'বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ৪৭% স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার। ভারতে এই সংখ্যা ৩৩% আর শ্রীলংকায় ৭.৮%। বেকারত্বের সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। প্রতিবছর কুড়ি লক্ষ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে সরকারি হিসাবে ছয় লক্ষ বিদেশি বাংলাদেশে কাজ করে বছরে ছয় বিলিয়ন ডলার বা পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা তাদের দেশে প্রেরণ করছে।’
আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে ‘শহীদ ড. শামসুজ্জোহা স্মারক বক্তৃতা’য় স্মারক বক্তা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান তাঁর ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম’ শীর্ষক প্রবন্ধে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বাস্তবতা পর্যালোচনা করলে এটি বুঝতে অসুবিধা হয় না যে বাংলাদেশের বিশাল তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত অর্থে জনসম্পদে রূপান্তর করতে না পারলে আমরা যে ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের অথবা ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি তা অধরা রয়ে যাবে। এটি করার জন্য এই বিশাল তরুণ জনশক্তিকে আমাদের প্রকৃত সম্পদ হিসেবে দেখতে হবে এবং তাদের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী শিক্ষা আর দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। আর এই তরুণদের মনে রাখতে হবে আজকের শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ কাল কোন কাজে নাও আসতে পারে। তা যাতে না হয় শিক্ষা আর প্রশিক্ষণকে স্বীয় উদ্যোগে নিয়মিত শাণিত করতে হবে।’
স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শহীদ ড. জোহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আশরাফী শহীদ ড. জোহার জীবনালেখ্য পাঠ এবং বিভাগের শিক্ষক ড. বিলকিস জাহান লুম্বিনী ও ড. মো. মাহবুবর রহমান বক্তৃতা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
স্মারক বক্তৃতার আগে প্রফেসর মান্নান শহীদ ড. জোহার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার