শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

প্রিন্ট ভার্সন
দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক ড. এম আতিক রহমান জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা আইপিসিসির চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের অন্যতম লিড অথর। ২০০৭ সালে আইপিসিসি যৌথ নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলে তিনি ছিলেন এর সহ-প্রাপক। তাঁকে ২০০৮ সালের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদফতর তাঁকে ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০০৮’ প্রদান করে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান জয়শ্রী ভাদুড়ী

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়াসন বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে আপনার শিক্ষকতা জীবনের সূচনা। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, সে অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। তরুণ শিক্ষক হিসেবে বেশ ভালোই কাটছিল আমার দিনগুলো। ছাত্রদের সঙ্গে নতুন নতুন ভাবনা বিনিময় করা, গবেষণা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতাম। স্বাধীনতার কিছুদিন পর প্রথম কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে চলে যাই বিলেত। সময়টা ছিল ১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এনার্জি ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে গবেষণা শুরু করি। তারপর ওয়েস্ট লন্ডনের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে সেখান থেকে শিল্প ও ফলিত রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করি। বিশ্বখ্যাত প্রফেসর ব্যাপ্টিস্ট ডোনেটের অধীনে পোস্ট ডক্টরেট করি। তখন থেকে ব্রিটেনসহ অন্য দেশে আমি শিক্ষকতা ও গবেষণা শুরু করি। ১৯৭৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর আমার গবেষণা ক্ষেত্র, চিন্তায় অনেক পরিবর্তন এল। রসায়নের নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আমরা গবেষণা করছিলাম।

শিক্ষকতার দ্বিতীয় পর্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর ছিলাম। তারপর চলে গেলাম যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের টাফট ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে। এর বাইরে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, ডিপ্লোমেসি ও টেকসই উন্নয়নের অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করি। বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইটি), ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএসএর নগর অধ্যয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের টেকসই উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ এবং সাউথ ডায়ালগে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন করেছি। নেদারল্যান্ডসের চ্যালেঞ্জ ফাউন্ডেশনের জন্য স্থায়িত্ব ব্যবস্থাপনা (আইপিএমএস) আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের অনুষদ সদস্য ছিলাম।

 

ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এটি। তিন হাজার এনজিও এ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে। মোটা দাগে বললে বিশ্বের যতগুলো এনজিও জলবায়ু বিষয়ে কাজ করছে তারা প্রায় সবাই এখানকার সদস্য। আমরা অনেকগুলো রিজিওনাল গ্রুপ করেছি। ১৯৯০ সালে ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক ইউএসএ নামে একটি সংগঠন ছিল। আমরা তখন জলবায়ু সম্মেলনে কী লেখা হবে এটা নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা তখন এর রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। আরেকটি চিন্তার বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক ক্ষতির দিকগুলো। এ সময় আমাকে বলা হলো, ‘এশিয়া নিয়ে আঞ্চলিক একটা গ্রুপ করা হবে, তুমি সেটার দায়িত্ব নাও। আমি বললাম এশিয়া মহাদেশ তো বিস্তীর্ণ এলাকা। এ তো সম্ভব নয়, আমি দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারব। তখন ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপে আমার পরিচিত যারা জলবায়ু বিষয়ে কাজ করে তাদের একত্রিত করে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুললাম। তখন বলল, এ কাজে তারা ১০ বছর আমাদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য দেবে। এরপর প্রথমে ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার পর আর কোনো খবর নেই তাদের। আমি বললাম, দেখ আমি যদি কাজে নামি তাহলে কাজ করে যাব। তোমাদের টাকার ভরসায় বসে থাকব না। এরপর আমি সেই সংগঠনকে দাঁড় করালাম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যারা পরিচিত বন্ধুবান্ধব ছিলেন তারাও এগিয়ে এলেন। সবাইকে নিয়ে আমরা একটা উপদেষ্টা কাউন্সিল করলাম। সেখানে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি করা হলো। আমি সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করলাম। ক্লাইমেট এশিয়া নামে আমরা প্রতি তিন মাসে একটি করে নিউজলেটার প্রকাশ করতাম। সেখানে পরিবেশ-জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন রকম চিন্তাধারা ও ঘটনাপ্রবাহ প্রকাশিত হতো। কয়েকটি চিন্তাধারা পৃথিবীব্যাপী আলোচিতও হয়েছিল। এর মধ্যে ইন্টারগভর্নমেন্ট প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জে (আইপিসিসি) উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা খুব কম ছিল। আমরা এটার বিষয়ে আলোচনা তুললাম। তখন বলা হলো, এ ফোরামের প্রতিনিধি মনোনয়ন সরকারি পর্যায় থেকে পাঠানো হয়। তাই দেশের সরকার কাকে পাঠাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তখন সরকারকে বোঝানো হলো, যারা জলবায়ু নিয়ে কাজ করে তাদের সমন্বয়ে সরকারকে জাতির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাঠাতে হবে। পরবর্তীতে কাজের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে আইপিসিসি চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে। এ আন্দোলনটা আমরা দানা বেঁধে বিভিন্ন দেশে ঢোকাতে লাগলাম। এরপর থেকে আইপিসিসিতে উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বাড়তে থাকল। আরেকটি বড় আন্দোলন ছিল ‘অ্যাডাপটেশন’ নিয়ে। বলা হচ্ছিল, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়াতে অর্থাৎ গ্রিন হাউস সৃষ্টিতে যেসব গ্যাস কাজ করছে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। কমিয়ে ফেললেই তাপ কমে যাবে। তখন আমরা বললাম, এটা প্রকৃতি, আবহাওয়া ও জলবায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এতে আমাদের প্লাবন বাড়বে, সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়বে। এরপর এমআইটি থেকে প্রকাশিত একটি জার্নালে লেখা হলো, পৃথিবীর সঞ্চিত বরফ গললে সমুদ্রে পানির উচ্চতা ৩৬ মিটার বেড়ে যাবে। এটা ন্যায়সঙ্গত বক্তব্য। তখন আমরা বললাম, এটা তো একদিনে গলবে না। আমরা একটা গবেষণা শুরু করলাম যে পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে কি হবে? সমুদ্রের পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে বাংলাদেশে কি হবে এটা নিয়ে আমাদের ছাত্ররা গবেষণা শুরু করল। দেখা গেল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকা পানির নিচে চলে যাচ্ছে। এক মিটার বাড়লেই ২ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে। লবণ পানি ঢুকে যাবে স্বাদু পানির নদীগুলোতে। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে এটা নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। একটা ম্যাপ বেরিয়ে এল এ গবেষণা থেকে। এটা পরে আইপিসিসিতে ঢুকে গেল। এটা নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় শুরু হলো। আরেকটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করলাম যে, গ্রিন হাউস গ্যাস তো তৈরি করছে ধনী দেশ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হচ্ছে গরিব মানুষের দেশ। তাহলে যারা এ গ্যাস তৈরির জন্য দায়ী তাদের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই সময় জাতিসংঘে বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের উপস্থিতিতে এ বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছিল। তখন যুক্তিতর্ক পর্যায়ে তাদের আইনবিদরা বললেন, আমাদের পিতামহ কিংবা তাদের পূর্বপুরুষরা যে অন্যায় করে গেছেন তার জন্য আমরা কীভাবে দায়ী হই। কথায় যুক্তি আছে। পূর্বসুরীদের অন্যায়ের সাজা তো উত্তরসুরীদের দেওয়া যায় না। তখন আমরা বললাম তোমাদের কথা ঠিক। কিন্তু তোমরা যদি সেই অপকর্মের ফল এখনো ভোগ করতে থাকো তাহলে তোমাদের এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই দায়িত্ব নিতে হবে। নয়তো শিল্পয়ানের আগে যেমন শহর-গ্রাম ছিল সেটা তোমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এই যুক্তিটা উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের কাছে খুবই কার্যকরী বলে মনো হলো এবং এ দাবি আরও জোরালো হলো। এই যুক্তিতর্কগুলো নিয়ে আস্তে আস্তে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা শুরু হলো। এই তথ্যগুলোর সত্যতা বেড়িয়ে এল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ ধনী মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসতি গড়ে না। এটা ইকোসিস্টেমেই চলে আসছে। এরপর আমরা জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়বিচার বোধ বিষয় নিয়ে যুক্তিতর্ক শুরু করলাম। উন্নত দেশগুলো এটাতে নড়েচড়ে বসল। আমরা জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে উড়িয়ে দিচ্ছি। সেই গ্যাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষ। এটা তো আর নিজ দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এটা নিয়ে এখনো বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি যুক্তিতর্কে জিততে। আমি ততদিনে একটা বিষয় শিখে গেছি যে, যুক্তিতে যদি জিততে হয় তাহলে নিজের মাথাটা নত করে রাখতে হয়। আমি করেছি, আমার চিন্তা থেকে এটা এসেছে এরকম কথা বললে মানুষ পছন্দ করে না। পরিকল্পনাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হলে চিন্তাধারায় ক্ষমতায়িত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিতে হবে। ২০০৭ সালে এসে আইপিসিসি বলা শুরু করল যে মানুষ গ্রিন হাউস গ্যাস সৃষ্টি করছে এবং মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে এ বক্তব্যগুলোকে প্রমাণ করা শুরু হলো। তখন বলা হলো, মনুষ্য সৃষ্ট কারণই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি দায়ী এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। এরপর ক্লাইমেট মাইগ্রেশন নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। সাইক্লোন কিংবা জলোচ্ছ্বাসের কারণে মানুষ বাস্তুহারা হয়ে অভিবাসী হচ্ছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে গত পাঁচ বছরে নানারকমের সাইক্লোন, ঝড়ে অনেক মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় ছেড়ে গেল। তখন নতুন একটা বিষয় সামনে দাঁড়াল যে, জলবায়ু পরিবর্তনে শুধু গরিব না ধনীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ গঠন করলেন কত সালে? আপনাদের কাজ কী?

১৯৮৬ সালে ড. সালিমুল হককে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএএস) গড়ে তুলি। এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছি। আমরা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউএনডিপি, ইউএনডিইএসএ, ইউএনইপি, আইএফএডি, এসক্যাপ, জাতিসংঘ, ইউনিসেফ, ইউনেস্কোসহ একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওর পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছি।

 

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আপনি একাধিক গবেষণা করেছেন। নানা অভিজ্ঞতা আপনার। জলবায়ু তহবিল ব্যবহারে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হওয়া উচিত?

জলবায়ু পরিবর্তন অর্থায়নে দুটো দিক- ক. নিজেদের অর্থ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করতে হবে। আমাদের নিজস্ব দুটো ফান্ড রয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড। এটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি।

খ. বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রিজিলিয়েন্স ফান্ড- এটি বিদেশি সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে। প্রথম ফান্ডে এখন পর্যন্ত ৩৪০ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছে, আর দ্বিতীয় ফান্ডে রয়েছে ১৭০ মিলিয়ন ডলার। প্রথমদিকে আমাদের বুঝতে সমস্যা হয়েছিল। পদ্ধতিগত দিক তৈরিতে কিছু ভুল বোঝাবুঝিও ছিল। এ নিয়ে এখনো অনেক সমালোচনা করা যেতে পারে। তার চেয়ে বড় কথা, আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে আমি ক্ষমতায়ন করলাম; কিন্তু অর্থ এল না, তাহলে লাভ হবে না। অর্থ আনতে দরকার হলে বিদেশিদের চাপ দিতে হবে। জনমত তৈরি করতে হবে। এরই মধ্যে একটি বিষয় দাঁড়িয়ে গেছে, এটাকে বলে ‘এমআরভি’ অর্থাৎ মেজারেবল, রিপোর্টেবল এবং ভেরিফাইয়েবল। প্রথমে আমাদের মাপতে হবে, এরপর রিপোর্ট করতে হবে এবং শেষে সত্যাসত্য যাচাই করতে হবে। তারপর সূচারুভাবে এগুলো পরিমাপ করতে হবে। সেটির রিপোর্ট করতে হবে। এ পদ্ধতিগুলো এগোচ্ছে। এর জন্য হয়তো সময় লাগবে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থপ্রাপ্তির বর্তমান অবস্থান কী?

গ্রিন হাউজ গ্যাস কমাতে হবে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোকে। যত দ্রুত সম্ভব গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎস কমাতে হবে। আস্তে আস্তে বাংলাদেশ শিল্পোন্নত দেশের কাতারে যাচ্ছে। আগে হিসাব ছিল ৩০টি দেশের গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎপাদন কমালেই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ৩০টি দেশ গ্রিন হাউজ গ্যাস তৈরি বাড়াতে শুরু করল। এখন থেকে ৪০ বছর পর বাংলাদেশও এ পর্যায়ে চলে যাবে। তাই এখন থেকে আমাদের সুচিন্তিতভাবে এগোতে হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের অর্থনীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও সুপেয় পানির পর্যাপ্ততা। পানি নিয়ে চারটি সমস্যায় পড়তে হবে, অতিরিক্ত পানি অর্থাৎ বন্যা, পানির স্বল্পতা অথাৎ খড়া, এক ধরনের পানির প্রয়োজনে অন্য পানি আসা এবং অসময়ে বৃষ্টি। জলবায়ু ক্যালেন্ডারের সঙ্গে কৃষির ক্যালেন্ডার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আগে একটা গবেষণায় বলা হচ্ছে এ শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির ওপরে কোনোভাবেই যেতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণায় বলা হচ্ছে, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভয়াবহতা ডেকে আনবে। শিল্প সভ্যতা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শূন্য দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা আমরা বাড়িয়েছি। ২০৭০ সালে এ তাপমাত্রার সীমারেখা আমরা অতিক্রম করে যাব। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে অর্থায়ন প্রয়োজন। এই অর্থ আসবে আন্তর্জাতিকভাবে। এ অর্থ ২০১২ সাল থেকে আসার কথা ছিল কিন্তু প্যারিস চুক্তির ওই অর্থ আসবে ২০২০ সালে। ২০১২ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার বলা হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালে এ টাকার দাম তো কমে যাবে। শিল্পোন্নত দেশ থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দরিদ্র দেশে আসার কথা। এ অর্থ দিয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা উঁচু করতে হবে, বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, দারিদ্রতার হার কমাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে হলে মানুষের সক্ষমতা, অবকাঠামো ভালো করতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, সুপেয় পানি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য সবকিছুতে এগিয়ে যেতে হবে। এক কথায় টেকসই উন্নয়নে এগিয়ে যেতে হবে। যতই আমরা উন্নয়নের চেষ্টা করছি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ততা আমাদের টেনে ধরছে। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়।

 

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে?

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব পড়বে। বন্যা, খরা, ঝড়- এগুলোর মাত্রা বাড়বে। অসময়ে বৃষ্টি হবে। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি- দুটোই হবে। নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সাধারণ অবস্থায় নন-ক্লাইমেটিক রিস্ক অবস্থায় আমাদের যে উন্নয়ন হতো, সেটা এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বাধাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে আমাদের অবস্থা ভালো। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমাদের রয়েছে, বিশেষ করে ধানে। কিন্তু বড় কোনো দুর্যোগ হলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এখন আমাদের এমন পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে বড় কোনো দুর্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়। এটা এক দিনেই হবে না; চাইলেও হবে না। এর জন্য ভাবতে হবে, সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে। এক এলাকা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আরেক এলাকায় যাতে উৎপাদন ব্যাহত না হয়- তার পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

পৃথিবীর খুব কম দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় আছে। এদিক থেকে বাংলাদেশ অনেক সৌভাগ্যবান। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। আমাদের প্রয়োজনে আমরা সেটা করতে পেরেছি। এ মন্ত্রণায়লয় সব রকমের ক্ষতিগ্রস্ততা ও দুর্যোগ পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করছে।

ধন্যবাদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৪ মিনিট আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৪৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ
এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!
মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা
বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন
ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন

নগর জীবন

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

হিতে বিপরীত
হিতে বিপরীত

রকমারি রম্য

জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি
জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

ইচ্ছা হলে হাসুন
ইচ্ছা হলে হাসুন

রকমারি রম্য

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

গরম খাবার
গরম খাবার

রকমারি রম্য

মূল্যবৃদ্ধি
মূল্যবৃদ্ধি

রকমারি রম্য

ভিসেরা প্রতিবেদন পেতে দীর্ঘসূত্রতায় রমেক
ভিসেরা প্রতিবেদন পেতে দীর্ঘসূত্রতায় রমেক

নগর জীবন

রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড
রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়
কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

নগর জীবন

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল
৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

নগর জীবন