শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

প্রিন্ট ভার্সন
দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক ড. এম আতিক রহমান জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা আইপিসিসির চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের অন্যতম লিড অথর। ২০০৭ সালে আইপিসিসি যৌথ নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলে তিনি ছিলেন এর সহ-প্রাপক। তাঁকে ২০০৮ সালের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদফতর তাঁকে ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০০৮’ প্রদান করে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান জয়শ্রী ভাদুড়ী

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়াসন বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে আপনার শিক্ষকতা জীবনের সূচনা। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, সে অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। তরুণ শিক্ষক হিসেবে বেশ ভালোই কাটছিল আমার দিনগুলো। ছাত্রদের সঙ্গে নতুন নতুন ভাবনা বিনিময় করা, গবেষণা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতাম। স্বাধীনতার কিছুদিন পর প্রথম কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে চলে যাই বিলেত। সময়টা ছিল ১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এনার্জি ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে গবেষণা শুরু করি। তারপর ওয়েস্ট লন্ডনের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে সেখান থেকে শিল্প ও ফলিত রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করি। বিশ্বখ্যাত প্রফেসর ব্যাপ্টিস্ট ডোনেটের অধীনে পোস্ট ডক্টরেট করি। তখন থেকে ব্রিটেনসহ অন্য দেশে আমি শিক্ষকতা ও গবেষণা শুরু করি। ১৯৭৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর আমার গবেষণা ক্ষেত্র, চিন্তায় অনেক পরিবর্তন এল। রসায়নের নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আমরা গবেষণা করছিলাম।

শিক্ষকতার দ্বিতীয় পর্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর ছিলাম। তারপর চলে গেলাম যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের টাফট ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে। এর বাইরে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, ডিপ্লোমেসি ও টেকসই উন্নয়নের অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করি। বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইটি), ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএসএর নগর অধ্যয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের টেকসই উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ এবং সাউথ ডায়ালগে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন করেছি। নেদারল্যান্ডসের চ্যালেঞ্জ ফাউন্ডেশনের জন্য স্থায়িত্ব ব্যবস্থাপনা (আইপিএমএস) আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের অনুষদ সদস্য ছিলাম।

 

ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এটি। তিন হাজার এনজিও এ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে। মোটা দাগে বললে বিশ্বের যতগুলো এনজিও জলবায়ু বিষয়ে কাজ করছে তারা প্রায় সবাই এখানকার সদস্য। আমরা অনেকগুলো রিজিওনাল গ্রুপ করেছি। ১৯৯০ সালে ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক ইউএসএ নামে একটি সংগঠন ছিল। আমরা তখন জলবায়ু সম্মেলনে কী লেখা হবে এটা নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা তখন এর রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। আরেকটি চিন্তার বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক ক্ষতির দিকগুলো। এ সময় আমাকে বলা হলো, ‘এশিয়া নিয়ে আঞ্চলিক একটা গ্রুপ করা হবে, তুমি সেটার দায়িত্ব নাও। আমি বললাম এশিয়া মহাদেশ তো বিস্তীর্ণ এলাকা। এ তো সম্ভব নয়, আমি দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারব। তখন ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপে আমার পরিচিত যারা জলবায়ু বিষয়ে কাজ করে তাদের একত্রিত করে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুললাম। তখন বলল, এ কাজে তারা ১০ বছর আমাদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য দেবে। এরপর প্রথমে ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার পর আর কোনো খবর নেই তাদের। আমি বললাম, দেখ আমি যদি কাজে নামি তাহলে কাজ করে যাব। তোমাদের টাকার ভরসায় বসে থাকব না। এরপর আমি সেই সংগঠনকে দাঁড় করালাম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যারা পরিচিত বন্ধুবান্ধব ছিলেন তারাও এগিয়ে এলেন। সবাইকে নিয়ে আমরা একটা উপদেষ্টা কাউন্সিল করলাম। সেখানে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি করা হলো। আমি সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করলাম। ক্লাইমেট এশিয়া নামে আমরা প্রতি তিন মাসে একটি করে নিউজলেটার প্রকাশ করতাম। সেখানে পরিবেশ-জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন রকম চিন্তাধারা ও ঘটনাপ্রবাহ প্রকাশিত হতো। কয়েকটি চিন্তাধারা পৃথিবীব্যাপী আলোচিতও হয়েছিল। এর মধ্যে ইন্টারগভর্নমেন্ট প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জে (আইপিসিসি) উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা খুব কম ছিল। আমরা এটার বিষয়ে আলোচনা তুললাম। তখন বলা হলো, এ ফোরামের প্রতিনিধি মনোনয়ন সরকারি পর্যায় থেকে পাঠানো হয়। তাই দেশের সরকার কাকে পাঠাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তখন সরকারকে বোঝানো হলো, যারা জলবায়ু নিয়ে কাজ করে তাদের সমন্বয়ে সরকারকে জাতির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাঠাতে হবে। পরবর্তীতে কাজের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে আইপিসিসি চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে। এ আন্দোলনটা আমরা দানা বেঁধে বিভিন্ন দেশে ঢোকাতে লাগলাম। এরপর থেকে আইপিসিসিতে উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বাড়তে থাকল। আরেকটি বড় আন্দোলন ছিল ‘অ্যাডাপটেশন’ নিয়ে। বলা হচ্ছিল, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়াতে অর্থাৎ গ্রিন হাউস সৃষ্টিতে যেসব গ্যাস কাজ করছে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। কমিয়ে ফেললেই তাপ কমে যাবে। তখন আমরা বললাম, এটা প্রকৃতি, আবহাওয়া ও জলবায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এতে আমাদের প্লাবন বাড়বে, সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়বে। এরপর এমআইটি থেকে প্রকাশিত একটি জার্নালে লেখা হলো, পৃথিবীর সঞ্চিত বরফ গললে সমুদ্রে পানির উচ্চতা ৩৬ মিটার বেড়ে যাবে। এটা ন্যায়সঙ্গত বক্তব্য। তখন আমরা বললাম, এটা তো একদিনে গলবে না। আমরা একটা গবেষণা শুরু করলাম যে পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে কি হবে? সমুদ্রের পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে বাংলাদেশে কি হবে এটা নিয়ে আমাদের ছাত্ররা গবেষণা শুরু করল। দেখা গেল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকা পানির নিচে চলে যাচ্ছে। এক মিটার বাড়লেই ২ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে। লবণ পানি ঢুকে যাবে স্বাদু পানির নদীগুলোতে। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে এটা নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। একটা ম্যাপ বেরিয়ে এল এ গবেষণা থেকে। এটা পরে আইপিসিসিতে ঢুকে গেল। এটা নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় শুরু হলো। আরেকটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করলাম যে, গ্রিন হাউস গ্যাস তো তৈরি করছে ধনী দেশ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হচ্ছে গরিব মানুষের দেশ। তাহলে যারা এ গ্যাস তৈরির জন্য দায়ী তাদের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই সময় জাতিসংঘে বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের উপস্থিতিতে এ বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছিল। তখন যুক্তিতর্ক পর্যায়ে তাদের আইনবিদরা বললেন, আমাদের পিতামহ কিংবা তাদের পূর্বপুরুষরা যে অন্যায় করে গেছেন তার জন্য আমরা কীভাবে দায়ী হই। কথায় যুক্তি আছে। পূর্বসুরীদের অন্যায়ের সাজা তো উত্তরসুরীদের দেওয়া যায় না। তখন আমরা বললাম তোমাদের কথা ঠিক। কিন্তু তোমরা যদি সেই অপকর্মের ফল এখনো ভোগ করতে থাকো তাহলে তোমাদের এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই দায়িত্ব নিতে হবে। নয়তো শিল্পয়ানের আগে যেমন শহর-গ্রাম ছিল সেটা তোমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এই যুক্তিটা উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের কাছে খুবই কার্যকরী বলে মনো হলো এবং এ দাবি আরও জোরালো হলো। এই যুক্তিতর্কগুলো নিয়ে আস্তে আস্তে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা শুরু হলো। এই তথ্যগুলোর সত্যতা বেড়িয়ে এল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ ধনী মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসতি গড়ে না। এটা ইকোসিস্টেমেই চলে আসছে। এরপর আমরা জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়বিচার বোধ বিষয় নিয়ে যুক্তিতর্ক শুরু করলাম। উন্নত দেশগুলো এটাতে নড়েচড়ে বসল। আমরা জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে উড়িয়ে দিচ্ছি। সেই গ্যাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষ। এটা তো আর নিজ দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এটা নিয়ে এখনো বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি যুক্তিতর্কে জিততে। আমি ততদিনে একটা বিষয় শিখে গেছি যে, যুক্তিতে যদি জিততে হয় তাহলে নিজের মাথাটা নত করে রাখতে হয়। আমি করেছি, আমার চিন্তা থেকে এটা এসেছে এরকম কথা বললে মানুষ পছন্দ করে না। পরিকল্পনাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হলে চিন্তাধারায় ক্ষমতায়িত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিতে হবে। ২০০৭ সালে এসে আইপিসিসি বলা শুরু করল যে মানুষ গ্রিন হাউস গ্যাস সৃষ্টি করছে এবং মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে এ বক্তব্যগুলোকে প্রমাণ করা শুরু হলো। তখন বলা হলো, মনুষ্য সৃষ্ট কারণই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি দায়ী এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। এরপর ক্লাইমেট মাইগ্রেশন নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। সাইক্লোন কিংবা জলোচ্ছ্বাসের কারণে মানুষ বাস্তুহারা হয়ে অভিবাসী হচ্ছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে গত পাঁচ বছরে নানারকমের সাইক্লোন, ঝড়ে অনেক মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় ছেড়ে গেল। তখন নতুন একটা বিষয় সামনে দাঁড়াল যে, জলবায়ু পরিবর্তনে শুধু গরিব না ধনীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ গঠন করলেন কত সালে? আপনাদের কাজ কী?

১৯৮৬ সালে ড. সালিমুল হককে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএএস) গড়ে তুলি। এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছি। আমরা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউএনডিপি, ইউএনডিইএসএ, ইউএনইপি, আইএফএডি, এসক্যাপ, জাতিসংঘ, ইউনিসেফ, ইউনেস্কোসহ একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওর পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছি।

 

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আপনি একাধিক গবেষণা করেছেন। নানা অভিজ্ঞতা আপনার। জলবায়ু তহবিল ব্যবহারে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হওয়া উচিত?

জলবায়ু পরিবর্তন অর্থায়নে দুটো দিক- ক. নিজেদের অর্থ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করতে হবে। আমাদের নিজস্ব দুটো ফান্ড রয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড। এটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি।

খ. বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রিজিলিয়েন্স ফান্ড- এটি বিদেশি সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে। প্রথম ফান্ডে এখন পর্যন্ত ৩৪০ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছে, আর দ্বিতীয় ফান্ডে রয়েছে ১৭০ মিলিয়ন ডলার। প্রথমদিকে আমাদের বুঝতে সমস্যা হয়েছিল। পদ্ধতিগত দিক তৈরিতে কিছু ভুল বোঝাবুঝিও ছিল। এ নিয়ে এখনো অনেক সমালোচনা করা যেতে পারে। তার চেয়ে বড় কথা, আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে আমি ক্ষমতায়ন করলাম; কিন্তু অর্থ এল না, তাহলে লাভ হবে না। অর্থ আনতে দরকার হলে বিদেশিদের চাপ দিতে হবে। জনমত তৈরি করতে হবে। এরই মধ্যে একটি বিষয় দাঁড়িয়ে গেছে, এটাকে বলে ‘এমআরভি’ অর্থাৎ মেজারেবল, রিপোর্টেবল এবং ভেরিফাইয়েবল। প্রথমে আমাদের মাপতে হবে, এরপর রিপোর্ট করতে হবে এবং শেষে সত্যাসত্য যাচাই করতে হবে। তারপর সূচারুভাবে এগুলো পরিমাপ করতে হবে। সেটির রিপোর্ট করতে হবে। এ পদ্ধতিগুলো এগোচ্ছে। এর জন্য হয়তো সময় লাগবে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থপ্রাপ্তির বর্তমান অবস্থান কী?

গ্রিন হাউজ গ্যাস কমাতে হবে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোকে। যত দ্রুত সম্ভব গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎস কমাতে হবে। আস্তে আস্তে বাংলাদেশ শিল্পোন্নত দেশের কাতারে যাচ্ছে। আগে হিসাব ছিল ৩০টি দেশের গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎপাদন কমালেই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ৩০টি দেশ গ্রিন হাউজ গ্যাস তৈরি বাড়াতে শুরু করল। এখন থেকে ৪০ বছর পর বাংলাদেশও এ পর্যায়ে চলে যাবে। তাই এখন থেকে আমাদের সুচিন্তিতভাবে এগোতে হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের অর্থনীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও সুপেয় পানির পর্যাপ্ততা। পানি নিয়ে চারটি সমস্যায় পড়তে হবে, অতিরিক্ত পানি অর্থাৎ বন্যা, পানির স্বল্পতা অথাৎ খড়া, এক ধরনের পানির প্রয়োজনে অন্য পানি আসা এবং অসময়ে বৃষ্টি। জলবায়ু ক্যালেন্ডারের সঙ্গে কৃষির ক্যালেন্ডার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আগে একটা গবেষণায় বলা হচ্ছে এ শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির ওপরে কোনোভাবেই যেতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণায় বলা হচ্ছে, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভয়াবহতা ডেকে আনবে। শিল্প সভ্যতা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শূন্য দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা আমরা বাড়িয়েছি। ২০৭০ সালে এ তাপমাত্রার সীমারেখা আমরা অতিক্রম করে যাব। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে অর্থায়ন প্রয়োজন। এই অর্থ আসবে আন্তর্জাতিকভাবে। এ অর্থ ২০১২ সাল থেকে আসার কথা ছিল কিন্তু প্যারিস চুক্তির ওই অর্থ আসবে ২০২০ সালে। ২০১২ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার বলা হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালে এ টাকার দাম তো কমে যাবে। শিল্পোন্নত দেশ থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দরিদ্র দেশে আসার কথা। এ অর্থ দিয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা উঁচু করতে হবে, বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, দারিদ্রতার হার কমাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে হলে মানুষের সক্ষমতা, অবকাঠামো ভালো করতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, সুপেয় পানি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য সবকিছুতে এগিয়ে যেতে হবে। এক কথায় টেকসই উন্নয়নে এগিয়ে যেতে হবে। যতই আমরা উন্নয়নের চেষ্টা করছি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ততা আমাদের টেনে ধরছে। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়।

 

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে?

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব পড়বে। বন্যা, খরা, ঝড়- এগুলোর মাত্রা বাড়বে। অসময়ে বৃষ্টি হবে। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি- দুটোই হবে। নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সাধারণ অবস্থায় নন-ক্লাইমেটিক রিস্ক অবস্থায় আমাদের যে উন্নয়ন হতো, সেটা এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বাধাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে আমাদের অবস্থা ভালো। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমাদের রয়েছে, বিশেষ করে ধানে। কিন্তু বড় কোনো দুর্যোগ হলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এখন আমাদের এমন পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে বড় কোনো দুর্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়। এটা এক দিনেই হবে না; চাইলেও হবে না। এর জন্য ভাবতে হবে, সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে। এক এলাকা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আরেক এলাকায় যাতে উৎপাদন ব্যাহত না হয়- তার পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

পৃথিবীর খুব কম দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় আছে। এদিক থেকে বাংলাদেশ অনেক সৌভাগ্যবান। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। আমাদের প্রয়োজনে আমরা সেটা করতে পেরেছি। এ মন্ত্রণায়লয় সব রকমের ক্ষতিগ্রস্ততা ও দুর্যোগ পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করছে।

ধন্যবাদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে এলেন চেয়ারম্যান, পাশে থাকতে নারাজ ইউপি সদস্যরা
দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে এলেন চেয়ারম্যান, পাশে থাকতে নারাজ ইউপি সদস্যরা

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দোকানের আয়ে চলতো সুভাষের সংসার, কয়েলের আগুনে পুড়ে ছাই
দোকানের আয়ে চলতো সুভাষের সংসার, কয়েলের আগুনে পুড়ে ছাই

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি, ভাইরাল ইনফেকশনে অ্যান্টিবায়োটিক নয়
সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি, ভাইরাল ইনফেকশনে অ্যান্টিবায়োটিক নয়

৫ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারণায় গফরগাঁওয়ে জনসমাবেশ
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারণায় গফরগাঁওয়ে জনসমাবেশ

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ
নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘৃণিত নাম শেখ হাসিনা’
‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘৃণিত নাম শেখ হাসিনা’

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

২১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নবান্নের শাড়ি কিনে না দেওয়ায় স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
নবান্নের শাড়ি কিনে না দেওয়ায় স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ
বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি করা সেই যুবক গ্রেপ্তার
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি করা সেই যুবক গ্রেপ্তার

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুশফিকের শততম টেস্ট বিনা টিকিটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা
মুশফিকের শততম টেস্ট বিনা টিকিটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মোদির প্রশংসা করে বিপাকে শশী থারুর
মোদির প্রশংসা করে বিপাকে শশী থারুর

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবারও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেললো দুর্বৃত্তরা
আবারও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেললো দুর্বৃত্তরা

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হবিগঞ্জে কোটি টাকার ভারতীয় জিরা জব্দ
হবিগঞ্জে কোটি টাকার ভারতীয় জিরা জব্দ

৪৬ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ

৪৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২
আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আলিয়ার বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ, যা বললেন কাকা মুকেশ ভাট
আলিয়ার বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ, যা বললেন কাকা মুকেশ ভাট

৫৩ মিনিট আগে | শোবিজ

কারাবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
কারাবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

৫৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

শীতে সুন্দরবনে এক জেলের মৃত্যু
শীতে সুন্দরবনে এক জেলের মৃত্যু

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’
‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’

৫৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত
৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত

৫৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আইনের শাসনের উদাহরণ: দুলু
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আইনের শাসনের উদাহরণ: দুলু

৫৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেয়ারবাজারে বড় উত্থান
শেয়ারবাজারে বড় উত্থান

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তিতাস নদী থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
তিতাস নদী থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবান্নকে ঘিরে বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা
নবান্নকে ঘিরে বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’
‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি
রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে