শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা ছেলেবেলায় শিখেছি

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ
প্রিন্ট ভার্সন
শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা ছেলেবেলায় শিখেছি

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে তৎকালীন হাবিব ব্যাংকে যোগ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে অবসর নেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান

 

আপনি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছিলেন। কেমন ছিল আপনার ছেলেবেলা?

আমার বাবার নাম খোন্দকার আহসান উদ্দিন আহমেদ। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। দাদার নাম খোন্দকার আফছার উদ্দিন আহমেদ। তিনিও চাকরি করতেন। আমাদের পরিবারটাই চাকরিজীবী পরিবার। আমার মনে হয় আমার প্রথম শিক্ষা হয়েছিল পারিবারিক পরিবেশে। ভাই-বোন, বাবা-মা, চাচা-চাচি, মামা-খালা, দাদা-দাদি সবাই মিলে বৃহত্তর পরিবারে পষড়ংব রহঃবৎধপঃরড়হ হতো। খুব মজার একটি ব্যাপার মনে পড়ে। আত্মীয়স্বজন, গৃহভৃত্যসহ বাড়িতে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো মানুষ একসঙ্গে থাকতাম। আমার দাদি ছিলেন বাড়ির ব্যবস্থাপনার প্রধান। মা ছিলেন সহকারী। ৪০ জন লোক তো একসঙ্গে খাওয়া যায় না। খাবার ঘরে ঘণ্টা বাঁধা ছিল। দাদি একটা ঘণ্টা দিলেই নির্ধারিত ব্যক্তিরা খেতে আসতেন। তারা চলে গেলে, দুটি ঘণ্টা দেওয়া হতো। এভাবে খাওয়া চলতে থাকত। আরেকটি মজার ব্যাপার বলি। ছোটবেলায় দাদা জীবিত থাকতে দাদাই ছিলেন বাড়ির মুরব্বি। তাঁর কথাই সবাই মেনে নিত। তিনিই পরিবারের প্রধান। বাবাও তাঁর কথা মেনে চলতেন।

 

আপনার জন্ম গোপালগঞ্জে?

আমার জন্ম হয়েছিল গোপালগঞ্জ শহরে। তখন ওটা ছিল মহকুমা সদর, এখন জেলা সদর। ঈদের সময় দর্জির দোকানে আমরা যেতাম না। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য দর্জি আমাদের বাসায় আসতেন এবং দাদা ভাই তখন থান হিসেবে পাঞ্জাবি এবং পায়জামার কাপড় কিনে আনতেন। আমাদের বাড়িতে চাকর বলাটা নিষেধ ছিল। বয়স্ক হলে কাকা ডাকতে হতো। বয়স কম হলে, ভাই ডাকতে হতো। ছোট হলে নাম ধরে ডাকা যেত। তারা যে কাপড় থেকে পায়জামা এবং পাঞ্জাবি পেত, আমার বাবাও ওই একই কাপড় থেকে পায়জামা-পাঞ্জাবি পেতেন। দাদা ভাই নিজেও একই কাপড় নিতেন। কোনো ব্যতিক্রম হতো না। খাবারের ব্যাপারেও বৈষম্য করা হতো না। সবার জন্য ছোট ছোট পেয়ালায় মাছ-তরকারি থাকত। বড় গামলায় ভাত থাকত। সবার জন্য একই খাবার। ছোটবেলার এই পরিবেশই আমাদের শিখিয়েছে মানুষ সবাই সমান। এটা কেউ উচ্চারণ করে বলেনি। কিন্তু প্রদর্শন করেছেন সবাই সমান এবং বড় হলে তাকে সম্মান করতে হয়। আমার এখনো মনে আছে আমাদের গরু পালনের জন্য যিনি ছিলেন, তার নাম ছিল ওয়াহেদ আলী। লেখাপড়া কিছুই জানতেন না। স্বাভাবিকভাবেই গোচারণ করাই তার কাজ ছিল। অনেকগুলো গরু ছিল। তিনি গরু চরাতেন। তাকে আমরা রীতিমতো সমীহ করে চলতাম। তিনি যখন কিছু বলতেন সেটা অনেকটা মুরব্বির কথা বলার মতোই। আজকেও মনে পড়ে তিনি বা আমিন কাকু গৃহ সহকারী হলেও তারা যখন কিছু বলতেন, ঠিক একজন মুরব্বির মতোই বলতেন। এ পরিবেশ এখন নেই। এখন চাকরকে চাকর-বাকর বলা হয়। গৃহস্বামীর সন্তানদের সঙ্গে তাদের  বৈষম্যও দৃশ্যমান।

 

পড়াশোনা কি গোপালগঞ্জে?

পড়াশোনার জন্য প্রথম ভর্তি হয়েছিলাম গোপালগঞ্জের সীতানাথ একাডেমিতে। স্কুলটি এখন আর নেই। মথুরানাথ ইনস্টিটিউট নামে আরেকটি স্কুল ছিল শহরে। যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পড়তেন। পরবর্তীতে স্কুল দুটি একত্রীভূত হয়েছে। নাম ুরাখা হয়েছে ঝ.গ গড়ফবষ ঐরময ঝপযড়ড়ষ অর্থাৎ সীতানাথ মথুরানাথ মডেল হাই স্কুল। এসএম মডেল হাই স্কুল থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করি। তারপর আমি ঢাকা কলেজে পড়ি। স্কুলজীবনের কিছু ঘটনা বলব, যা আমার এখনো মনে দাগ কেটে আছে। আমাদের সময় শিক্ষকরা ছিলেন ভিন্ন ধরনের মানুষ। জ্যোতিষ বাবু ছিলেন আমার অঙ্কের শিক্ষক, সদরুদ্দিন স্যার ছিলেন ইংরেজির শিক্ষক। অনেকেরই নাম মনে পড়ে। আমি ক্লাসে ফার্স্ট হতাম। পরীক্ষার কিছু আগে বিশেষ কোনো কোনো শিক্ষক আমাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যেতেন। অনেক সময় ধরে পড়াতেন। তখন তো প্রাইভেট টিউটর ছিল না। আমরা প্রাইভেট পড়তাম না। বাসায় নিয়ে শিক্ষকরা আমাদের কোচিং করাতেন এবং নাস্তা খাওয়াতেন খুব আদরের সঙ্গে। এর বিনিময়ে শিক্ষককে পয়সা দেওয়ার সাহস আমাদের ছিল না। ওই ধারণাও ছিল না। শিক্ষককে পয়সা দিতে হয় এ ধারণা অনেক পরে এসেছে আমার। বাবা বলতেন যে, শিক্ষক যখন ডাকবেন তখন যাবি এবং যতক্ষণ পড়াবেন মনোযোগ দিয়ে পড়বি তার ঘরে গিয়ে। তারা পিতৃস্নেহে নিয়ে পড়াতেন। পরীক্ষার ফল বেরুনোর পর বাবা বলতেন, ‘যা শিক্ষকের দোয়া নিয়ে আয়।’ আমাদের অনেক বড় বাড়ি ছিল। কয়েক বিঘা নিয়ে বাগান ছিল। বাড়ির গাছের ফল নিয়ে বাজার থেকে মিষ্টি কিনে এনে একটা বড় ডালা সাজিয়ে সেটা স্যারের বাসায় নিয়ে যেতাম। কী খুশি হতেন স্যার। বাড়ির সামনে থেকেই চিৎকার দিয়ে উঠতেন, এই তোরা আয়, ইব্রাহিম ভালো রেজাল্ট করেছে। মিষ্টি নিয়ে এসেছে। বলে ওখানেই পড়শিদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ শুরু করতেন স্যার। শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা তখন থেকেই আমার এসেছে। এটা আমার স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতা।

 

ছেলেবেলায় আপনার জীবনে কার প্রভাব বেশি ছিল?

আমার যতদূর মনে পড়ে, আমার ওপর আমার বাবার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। আরও ছোট বয়সে দাদার প্রভাবটাও প্রচণ্ড ছিল। দাদা একদিকে ইংরেজি শিক্ষিত, অন্যদিকে আরবি-ফার্সি জানতেন ভালো। আধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি ছিলেন অগ্রসর মানুষ। আমি পরে বুঝেছি। এটুকু মনে পড়ে যে, ১৯৪৭ সালের আগে-পরে বেশ দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছিল। গোপালগঞ্জ ছিল হিন্দুপ্রধান এলাকা। অনেক উচ্চবর্ণের হিন্দু ছিলেন শহরে। তারা মুসলিমদের মধ্যে একমাত্র আমাদের বাড়িতে আসতেন। অন্যদের বাড়িতে সাধারণত যেতেন না। অন্য ধর্মের লোকজন দাদা ভাইকে মান্য করতেন। দাদা ভাইয়ের উদার মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতার জন্যই তিনি ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয়। ছেচল্লিশে দুই বাংলায় যখন দাঙ্গা লেগেছিল, তখনো আমাদের বাড়ি আক্রান্ত হয়নি। বরং আমাদের বাড়িতে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে আশ্রয় গ্রহণ করতেন দাঙ্গার সময়ে। একটা রাতের কথা মনে পড়ছে, তখনকার দিনে ছাত্রদের হোস্টেল ছিল না। যারা পড়াশোনা করত তারা জায়গির থাকত। আমাদের বাড়িতে অনেকেই জায়গির থাকতেন। তাদের আমরা কাকু ডাকতাম। মোসলেম কাকু ও অন্যরা খুব বড় বড় রামদা নিয়ে পাহারা দিতেন। ভিতরে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে যারা আশ্রয় নিতেন, তাদের আগলে রাখা হতো। এমনটা স্বাধীনতার পরেও একবার ঘটেছিল। তখন দাদা বেঁচে ছিলেন না। সেবার বাবাই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখন হামলা ছিল শুধু হিন্দুদের উপরে।

এসএন একাডেমির প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু নরেন দাশগুপ্ত। খুব স্নেহ করতেন আমাকে। উনি ছিলেন জমিদার নন্দন। বড় চাকরি পেয়েছিলেন। ত্যাগ করেছিলেন শিক্ষক হবেন বলে। তিনি গোপনে কলকাতা চলে গিয়েছিলেন দাঙ্গা-হাঙ্গামায় ভীতু হয়ে। আমি এই কষ্টটা আজও ভুলতে পারছি না। তখন মনে জিজ্ঞাসা জাগত, এরকম কেন হয়? এরা চলে যাচ্ছেন কেন? এদের মারছে কেন? সদুত্তর পাইনি। মা বলতেন, দুষ্ট লোকেরা হাঙ্গামা করে। সবাই তো ভালো মানুষ নয়। হিন্দুরা চলে গেলে জমিজমা দখল করতে পারবে, এসব কারণে ওরা দাঙ্গা করে। মা-বাবা, দাদা-দাদি, সব সময়ই বলতেন, কখনো মিথ্যা বলতে হয় না। কাউকে তার অবর্তমানে নিন্দা করতে হয় না। আমরা যদি কখনো আমাদের ক্লাসমেটদের সম্পর্কেও মন্দ কিছু বলতে যেতাম, সঙ্গে সঙ্গে মা গম্ভীর হয়ে যেতেন। বলতেন, কারও সম্বন্ধে খারাপ কথা বলতে হয় না।

 

আপনাদের পরিবারের সঙ্গে তো বঙ্গবন্ধুর  ঘনিষ্ঠতা ছিল।

স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছি। আমাদের বাড়ির একটা রাস্তার পরেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। ওখানে একটা ঘর ছিল। ওই ঘরটাতে তিনি থাকতেন। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন। আমার দাদাভাইকে তিনি খুব সম্মান করতেন। কলেজে বাবা সিনিয়র ছিলেন কিন্তু বাবার সঙ্গে তাঁর হৃদ্যতা ছিল। তিনি যখন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়তেন, আমি তখন ছোট। তখনো গোপালগঞ্জে এলেই আমাদের বাড়িতে আসতেন এবং আমাকে নিয়ে আমগাছতলায় যেতেন। একটা আম গাছ ছিল তিনি ওটাকে বলতেন চুকা-মিঠা আম গাছ। ওই গাছের আম ছিল টক-মিষ্টি। তিনি ছিলেন লম্বা মানুষ। একটা লুঙ্গি পরে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে আসতেন। আমাকে কোলে বসিয়ে আম কেটে কেটে নিজেও খেতেন-আমাকেও খাওয়াতেন। এই স্মৃতিটা খুব মনে পড়ে। আমাদের বাড়িতে একটা নিয়মিত মাসিক অনুষ্ঠান হতো। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘এগারই শরীফ’। চন্দ্রমাসের এগারো তারিখে মিলাদ হতো। বড় পীর সাহেবের স্মরণে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল সামাজিক অনুষ্ঠানে রূপ নিত। সেখানে অনেকেই আসতেন। হিন্দুদের মধ্যেও কেউ কেউ আসতেন। হামদ, নাত, বড় পীর সাহেবের প্রশস্তি গাওয়া হতো মধুর সুরে। সম্প্রীতির অনুষ্ঠানে পরিণত হতো মিলাদ মাহফিল। দাদি নিজেই মিলাদের শিরনি পাকাতেন। সাধারণ পায়েস পাক করা হতো। গোপালগঞ্জে অবস্থান করলে বঙ্গবন্ধু আসতেন মিলাদ মাহফিলে। অনেকবার এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার আমার ছোট ভাইকে দেখেই বলে উঠেছিলেন, ‘তোর দাদির পাক করা পায়েসের স্বাদ মুখে লেগে আছে’। শৈশবে সহজ-সরল এ বিরাট মানুষটি আমাদের বড়ই আপনজন ছিলেন।

 

আপনার বাবা-মা সবাই তো ধার্মিক ছিলেন।

আমাদের পরিবারে ধার্মিকতা ছিল। ধর্মান্ধতা ছিল না। প্রবীণ সদস্যরা ধর্ম পালন করতেন। ধর্মীয় আচার-আচরণ মান্য করতেন। কিন্তু অন্য ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করতে দেখিনি কখনো। দাদাভাই আধ্যাত্মিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। অবসর জীবনে গরিব রোগীদের বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করতেন। কলকাতা থেকে হোমিওপ্যাথিক এবং বায়োকেমিক ওষুধ কিনে আনতেন তিনি। লোকজন নিয়মিতভাবে তার কাছে আসতেন চিকিৎসা গ্রহণের জন্য। দোয়া-দরুদ দিয়েও চিকিৎসা করতেন তিনি। প্লিহা চিকিৎসায় তিনি ছিলেন অনন্য। পরিষ্কার মাটি দিয়ে একটি প্লেট তৈরি করতেন। প্লিহা রোগীকে শুইয়ে তার পেটের ওপর মাটির প্লেটটি রাখতেন। মাটির প্লেটটির ওপর কাঁচি দিয়ে কী যেন লিখতেন। তারপর লেখাসহ কাঁচামাটির প্লেটটি ছাদের ওপর রোদে রেখে দিতেন। রোদে প্লেটটি শুকিয়ে যেত। সঙ্গে সঙ্গে রোগীর প্লিহা সেরে যেত। স্ফীত পেট স্বাভাবিক হয়ে যেত। এটি আমার চাক্ষুষ দেখা। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে রোগীরা দাদা-ভাইয়ের কাছে চিকিৎসা নিতে আসতেন।

আমাদের স্কুলটা ছেলেদের। মেয়েদের জন্য আলাদা গার্লস স্কুল ছিল। সহশিক্ষা তখন আমাদের এলাকায় ছিল না। ইংরেজি ভাষাটা স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতে বাবার কাছ থেকেও শিখেছি। বাড়িতে বাংলা সংবাদপত্র এবং ইংরেজি ম্যাগাজিন আসত। আমি আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। বাবা উৎসাহ দিতেন ইংরেজিতে লেখার জন্য। বাংলায় লেখার ঝোঁক ছোটবেলা থেকেই। তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছি তখন। প্রথম আমার একটা লেখা ছাপা হয় ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার ‘মুকুলের মাহফিল’ পাতায়। কবিতার নাম ছিল ‘চাঁদ’। কয়েক বছর পর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ছোটদের পাতা ‘কচি-কাঁচার আসরে’ আমার অনেক লেখা ছাপা হয়েছিল। বেশ কিছু রম্য রচনাও ছিল।

 

ভাষা আন্দোলনের মিছিলে আপনি গিয়েছেন। মহুকুমা সদরে কেমন ছিল আপনাদের আন্দোলন।

মনে পড়ে ১৯৫২ সালের কথা। গোপালগঞ্জের মতো শান্ত শহরে আগে মিছিল হতো না। কিন্তু ’৫২ সালে আমরা প্রতিবাদী মিছিল করেছি। আমি পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। উপরের ক্লাসের ৯-১০ জন ছাত্র এসে বলল, ‘এখন আর বসে থাকা যাবে না। ঢাকায় ছাত্রদের গুলি করে মেরেছে। বাংলায় নাকি কথা বলতে দেবে না। এটা সহ্য করা যায় না।’ কাল সকালে প্রভাতফেরি হবে। খুব ভোরে যখন আজান দেয় তখন খালি পায়ে আমরা সবাই মিলে যাব প্রভাতফেরিতে। হারমোনিয়াম থাকবে। গান গাইতে গাইতে আমরা শহর প্রদক্ষিণ করব। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এতে কী হবে? জ্যেষ্ঠ ছাত্ররা বলল, এটা একটি প্রতিবাদ। প্রভাতফেরির পর সকাল ১০টায় আমরা বিরাট মিছিল বের করলাম। আমার এখনো মনে আছে, গোপালগঞ্জ শহরে এত বড় মিছিল আর কোনো দিন হয়নি। বড়রাও যোগদান করলেন। ছাত্ররাও এল। সেখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় আধা মাইল লম্বা মিছিল। হঠাৎ মিছিলটা থেমে গেল। আমাদের নেতৃস্থানীয় ছাত্ররা এসে বলল, পেছন দিকে কারা যেন একটা গণ্ডগোল শুরু করেছে। তারপর দেখা গেল, তৎকালীন মুসলিম লীগের ১০-১২ জন কর্মী স্লোগান দিচ্ছিল। আমরা স্লোগান দিচ্ছি ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আর ওরা দিচ্ছিল ‘আরবি হরফে বাংলা লেখা চাই’। আমরা ধর ধর ধ্বনি দিয়ে তাদের ধরে ফেললাম। তাদের উত্তম-মধ্যম দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়েছিল।

 

ব্যাংকিং পেশায় যোগ দিলেন কেন?

আমি ব্যাংকিং পেশায় যোগ দিয়েছিলাম লেখাপড়া শেষ করে, ১৯৬৩ সালে। অথচ কখনই এমনটা আমি ভাবিনি। কলেজে পড়ার সময় একজন অধ্যাপক আমাকে একদিন একটা চেক ভাঙিয়ে আনতে বলেন। এই প্রথম আমার ব্যাংক দর্শন। সেদিন ব্যাংক আমার ভালো লাগেনি। পরবর্তীতে ব্যাংকের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম নিছক শখ করে। পরীক্ষায় ভালো করেছিলাম। চাকরিও পেয়ে গেলাম। যোগদানও করে ফেললাম।

 

কচি-কাঁচার মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন কি স্কুল জীবন থেকে?

স্কুল থেকে কলেজে গিয়ে এক ধরনের পরিবর্তন বা উত্তরণ ঘটেছিল। স্কুলজীবন থেকেই ইত্তেফাকের কচি-কাঁচার আসরে লেখা পাঠাতাম এবং তা ছাপাও হতো। কচি-কাঁচার আসরকে কেন্দ্র করে ১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর একটা সংগঠন হলো ‘কচি-কাঁচার মেলা’। শিশু-কিশোরদের নিয়ে শিশু-কিশোরদের একটি সংগঠন। যেখানে তারা আবৃত্তি শিখবে, গল্প বলা শিখবে, গান শিখবে, নাচ শিখবে, নাটক শিখবে অথবা ব্রতচারী নৃত্য করবে। আমি সেটাতে যুক্ত হয়ে পড়লাম একেবারে প্রথম থেকেই। রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ছিলেন মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। কচি-কাঁচার আসরেরও সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি আমাকে লেখালেখির মাধ্যমেই চিনেছেন। ’৫৭, ৫৮, ৫৯ তিন বছরের জন্য আমি ওই সংগঠনের শিশু আহ্বায়ক ছিলাম। এভাবেই আমি সংগঠনের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়লাম। এতদিন চিন্তারাজ্যে বিচরণ করে গল্প-প্রবন্ধ লিখতাম। এখন সবাইকে নিয়ে কাজ করতে শুরু করলাম।

বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবো, এমন ভাবনা আমার ছিল না। আমার আনন্দ ছিল সবার মাঝে সবাইকে নিয়ে চলার মধ্যে। আমার কেমন যেন মনে হতো, যাদের নিয়ে থাকব তারা যেন আমাকে আপন ভাবে। ছোটবেলা থেকেই প্রবণতা ছিল, মানুষকে নিয়ে চলা, মানুষকে মানুষ জ্ঞান করা, কাউকে ছোট মনে না করা। কেউ বিপদে পড়লে আমরা তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। আজও আমার ভাই-বোনদের মধ্যেও এই প্রবণতা রয়েছে।

 

সম্প্রতি কী নিয়ে ব্যস্ত?

নিজের পড়াশোনা আর কচি-কাঁচার মেলা  নিয়ে ব্যস্ত।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ২৪ বিলিয়নের ঘরে
আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ২৪ বিলিয়নের ঘরে

১৩ সেকেন্ড আগে | অর্থনীতি

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত

৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

কেন টেক্সাসের বন্যা এতো ভয়াবহ হলো?
কেন টেক্সাসের বন্যা এতো ভয়াবহ হলো?

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নীলফামারীতে অস্বচ্ছল ৩৪ সংস্কৃতিসেবীর
মধ্যে মাসিক কল্যাণ ভাতার চেক বিতরণ
নীলফামারীতে অস্বচ্ছল ৩৪ সংস্কৃতিসেবীর মধ্যে মাসিক কল্যাণ ভাতার চেক বিতরণ

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে ইরানের নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১ হাজার
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে ইরানের নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১ হাজার

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
বাংলাদেশ শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা বুধবার, ভালো কিছুর প্রত্যাশা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা বুধবার, ভালো কিছুর প্রত্যাশা

৩৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে হবিগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে হবিগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

৩৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই
চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

৪৬ মিনিট আগে | শোবিজ

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচি
বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচি

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাজহার, সম্পাদক আবির
কুবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাজহার, সম্পাদক আবির

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি, দুর্ভোগ চরমে
নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি, দুর্ভোগ চরমে

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে একটি বহুতল ভবনে আগুন
চট্টগ্রামে একটি বহুতল ভবনে আগুন

৫৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিতে আগ্রহী : প্রেস সচিব
উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিতে আগ্রহী : প্রেস সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ থেকে চালু হচ্ছে ‘পাঠাও পে’
আজ থেকে চালু হচ্ছে ‘পাঠাও পে’

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো
সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এইচওডি-পিআরডি হলেন প্রদীপ্ত মোবারক
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এইচওডি-পিআরডি হলেন প্রদীপ্ত মোবারক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন ফিচার যুক্ত করলো হোয়াটসঅ্যাপ
নতুন ফিচার যুক্ত করলো হোয়াটসঅ্যাপ

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টাঙ্গাইলে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
টাঙ্গাইলে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হ্যাক হয় বেশি কোন ধরনের পাসওয়ার্ড?
হ্যাক হয় বেশি কোন ধরনের পাসওয়ার্ড?

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফেনীতে ভারী বর্ষণ, মুহুরীর পাড়ে ভাঙন, শহরে জলাবদ্ধতা
ফেনীতে ভারী বর্ষণ, মুহুরীর পাড়ে ভাঙন, শহরে জলাবদ্ধতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়নের সুপারিশ নেতানিয়াহুর
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়নের সুপারিশ নেতানিয়াহুর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক
নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক
১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা
চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত
ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

১০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে
পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে

খবর

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার
কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার

মাঠে ময়দানে

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

মাঠে ময়দানে

খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি
খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

নগর জীবন