শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা ছেলেবেলায় শিখেছি

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ
প্রিন্ট ভার্সন
শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা ছেলেবেলায় শিখেছি

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে তৎকালীন হাবিব ব্যাংকে যোগ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে অবসর নেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান

 

আপনি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছিলেন। কেমন ছিল আপনার ছেলেবেলা?

আমার বাবার নাম খোন্দকার আহসান উদ্দিন আহমেদ। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। দাদার নাম খোন্দকার আফছার উদ্দিন আহমেদ। তিনিও চাকরি করতেন। আমাদের পরিবারটাই চাকরিজীবী পরিবার। আমার মনে হয় আমার প্রথম শিক্ষা হয়েছিল পারিবারিক পরিবেশে। ভাই-বোন, বাবা-মা, চাচা-চাচি, মামা-খালা, দাদা-দাদি সবাই মিলে বৃহত্তর পরিবারে পষড়ংব রহঃবৎধপঃরড়হ হতো। খুব মজার একটি ব্যাপার মনে পড়ে। আত্মীয়স্বজন, গৃহভৃত্যসহ বাড়িতে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো মানুষ একসঙ্গে থাকতাম। আমার দাদি ছিলেন বাড়ির ব্যবস্থাপনার প্রধান। মা ছিলেন সহকারী। ৪০ জন লোক তো একসঙ্গে খাওয়া যায় না। খাবার ঘরে ঘণ্টা বাঁধা ছিল। দাদি একটা ঘণ্টা দিলেই নির্ধারিত ব্যক্তিরা খেতে আসতেন। তারা চলে গেলে, দুটি ঘণ্টা দেওয়া হতো। এভাবে খাওয়া চলতে থাকত। আরেকটি মজার ব্যাপার বলি। ছোটবেলায় দাদা জীবিত থাকতে দাদাই ছিলেন বাড়ির মুরব্বি। তাঁর কথাই সবাই মেনে নিত। তিনিই পরিবারের প্রধান। বাবাও তাঁর কথা মেনে চলতেন।

 

আপনার জন্ম গোপালগঞ্জে?

আমার জন্ম হয়েছিল গোপালগঞ্জ শহরে। তখন ওটা ছিল মহকুমা সদর, এখন জেলা সদর। ঈদের সময় দর্জির দোকানে আমরা যেতাম না। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য দর্জি আমাদের বাসায় আসতেন এবং দাদা ভাই তখন থান হিসেবে পাঞ্জাবি এবং পায়জামার কাপড় কিনে আনতেন। আমাদের বাড়িতে চাকর বলাটা নিষেধ ছিল। বয়স্ক হলে কাকা ডাকতে হতো। বয়স কম হলে, ভাই ডাকতে হতো। ছোট হলে নাম ধরে ডাকা যেত। তারা যে কাপড় থেকে পায়জামা এবং পাঞ্জাবি পেত, আমার বাবাও ওই একই কাপড় থেকে পায়জামা-পাঞ্জাবি পেতেন। দাদা ভাই নিজেও একই কাপড় নিতেন। কোনো ব্যতিক্রম হতো না। খাবারের ব্যাপারেও বৈষম্য করা হতো না। সবার জন্য ছোট ছোট পেয়ালায় মাছ-তরকারি থাকত। বড় গামলায় ভাত থাকত। সবার জন্য একই খাবার। ছোটবেলার এই পরিবেশই আমাদের শিখিয়েছে মানুষ সবাই সমান। এটা কেউ উচ্চারণ করে বলেনি। কিন্তু প্রদর্শন করেছেন সবাই সমান এবং বড় হলে তাকে সম্মান করতে হয়। আমার এখনো মনে আছে আমাদের গরু পালনের জন্য যিনি ছিলেন, তার নাম ছিল ওয়াহেদ আলী। লেখাপড়া কিছুই জানতেন না। স্বাভাবিকভাবেই গোচারণ করাই তার কাজ ছিল। অনেকগুলো গরু ছিল। তিনি গরু চরাতেন। তাকে আমরা রীতিমতো সমীহ করে চলতাম। তিনি যখন কিছু বলতেন সেটা অনেকটা মুরব্বির কথা বলার মতোই। আজকেও মনে পড়ে তিনি বা আমিন কাকু গৃহ সহকারী হলেও তারা যখন কিছু বলতেন, ঠিক একজন মুরব্বির মতোই বলতেন। এ পরিবেশ এখন নেই। এখন চাকরকে চাকর-বাকর বলা হয়। গৃহস্বামীর সন্তানদের সঙ্গে তাদের  বৈষম্যও দৃশ্যমান।

 

পড়াশোনা কি গোপালগঞ্জে?

পড়াশোনার জন্য প্রথম ভর্তি হয়েছিলাম গোপালগঞ্জের সীতানাথ একাডেমিতে। স্কুলটি এখন আর নেই। মথুরানাথ ইনস্টিটিউট নামে আরেকটি স্কুল ছিল শহরে। যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পড়তেন। পরবর্তীতে স্কুল দুটি একত্রীভূত হয়েছে। নাম ুরাখা হয়েছে ঝ.গ গড়ফবষ ঐরময ঝপযড়ড়ষ অর্থাৎ সীতানাথ মথুরানাথ মডেল হাই স্কুল। এসএম মডেল হাই স্কুল থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করি। তারপর আমি ঢাকা কলেজে পড়ি। স্কুলজীবনের কিছু ঘটনা বলব, যা আমার এখনো মনে দাগ কেটে আছে। আমাদের সময় শিক্ষকরা ছিলেন ভিন্ন ধরনের মানুষ। জ্যোতিষ বাবু ছিলেন আমার অঙ্কের শিক্ষক, সদরুদ্দিন স্যার ছিলেন ইংরেজির শিক্ষক। অনেকেরই নাম মনে পড়ে। আমি ক্লাসে ফার্স্ট হতাম। পরীক্ষার কিছু আগে বিশেষ কোনো কোনো শিক্ষক আমাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যেতেন। অনেক সময় ধরে পড়াতেন। তখন তো প্রাইভেট টিউটর ছিল না। আমরা প্রাইভেট পড়তাম না। বাসায় নিয়ে শিক্ষকরা আমাদের কোচিং করাতেন এবং নাস্তা খাওয়াতেন খুব আদরের সঙ্গে। এর বিনিময়ে শিক্ষককে পয়সা দেওয়ার সাহস আমাদের ছিল না। ওই ধারণাও ছিল না। শিক্ষককে পয়সা দিতে হয় এ ধারণা অনেক পরে এসেছে আমার। বাবা বলতেন যে, শিক্ষক যখন ডাকবেন তখন যাবি এবং যতক্ষণ পড়াবেন মনোযোগ দিয়ে পড়বি তার ঘরে গিয়ে। তারা পিতৃস্নেহে নিয়ে পড়াতেন। পরীক্ষার ফল বেরুনোর পর বাবা বলতেন, ‘যা শিক্ষকের দোয়া নিয়ে আয়।’ আমাদের অনেক বড় বাড়ি ছিল। কয়েক বিঘা নিয়ে বাগান ছিল। বাড়ির গাছের ফল নিয়ে বাজার থেকে মিষ্টি কিনে এনে একটা বড় ডালা সাজিয়ে সেটা স্যারের বাসায় নিয়ে যেতাম। কী খুশি হতেন স্যার। বাড়ির সামনে থেকেই চিৎকার দিয়ে উঠতেন, এই তোরা আয়, ইব্রাহিম ভালো রেজাল্ট করেছে। মিষ্টি নিয়ে এসেছে। বলে ওখানেই পড়শিদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ শুরু করতেন স্যার। শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা তখন থেকেই আমার এসেছে। এটা আমার স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতা।

 

ছেলেবেলায় আপনার জীবনে কার প্রভাব বেশি ছিল?

আমার যতদূর মনে পড়ে, আমার ওপর আমার বাবার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। আরও ছোট বয়সে দাদার প্রভাবটাও প্রচণ্ড ছিল। দাদা একদিকে ইংরেজি শিক্ষিত, অন্যদিকে আরবি-ফার্সি জানতেন ভালো। আধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি ছিলেন অগ্রসর মানুষ। আমি পরে বুঝেছি। এটুকু মনে পড়ে যে, ১৯৪৭ সালের আগে-পরে বেশ দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছিল। গোপালগঞ্জ ছিল হিন্দুপ্রধান এলাকা। অনেক উচ্চবর্ণের হিন্দু ছিলেন শহরে। তারা মুসলিমদের মধ্যে একমাত্র আমাদের বাড়িতে আসতেন। অন্যদের বাড়িতে সাধারণত যেতেন না। অন্য ধর্মের লোকজন দাদা ভাইকে মান্য করতেন। দাদা ভাইয়ের উদার মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতার জন্যই তিনি ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয়। ছেচল্লিশে দুই বাংলায় যখন দাঙ্গা লেগেছিল, তখনো আমাদের বাড়ি আক্রান্ত হয়নি। বরং আমাদের বাড়িতে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে আশ্রয় গ্রহণ করতেন দাঙ্গার সময়ে। একটা রাতের কথা মনে পড়ছে, তখনকার দিনে ছাত্রদের হোস্টেল ছিল না। যারা পড়াশোনা করত তারা জায়গির থাকত। আমাদের বাড়িতে অনেকেই জায়গির থাকতেন। তাদের আমরা কাকু ডাকতাম। মোসলেম কাকু ও অন্যরা খুব বড় বড় রামদা নিয়ে পাহারা দিতেন। ভিতরে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে যারা আশ্রয় নিতেন, তাদের আগলে রাখা হতো। এমনটা স্বাধীনতার পরেও একবার ঘটেছিল। তখন দাদা বেঁচে ছিলেন না। সেবার বাবাই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখন হামলা ছিল শুধু হিন্দুদের উপরে।

এসএন একাডেমির প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু নরেন দাশগুপ্ত। খুব স্নেহ করতেন আমাকে। উনি ছিলেন জমিদার নন্দন। বড় চাকরি পেয়েছিলেন। ত্যাগ করেছিলেন শিক্ষক হবেন বলে। তিনি গোপনে কলকাতা চলে গিয়েছিলেন দাঙ্গা-হাঙ্গামায় ভীতু হয়ে। আমি এই কষ্টটা আজও ভুলতে পারছি না। তখন মনে জিজ্ঞাসা জাগত, এরকম কেন হয়? এরা চলে যাচ্ছেন কেন? এদের মারছে কেন? সদুত্তর পাইনি। মা বলতেন, দুষ্ট লোকেরা হাঙ্গামা করে। সবাই তো ভালো মানুষ নয়। হিন্দুরা চলে গেলে জমিজমা দখল করতে পারবে, এসব কারণে ওরা দাঙ্গা করে। মা-বাবা, দাদা-দাদি, সব সময়ই বলতেন, কখনো মিথ্যা বলতে হয় না। কাউকে তার অবর্তমানে নিন্দা করতে হয় না। আমরা যদি কখনো আমাদের ক্লাসমেটদের সম্পর্কেও মন্দ কিছু বলতে যেতাম, সঙ্গে সঙ্গে মা গম্ভীর হয়ে যেতেন। বলতেন, কারও সম্বন্ধে খারাপ কথা বলতে হয় না।

 

আপনাদের পরিবারের সঙ্গে তো বঙ্গবন্ধুর  ঘনিষ্ঠতা ছিল।

স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছি। আমাদের বাড়ির একটা রাস্তার পরেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। ওখানে একটা ঘর ছিল। ওই ঘরটাতে তিনি থাকতেন। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন। আমার দাদাভাইকে তিনি খুব সম্মান করতেন। কলেজে বাবা সিনিয়র ছিলেন কিন্তু বাবার সঙ্গে তাঁর হৃদ্যতা ছিল। তিনি যখন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়তেন, আমি তখন ছোট। তখনো গোপালগঞ্জে এলেই আমাদের বাড়িতে আসতেন এবং আমাকে নিয়ে আমগাছতলায় যেতেন। একটা আম গাছ ছিল তিনি ওটাকে বলতেন চুকা-মিঠা আম গাছ। ওই গাছের আম ছিল টক-মিষ্টি। তিনি ছিলেন লম্বা মানুষ। একটা লুঙ্গি পরে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে আসতেন। আমাকে কোলে বসিয়ে আম কেটে কেটে নিজেও খেতেন-আমাকেও খাওয়াতেন। এই স্মৃতিটা খুব মনে পড়ে। আমাদের বাড়িতে একটা নিয়মিত মাসিক অনুষ্ঠান হতো। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘এগারই শরীফ’। চন্দ্রমাসের এগারো তারিখে মিলাদ হতো। বড় পীর সাহেবের স্মরণে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল সামাজিক অনুষ্ঠানে রূপ নিত। সেখানে অনেকেই আসতেন। হিন্দুদের মধ্যেও কেউ কেউ আসতেন। হামদ, নাত, বড় পীর সাহেবের প্রশস্তি গাওয়া হতো মধুর সুরে। সম্প্রীতির অনুষ্ঠানে পরিণত হতো মিলাদ মাহফিল। দাদি নিজেই মিলাদের শিরনি পাকাতেন। সাধারণ পায়েস পাক করা হতো। গোপালগঞ্জে অবস্থান করলে বঙ্গবন্ধু আসতেন মিলাদ মাহফিলে। অনেকবার এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার আমার ছোট ভাইকে দেখেই বলে উঠেছিলেন, ‘তোর দাদির পাক করা পায়েসের স্বাদ মুখে লেগে আছে’। শৈশবে সহজ-সরল এ বিরাট মানুষটি আমাদের বড়ই আপনজন ছিলেন।

 

আপনার বাবা-মা সবাই তো ধার্মিক ছিলেন।

আমাদের পরিবারে ধার্মিকতা ছিল। ধর্মান্ধতা ছিল না। প্রবীণ সদস্যরা ধর্ম পালন করতেন। ধর্মীয় আচার-আচরণ মান্য করতেন। কিন্তু অন্য ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করতে দেখিনি কখনো। দাদাভাই আধ্যাত্মিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। অবসর জীবনে গরিব রোগীদের বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করতেন। কলকাতা থেকে হোমিওপ্যাথিক এবং বায়োকেমিক ওষুধ কিনে আনতেন তিনি। লোকজন নিয়মিতভাবে তার কাছে আসতেন চিকিৎসা গ্রহণের জন্য। দোয়া-দরুদ দিয়েও চিকিৎসা করতেন তিনি। প্লিহা চিকিৎসায় তিনি ছিলেন অনন্য। পরিষ্কার মাটি দিয়ে একটি প্লেট তৈরি করতেন। প্লিহা রোগীকে শুইয়ে তার পেটের ওপর মাটির প্লেটটি রাখতেন। মাটির প্লেটটির ওপর কাঁচি দিয়ে কী যেন লিখতেন। তারপর লেখাসহ কাঁচামাটির প্লেটটি ছাদের ওপর রোদে রেখে দিতেন। রোদে প্লেটটি শুকিয়ে যেত। সঙ্গে সঙ্গে রোগীর প্লিহা সেরে যেত। স্ফীত পেট স্বাভাবিক হয়ে যেত। এটি আমার চাক্ষুষ দেখা। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে রোগীরা দাদা-ভাইয়ের কাছে চিকিৎসা নিতে আসতেন।

আমাদের স্কুলটা ছেলেদের। মেয়েদের জন্য আলাদা গার্লস স্কুল ছিল। সহশিক্ষা তখন আমাদের এলাকায় ছিল না। ইংরেজি ভাষাটা স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতে বাবার কাছ থেকেও শিখেছি। বাড়িতে বাংলা সংবাদপত্র এবং ইংরেজি ম্যাগাজিন আসত। আমি আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। বাবা উৎসাহ দিতেন ইংরেজিতে লেখার জন্য। বাংলায় লেখার ঝোঁক ছোটবেলা থেকেই। তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছি তখন। প্রথম আমার একটা লেখা ছাপা হয় ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার ‘মুকুলের মাহফিল’ পাতায়। কবিতার নাম ছিল ‘চাঁদ’। কয়েক বছর পর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ছোটদের পাতা ‘কচি-কাঁচার আসরে’ আমার অনেক লেখা ছাপা হয়েছিল। বেশ কিছু রম্য রচনাও ছিল।

 

ভাষা আন্দোলনের মিছিলে আপনি গিয়েছেন। মহুকুমা সদরে কেমন ছিল আপনাদের আন্দোলন।

মনে পড়ে ১৯৫২ সালের কথা। গোপালগঞ্জের মতো শান্ত শহরে আগে মিছিল হতো না। কিন্তু ’৫২ সালে আমরা প্রতিবাদী মিছিল করেছি। আমি পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। উপরের ক্লাসের ৯-১০ জন ছাত্র এসে বলল, ‘এখন আর বসে থাকা যাবে না। ঢাকায় ছাত্রদের গুলি করে মেরেছে। বাংলায় নাকি কথা বলতে দেবে না। এটা সহ্য করা যায় না।’ কাল সকালে প্রভাতফেরি হবে। খুব ভোরে যখন আজান দেয় তখন খালি পায়ে আমরা সবাই মিলে যাব প্রভাতফেরিতে। হারমোনিয়াম থাকবে। গান গাইতে গাইতে আমরা শহর প্রদক্ষিণ করব। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এতে কী হবে? জ্যেষ্ঠ ছাত্ররা বলল, এটা একটি প্রতিবাদ। প্রভাতফেরির পর সকাল ১০টায় আমরা বিরাট মিছিল বের করলাম। আমার এখনো মনে আছে, গোপালগঞ্জ শহরে এত বড় মিছিল আর কোনো দিন হয়নি। বড়রাও যোগদান করলেন। ছাত্ররাও এল। সেখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় আধা মাইল লম্বা মিছিল। হঠাৎ মিছিলটা থেমে গেল। আমাদের নেতৃস্থানীয় ছাত্ররা এসে বলল, পেছন দিকে কারা যেন একটা গণ্ডগোল শুরু করেছে। তারপর দেখা গেল, তৎকালীন মুসলিম লীগের ১০-১২ জন কর্মী স্লোগান দিচ্ছিল। আমরা স্লোগান দিচ্ছি ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আর ওরা দিচ্ছিল ‘আরবি হরফে বাংলা লেখা চাই’। আমরা ধর ধর ধ্বনি দিয়ে তাদের ধরে ফেললাম। তাদের উত্তম-মধ্যম দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়েছিল।

 

ব্যাংকিং পেশায় যোগ দিলেন কেন?

আমি ব্যাংকিং পেশায় যোগ দিয়েছিলাম লেখাপড়া শেষ করে, ১৯৬৩ সালে। অথচ কখনই এমনটা আমি ভাবিনি। কলেজে পড়ার সময় একজন অধ্যাপক আমাকে একদিন একটা চেক ভাঙিয়ে আনতে বলেন। এই প্রথম আমার ব্যাংক দর্শন। সেদিন ব্যাংক আমার ভালো লাগেনি। পরবর্তীতে ব্যাংকের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম নিছক শখ করে। পরীক্ষায় ভালো করেছিলাম। চাকরিও পেয়ে গেলাম। যোগদানও করে ফেললাম।

 

কচি-কাঁচার মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন কি স্কুল জীবন থেকে?

স্কুল থেকে কলেজে গিয়ে এক ধরনের পরিবর্তন বা উত্তরণ ঘটেছিল। স্কুলজীবন থেকেই ইত্তেফাকের কচি-কাঁচার আসরে লেখা পাঠাতাম এবং তা ছাপাও হতো। কচি-কাঁচার আসরকে কেন্দ্র করে ১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর একটা সংগঠন হলো ‘কচি-কাঁচার মেলা’। শিশু-কিশোরদের নিয়ে শিশু-কিশোরদের একটি সংগঠন। যেখানে তারা আবৃত্তি শিখবে, গল্প বলা শিখবে, গান শিখবে, নাচ শিখবে, নাটক শিখবে অথবা ব্রতচারী নৃত্য করবে। আমি সেটাতে যুক্ত হয়ে পড়লাম একেবারে প্রথম থেকেই। রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ছিলেন মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। কচি-কাঁচার আসরেরও সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি আমাকে লেখালেখির মাধ্যমেই চিনেছেন। ’৫৭, ৫৮, ৫৯ তিন বছরের জন্য আমি ওই সংগঠনের শিশু আহ্বায়ক ছিলাম। এভাবেই আমি সংগঠনের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়লাম। এতদিন চিন্তারাজ্যে বিচরণ করে গল্প-প্রবন্ধ লিখতাম। এখন সবাইকে নিয়ে কাজ করতে শুরু করলাম।

বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবো, এমন ভাবনা আমার ছিল না। আমার আনন্দ ছিল সবার মাঝে সবাইকে নিয়ে চলার মধ্যে। আমার কেমন যেন মনে হতো, যাদের নিয়ে থাকব তারা যেন আমাকে আপন ভাবে। ছোটবেলা থেকেই প্রবণতা ছিল, মানুষকে নিয়ে চলা, মানুষকে মানুষ জ্ঞান করা, কাউকে ছোট মনে না করা। কেউ বিপদে পড়লে আমরা তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। আজও আমার ভাই-বোনদের মধ্যেও এই প্রবণতা রয়েছে।

 

সম্প্রতি কী নিয়ে ব্যস্ত?

নিজের পড়াশোনা আর কচি-কাঁচার মেলা  নিয়ে ব্যস্ত।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

৩৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম

আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই
আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

অপ্রতিরোধ্য দীপিকা
অপ্রতিরোধ্য দীপিকা

শোবিজ