শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

প্রিন্ট ভার্সন
দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক ড. এম আতিক রহমান জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা আইপিসিসির চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের অন্যতম লিড অথর। ২০০৭ সালে আইপিসিসি যৌথ নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলে তিনি ছিলেন এর সহ-প্রাপক। তাঁকে ২০০৮ সালের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদফতর তাঁকে ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০০৮’ প্রদান করে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান জয়শ্রী ভাদুড়ী

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়াসন বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে আপনার শিক্ষকতা জীবনের সূচনা। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, সে অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। তরুণ শিক্ষক হিসেবে বেশ ভালোই কাটছিল আমার দিনগুলো। ছাত্রদের সঙ্গে নতুন নতুন ভাবনা বিনিময় করা, গবেষণা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতাম। স্বাধীনতার কিছুদিন পর প্রথম কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে চলে যাই বিলেত। সময়টা ছিল ১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এনার্জি ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে গবেষণা শুরু করি। তারপর ওয়েস্ট লন্ডনের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে সেখান থেকে শিল্প ও ফলিত রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করি। বিশ্বখ্যাত প্রফেসর ব্যাপ্টিস্ট ডোনেটের অধীনে পোস্ট ডক্টরেট করি। তখন থেকে ব্রিটেনসহ অন্য দেশে আমি শিক্ষকতা ও গবেষণা শুরু করি। ১৯৭৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর আমার গবেষণা ক্ষেত্র, চিন্তায় অনেক পরিবর্তন এল। রসায়নের নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আমরা গবেষণা করছিলাম।

শিক্ষকতার দ্বিতীয় পর্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর ছিলাম। তারপর চলে গেলাম যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের টাফট ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে। এর বাইরে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, ডিপ্লোমেসি ও টেকসই উন্নয়নের অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করি। বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইটি), ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএসএর নগর অধ্যয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের টেকসই উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ এবং সাউথ ডায়ালগে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন করেছি। নেদারল্যান্ডসের চ্যালেঞ্জ ফাউন্ডেশনের জন্য স্থায়িত্ব ব্যবস্থাপনা (আইপিএমএস) আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের অনুষদ সদস্য ছিলাম।

 

ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এটি। তিন হাজার এনজিও এ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে। মোটা দাগে বললে বিশ্বের যতগুলো এনজিও জলবায়ু বিষয়ে কাজ করছে তারা প্রায় সবাই এখানকার সদস্য। আমরা অনেকগুলো রিজিওনাল গ্রুপ করেছি। ১৯৯০ সালে ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক ইউএসএ নামে একটি সংগঠন ছিল। আমরা তখন জলবায়ু সম্মেলনে কী লেখা হবে এটা নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা তখন এর রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। আরেকটি চিন্তার বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক ক্ষতির দিকগুলো। এ সময় আমাকে বলা হলো, ‘এশিয়া নিয়ে আঞ্চলিক একটা গ্রুপ করা হবে, তুমি সেটার দায়িত্ব নাও। আমি বললাম এশিয়া মহাদেশ তো বিস্তীর্ণ এলাকা। এ তো সম্ভব নয়, আমি দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারব। তখন ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপে আমার পরিচিত যারা জলবায়ু বিষয়ে কাজ করে তাদের একত্রিত করে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুললাম। তখন বলল, এ কাজে তারা ১০ বছর আমাদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য দেবে। এরপর প্রথমে ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার পর আর কোনো খবর নেই তাদের। আমি বললাম, দেখ আমি যদি কাজে নামি তাহলে কাজ করে যাব। তোমাদের টাকার ভরসায় বসে থাকব না। এরপর আমি সেই সংগঠনকে দাঁড় করালাম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যারা পরিচিত বন্ধুবান্ধব ছিলেন তারাও এগিয়ে এলেন। সবাইকে নিয়ে আমরা একটা উপদেষ্টা কাউন্সিল করলাম। সেখানে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি করা হলো। আমি সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করলাম। ক্লাইমেট এশিয়া নামে আমরা প্রতি তিন মাসে একটি করে নিউজলেটার প্রকাশ করতাম। সেখানে পরিবেশ-জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন রকম চিন্তাধারা ও ঘটনাপ্রবাহ প্রকাশিত হতো। কয়েকটি চিন্তাধারা পৃথিবীব্যাপী আলোচিতও হয়েছিল। এর মধ্যে ইন্টারগভর্নমেন্ট প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জে (আইপিসিসি) উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা খুব কম ছিল। আমরা এটার বিষয়ে আলোচনা তুললাম। তখন বলা হলো, এ ফোরামের প্রতিনিধি মনোনয়ন সরকারি পর্যায় থেকে পাঠানো হয়। তাই দেশের সরকার কাকে পাঠাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তখন সরকারকে বোঝানো হলো, যারা জলবায়ু নিয়ে কাজ করে তাদের সমন্বয়ে সরকারকে জাতির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাঠাতে হবে। পরবর্তীতে কাজের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে আইপিসিসি চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে। এ আন্দোলনটা আমরা দানা বেঁধে বিভিন্ন দেশে ঢোকাতে লাগলাম। এরপর থেকে আইপিসিসিতে উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বাড়তে থাকল। আরেকটি বড় আন্দোলন ছিল ‘অ্যাডাপটেশন’ নিয়ে। বলা হচ্ছিল, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়াতে অর্থাৎ গ্রিন হাউস সৃষ্টিতে যেসব গ্যাস কাজ করছে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। কমিয়ে ফেললেই তাপ কমে যাবে। তখন আমরা বললাম, এটা প্রকৃতি, আবহাওয়া ও জলবায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এতে আমাদের প্লাবন বাড়বে, সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়বে। এরপর এমআইটি থেকে প্রকাশিত একটি জার্নালে লেখা হলো, পৃথিবীর সঞ্চিত বরফ গললে সমুদ্রে পানির উচ্চতা ৩৬ মিটার বেড়ে যাবে। এটা ন্যায়সঙ্গত বক্তব্য। তখন আমরা বললাম, এটা তো একদিনে গলবে না। আমরা একটা গবেষণা শুরু করলাম যে পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে কি হবে? সমুদ্রের পানির উচ্চতা এক মিটার বাড়লে বাংলাদেশে কি হবে এটা নিয়ে আমাদের ছাত্ররা গবেষণা শুরু করল। দেখা গেল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকা পানির নিচে চলে যাচ্ছে। এক মিটার বাড়লেই ২ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে। লবণ পানি ঢুকে যাবে স্বাদু পানির নদীগুলোতে। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে এটা নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। একটা ম্যাপ বেরিয়ে এল এ গবেষণা থেকে। এটা পরে আইপিসিসিতে ঢুকে গেল। এটা নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় শুরু হলো। আরেকটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করলাম যে, গ্রিন হাউস গ্যাস তো তৈরি করছে ধনী দেশ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হচ্ছে গরিব মানুষের দেশ। তাহলে যারা এ গ্যাস তৈরির জন্য দায়ী তাদের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই সময় জাতিসংঘে বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের উপস্থিতিতে এ বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছিল। তখন যুক্তিতর্ক পর্যায়ে তাদের আইনবিদরা বললেন, আমাদের পিতামহ কিংবা তাদের পূর্বপুরুষরা যে অন্যায় করে গেছেন তার জন্য আমরা কীভাবে দায়ী হই। কথায় যুক্তি আছে। পূর্বসুরীদের অন্যায়ের সাজা তো উত্তরসুরীদের দেওয়া যায় না। তখন আমরা বললাম তোমাদের কথা ঠিক। কিন্তু তোমরা যদি সেই অপকর্মের ফল এখনো ভোগ করতে থাকো তাহলে তোমাদের এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই দায়িত্ব নিতে হবে। নয়তো শিল্পয়ানের আগে যেমন শহর-গ্রাম ছিল সেটা তোমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এই যুক্তিটা উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের কাছে খুবই কার্যকরী বলে মনো হলো এবং এ দাবি আরও জোরালো হলো। এই যুক্তিতর্কগুলো নিয়ে আস্তে আস্তে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা শুরু হলো। এই তথ্যগুলোর সত্যতা বেড়িয়ে এল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ ধনী মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসতি গড়ে না। এটা ইকোসিস্টেমেই চলে আসছে। এরপর আমরা জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়বিচার বোধ বিষয় নিয়ে যুক্তিতর্ক শুরু করলাম। উন্নত দেশগুলো এটাতে নড়েচড়ে বসল। আমরা জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে উড়িয়ে দিচ্ছি। সেই গ্যাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষ। এটা তো আর নিজ দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এটা নিয়ে এখনো বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি যুক্তিতর্কে জিততে। আমি ততদিনে একটা বিষয় শিখে গেছি যে, যুক্তিতে যদি জিততে হয় তাহলে নিজের মাথাটা নত করে রাখতে হয়। আমি করেছি, আমার চিন্তা থেকে এটা এসেছে এরকম কথা বললে মানুষ পছন্দ করে না। পরিকল্পনাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হলে চিন্তাধারায় ক্ষমতায়িত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিতে হবে। ২০০৭ সালে এসে আইপিসিসি বলা শুরু করল যে মানুষ গ্রিন হাউস গ্যাস সৃষ্টি করছে এবং মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে এ বক্তব্যগুলোকে প্রমাণ করা শুরু হলো। তখন বলা হলো, মনুষ্য সৃষ্ট কারণই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি দায়ী এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। এরপর ক্লাইমেট মাইগ্রেশন নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। সাইক্লোন কিংবা জলোচ্ছ্বাসের কারণে মানুষ বাস্তুহারা হয়ে অভিবাসী হচ্ছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে গত পাঁচ বছরে নানারকমের সাইক্লোন, ঝড়ে অনেক মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় ছেড়ে গেল। তখন নতুন একটা বিষয় সামনে দাঁড়াল যে, জলবায়ু পরিবর্তনে শুধু গরিব না ধনীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ গঠন করলেন কত সালে? আপনাদের কাজ কী?

১৯৮৬ সালে ড. সালিমুল হককে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএএস) গড়ে তুলি। এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছি। আমরা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউএনডিপি, ইউএনডিইএসএ, ইউএনইপি, আইএফএডি, এসক্যাপ, জাতিসংঘ, ইউনিসেফ, ইউনেস্কোসহ একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওর পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছি।

 

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আপনি একাধিক গবেষণা করেছেন। নানা অভিজ্ঞতা আপনার। জলবায়ু তহবিল ব্যবহারে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হওয়া উচিত?

জলবায়ু পরিবর্তন অর্থায়নে দুটো দিক- ক. নিজেদের অর্থ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করতে হবে। আমাদের নিজস্ব দুটো ফান্ড রয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড। এটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি।

খ. বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রিজিলিয়েন্স ফান্ড- এটি বিদেশি সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে। প্রথম ফান্ডে এখন পর্যন্ত ৩৪০ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছে, আর দ্বিতীয় ফান্ডে রয়েছে ১৭০ মিলিয়ন ডলার। প্রথমদিকে আমাদের বুঝতে সমস্যা হয়েছিল। পদ্ধতিগত দিক তৈরিতে কিছু ভুল বোঝাবুঝিও ছিল। এ নিয়ে এখনো অনেক সমালোচনা করা যেতে পারে। তার চেয়ে বড় কথা, আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে আমি ক্ষমতায়ন করলাম; কিন্তু অর্থ এল না, তাহলে লাভ হবে না। অর্থ আনতে দরকার হলে বিদেশিদের চাপ দিতে হবে। জনমত তৈরি করতে হবে। এরই মধ্যে একটি বিষয় দাঁড়িয়ে গেছে, এটাকে বলে ‘এমআরভি’ অর্থাৎ মেজারেবল, রিপোর্টেবল এবং ভেরিফাইয়েবল। প্রথমে আমাদের মাপতে হবে, এরপর রিপোর্ট করতে হবে এবং শেষে সত্যাসত্য যাচাই করতে হবে। তারপর সূচারুভাবে এগুলো পরিমাপ করতে হবে। সেটির রিপোর্ট করতে হবে। এ পদ্ধতিগুলো এগোচ্ছে। এর জন্য হয়তো সময় লাগবে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থপ্রাপ্তির বর্তমান অবস্থান কী?

গ্রিন হাউজ গ্যাস কমাতে হবে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোকে। যত দ্রুত সম্ভব গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎস কমাতে হবে। আস্তে আস্তে বাংলাদেশ শিল্পোন্নত দেশের কাতারে যাচ্ছে। আগে হিসাব ছিল ৩০টি দেশের গ্রিন হাউজ গ্যাসের উৎপাদন কমালেই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ৩০টি দেশ গ্রিন হাউজ গ্যাস তৈরি বাড়াতে শুরু করল। এখন থেকে ৪০ বছর পর বাংলাদেশও এ পর্যায়ে চলে যাবে। তাই এখন থেকে আমাদের সুচিন্তিতভাবে এগোতে হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের অর্থনীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও সুপেয় পানির পর্যাপ্ততা। পানি নিয়ে চারটি সমস্যায় পড়তে হবে, অতিরিক্ত পানি অর্থাৎ বন্যা, পানির স্বল্পতা অথাৎ খড়া, এক ধরনের পানির প্রয়োজনে অন্য পানি আসা এবং অসময়ে বৃষ্টি। জলবায়ু ক্যালেন্ডারের সঙ্গে কৃষির ক্যালেন্ডার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আগে একটা গবেষণায় বলা হচ্ছে এ শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির ওপরে কোনোভাবেই যেতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণায় বলা হচ্ছে, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভয়াবহতা ডেকে আনবে। শিল্প সভ্যতা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শূন্য দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা আমরা বাড়িয়েছি। ২০৭০ সালে এ তাপমাত্রার সীমারেখা আমরা অতিক্রম করে যাব। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে অর্থায়ন প্রয়োজন। এই অর্থ আসবে আন্তর্জাতিকভাবে। এ অর্থ ২০১২ সাল থেকে আসার কথা ছিল কিন্তু প্যারিস চুক্তির ওই অর্থ আসবে ২০২০ সালে। ২০১২ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার বলা হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালে এ টাকার দাম তো কমে যাবে। শিল্পোন্নত দেশ থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দরিদ্র দেশে আসার কথা। এ অর্থ দিয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা উঁচু করতে হবে, বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, দারিদ্রতার হার কমাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ততা কমাতে হলে মানুষের সক্ষমতা, অবকাঠামো ভালো করতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে, সুপেয় পানি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য সবকিছুতে এগিয়ে যেতে হবে। এক কথায় টেকসই উন্নয়নে এগিয়ে যেতে হবে। যতই আমরা উন্নয়নের চেষ্টা করছি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ততা আমাদের টেনে ধরছে। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। দুর্যোগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়।

 

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে?

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব পড়বে। বন্যা, খরা, ঝড়- এগুলোর মাত্রা বাড়বে। অসময়ে বৃষ্টি হবে। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি- দুটোই হবে। নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সাধারণ অবস্থায় নন-ক্লাইমেটিক রিস্ক অবস্থায় আমাদের যে উন্নয়ন হতো, সেটা এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বাধাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। খাদ্য উৎপাদনে আমাদের অবস্থা ভালো। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমাদের রয়েছে, বিশেষ করে ধানে। কিন্তু বড় কোনো দুর্যোগ হলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এখন আমাদের এমন পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে বড় কোনো দুর্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন থেমে না যায়। এটা এক দিনেই হবে না; চাইলেও হবে না। এর জন্য ভাবতে হবে, সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে। এক এলাকা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আরেক এলাকায় যাতে উৎপাদন ব্যাহত না হয়- তার পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

পৃথিবীর খুব কম দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় আছে। এদিক থেকে বাংলাদেশ অনেক সৌভাগ্যবান। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। আমাদের প্রয়োজনে আমরা সেটা করতে পেরেছি। এ মন্ত্রণায়লয় সব রকমের ক্ষতিগ্রস্ততা ও দুর্যোগ পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করছে।

ধন্যবাদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন অফিসে অবস্থান কর্মসূচি
বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন অফিসে অবস্থান কর্মসূচি

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বুয়েটের সঙ্গে জিপিএইচ ইস্পাতের সমঝোতা স্মারক সই
বুয়েটের সঙ্গে জিপিএইচ ইস্পাতের সমঝোতা স্মারক সই

৩ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ভোটদান নিয়ে মতবিনিময় সভা
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ভোটদান নিয়ে মতবিনিময় সভা

৮ মিনিট আগে | পরবাস

বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত
বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

স্যার জন উইলসন স্কুলের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন
স্যার জন উইলসন স্কুলের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন

৩৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নিখোঁজের তিন দিন পর নদী থেকে লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের তিন দিন পর নদী থেকে লাশ উদ্ধার

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

৪৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতে নারীদের ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি, মৃত্যুহার বেশি পুরুষের
ভারতে নারীদের ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি, মৃত্যুহার বেশি পুরুষের

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর চবি, দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ প্রার্থী
চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর চবি, দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ প্রার্থী

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

‘ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য’
‘ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের
ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন
মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩
কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি
উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫
প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার
খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে
কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩
ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস
পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি
ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজামুখী ত্রাণবহরে যোগ দিচ্ছে গ্রিসের দুই জাহাজ
গাজামুখী ত্রাণবহরে যোগ দিচ্ছে গ্রিসের দুই জাহাজ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে
দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থনীতিতে নারীর অদৃশ্য ঘাম
অর্থনীতিতে নারীর অদৃশ্য ঘাম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন