ইন্টার্ণশীপ পেপারে স্বাক্ষর করাকে কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক ড. হাসনাত আলী নামের এক শিক্ষককে মারধর করেছে ওই ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী। সোমবার দুপুর আড়াইটার ভুক্তভোগী শিক্ষকের চেম্বারে এই ঘটনা ঘটে।
মারধরকারী শিক্ষার্থীর নাম নাহিদ হায়দার। তিনি আইবিএ’র নবম ডে ব্যাচের শিক্ষার্থী।
আইবিএ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক হাসনাত আলীর তত্ত্বাবধায়নে ছয় জন শিক্ষার্থী ইন্টার্ণশীপ করছিল। সোমবার ছিল ইন্টার্ণশীপ জমা দেয়ার শেষ তারিখ। এদিন দুপুরে নাহিদ ইন্টার্ণশীপ পেপার জমা দেয়ার জন্য আসলে শিক্ষকের দেখা পাননি। এসময় শিক্ষক হাসনাত আলী তার ব্যক্তিগত কাজে বাইরে অবস্থান করছিলেন। নাহিদ ওই শিক্ষককে বারবার ফোন দিয়ে ইনস্টিটিউটে আসার জন্য তাগাদা দেয়। শিক্ষক হাসনাত আলী ইনস্টিটিউটে তার চেম্বারে আসলে নাহিদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা লেগে যায়। এক পর্যায়ে নাহিদ শিক্ষক হাসনাত আলীকে মারধর করে।
অধ্যাপক হাসনাত আলী জানান, ইন্টার্ণশীপ পেপারের জন্য গত রবিবার নাহিদের আমার চেম্বারে আসার কথা ছিল। কিন্তু সে আসেনি। আজ (সোমবার) দেড়টার দিকে সে আমাকে ফোন দেয়। আমি চেম্বারে আসলে সে আমাকে তার নানা রকম ক্ষমতার হুমকি দেয়। তার ইন্টার্ণশীপ পেপারে স্বাক্ষর করতে দেরি করার জন্য আমার শিক্ষকতার যোগ্যতাসহ নানা রকম বাজে কথা বলে ও মারধর করে।
নাহিদ হায়দারের দাবি, হাসনাত স্যার তাকে তার বাবা মা তুলে গালিগালাজ করে। এতে তার প্রচন্ড রাগ ওঠে। রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরেই তিনি এ ঘটনা ঘটান।
আইবিএ’র পরিচালক জানান, নাহিদকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল