শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

প্রিন্ট ভার্সন
দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক ড. এম আতিক রহমান জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা আইপিসিসির চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের অন্যতম লিড অথর। ২০০৭ সালে আইপিসিসি যৌথ নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলে তিনি ছিলেন এর সহ-প্রাপক। তাঁকে ২০০৮ সালের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদফতর তাঁকে ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০০৮’ প্রদান করে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান জয়শ্রী ভাদুড়ী

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়াসন বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে আপনার শিক্ষকতা জীবনের সূচনা। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, সে অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। তরুণ শিক্ষক হিসেবে বেশ ভালোই কাটছিল আমার দিনগুলো। ছাত্রদের সঙ্গে নতুন নতুন ভাবনা বিনিময় করা, গবেষণা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতাম। স্বাধীনতার কিছুদিন পর প্রথম কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে চলে যাই বিলেত। সময়টা ছিল ১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এনার্জি ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে গবেষণা শুরু করি। তারপর ওয়েস্ট লন্ডনের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে সেখান থেকে শিল্প ও ফলিত রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করি। বিশ্বখ্যাত প্রফেসর ব্যাপ্টিস্ট ডোনেটের অধীনে পোস্ট ডক্টরেট করি। তখন থেকে ব্রিটেনসহ অন্য দেশে আমি শিক্ষকতা ও গবেষণা শুরু করি। ১৯৭৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর আমার গবেষণা ক্ষেত্র, চিন্তায় অনেক পরিবর্তন এল। রসায়নের নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আমরা গবেষণা করছিলাম।

শিক্ষকতার দ্বিতীয় পর্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর ছিলাম। তারপর চলে গেলাম যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের টাফট ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে। এর বাইরে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, ডিপ্লোমেসি ও টেকসই উন্নয়নের অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করি। বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইটি), ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএসএর নগর অধ্যয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের টেকসই উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ এবং সাউথ ডায়ালগে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন করেছি। নেদারল্যান্ডসের চ্যালেঞ্জ ফাউন্ডেশনের জন্য স্থায়িত্ব ব্যবস্থাপনা (আইপিএমএস) আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের অনুষদ সদস্য ছিলাম।

 

ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এটি। তিন হাজার এনজিও এ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে। মোটা দাগে বললে বিশ্বের যতগুলো এনজিও জলবায়ু বিষয়ে কাজ করছে তারা প্রায় সবাই এখানকার সদস্য। আমরা অনেকগুলো রিজিওনাল গ্রুপ করেছি। ১৯৯০ সালে ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক ইউএসএ নামে একটি সংগঠন ছিল। আমরা তখন জলবায়ু সম্মেলনে কী লেখা হবে এটা নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা তখন এর রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। আরেকটি চিন্তার বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক ক্ষতির দিকগুলো। এ সময় আমাকে বলা হলো, ‘এশিয়া নিয়ে আঞ্চলিক একটা গ্রুপ করা হবে, তুমি সেটার দায়িত্ব নাও। আমি বললাম এশিয়া মহাদেশ তো বিস্তীর্ণ এলাকা। এ তো সম্ভব নয়, আমি দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারব। তখন ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপে আমার পরিচিত যারা জলবায়ু বিষয়ে কাজ করে তাদের একত্রিত করে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুললাম। তখন বলল, এ কাজে তারা ১০ বছর আমাদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য দেবে। এরপর প্রথমে ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার পর আর কোনো খবর নেই তাদের। আমি বললাম, দেখ আমি যদি কাজে নামি তাহলে কাজ করে যাব। তোমাদের টাকার ভরসায় বসে থাকব না। এরপর আমি সেই সংগঠনকে দাঁড় করালাম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যারা পরিচিত বন্ধুবান্ধব ছিলেন তারাও এগিয়ে এলেন। সবাইকে নিয়ে আমরা একটা উপদেষ্টা কাউন্সিল করলাম। সেখানে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি করা হলো। আমি সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করলাম। ক্লাইমেট এশিয়া নামে আমরা প্রতি তিন মাসে একটি করে নিউজলেটার প্রকাশ করতাম। সেখানে পরিবেশ-জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন রকম চিন্তাধারা ও ঘটনাপ্রবাহ প্রকাশিত হতো। কয়েকটি চিন্তাধারা পৃথিবীব্যাপী আলোচিতও হয়েছিল। এর মধ্যে ইন্টারগভর্নমেন্ট প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জে (আইপিসিসি) উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা খুব কম ছিল। আমরা এটার বিষয়ে আলোচনা তুললাম। তখন বলা হলো, এ ফোরামের প্রতিনিধি মনোনয়ন সরকারি পর্যায় থেকে পাঠানো হয়। তাই দেশের সরকার কাকে পাঠাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তখন সরকারকে বোঝানো হলো, যারা জলবায়ু নিয়ে কাজ করে তাদের সমন্বয়ে সরকারকে জাতির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাঠাতে হবে। পরবর্তীতে কাজের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে আইপিসিসি চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে। এ আন্দোলনটা আমরা দানা বেঁধে বিভিন্ন দেশে ঢোকাতে লাগলাম। এরপর থেকে আইপিসিসিতে উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বাড়তে থাকল। আরেকটি বড় আন্দোলন ছিল ‘অ্যাডাপটেশন’ নিয়ে। বলা হচ্ছিল, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়াতে অর্থাৎ গ্রিন হাউস সৃষ্টিতে যেসব গ্যাস কাজ করছে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। কমিয়ে ফেললেই তাপ কমে যাবে। তখন আমরা বললাম, এটা প্রকৃতি, আবহাওয়া ও জলবায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এতে আমাদের প্লাবন বাড়বে, সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়বে। এরপর এমআইটি থেকে প্রকাশিত একটি জার্নালে লেখা হলো, পৃথিবীর সঞ্চিত বরফ গললে সমুদ্রে পানির উচ্চতা ৩৬ মিটার বেড়ে যাবে। এটা ন্যায়সঙ্গত বক্তব্য। তখন আমরা বললাম, এটা তো একদিনে গলবে না। আমরা একটা গবেষণা শুরু করলাম যে পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে কি হবে? সমুদ্রের পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে বাংলাদেশে কি হবে এটা নিয়ে আমাদের ছাত্ররা গবেষণা শুরু করল। দেখা গেল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকা পানির নিচে চলে যাচ্ছে। এক মিটার বাড়লেই ২ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে। লবণ পানি ঢুকে যাবে স্বাদু পানির নদীগুলোতে। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে এটা নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। একটা ম্যাপ বেরিয়ে এল এ গবেষণা থেকে। এটা পরে আইপিসিসিতে ঢুকে গেল। এটা নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় শুরু হলো। আরেকটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করলাম যে, গ্রিন হাউস গ্যাস তো তৈরি করছে ধনী দেশ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হচ্ছে গরিব মানুষের দেশ। তাহলে যারা এ গ্যাস তৈরির জন্য দায়ী তাদের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই সময় জাতিসংঘে বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের উপস্থিতিতে এ বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছিল। তখন যুক্তিতর্ক পর্যায়ে তাদের আইনবিদরা বললেন, আমাদের পিতামহ কিংবা তাদের পূর্বপুরুষরা যে অন্যায় করে গেছেন তার জন্য আমরা কীভাবে দায়ী হই। কথায় যুক্তি আছে। পূর্বসুরীদের অন্যায়ের সাজা তো উত্তরসুরীদের দেওয়া যায় না। তখন আমরা বললাম তোমাদের কথা ঠিক। কিন্তু তোমরা যদি সেই অপকর্মের ফল এখনো ভোগ করতে থাকো তাহলে তোমাদের এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই দায়িত্ব নিতে হবে। নয়তো শিল্পয়ানের আগে যেমন শহর-গ্রাম ছিল সেটা তোমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এই যুক্তিটা উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের কাছে খুবই কার্যকরী বলে মনো হলো এবং এ দাবি আরও জোরালো হলো। এই যুক্তিতর্কগুলো নিয়ে আস্তে আস্তে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা শুরু হলো। এই তথ্যগুলোর সত্যতা বেড়িয়ে এল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ ধনী মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসতি গড়ে না। এটা ইকোসিস্টেমেই চলে আসছে। এরপর আমরা জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়বিচার বোধ বিষয় নিয়ে যুক্তিতর্ক শুরু করলাম। উন্নত দেশগুলো এটাতে নড়েচড়ে বসল। আমরা জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে উড়িয়ে দিচ্ছি। সেই গ্যাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষ। এটা তো আর নিজ দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এটা নিয়ে এখনো বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি যুক্তিতর্কে জিততে। আমি ততদিনে একটা বিষয় শিখে গেছি যে, যুক্তিতে যদি জিততে হয় তাহলে নিজের মাথাটা নত করে রাখতে হয়। আমি করেছি, আমার চিন্তা থেকে এটা এসেছে এরকম কথা বললে মানুষ পছন্দ করে না। পরিকল্পনাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হলে চিন্তাধারায় ক্ষমতায়িত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিতে হবে। ২০০৭ সালে এসে আইপিসিসি বলা শুরু করল যে মানুষ গ্রিন হাউস গ্যাস সৃষ্টি করছে এবং মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে এ বক্তব্যগুলোকে প্রমাণ করা শুরু হলো। তখন বলা হলো, মনুষ্য সৃষ্ট কারণই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি দায়ী এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। এরপর ক্লাইমেট মাইগ্রেশন নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। সাইক্লোন কিংবা জলোচ্ছ্বাসের কারণে মানুষ বাস্তুহারা হয়ে অভিবাসী হচ্ছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে গত পাঁচ বছরে নানারকমের সাইক্লোন, ঝড়ে অনেক মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় ছেড়ে গেল। তখন নতুন একটা বিষয় সামনে দাঁড়াল যে, জলবায়ু পরিবর্তনে শুধু গরিব না ধনীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ গঠন করলেন কত সালে? আপনাদের কাজ কী?

১৯৮৬ সালে ড. সালিমুল হককে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএএস) গড়ে তুলি। এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছি। আমরা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউএনডিপি, ইউএনডিইএসএ, ইউএনইপি, আইএফএডি, এসক্যাপ, জাতিসংঘ, ইউনিসেফ, ইউনেস্কোসহ একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওর পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছি।

 

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আপনি একাধিক গবেষণা করেছেন। নানা অভিজ্ঞতা আপনার। জলবায়ু তহবিল ব্যবহারে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হওয়া উচিত?

জলবায়ু পরিবর্তন অর্থায়নে দুটো দিক- ক. নিজেদের অর্থ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করতে হবে। আমাদের নিজস্ব দুটো ফান্ড রয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড। এটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি।

খ. বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রিজিলিয়েন্স ফান্ড- এটি বিদেশি সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে। প্রথম ফান্ডে এখন পর্যন্ত ৩৪০ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছে, আর দ্বিতীয় ফান্ডে রয়েছে ১৭০ মিলিয়ন ডলার। প্রথমদিকে আমাদের বুঝতে সমস্যা হয়েছিল। পদ্ধতিগত দিক তৈরিতে কিছু ভুল বোঝাবুঝিও ছিল। এ নিয়ে এখনো অনেক সমালোচনা করা যেতে পারে। তার চেয়ে বড় কথা, আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে আমি ক্ষমতায়ন করলাম; কিন্তু অর্থ এল না, তাহলে লাভ হবে না। অর্থ আনতে দরকার হলে বিদেশিদের চাপ দিতে হবে। জনমত তৈরি করতে হবে। এরই মধ্যে একটি বিষয় দাঁড়িয়ে গেছে, এটাকে বলে ‘এমআরভি’ অর্থাৎ মেজারেবল, রিপোর্টেবল এবং ভেরিফাইয়েবল। প্রথমে আমাদের মাপতে হবে, এরপর রিপোর্ট করতে হবে এবং শেষে সত্যাসত্য যাচাই করতে হবে। তারপর সূচারুভাবে এগুলো পরিমাপ করতে হবে। সেটির রিপোর্ট করতে হবে। এ পদ্ধতিগুলো এগোচ্ছে। এর জন্য হয়তো সময় লাগবে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থপ্রাপ্তির বর্তমান অবস্থান কী?

গ্রিন হাউজ গ্যাস কমাতে হবে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোকে। যত দ্রুত সম্ভব গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎস কমাতে হবে। আস্তে আস্তে বাংলাদেশ শিল্পোন্নত দেশের কাতারে যাচ্ছে। আগে হিসাব ছিল ৩০টি দেশের গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎপাদন কমালেই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ৩০টি দেশ গ্রিন হাউজ গ্যাস তৈরি বাড়াতে শুরু করল। এখন থেকে ৪০ বছর পর বাংলাদেশও এ পর্যায়ে চলে যাবে। তাই এখন থেকে আমাদের সুচিন্তিতভাবে এগোতে হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের অর্থনীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও সুপেয় পানির পর্যাপ্ততা। পানি নিয়ে চারটি সমস্যায় পড়তে হবে, অতিরিক্ত পানি অর্থাৎ বন্যা, পানির স্বল্পতা অথাৎ খড়া, এক ধরনের পানির প্রয়োজনে অন্য পানি আসা এবং অসময়ে বৃষ্টি। জলবায়ু ক্যালেন্ডারের সঙ্গে কৃষির ক্যালেন্ডার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আগে একটা গবেষণায় বলা হচ্ছে এ শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির ওপরে কোনোভাবেই যেতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণায় বলা হচ্ছে, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভয়াবহতা ডেকে আনবে। শিল্প সভ্যতা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শূন্য দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা আমরা বাড়িয়েছি। ২০৭০ সালে এ তাপমাত্রার সীমারেখা আমরা অতিক্রম করে যাব। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে অর্থায়ন প্রয়োজন। এই অর্থ আসবে আন্তর্জাতিকভাবে। এ অর্থ ২০১২ সাল থেকে আসার কথা ছিল কিন্তু প্যারিস চুক্তির ওই অর্থ আসবে ২০২০ সালে। ২০১২ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার বলা হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালে এ টাকার দাম তো কমে যাবে। শিল্পোন্নত দেশ থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দরিদ্র দেশে আসার কথা। এ অর্থ দিয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা উঁচু করতে হবে, বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, দারিদ্রতার হার কমাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে হলে মানুষের সক্ষমতা, অবকাঠামো ভালো করতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, সুপেয় পানি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য সবকিছুতে এগিয়ে যেতে হবে। এক কথায় টেকসই উন্নয়নে এগিয়ে যেতে হবে। যতই আমরা উন্নয়নের চেষ্টা করছি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ততা আমাদের টেনে ধরছে। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়।

 

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে?

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব পড়বে। বন্যা, খরা, ঝড়- এগুলোর মাত্রা বাড়বে। অসময়ে বৃষ্টি হবে। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি- দুটোই হবে। নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সাধারণ অবস্থায় নন-ক্লাইমেটিক রিস্ক অবস্থায় আমাদের যে উন্নয়ন হতো, সেটা এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বাধাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে আমাদের অবস্থা ভালো। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমাদের রয়েছে, বিশেষ করে ধানে। কিন্তু বড় কোনো দুর্যোগ হলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এখন আমাদের এমন পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে বড় কোনো দুর্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়। এটা এক দিনেই হবে না; চাইলেও হবে না। এর জন্য ভাবতে হবে, সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে। এক এলাকা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আরেক এলাকায় যাতে উৎপাদন ব্যাহত না হয়- তার পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

পৃথিবীর খুব কম দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় আছে। এদিক থেকে বাংলাদেশ অনেক সৌভাগ্যবান। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। আমাদের প্রয়োজনে আমরা সেটা করতে পেরেছি। এ মন্ত্রণায়লয় সব রকমের ক্ষতিগ্রস্ততা ও দুর্যোগ পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করছে।

ধন্যবাদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি
ডিমের বাজারে স্বস্তির হাওয়া, বেড়েছে বিক্রি

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

৫ বলে ৫ উইকেট, ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার
৫ বলে ৫ উইকেট, ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

এসএসসির ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু
এসএসসির ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

৫ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি
৫ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর

২৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রয়লার  ১৬৫–১৭০, মাছেই স্বস্তি খুঁজছেন ক্রেতারা
ব্রয়লার ১৬৫–১৭০, মাছেই স্বস্তি খুঁজছেন ক্রেতারা

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা
বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা
রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার

৫৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ
এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি
একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু
রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি
সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব
মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে
ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব
খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডার পণ্যে ৩৫% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার পণ্যে ৩৫% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা
কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়
পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল
পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল
ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি
ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ
মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী
১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা
রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস
৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া
এসএসসি ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে বগুড়া

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন
‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি
দিনাজপুর বোর্ডে ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ
জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা