শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা ছেলেবেলায় শিখেছি

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ
প্রিন্ট ভার্সন
শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা ছেলেবেলায় শিখেছি

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে তৎকালীন হাবিব ব্যাংকে যোগ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে অবসর নেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান

 

আপনি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছিলেন। কেমন ছিল আপনার ছেলেবেলা?

আমার বাবার নাম খোন্দকার আহসান উদ্দিন আহমেদ। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। দাদার নাম খোন্দকার আফছার উদ্দিন আহমেদ। তিনিও চাকরি করতেন। আমাদের পরিবারটাই চাকরিজীবী পরিবার। আমার মনে হয় আমার প্রথম শিক্ষা হয়েছিল পারিবারিক পরিবেশে। ভাই-বোন, বাবা-মা, চাচা-চাচি, মামা-খালা, দাদা-দাদি সবাই মিলে বৃহত্তর পরিবারে পষড়ংব রহঃবৎধপঃরড়হ হতো। খুব মজার একটি ব্যাপার মনে পড়ে। আত্মীয়স্বজন, গৃহভৃত্যসহ বাড়িতে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো মানুষ একসঙ্গে থাকতাম। আমার দাদি ছিলেন বাড়ির ব্যবস্থাপনার প্রধান। মা ছিলেন সহকারী। ৪০ জন লোক তো একসঙ্গে খাওয়া যায় না। খাবার ঘরে ঘণ্টা বাঁধা ছিল। দাদি একটা ঘণ্টা দিলেই নির্ধারিত ব্যক্তিরা খেতে আসতেন। তারা চলে গেলে, দুটি ঘণ্টা দেওয়া হতো। এভাবে খাওয়া চলতে থাকত। আরেকটি মজার ব্যাপার বলি। ছোটবেলায় দাদা জীবিত থাকতে দাদাই ছিলেন বাড়ির মুরব্বি। তাঁর কথাই সবাই মেনে নিত। তিনিই পরিবারের প্রধান। বাবাও তাঁর কথা মেনে চলতেন।

 

আপনার জন্ম গোপালগঞ্জে?

আমার জন্ম হয়েছিল গোপালগঞ্জ শহরে। তখন ওটা ছিল মহকুমা সদর, এখন জেলা সদর। ঈদের সময় দর্জির দোকানে আমরা যেতাম না। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য দর্জি আমাদের বাসায় আসতেন এবং দাদা ভাই তখন থান হিসেবে পাঞ্জাবি এবং পায়জামার কাপড় কিনে আনতেন। আমাদের বাড়িতে চাকর বলাটা নিষেধ ছিল। বয়স্ক হলে কাকা ডাকতে হতো। বয়স কম হলে, ভাই ডাকতে হতো। ছোট হলে নাম ধরে ডাকা যেত। তারা যে কাপড় থেকে পায়জামা এবং পাঞ্জাবি পেত, আমার বাবাও ওই একই কাপড় থেকে পায়জামা-পাঞ্জাবি পেতেন। দাদা ভাই নিজেও একই কাপড় নিতেন। কোনো ব্যতিক্রম হতো না। খাবারের ব্যাপারেও বৈষম্য করা হতো না। সবার জন্য ছোট ছোট পেয়ালায় মাছ-তরকারি থাকত। বড় গামলায় ভাত থাকত। সবার জন্য একই খাবার। ছোটবেলার এই পরিবেশই আমাদের শিখিয়েছে মানুষ সবাই সমান। এটা কেউ উচ্চারণ করে বলেনি। কিন্তু প্রদর্শন করেছেন সবাই সমান এবং বড় হলে তাকে সম্মান করতে হয়। আমার এখনো মনে আছে আমাদের গরু পালনের জন্য যিনি ছিলেন, তার নাম ছিল ওয়াহেদ আলী। লেখাপড়া কিছুই জানতেন না। স্বাভাবিকভাবেই গোচারণ করাই তার কাজ ছিল। অনেকগুলো গরু ছিল। তিনি গরু চরাতেন। তাকে আমরা রীতিমতো সমীহ করে চলতাম। তিনি যখন কিছু বলতেন সেটা অনেকটা মুরব্বির কথা বলার মতোই। আজকেও মনে পড়ে তিনি বা আমিন কাকু গৃহ সহকারী হলেও তারা যখন কিছু বলতেন, ঠিক একজন মুরব্বির মতোই বলতেন। এ পরিবেশ এখন নেই। এখন চাকরকে চাকর-বাকর বলা হয়। গৃহস্বামীর সন্তানদের সঙ্গে তাদের  বৈষম্যও দৃশ্যমান।

 

পড়াশোনা কি গোপালগঞ্জে?

পড়াশোনার জন্য প্রথম ভর্তি হয়েছিলাম গোপালগঞ্জের সীতানাথ একাডেমিতে। স্কুলটি এখন আর নেই। মথুরানাথ ইনস্টিটিউট নামে আরেকটি স্কুল ছিল শহরে। যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পড়তেন। পরবর্তীতে স্কুল দুটি একত্রীভূত হয়েছে। নাম ুরাখা হয়েছে ঝ.গ গড়ফবষ ঐরময ঝপযড়ড়ষ অর্থাৎ সীতানাথ মথুরানাথ মডেল হাই স্কুল। এসএম মডেল হাই স্কুল থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করি। তারপর আমি ঢাকা কলেজে পড়ি। স্কুলজীবনের কিছু ঘটনা বলব, যা আমার এখনো মনে দাগ কেটে আছে। আমাদের সময় শিক্ষকরা ছিলেন ভিন্ন ধরনের মানুষ। জ্যোতিষ বাবু ছিলেন আমার অঙ্কের শিক্ষক, সদরুদ্দিন স্যার ছিলেন ইংরেজির শিক্ষক। অনেকেরই নাম মনে পড়ে। আমি ক্লাসে ফার্স্ট হতাম। পরীক্ষার কিছু আগে বিশেষ কোনো কোনো শিক্ষক আমাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যেতেন। অনেক সময় ধরে পড়াতেন। তখন তো প্রাইভেট টিউটর ছিল না। আমরা প্রাইভেট পড়তাম না। বাসায় নিয়ে শিক্ষকরা আমাদের কোচিং করাতেন এবং নাস্তা খাওয়াতেন খুব আদরের সঙ্গে। এর বিনিময়ে শিক্ষককে পয়সা দেওয়ার সাহস আমাদের ছিল না। ওই ধারণাও ছিল না। শিক্ষককে পয়সা দিতে হয় এ ধারণা অনেক পরে এসেছে আমার। বাবা বলতেন যে, শিক্ষক যখন ডাকবেন তখন যাবি এবং যতক্ষণ পড়াবেন মনোযোগ দিয়ে পড়বি তার ঘরে গিয়ে। তারা পিতৃস্নেহে নিয়ে পড়াতেন। পরীক্ষার ফল বেরুনোর পর বাবা বলতেন, ‘যা শিক্ষকের দোয়া নিয়ে আয়।’ আমাদের অনেক বড় বাড়ি ছিল। কয়েক বিঘা নিয়ে বাগান ছিল। বাড়ির গাছের ফল নিয়ে বাজার থেকে মিষ্টি কিনে এনে একটা বড় ডালা সাজিয়ে সেটা স্যারের বাসায় নিয়ে যেতাম। কী খুশি হতেন স্যার। বাড়ির সামনে থেকেই চিৎকার দিয়ে উঠতেন, এই তোরা আয়, ইব্রাহিম ভালো রেজাল্ট করেছে। মিষ্টি নিয়ে এসেছে। বলে ওখানেই পড়শিদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ শুরু করতেন স্যার। শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা তখন থেকেই আমার এসেছে। এটা আমার স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতা।

 

ছেলেবেলায় আপনার জীবনে কার প্রভাব বেশি ছিল?

আমার যতদূর মনে পড়ে, আমার ওপর আমার বাবার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। আরও ছোট বয়সে দাদার প্রভাবটাও প্রচণ্ড ছিল। দাদা একদিকে ইংরেজি শিক্ষিত, অন্যদিকে আরবি-ফার্সি জানতেন ভালো। আধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি ছিলেন অগ্রসর মানুষ। আমি পরে বুঝেছি। এটুকু মনে পড়ে যে, ১৯৪৭ সালের আগে-পরে বেশ দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছিল। গোপালগঞ্জ ছিল হিন্দুপ্রধান এলাকা। অনেক উচ্চবর্ণের হিন্দু ছিলেন শহরে। তারা মুসলিমদের মধ্যে একমাত্র আমাদের বাড়িতে আসতেন। অন্যদের বাড়িতে সাধারণত যেতেন না। অন্য ধর্মের লোকজন দাদা ভাইকে মান্য করতেন। দাদা ভাইয়ের উদার মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতার জন্যই তিনি ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয়। ছেচল্লিশে দুই বাংলায় যখন দাঙ্গা লেগেছিল, তখনো আমাদের বাড়ি আক্রান্ত হয়নি। বরং আমাদের বাড়িতে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে আশ্রয় গ্রহণ করতেন দাঙ্গার সময়ে। একটা রাতের কথা মনে পড়ছে, তখনকার দিনে ছাত্রদের হোস্টেল ছিল না। যারা পড়াশোনা করত তারা জায়গির থাকত। আমাদের বাড়িতে অনেকেই জায়গির থাকতেন। তাদের আমরা কাকু ডাকতাম। মোসলেম কাকু ও অন্যরা খুব বড় বড় রামদা নিয়ে পাহারা দিতেন। ভিতরে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে যারা আশ্রয় নিতেন, তাদের আগলে রাখা হতো। এমনটা স্বাধীনতার পরেও একবার ঘটেছিল। তখন দাদা বেঁচে ছিলেন না। সেবার বাবাই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখন হামলা ছিল শুধু হিন্দুদের উপরে।

এসএন একাডেমির প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু নরেন দাশগুপ্ত। খুব স্নেহ করতেন আমাকে। উনি ছিলেন জমিদার নন্দন। বড় চাকরি পেয়েছিলেন। ত্যাগ করেছিলেন শিক্ষক হবেন বলে। তিনি গোপনে কলকাতা চলে গিয়েছিলেন দাঙ্গা-হাঙ্গামায় ভীতু হয়ে। আমি এই কষ্টটা আজও ভুলতে পারছি না। তখন মনে জিজ্ঞাসা জাগত, এরকম কেন হয়? এরা চলে যাচ্ছেন কেন? এদের মারছে কেন? সদুত্তর পাইনি। মা বলতেন, দুষ্ট লোকেরা হাঙ্গামা করে। সবাই তো ভালো মানুষ নয়। হিন্দুরা চলে গেলে জমিজমা দখল করতে পারবে, এসব কারণে ওরা দাঙ্গা করে। মা-বাবা, দাদা-দাদি, সব সময়ই বলতেন, কখনো মিথ্যা বলতে হয় না। কাউকে তার অবর্তমানে নিন্দা করতে হয় না। আমরা যদি কখনো আমাদের ক্লাসমেটদের সম্পর্কেও মন্দ কিছু বলতে যেতাম, সঙ্গে সঙ্গে মা গম্ভীর হয়ে যেতেন। বলতেন, কারও সম্বন্ধে খারাপ কথা বলতে হয় না।

 

আপনাদের পরিবারের সঙ্গে তো বঙ্গবন্ধুর  ঘনিষ্ঠতা ছিল।

স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছি। আমাদের বাড়ির একটা রাস্তার পরেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। ওখানে একটা ঘর ছিল। ওই ঘরটাতে তিনি থাকতেন। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন। আমার দাদাভাইকে তিনি খুব সম্মান করতেন। কলেজে বাবা সিনিয়র ছিলেন কিন্তু বাবার সঙ্গে তাঁর হৃদ্যতা ছিল। তিনি যখন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়তেন, আমি তখন ছোট। তখনো গোপালগঞ্জে এলেই আমাদের বাড়িতে আসতেন এবং আমাকে নিয়ে আমগাছতলায় যেতেন। একটা আম গাছ ছিল তিনি ওটাকে বলতেন চুকা-মিঠা আম গাছ। ওই গাছের আম ছিল টক-মিষ্টি। তিনি ছিলেন লম্বা মানুষ। একটা লুঙ্গি পরে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে আসতেন। আমাকে কোলে বসিয়ে আম কেটে কেটে নিজেও খেতেন-আমাকেও খাওয়াতেন। এই স্মৃতিটা খুব মনে পড়ে। আমাদের বাড়িতে একটা নিয়মিত মাসিক অনুষ্ঠান হতো। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘এগারই শরীফ’। চন্দ্রমাসের এগারো তারিখে মিলাদ হতো। বড় পীর সাহেবের স্মরণে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল সামাজিক অনুষ্ঠানে রূপ নিত। সেখানে অনেকেই আসতেন। হিন্দুদের মধ্যেও কেউ কেউ আসতেন। হামদ, নাত, বড় পীর সাহেবের প্রশস্তি গাওয়া হতো মধুর সুরে। সম্প্রীতির অনুষ্ঠানে পরিণত হতো মিলাদ মাহফিল। দাদি নিজেই মিলাদের শিরনি পাকাতেন। সাধারণ পায়েস পাক করা হতো। গোপালগঞ্জে অবস্থান করলে বঙ্গবন্ধু আসতেন মিলাদ মাহফিলে। অনেকবার এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার আমার ছোট ভাইকে দেখেই বলে উঠেছিলেন, ‘তোর দাদির পাক করা পায়েসের স্বাদ মুখে লেগে আছে’। শৈশবে সহজ-সরল এ বিরাট মানুষটি আমাদের বড়ই আপনজন ছিলেন।

 

আপনার বাবা-মা সবাই তো ধার্মিক ছিলেন।

আমাদের পরিবারে ধার্মিকতা ছিল। ধর্মান্ধতা ছিল না। প্রবীণ সদস্যরা ধর্ম পালন করতেন। ধর্মীয় আচার-আচরণ মান্য করতেন। কিন্তু অন্য ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করতে দেখিনি কখনো। দাদাভাই আধ্যাত্মিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। অবসর জীবনে গরিব রোগীদের বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করতেন। কলকাতা থেকে হোমিওপ্যাথিক এবং বায়োকেমিক ওষুধ কিনে আনতেন তিনি। লোকজন নিয়মিতভাবে তার কাছে আসতেন চিকিৎসা গ্রহণের জন্য। দোয়া-দরুদ দিয়েও চিকিৎসা করতেন তিনি। প্লিহা চিকিৎসায় তিনি ছিলেন অনন্য। পরিষ্কার মাটি দিয়ে একটি প্লেট তৈরি করতেন। প্লিহা রোগীকে শুইয়ে তার পেটের ওপর মাটির প্লেটটি রাখতেন। মাটির প্লেটটির ওপর কাঁচি দিয়ে কী যেন লিখতেন। তারপর লেখাসহ কাঁচামাটির প্লেটটি ছাদের ওপর রোদে রেখে দিতেন। রোদে প্লেটটি শুকিয়ে যেত। সঙ্গে সঙ্গে রোগীর প্লিহা সেরে যেত। স্ফীত পেট স্বাভাবিক হয়ে যেত। এটি আমার চাক্ষুষ দেখা। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে রোগীরা দাদা-ভাইয়ের কাছে চিকিৎসা নিতে আসতেন।

আমাদের স্কুলটা ছেলেদের। মেয়েদের জন্য আলাদা গার্লস স্কুল ছিল। সহশিক্ষা তখন আমাদের এলাকায় ছিল না। ইংরেজি ভাষাটা স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতে বাবার কাছ থেকেও শিখেছি। বাড়িতে বাংলা সংবাদপত্র এবং ইংরেজি ম্যাগাজিন আসত। আমি আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। বাবা উৎসাহ দিতেন ইংরেজিতে লেখার জন্য। বাংলায় লেখার ঝোঁক ছোটবেলা থেকেই। তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছি তখন। প্রথম আমার একটা লেখা ছাপা হয় ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার ‘মুকুলের মাহফিল’ পাতায়। কবিতার নাম ছিল ‘চাঁদ’। কয়েক বছর পর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ছোটদের পাতা ‘কচি-কাঁচার আসরে’ আমার অনেক লেখা ছাপা হয়েছিল। বেশ কিছু রম্য রচনাও ছিল।

 

ভাষা আন্দোলনের মিছিলে আপনি গিয়েছেন। মহুকুমা সদরে কেমন ছিল আপনাদের আন্দোলন।

মনে পড়ে ১৯৫২ সালের কথা। গোপালগঞ্জের মতো শান্ত শহরে আগে মিছিল হতো না। কিন্তু ’৫২ সালে আমরা প্রতিবাদী মিছিল করেছি। আমি পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। উপরের ক্লাসের ৯-১০ জন ছাত্র এসে বলল, ‘এখন আর বসে থাকা যাবে না। ঢাকায় ছাত্রদের গুলি করে মেরেছে। বাংলায় নাকি কথা বলতে দেবে না। এটা সহ্য করা যায় না।’ কাল সকালে প্রভাতফেরি হবে। খুব ভোরে যখন আজান দেয় তখন খালি পায়ে আমরা সবাই মিলে যাব প্রভাতফেরিতে। হারমোনিয়াম থাকবে। গান গাইতে গাইতে আমরা শহর প্রদক্ষিণ করব। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এতে কী হবে? জ্যেষ্ঠ ছাত্ররা বলল, এটা একটি প্রতিবাদ। প্রভাতফেরির পর সকাল ১০টায় আমরা বিরাট মিছিল বের করলাম। আমার এখনো মনে আছে, গোপালগঞ্জ শহরে এত বড় মিছিল আর কোনো দিন হয়নি। বড়রাও যোগদান করলেন। ছাত্ররাও এল। সেখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় আধা মাইল লম্বা মিছিল। হঠাৎ মিছিলটা থেমে গেল। আমাদের নেতৃস্থানীয় ছাত্ররা এসে বলল, পেছন দিকে কারা যেন একটা গণ্ডগোল শুরু করেছে। তারপর দেখা গেল, তৎকালীন মুসলিম লীগের ১০-১২ জন কর্মী স্লোগান দিচ্ছিল। আমরা স্লোগান দিচ্ছি ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আর ওরা দিচ্ছিল ‘আরবি হরফে বাংলা লেখা চাই’। আমরা ধর ধর ধ্বনি দিয়ে তাদের ধরে ফেললাম। তাদের উত্তম-মধ্যম দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়েছিল।

 

ব্যাংকিং পেশায় যোগ দিলেন কেন?

আমি ব্যাংকিং পেশায় যোগ দিয়েছিলাম লেখাপড়া শেষ করে, ১৯৬৩ সালে। অথচ কখনই এমনটা আমি ভাবিনি। কলেজে পড়ার সময় একজন অধ্যাপক আমাকে একদিন একটা চেক ভাঙিয়ে আনতে বলেন। এই প্রথম আমার ব্যাংক দর্শন। সেদিন ব্যাংক আমার ভালো লাগেনি। পরবর্তীতে ব্যাংকের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম নিছক শখ করে। পরীক্ষায় ভালো করেছিলাম। চাকরিও পেয়ে গেলাম। যোগদানও করে ফেললাম।

 

কচি-কাঁচার মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন কি স্কুল জীবন থেকে?

স্কুল থেকে কলেজে গিয়ে এক ধরনের পরিবর্তন বা উত্তরণ ঘটেছিল। স্কুলজীবন থেকেই ইত্তেফাকের কচি-কাঁচার আসরে লেখা পাঠাতাম এবং তা ছাপাও হতো। কচি-কাঁচার আসরকে কেন্দ্র করে ১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর একটা সংগঠন হলো ‘কচি-কাঁচার মেলা’। শিশু-কিশোরদের নিয়ে শিশু-কিশোরদের একটি সংগঠন। যেখানে তারা আবৃত্তি শিখবে, গল্প বলা শিখবে, গান শিখবে, নাচ শিখবে, নাটক শিখবে অথবা ব্রতচারী নৃত্য করবে। আমি সেটাতে যুক্ত হয়ে পড়লাম একেবারে প্রথম থেকেই। রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ছিলেন মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। কচি-কাঁচার আসরেরও সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি আমাকে লেখালেখির মাধ্যমেই চিনেছেন। ’৫৭, ৫৮, ৫৯ তিন বছরের জন্য আমি ওই সংগঠনের শিশু আহ্বায়ক ছিলাম। এভাবেই আমি সংগঠনের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়লাম। এতদিন চিন্তারাজ্যে বিচরণ করে গল্প-প্রবন্ধ লিখতাম। এখন সবাইকে নিয়ে কাজ করতে শুরু করলাম।

বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবো, এমন ভাবনা আমার ছিল না। আমার আনন্দ ছিল সবার মাঝে সবাইকে নিয়ে চলার মধ্যে। আমার কেমন যেন মনে হতো, যাদের নিয়ে থাকব তারা যেন আমাকে আপন ভাবে। ছোটবেলা থেকেই প্রবণতা ছিল, মানুষকে নিয়ে চলা, মানুষকে মানুষ জ্ঞান করা, কাউকে ছোট মনে না করা। কেউ বিপদে পড়লে আমরা তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। আজও আমার ভাই-বোনদের মধ্যেও এই প্রবণতা রয়েছে।

 

সম্প্রতি কী নিয়ে ব্যস্ত?

নিজের পড়াশোনা আর কচি-কাঁচার মেলা  নিয়ে ব্যস্ত।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর চবি, দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ প্রার্থী
চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর চবি, দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ প্রার্থী

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

১৯ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

‘ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য’
‘ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য’

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের
ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন
মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩
কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি
উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫
প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার
খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে
কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩
ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে: চসিক মেয়র
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে: চসিক মেয়র

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাইতিতে গ্যাং হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক
হাইতিতে গ্যাং হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’
‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিনিয়োগ পেতে পরামর্শকের কথায় বিদেশে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারিত উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা
বিনিয়োগ পেতে পরামর্শকের কথায় বিদেশে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারিত উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস
পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি
ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে
দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন