শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা ছেলেবেলায় শিখেছি

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ
প্রিন্ট ভার্সন
শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা ছেলেবেলায় শিখেছি

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে তৎকালীন হাবিব ব্যাংকে যোগ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে অবসর নেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান

 

আপনি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছিলেন। কেমন ছিল আপনার ছেলেবেলা?

আমার বাবার নাম খোন্দকার আহসান উদ্দিন আহমেদ। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। দাদার নাম খোন্দকার আফছার উদ্দিন আহমেদ। তিনিও চাকরি করতেন। আমাদের পরিবারটাই চাকরিজীবী পরিবার। আমার মনে হয় আমার প্রথম শিক্ষা হয়েছিল পারিবারিক পরিবেশে। ভাই-বোন, বাবা-মা, চাচা-চাচি, মামা-খালা, দাদা-দাদি সবাই মিলে বৃহত্তর পরিবারে পষড়ংব রহঃবৎধপঃরড়হ হতো। খুব মজার একটি ব্যাপার মনে পড়ে। আত্মীয়স্বজন, গৃহভৃত্যসহ বাড়িতে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো মানুষ একসঙ্গে থাকতাম। আমার দাদি ছিলেন বাড়ির ব্যবস্থাপনার প্রধান। মা ছিলেন সহকারী। ৪০ জন লোক তো একসঙ্গে খাওয়া যায় না। খাবার ঘরে ঘণ্টা বাঁধা ছিল। দাদি একটা ঘণ্টা দিলেই নির্ধারিত ব্যক্তিরা খেতে আসতেন। তারা চলে গেলে, দুটি ঘণ্টা দেওয়া হতো। এভাবে খাওয়া চলতে থাকত। আরেকটি মজার ব্যাপার বলি। ছোটবেলায় দাদা জীবিত থাকতে দাদাই ছিলেন বাড়ির মুরব্বি। তাঁর কথাই সবাই মেনে নিত। তিনিই পরিবারের প্রধান। বাবাও তাঁর কথা মেনে চলতেন।

 

আপনার জন্ম গোপালগঞ্জে?

আমার জন্ম হয়েছিল গোপালগঞ্জ শহরে। তখন ওটা ছিল মহকুমা সদর, এখন জেলা সদর। ঈদের সময় দর্জির দোকানে আমরা যেতাম না। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য দর্জি আমাদের বাসায় আসতেন এবং দাদা ভাই তখন থান হিসেবে পাঞ্জাবি এবং পায়জামার কাপড় কিনে আনতেন। আমাদের বাড়িতে চাকর বলাটা নিষেধ ছিল। বয়স্ক হলে কাকা ডাকতে হতো। বয়স কম হলে, ভাই ডাকতে হতো। ছোট হলে নাম ধরে ডাকা যেত। তারা যে কাপড় থেকে পায়জামা এবং পাঞ্জাবি পেত, আমার বাবাও ওই একই কাপড় থেকে পায়জামা-পাঞ্জাবি পেতেন। দাদা ভাই নিজেও একই কাপড় নিতেন। কোনো ব্যতিক্রম হতো না। খাবারের ব্যাপারেও বৈষম্য করা হতো না। সবার জন্য ছোট ছোট পেয়ালায় মাছ-তরকারি থাকত। বড় গামলায় ভাত থাকত। সবার জন্য একই খাবার। ছোটবেলার এই পরিবেশই আমাদের শিখিয়েছে মানুষ সবাই সমান। এটা কেউ উচ্চারণ করে বলেনি। কিন্তু প্রদর্শন করেছেন সবাই সমান এবং বড় হলে তাকে সম্মান করতে হয়। আমার এখনো মনে আছে আমাদের গরু পালনের জন্য যিনি ছিলেন, তার নাম ছিল ওয়াহেদ আলী। লেখাপড়া কিছুই জানতেন না। স্বাভাবিকভাবেই গোচারণ করাই তার কাজ ছিল। অনেকগুলো গরু ছিল। তিনি গরু চরাতেন। তাকে আমরা রীতিমতো সমীহ করে চলতাম। তিনি যখন কিছু বলতেন সেটা অনেকটা মুরব্বির কথা বলার মতোই। আজকেও মনে পড়ে তিনি বা আমিন কাকু গৃহ সহকারী হলেও তারা যখন কিছু বলতেন, ঠিক একজন মুরব্বির মতোই বলতেন। এ পরিবেশ এখন নেই। এখন চাকরকে চাকর-বাকর বলা হয়। গৃহস্বামীর সন্তানদের সঙ্গে তাদের  বৈষম্যও দৃশ্যমান।

 

পড়াশোনা কি গোপালগঞ্জে?

পড়াশোনার জন্য প্রথম ভর্তি হয়েছিলাম গোপালগঞ্জের সীতানাথ একাডেমিতে। স্কুলটি এখন আর নেই। মথুরানাথ ইনস্টিটিউট নামে আরেকটি স্কুল ছিল শহরে। যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পড়তেন। পরবর্তীতে স্কুল দুটি একত্রীভূত হয়েছে। নাম ুরাখা হয়েছে ঝ.গ গড়ফবষ ঐরময ঝপযড়ড়ষ অর্থাৎ সীতানাথ মথুরানাথ মডেল হাই স্কুল। এসএম মডেল হাই স্কুল থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করি। তারপর আমি ঢাকা কলেজে পড়ি। স্কুলজীবনের কিছু ঘটনা বলব, যা আমার এখনো মনে দাগ কেটে আছে। আমাদের সময় শিক্ষকরা ছিলেন ভিন্ন ধরনের মানুষ। জ্যোতিষ বাবু ছিলেন আমার অঙ্কের শিক্ষক, সদরুদ্দিন স্যার ছিলেন ইংরেজির শিক্ষক। অনেকেরই নাম মনে পড়ে। আমি ক্লাসে ফার্স্ট হতাম। পরীক্ষার কিছু আগে বিশেষ কোনো কোনো শিক্ষক আমাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যেতেন। অনেক সময় ধরে পড়াতেন। তখন তো প্রাইভেট টিউটর ছিল না। আমরা প্রাইভেট পড়তাম না। বাসায় নিয়ে শিক্ষকরা আমাদের কোচিং করাতেন এবং নাস্তা খাওয়াতেন খুব আদরের সঙ্গে। এর বিনিময়ে শিক্ষককে পয়সা দেওয়ার সাহস আমাদের ছিল না। ওই ধারণাও ছিল না। শিক্ষককে পয়সা দিতে হয় এ ধারণা অনেক পরে এসেছে আমার। বাবা বলতেন যে, শিক্ষক যখন ডাকবেন তখন যাবি এবং যতক্ষণ পড়াবেন মনোযোগ দিয়ে পড়বি তার ঘরে গিয়ে। তারা পিতৃস্নেহে নিয়ে পড়াতেন। পরীক্ষার ফল বেরুনোর পর বাবা বলতেন, ‘যা শিক্ষকের দোয়া নিয়ে আয়।’ আমাদের অনেক বড় বাড়ি ছিল। কয়েক বিঘা নিয়ে বাগান ছিল। বাড়ির গাছের ফল নিয়ে বাজার থেকে মিষ্টি কিনে এনে একটা বড় ডালা সাজিয়ে সেটা স্যারের বাসায় নিয়ে যেতাম। কী খুশি হতেন স্যার। বাড়ির সামনে থেকেই চিৎকার দিয়ে উঠতেন, এই তোরা আয়, ইব্রাহিম ভালো রেজাল্ট করেছে। মিষ্টি নিয়ে এসেছে। বলে ওখানেই পড়শিদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ শুরু করতেন স্যার। শিক্ষক যে পিতৃতুল্য এই বোধটা তখন থেকেই আমার এসেছে। এটা আমার স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতা।

 

ছেলেবেলায় আপনার জীবনে কার প্রভাব বেশি ছিল?

আমার যতদূর মনে পড়ে, আমার ওপর আমার বাবার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। আরও ছোট বয়সে দাদার প্রভাবটাও প্রচণ্ড ছিল। দাদা একদিকে ইংরেজি শিক্ষিত, অন্যদিকে আরবি-ফার্সি জানতেন ভালো। আধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি ছিলেন অগ্রসর মানুষ। আমি পরে বুঝেছি। এটুকু মনে পড়ে যে, ১৯৪৭ সালের আগে-পরে বেশ দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছিল। গোপালগঞ্জ ছিল হিন্দুপ্রধান এলাকা। অনেক উচ্চবর্ণের হিন্দু ছিলেন শহরে। তারা মুসলিমদের মধ্যে একমাত্র আমাদের বাড়িতে আসতেন। অন্যদের বাড়িতে সাধারণত যেতেন না। অন্য ধর্মের লোকজন দাদা ভাইকে মান্য করতেন। দাদা ভাইয়ের উদার মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতার জন্যই তিনি ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয়। ছেচল্লিশে দুই বাংলায় যখন দাঙ্গা লেগেছিল, তখনো আমাদের বাড়ি আক্রান্ত হয়নি। বরং আমাদের বাড়িতে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে আশ্রয় গ্রহণ করতেন দাঙ্গার সময়ে। একটা রাতের কথা মনে পড়ছে, তখনকার দিনে ছাত্রদের হোস্টেল ছিল না। যারা পড়াশোনা করত তারা জায়গির থাকত। আমাদের বাড়িতে অনেকেই জায়গির থাকতেন। তাদের আমরা কাকু ডাকতাম। মোসলেম কাকু ও অন্যরা খুব বড় বড় রামদা নিয়ে পাহারা দিতেন। ভিতরে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে যারা আশ্রয় নিতেন, তাদের আগলে রাখা হতো। এমনটা স্বাধীনতার পরেও একবার ঘটেছিল। তখন দাদা বেঁচে ছিলেন না। সেবার বাবাই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখন হামলা ছিল শুধু হিন্দুদের উপরে।

এসএন একাডেমির প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু নরেন দাশগুপ্ত। খুব স্নেহ করতেন আমাকে। উনি ছিলেন জমিদার নন্দন। বড় চাকরি পেয়েছিলেন। ত্যাগ করেছিলেন শিক্ষক হবেন বলে। তিনি গোপনে কলকাতা চলে গিয়েছিলেন দাঙ্গা-হাঙ্গামায় ভীতু হয়ে। আমি এই কষ্টটা আজও ভুলতে পারছি না। তখন মনে জিজ্ঞাসা জাগত, এরকম কেন হয়? এরা চলে যাচ্ছেন কেন? এদের মারছে কেন? সদুত্তর পাইনি। মা বলতেন, দুষ্ট লোকেরা হাঙ্গামা করে। সবাই তো ভালো মানুষ নয়। হিন্দুরা চলে গেলে জমিজমা দখল করতে পারবে, এসব কারণে ওরা দাঙ্গা করে। মা-বাবা, দাদা-দাদি, সব সময়ই বলতেন, কখনো মিথ্যা বলতে হয় না। কাউকে তার অবর্তমানে নিন্দা করতে হয় না। আমরা যদি কখনো আমাদের ক্লাসমেটদের সম্পর্কেও মন্দ কিছু বলতে যেতাম, সঙ্গে সঙ্গে মা গম্ভীর হয়ে যেতেন। বলতেন, কারও সম্বন্ধে খারাপ কথা বলতে হয় না।

 

আপনাদের পরিবারের সঙ্গে তো বঙ্গবন্ধুর  ঘনিষ্ঠতা ছিল।

স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছি। আমাদের বাড়ির একটা রাস্তার পরেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। ওখানে একটা ঘর ছিল। ওই ঘরটাতে তিনি থাকতেন। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন। আমার দাদাভাইকে তিনি খুব সম্মান করতেন। কলেজে বাবা সিনিয়র ছিলেন কিন্তু বাবার সঙ্গে তাঁর হৃদ্যতা ছিল। তিনি যখন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়তেন, আমি তখন ছোট। তখনো গোপালগঞ্জে এলেই আমাদের বাড়িতে আসতেন এবং আমাকে নিয়ে আমগাছতলায় যেতেন। একটা আম গাছ ছিল তিনি ওটাকে বলতেন চুকা-মিঠা আম গাছ। ওই গাছের আম ছিল টক-মিষ্টি। তিনি ছিলেন লম্বা মানুষ। একটা লুঙ্গি পরে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে আসতেন। আমাকে কোলে বসিয়ে আম কেটে কেটে নিজেও খেতেন-আমাকেও খাওয়াতেন। এই স্মৃতিটা খুব মনে পড়ে। আমাদের বাড়িতে একটা নিয়মিত মাসিক অনুষ্ঠান হতো। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘এগারই শরীফ’। চন্দ্রমাসের এগারো তারিখে মিলাদ হতো। বড় পীর সাহেবের স্মরণে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল সামাজিক অনুষ্ঠানে রূপ নিত। সেখানে অনেকেই আসতেন। হিন্দুদের মধ্যেও কেউ কেউ আসতেন। হামদ, নাত, বড় পীর সাহেবের প্রশস্তি গাওয়া হতো মধুর সুরে। সম্প্রীতির অনুষ্ঠানে পরিণত হতো মিলাদ মাহফিল। দাদি নিজেই মিলাদের শিরনি পাকাতেন। সাধারণ পায়েস পাক করা হতো। গোপালগঞ্জে অবস্থান করলে বঙ্গবন্ধু আসতেন মিলাদ মাহফিলে। অনেকবার এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার আমার ছোট ভাইকে দেখেই বলে উঠেছিলেন, ‘তোর দাদির পাক করা পায়েসের স্বাদ মুখে লেগে আছে’। শৈশবে সহজ-সরল এ বিরাট মানুষটি আমাদের বড়ই আপনজন ছিলেন।

 

আপনার বাবা-মা সবাই তো ধার্মিক ছিলেন।

আমাদের পরিবারে ধার্মিকতা ছিল। ধর্মান্ধতা ছিল না। প্রবীণ সদস্যরা ধর্ম পালন করতেন। ধর্মীয় আচার-আচরণ মান্য করতেন। কিন্তু অন্য ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করতে দেখিনি কখনো। দাদাভাই আধ্যাত্মিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। অবসর জীবনে গরিব রোগীদের বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করতেন। কলকাতা থেকে হোমিওপ্যাথিক এবং বায়োকেমিক ওষুধ কিনে আনতেন তিনি। লোকজন নিয়মিতভাবে তার কাছে আসতেন চিকিৎসা গ্রহণের জন্য। দোয়া-দরুদ দিয়েও চিকিৎসা করতেন তিনি। প্লিহা চিকিৎসায় তিনি ছিলেন অনন্য। পরিষ্কার মাটি দিয়ে একটি প্লেট তৈরি করতেন। প্লিহা রোগীকে শুইয়ে তার পেটের ওপর মাটির প্লেটটি রাখতেন। মাটির প্লেটটির ওপর কাঁচি দিয়ে কী যেন লিখতেন। তারপর লেখাসহ কাঁচামাটির প্লেটটি ছাদের ওপর রোদে রেখে দিতেন। রোদে প্লেটটি শুকিয়ে যেত। সঙ্গে সঙ্গে রোগীর প্লিহা সেরে যেত। স্ফীত পেট স্বাভাবিক হয়ে যেত। এটি আমার চাক্ষুষ দেখা। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে রোগীরা দাদা-ভাইয়ের কাছে চিকিৎসা নিতে আসতেন।

আমাদের স্কুলটা ছেলেদের। মেয়েদের জন্য আলাদা গার্লস স্কুল ছিল। সহশিক্ষা তখন আমাদের এলাকায় ছিল না। ইংরেজি ভাষাটা স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতে বাবার কাছ থেকেও শিখেছি। বাড়িতে বাংলা সংবাদপত্র এবং ইংরেজি ম্যাগাজিন আসত। আমি আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। বাবা উৎসাহ দিতেন ইংরেজিতে লেখার জন্য। বাংলায় লেখার ঝোঁক ছোটবেলা থেকেই। তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছি তখন। প্রথম আমার একটা লেখা ছাপা হয় ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকার ‘মুকুলের মাহফিল’ পাতায়। কবিতার নাম ছিল ‘চাঁদ’। কয়েক বছর পর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ছোটদের পাতা ‘কচি-কাঁচার আসরে’ আমার অনেক লেখা ছাপা হয়েছিল। বেশ কিছু রম্য রচনাও ছিল।

 

ভাষা আন্দোলনের মিছিলে আপনি গিয়েছেন। মহুকুমা সদরে কেমন ছিল আপনাদের আন্দোলন।

মনে পড়ে ১৯৫২ সালের কথা। গোপালগঞ্জের মতো শান্ত শহরে আগে মিছিল হতো না। কিন্তু ’৫২ সালে আমরা প্রতিবাদী মিছিল করেছি। আমি পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। উপরের ক্লাসের ৯-১০ জন ছাত্র এসে বলল, ‘এখন আর বসে থাকা যাবে না। ঢাকায় ছাত্রদের গুলি করে মেরেছে। বাংলায় নাকি কথা বলতে দেবে না। এটা সহ্য করা যায় না।’ কাল সকালে প্রভাতফেরি হবে। খুব ভোরে যখন আজান দেয় তখন খালি পায়ে আমরা সবাই মিলে যাব প্রভাতফেরিতে। হারমোনিয়াম থাকবে। গান গাইতে গাইতে আমরা শহর প্রদক্ষিণ করব। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এতে কী হবে? জ্যেষ্ঠ ছাত্ররা বলল, এটা একটি প্রতিবাদ। প্রভাতফেরির পর সকাল ১০টায় আমরা বিরাট মিছিল বের করলাম। আমার এখনো মনে আছে, গোপালগঞ্জ শহরে এত বড় মিছিল আর কোনো দিন হয়নি। বড়রাও যোগদান করলেন। ছাত্ররাও এল। সেখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় আধা মাইল লম্বা মিছিল। হঠাৎ মিছিলটা থেমে গেল। আমাদের নেতৃস্থানীয় ছাত্ররা এসে বলল, পেছন দিকে কারা যেন একটা গণ্ডগোল শুরু করেছে। তারপর দেখা গেল, তৎকালীন মুসলিম লীগের ১০-১২ জন কর্মী স্লোগান দিচ্ছিল। আমরা স্লোগান দিচ্ছি ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আর ওরা দিচ্ছিল ‘আরবি হরফে বাংলা লেখা চাই’। আমরা ধর ধর ধ্বনি দিয়ে তাদের ধরে ফেললাম। তাদের উত্তম-মধ্যম দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়েছিল।

 

ব্যাংকিং পেশায় যোগ দিলেন কেন?

আমি ব্যাংকিং পেশায় যোগ দিয়েছিলাম লেখাপড়া শেষ করে, ১৯৬৩ সালে। অথচ কখনই এমনটা আমি ভাবিনি। কলেজে পড়ার সময় একজন অধ্যাপক আমাকে একদিন একটা চেক ভাঙিয়ে আনতে বলেন। এই প্রথম আমার ব্যাংক দর্শন। সেদিন ব্যাংক আমার ভালো লাগেনি। পরবর্তীতে ব্যাংকের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম নিছক শখ করে। পরীক্ষায় ভালো করেছিলাম। চাকরিও পেয়ে গেলাম। যোগদানও করে ফেললাম।

 

কচি-কাঁচার মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন কি স্কুল জীবন থেকে?

স্কুল থেকে কলেজে গিয়ে এক ধরনের পরিবর্তন বা উত্তরণ ঘটেছিল। স্কুলজীবন থেকেই ইত্তেফাকের কচি-কাঁচার আসরে লেখা পাঠাতাম এবং তা ছাপাও হতো। কচি-কাঁচার আসরকে কেন্দ্র করে ১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর একটা সংগঠন হলো ‘কচি-কাঁচার মেলা’। শিশু-কিশোরদের নিয়ে শিশু-কিশোরদের একটি সংগঠন। যেখানে তারা আবৃত্তি শিখবে, গল্প বলা শিখবে, গান শিখবে, নাচ শিখবে, নাটক শিখবে অথবা ব্রতচারী নৃত্য করবে। আমি সেটাতে যুক্ত হয়ে পড়লাম একেবারে প্রথম থেকেই। রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ছিলেন মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। কচি-কাঁচার আসরেরও সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি আমাকে লেখালেখির মাধ্যমেই চিনেছেন। ’৫৭, ৫৮, ৫৯ তিন বছরের জন্য আমি ওই সংগঠনের শিশু আহ্বায়ক ছিলাম। এভাবেই আমি সংগঠনের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়লাম। এতদিন চিন্তারাজ্যে বিচরণ করে গল্প-প্রবন্ধ লিখতাম। এখন সবাইকে নিয়ে কাজ করতে শুরু করলাম।

বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবো, এমন ভাবনা আমার ছিল না। আমার আনন্দ ছিল সবার মাঝে সবাইকে নিয়ে চলার মধ্যে। আমার কেমন যেন মনে হতো, যাদের নিয়ে থাকব তারা যেন আমাকে আপন ভাবে। ছোটবেলা থেকেই প্রবণতা ছিল, মানুষকে নিয়ে চলা, মানুষকে মানুষ জ্ঞান করা, কাউকে ছোট মনে না করা। কেউ বিপদে পড়লে আমরা তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। আজও আমার ভাই-বোনদের মধ্যেও এই প্রবণতা রয়েছে।

 

সম্প্রতি কী নিয়ে ব্যস্ত?

নিজের পড়াশোনা আর কচি-কাঁচার মেলা  নিয়ে ব্যস্ত।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
রাজশাহীতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অটোচালক নিহত
রাজশাহীতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অটোচালক নিহত

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১১ বছর পর ইসরায়েলি সেনার মরদেহ ফেরত দিল হামাস
১১ বছর পর ইসরায়েলি সেনার মরদেহ ফেরত দিল হামাস

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভায়েকানোর মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের হোঁচট
ভায়েকানোর মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের হোঁচট

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে শেল্টার হোম থেকে অর্ধশতাধিক বিড়াল উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে শেল্টার হোম থেকে অর্ধশতাধিক বিড়াল উদ্ধার

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অপরিচ্ছন্ন-অস্বাস্থ্যকর শেল্টার হোম থেকে উদ্ধার করা হল বিড়ালগুলোকে
অপরিচ্ছন্ন-অস্বাস্থ্যকর শেল্টার হোম থেকে উদ্ধার করা হল বিড়ালগুলোকে

৩৯ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করল ঢাকা
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করল ঢাকা

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন বানচাল ও পেছানোর চক্রান্ত মেনে নেবে না বিএনপি: সালাউদ্দিন বাবু
নির্বাচন বানচাল ও পেছানোর চক্রান্ত মেনে নেবে না বিএনপি: সালাউদ্দিন বাবু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে যেসব অঞ্চলে
তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে যেসব অঞ্চলে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির আইনজীবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
এনসিপির আইনজীবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার
বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ নারী পর্যটক
দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ নারী পর্যটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেট্রোরেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
মেট্রোরেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যে বার্তা দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যে বার্তা দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১০৩৭ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১০৩৭ মামলা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হংকং সিক্সেসে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
হংকং সিক্সেসে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এক দাতিনা মাছ ১ লাখ টাকায় বিক্রি
এক দাতিনা মাছ ১ লাখ টাকায় বিক্রি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালদ্বীপের বাজারে প্রবেশের অনুমতি পেল ওয়ালটন ক্যাবলস
মালদ্বীপের বাজারে প্রবেশের অনুমতি পেল ওয়ালটন ক্যাবলস

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান
বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইবিতে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি
ইবিতে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার: মীর হেলাল
ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার: মীর হেলাল

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক
সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে সাতক্ষীরার দুই শিশু প্রতিনিধি
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে সাতক্ষীরার দুই শিশু প্রতিনিধি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজিজুলের সেঞ্চুরিতে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
আজিজুলের সেঞ্চুরিতে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নীলফামারীতে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানববন্ধন
নীলফামারীতে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গৌরীপুর বিএনপির সমাবেশে স্ট্রোক করে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
গৌরীপুর বিএনপির সমাবেশে স্ট্রোক করে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা-খুলনা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন
মোংলা-খুলনা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি
আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ফারুক আহমেদ
হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ফারুক আহমেদ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধানের শীষে ভোট চেয়ে মোশারফ হোসেনের গণসংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে মোশারফ হোসেনের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা
ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস
ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!
বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস
সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক দিনে পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪০ নেতা
এক দিনে পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪০ নেতা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ
হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী
৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি
বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার
বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা
জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক
সালাহউদ্দিন আহমদের কথায় অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়
মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কাফনের কাপড় হাতে শপথ ‘১০ম গ্রেড ছাড়া ফিরবেন না শিক্ষকরা’
কাফনের কাপড় হাতে শপথ ‘১০ম গ্রেড ছাড়া ফিরবেন না শিক্ষকরা’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চালু হচ্ছে এআই পদ্ধতির চিকিৎসাসেবা : নিন্স পরিচালক
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চালু হচ্ছে এআই পদ্ধতির চিকিৎসাসেবা : নিন্স পরিচালক

১০ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিউডে বাজেটের রেকর্ড ভাঙবে শাহরুখের ‘কিং’
বলিউডে বাজেটের রেকর্ড ভাঙবে শাহরুখের ‘কিং’

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক