক্যাপ, জাতিসংঘ, ইউনিসেফ, ইউনেস্কোসহ একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওর পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছি।

 

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আপনি একাধিক গবেষণা করেছেন। নানা অভিজ্ঞতা আপনার। জলবায়ু তহবিল ব্যবহারে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হওয়া উচিত?

জলবায়ু পরিবর্তন অর্থায়নে দুটো দিক- ক. নিজেদের অর্থ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করতে হবে। আমাদের নিজস্ব দুটো ফান্ড রয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড। এটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি।

খ. বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রিজিলিয়েন্স ফান্ড- এটি বিদেশি সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে। প্রথম ফান্ডে এখন পর্যন্ত ৩৪০ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছে, আর দ্বিতীয় ফান্ডে রয়েছে ১৭০ মিলিয়ন ডলার। প্রথমদিকে আমাদের বুঝতে সমস্যা হয়েছিল। পদ্ধতিগত দিক তৈরিতে কিছু ভুল বোঝাবুঝিও ছিল। এ নিয়ে এখনো অনেক সমালোচনা করা যেতে পারে। তার চেয়ে বড় কথা, আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে আমি ক্ষমতায়ন করলাম; কিন্তু অর্থ এল না, তাহলে লাভ হবে না। অর্থ আনতে দরকার হলে বিদেশিদের চাপ দিতে হবে। জনমত তৈরি করতে হবে। এরই মধ্যে একটি বিষয় দাঁড়িয়ে গেছে, এটাকে বলে ‘এমআরভি’ অর্থাৎ মেজারেবল, রিপোর্টেবল এবং ভেরিফাইয়েবল। প্রথমে আমাদের মাপতে হবে, এরপর রিপোর্ট করতে হবে এবং শেষে সত্যাসত্য যাচাই করতে হবে। তারপর সূচারুভাবে এগুলো পরিমাপ করতে হবে। সেটির রিপোর্ট করতে হবে। এ পদ্ধতিগুলো এগোচ্ছে। এর জন্য হয়তো সময় লাগবে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থপ্রাপ্তির বর্তমান অবস্থান কী?

গ্রিন হাউজ গ্যাস কমাতে হবে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোকে। যত দ্রুত সম্ভব গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎস কমাতে হবে। আস্তে আস্তে বাংলাদেশ শিল্পোন্নত দেশের কাতারে যাচ্ছে। আগে হিসাব ছিল ৩০টি দেশের গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎপাদন কমালেই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ৩০টি দেশ গ্রিন হাউজ গ্যাস তৈরি বাড়াতে শুরু করল। এখন থেকে ৪০ বছর পর বাংলাদেশও এ পর্যায়ে চলে যাবে। তাই এখন থেকে আমাদের সুচিন্তিতভাবে এগোতে হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের অর্থনীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও সুপেয় পানির পর্যাপ্ততা। পানি নিয়ে চারটি সমস্যায় পড়তে হবে, অতিরিক্ত পানি অর্থাৎ বন্যা, পানির স্বল্পতা অথাৎ খড়া, এক ধরনের পানির প্রয়োজনে অন্য পানি আসা এবং অসময়ে বৃষ্টি। জলবায়ু ক্যালেন্ডারের সঙ্গে কৃষির ক্যালেন্ডার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আগে একটা গবেষণায় বলা হচ্ছে এ শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির ওপরে কোনোভাবেই যেতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণায় বলা হচ্ছে, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভয়াবহতা ডেকে আনবে। শিল্প সভ্যতা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শূন্য দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা আমরা বাড়িয়েছি। ২০৭০ সালে এ তাপমাত্রার সীমারেখা আমরা অতিক্রম করে যাব। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে অর্থায়ন প্রয়োজন। এই অর্থ আসবে আন্তর্জাতিকভাবে। এ অর্থ ২০১২ সাল থেকে আসার কথা ছিল কিন্তু প্যারিস চুক্তির ওই অর্থ আসবে ২০২০ সালে। ২০১২ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার বলা হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালে এ টাকার দাম তো কমে যাবে। শিল্পোন্নত দেশ থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দরিদ্র দেশে আসার কথা। এ অর্থ দিয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা উঁচু করতে হবে, বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, দারিদ্রতার হার কমাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে হলে মানুষের সক্ষমতা, অবকাঠামো ভালো করতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, সুপেয় পানি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য সবকিছুতে এগিয়ে যেতে হবে। এক কথায় টেকসই উন্নয়নে এগিয়ে যেতে হবে। যতই আমরা উন্নয়নের চেষ্টা করছি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ততা আমাদের টেনে ধরছে। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়।

 

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে?

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব পড়বে। বন্যা, খরা, ঝড়- এগুলোর মাত্রা বাড়বে। অসময়ে বৃষ্টি হবে। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি- দুটোই হবে। নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সাধারণ অবস্থায় নন-ক্লাইমেটিক রিস্ক অবস্থায় আমাদের যে উন্নয়ন হতো, সেটা এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বাধাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে আমাদের অবস্থা ভালো। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমাদের রয়েছে, বিশেষ করে ধানে। কিন্তু বড় কোনো দুর্যোগ হলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এখন আমাদের এমন পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে বড় কোনো দুর্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়। এটা এক দিনেই হবে না; চাইলেও হবে না। এর জন্য ভাবতে হবে, সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে। এক এলাকা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আরেক এলাকায় যাতে উৎপাদন ব্যাহত না হয়- তার পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

পৃথিবীর খুব কম দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় আছে। এদিক থেকে বাংলাদেশ অনেক সৌভাগ্যবান। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। আমাদের প্রয়োজনে আমরা সেটা করতে পেরেছি। এ মন্ত্রণায়লয় সব রকমের ক্ষতিগ্রস্ততা ও দুর্যোগ পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করছে।

ধন্যবাদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
গাজীপুর জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
গাজীপুর জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বেসরকারি স্কুল-কলেজে সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন ইউএনও-ডিসিরা
বেসরকারি স্কুল-কলেজে সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন ইউএনও-ডিসিরা

১৩ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ঢাবিতে প্রথমবার আদি নববর্ষ উৎসব উদযাপন
ঢাবিতে প্রথমবার আদি নববর্ষ উৎসব উদযাপন

৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রেম চোপড়া
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রেম চোপড়া

১২ মিনিট আগে | শোবিজ

মওলানা ভাসানী ছিলেন অসাধারণ চিন্তার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব : আলাল
মওলানা ভাসানী ছিলেন অসাধারণ চিন্তার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব : আলাল

১৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

কারওয়ান বাজারে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
কারওয়ান বাজারে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ

১৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

সীতাকুণ্ডে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, নিহত ৫
সীতাকুণ্ডে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, নিহত ৫

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু, আহত ২১
চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু, আহত ২১

২০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাজনীতি হোক অনগ্রসর মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার : মাজেদ বাবু
রাজনীতি হোক অনগ্রসর মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার : মাজেদ বাবু

২০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

হারের দায় ব্যাটসম্যানদের দিচ্ছেন গম্ভীর
হারের দায় ব্যাটসম্যানদের দিচ্ছেন গম্ভীর

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বিএম কলেজে পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি
বিএম কলেজে পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে সম্মেলনে তুলে ধরা হলো সৌদির এআই অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে সম্মেলনে তুলে ধরা হলো সৌদির এআই অগ্রগতি

৪২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বরিশালে তিনটি বেহুন্দি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
বরিশালে তিনটি বেহুন্দি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিবপুরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণসমাবেশ
শিবপুরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণসমাবেশ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলি লাগলো গৃহবধূর বুকে
র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলি লাগলো গৃহবধূর বুকে

৪৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে বসুন্ধরা শুভসংঘ নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে বসুন্ধরা শুভসংঘ নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ

৪৫ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৪ হাজার প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাল সৌদিআরব
১৪ হাজার প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাল সৌদিআরব

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোহিঙ্গা ভোটার চিহ্নিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ইসির
রোহিঙ্গা ভোটার চিহ্নিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ইসির

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দিল রাসিক
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দিল রাসিক

৫৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

গোবিপ্রবির রবি ও সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত
গোবিপ্রবির রবি ও সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত

৫৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

প্রেষণে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
প্রেষণে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় আদিবাসী টেস্ট ক্রিকেটার ডগেট
অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় আদিবাসী টেস্ট ক্রিকেটার ডগেট

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুরে সরকারি সেবা নিয়ে অবহিতকরণ সভা
রংপুরে সরকারি সেবা নিয়ে অবহিতকরণ সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না : আমিনুল
ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না : আমিনুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মঙ্গল গ্রহের আগ্নেয়গিরির দুর্লভ ছবি প্রকাশ
মঙ্গল গ্রহের আগ্নেয়গিরির দুর্লভ ছবি প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না
গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাইবান্ধায় ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেফতার
গাইবান্ধায় ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে পুনঃনিরীক্ষণে ১৮৫ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন
বরিশালে পুনঃনিরীক্ষণে ১৮৫ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাজিলের ডিফেন্ডার গাব্রিয়েলের চোট
ব্রাজিলের ডিফেন্ডার গাব্রিয়েলের চোট

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে